জিএম কাদের
বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারেরই উদ্যোগ নেয়া উচিত। আমরা দলীয় ফোরামে আলোচনা করব এবং সরকার চাইলে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেব।’
সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সংসদের বিরোধী দলীয় উপ নেতা জিএম কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় জনগণের আস্থা হারিয়েছে। আবার সাধারণ মানুষ বিএনপিকেও পছন্দ করে না। এমতাবস্থায় দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ছাড়া তৃতীয় শক্তি দেখতে চায়।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি তৃতীয় শক্তি হিসেবে নির্বাচনে আবির্ভূত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জিএম কাদের: আপিল বিভাগ
জিএম কাদের বলেন, তাদের দল দেশ থেকে দুর্নীতি, দুঃশাসন, টেন্ডারবাজি, রাজনীতিকরণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য দূর করার রাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ মনে করে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনায় অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছে। তাই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে দেখতে চায়।’
এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আদালতের সব নির্দেশনা মেনে চলি।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দলীয় দায়িত্ব পালনের পথ পরিষ্কার হওয়ায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও দেশের সাধারণ মানুষ খুশি।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বহাল
দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জিএম কাদের: আপিল বিভাগ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া আপিল বিভাগ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতকে জাপা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার রায়ের বিরুদ্ধে কাদেরের করা আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
আদালতে আবেদনকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা এবং জিএম কাদেরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
এছাড়া আপিল বিভাগের আদেশ জাপা সিসিইফ হিসাবে কাদেরকে কাজ করতে বাধা দেয়। সিরাজুল বলেন, এখন আমাদের মৃধার বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে হবে।
এর আগে সোমবার, আপিল বিভাগ ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন।
৩০ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ এম ইনায়েতুর রহিম জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে তার পদে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট একটি পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের পথ পরিষ্কার করেন।
৪ অক্টোবর জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন জিয়াউল হক মৃধা।
৩০ অক্টোবর ঢাকার যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালত-১ জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
শেখ সিরাজুল ইসলাম ও কলিম উল্লাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী ৬ অক্টোবর আদালতে জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন নিয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনে, ১৬ নভেম্বর আইনজীবীরা একই আদালত কর্তৃক বরখাস্ত করা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে তার ভূমিকা পালনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন কাদের।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দলটির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান।
হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় (২৮ ডিসেম্বর ২০১৯) কাউন্সিলে জালিয়াতির মাধ্যমে কাদের নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
পরে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে দলের চেয়ারম্যান হিসাবে কাদের রাঙ্গা, গাজীপুর মহানগর শাখার উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর সিকদারসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে বরখাস্ত করেন।
এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাকে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে দল থেকে অপসারণ করা হয়।
মামলায়, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সমস্ত অপসারণ এবং কাউন্সিলকে অবৈধ ঘোষণা করার আদেশ চাওয়া হয়েছিল এবং হাইকোর্টের রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলের পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা জানা যাবে আগামীকাল
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা জানা যাবে আগামীকাল
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কি না তা জানা যাবে আগামীকাল। এ বিষয়ে সোমবার শুনানি শেষ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ আগামীকাল মঙ্গলবার আদেশের জন্য ধার্য করেছেন।
আদালতে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলাকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা। আর জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম।
জিয়াউল হক মৃধার আবেদনে গত ৩০ অক্টোবর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত।
পরে ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিভিশন আবেদন করেন জি এম কাদের। পরে আবেদনটি শুনানি করে গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে জিয়াউল হক মৃধা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।
এই আবেদন শুনে গত ৩০ নভেম্বর জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
চেম্বার আদালতের এই আদেশের ফলে জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল থাকে। একই সঙ্গে জিয়াউল হক মৃধার আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুযায়ী আজ শুনানি হয়। এখন আগামীকাল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেবেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের), ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে যেন পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরে এ আদেশ প্রত্যাহারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ এ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন। কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম ৯ জানুয়ারি রাখাতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজকেই শুনানি করেন। আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা অবৈধ। কোর্ট রুল দিলো আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বহাল
