মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল আজহার উপহার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ত্যাগের উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান প্রধানমন্ত্রী।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার তাদের হাতে উপহার তুলে দেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রতিটি জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো উৎসবে তাদের স্মরণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তারা জাতীয় উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কাটিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তারা।
এছাড়াও তারা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
মালয়েশিয়ার রাজা-প্রধানমন্ত্রীকে আম উপহার শেখ হাসিনার
রাজশাহীতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু
রাজশাহীতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার নগরীর বেলদারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল রানা নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি রাজশাহী রেলওয়ে বিভাগের কর্মচারী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদক ব্যবসায়ী টগরের বাড়িতে মদ কেনাকে কেন্দ্র করে সোহেল ও ফারুকের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর ফারুক সোহেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
দ্রুত তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, ফারুকও আহত হয়েছেন। তবে তিনি কীভাবে আহত হয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নকলায় ‘প্রেমিকে’র ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রী খুন, বাবা আহত
কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
সাবেক এমপি মজিবর রহমান সেন্টু আর নেই
জার্তীয় পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, নাটোর-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান সেন্টু মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে নাটোর শহরের কান্দিভিটা এলাকায় নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি তিন পুত্র সন্তানের জনক। ১৯৮৬ ও '৮৮ সালে জাতীয় পার্টির এমপি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন মজিবর রহমান সেন্টু।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী মারা গেছেন
গায়ক হায়দার হোসেনের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন
হৃদরোগে আক্রান্ত বিশিষ্ট গায়ক-গীতিকার ও মুক্তিযোদ্ধা হায়দার হোসেনের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার দ্বিতীয়বার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
সংগীতশিল্পীর জামাতা সালমান ফারুক খান নিশ্চিত করেন যে শিল্পীর অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি এখন করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) বিশ্রাম নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে তার হার্ট অ্যাটাক হয় বলে চিকিৎসকদের ধারণা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মুক্তির দিন ঢাকা প্রেক্ষাগৃহে ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: ডমিনিয়ন’
২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনি প্রথম হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন এবং সেই সময়ে তার হার্টে দুটি রিং স্থাপন করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই গায়ক ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
একজন সঙ্গীতশিল্পী ও গীতিকার হিসেবে, তিনি কিংবদন্তি গায়ক আজম খান এবং উইনিং ও ডিফারেন্ট টাচের মতো বিখ্যাত সঙ্গীত ব্যান্ডের সঙ্গে পারফর্ম করেছেন।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে একজন বিমান প্রকৌশলী হিসাবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন।
তার গাওয়া ৩০ বছর পরেও স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি,ফাঁইস্যা গেছি, না বলা কথা, প্রত্যাশা, খোলা আকাশ গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বলিউড গায়ক কে কে’র চির বিদায়
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংরক্ষণের তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট
আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত কতজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী ভর্তি ও পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসিকে) এ তথ্য জানাতে হবে।
পাশাপাশি ২০১০ সাল থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন পর্যন্ত কত টাকা গবেষণার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, সে তথ্যও আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ শতাংশ গরিব, মেধাবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিনামূল্যে পড়াশোনার সুযোগের বিধান বাস্তবায়ন না করায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ইউজিসি’র চেয়ারম্যানসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডাটাবেজ থেকে জন্ম-মৃত্যুর তথ্য গায়েব, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আগামী ১৪ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বাদী হয়ে রিটটি দায়ের করেন।
রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইনের ৯ এর ৪ উপধারা অনুযায়ী প্রতিবছর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং মেধাবীদের জন্য ৬ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার কথা। সেটি করা হচ্ছে না। আইনের ৯ ধারার ৬ উপধারা অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে নির্ধারিত একটি সুনির্দিষ্ট অংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণার জন্য রাখার কথা। এই হিসাবগুলো পাঠাতে হবে ইউসিজির কাছে। ইউজিসি পরে এই রিপোর্ট পাঠাবে মন্ত্রণালয়ের কাছে। পরে মন্ত্রণালয় পাঠাবে সংসদীয় কমিটির কাছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আমরা কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সেটি জানার জন্য চেষ্টা করেছি। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে যে ২০১০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি কোটা সংরক্ষণের ও গবেষণার কাজে টাকা বরাদ্দের শর্ত পূরণ করেনি।
একই আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী সরকারের কর্তব্য হচ্ছে আইন ভঙ্গ হলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন বাতিল এবং সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করবে। ধারা ৪৯ এ বলা হয়েছে এগুলো ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