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ আগামী সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহমান এ আদেশ দেন।
চেম্বার আদালতের এই আদেশের ফলে জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী জিয়াউল হক মৃধার আইনজীবী ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।
তিনি বলেন, বিচারিক আদালত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। সেই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করেন জিএম কাদের। ওই আবেদন খারিজ করেন বিচারিক আদালত। এরপর তার বিরুদ্ধে আপিল করেন। যে আপিলের ওপর জানুয়ারিতে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এরই মধ্যে হাইকোর্টে জিএম কাদের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট বিচারিক আদালতে আদেশ স্থগিত করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন জানাই। আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করে আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। সোমবার এ বিষয়ের ওপর ফের শুনানি হবে।
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের), ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে যেন পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরে এ আদেশ প্রত্যাহারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের। জেলা জজ এ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন। কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম ৯ জানুয়ারি রাখাতে, আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজকেই শুনানি করেন। আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা অবৈধ। কোর্ট রুল দিলো আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম) দায়িত্ব পালনে নিম্ন আদালতের দেয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জিএম কাদেরের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাহিদা খাতুন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কোহিনুর আক্তার ও সাবিনা পারভীন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন-আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
তিনি বলেন, এ আদেশের ফলে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই।
এরআগে ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের), ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে যেন পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
পরে এ আদেশ প্রত্যাহারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের।
জেলা জজ এ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন।
কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম ৯ জানুয়ারি রাখতে, আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজেকই শুনানি করেন।
আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা অবৈধ। কোর্ট রুল দিলো আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন।
১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন।
অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: দণ্ডিত আবদুস সামাদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এক জঙ্গির জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বহাল
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে জিএম কাদের দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন না তিনি।
বুধবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক শুনানি শেষে নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয় শুনানি শেষ হয়।
বুধবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছিলেন আদালত।
এরপর লিখিত জবাব দাখিল ও মূল মামলার শুনানির জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে ৬ অক্টোবর জিএম কাদেরের পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে জি এম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকার মোমেনের বক্তব্যের দায় এড়াতে পারে না: জিএম কাদের
৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা এই মামলা করেন।
বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের যাবতীয় দলীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহনে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।
একই আদালতে মশিউর রহমান রাঙ্গা ৩ অক্টোবর জি এম কাদেরসহ চার জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
একই বিষয়ে ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালত বাদী নাফিজ মাহবুবের একটি মামলা সোমবার খারিজ করে দেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
পরে চলতি বছরের ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন।
এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন।
এতে আরও বলা হয়, ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসি নিজেই স্বীকার করেছেন ইভিএম দিয়ে সঠিকভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না: জিএম কাদের
জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি না দিলে সংসদে যাবে না জাপা
ইসি নিজেই স্বীকার করেছেন ইভিএম দিয়ে সঠিকভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, এর আগে নির্বাচন নিয়ে আমরা যে কথা বলেছি তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। অন্ততপক্ষে ইভিএমের ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিজেই স্বীকার করেছেন যে, ইভিএম দিয়ে নির্বাচন সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না, আয়ত্বে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর নগরীর পল্লীনিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার: জিএম কাদের
জিএম কাদের বলেন, প্রেসিডিয়াম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের আগে যে সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার সবগুলোতে আমরা অংশগ্রহণ করবো। এর অর্থ হলো যে, নির্বাচনে যে সব অনিয়ম হয় তা প্রত্যক্ষভাবে দেখার জন্য এবং দেশবাসীকে দেখানোর জন্য আমরা নির্বাচনগুলোতে যাচ্ছি।
ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষে বিপক্ষে কথা বলতে গেলে আমরা এসব বিষয় প্রমাণ স্বরূপ তুলে ধরতে পারবো বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোট গঠনের বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, আমরা কারো সঙ্গে জোট করবো কি করবো না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এসে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
কাদের বলেন, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির একটা অতীত ঐতিহ্য আছে। অতীতে আমরা যে সুশাসন দিয়েছি, পরবর্তীতে কোনো সরকার তুলনামূলকভাবে সে রকম সুশাসন দিতে পারেনি। আমরা জনগণের কাছে এসব বিষয় নিয়ে যাচ্ছি। দলকে শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করছি।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
উন্নয়নের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার: জিএম কাদের
গণতন্ত্র বাদ দিয়ে সরকার উন্নয়নের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র চর্চা করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
বুধবার বনানীর দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টিতে কয়েকজনের যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে জিএম কাদের আরও বলেন, তাদের দলের রাজনীতির মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা।
তিনি অভিযোগ করেন, কিছু লোক উন্নয়নের নামে গণতন্ত্রের অপব্যাখ্যা করতে চায়। কারণ তারা বলে যে গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আসলে, উন্নয়নমূলক গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। এ ধরনের গণতন্ত্রের নামে জাতিকে প্রতারিত করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত হলেই জনগণের সব অধিকার নিশ্চিত হবে।
অনুষ্ঠানে পার্টির চেয়ারম্যানকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন প্রখ্যাত চিকিৎসক মঞ্জুর-এ-খোদা।
জিএম কাদের চিকিৎসককে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সক্ষমতা জোরদারে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ ও যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ: জিএম কাদের
সারাদেশে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারকে কটাক্ষ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আশংকা করেছেন যে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘দেশের মানুষ চার থেকে ১০ ঘণ্টা অসহনীয় লোডশেডিং-এর সম্মুখীন হচ্ছে। ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতি রয়েছে, কিন্তু অর্থের অভাবে সরকার জ্বালানি কিনতে পারছে না।’
সরকারি কোষাগারে টাকা না থাকায় বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম কমলেও সরকার গ্যাস সংগ্রহ করতে পারছে না বলেও মন্তব্য করেন জাপা চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হওয়ার আগে লোডশেডিং, ডলারের তীব্র দাম বৃদ্ধি, জ্বালানি কেনার জন্য অর্থের অভাব এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছিল। ঠিক একই চিত্র এখন বাংলাদেশেও।
আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের (বিএইচআরসি) নির্বাহী সচিব মির্জা শাহাদাত হোসেন এবং বিএইচআরসির সাধারণ সম্পাদক (আন্তর্জাতিক বিশেষ প্রতিনিধি) গোলাম কিবরিয়া মোল্লা জিএম কাদেরকে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
বিদ্যুতের অভাবে শিল্প কারখানা চালু রাখা সম্ভব না হওয়ায় সব পণ্যের উৎপাদন কমে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জিএম কাদের।
এর ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেলে অনেকেই চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, শ্রীলঙ্কার মতো মেগা প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে এবং হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার আগেই বলেছিল সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তারা এখন বলছে নভেম্বরে স্বাভাবিক হবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কবে স্বাভাবিক হবে কেউ জানে না। তাই দেশের মানুষ সরকারের কথায় আস্থা রাখতে পারছে না’।
জিএম কাদের বলেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ‘সরকার সব ঘরে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন প্রতিটি ঘরে বেকারত্ব তৈরি করেছে। সরকারও প্রতি কেজি চাল ১০ টাকায় দেয়ার ঘোষণা দিলেও এখন প্রতি কেজি চাল ৭০ টাকা। জনগণ এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়।’
তিনি বলেন, বুধবার গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তবে হামলা ও মিথ্যা মামলার কারণে তার দলের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারছেন না।
জাপা প্রধান আরও বলেন, ‘সরকারের সমর্থকরা নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে, কিন্তু তারা জাতীয় পার্টির লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করছে এবং তাদের সেই অপরাধের সঙ্গে জড়িত করছে… আসলে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং মানুষ আর নির্বাচনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
দেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে: জিএম কাদের
মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা থেকে দেশ দূরে সরে গেছে বলে আক্ষেপ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। সুতরাং, সাধারণ মানুষ দেশের মালিকানা হারিয়েছে।’
সোমবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা এখন একজনের হাতে চলে গেছে উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, কিছু লোক রাজনীতি করে আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী দলগুলো রাজনীতি করার বা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের কোনো সুযোগ পাবে না।
জিএম কাদের বলেন, ‘এমন দেশের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। আসলে দেশ মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা থেকে দূরে সরে গেছে।’
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক সংসদ সদস্য করিম উদ্দিন ভরসার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ভরসা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।
জাপা নেতা শরিফুল ইসলাম ভরসাকে স্বাগত জানিয়ে দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা জোরদারে কাজ করার আহ্বান জানান।
সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এ সময় আরও বলেন, জাতীয় পার্টি দেশের মানুষের সব অধিকার রক্ষার দায়িত্ব নিতে রাজনীতি করছে।
তিনি বলেন, এ কারণে প্রতিদিনই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির পতাকাতলে বিভিন্ন পেশার মানুষ আসছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি কারো দাসত্ব করবে না: জিএম কাদের
অনিয়ন্ত্রিত সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না: জিএম কাদের
অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ জিএম কাদেরের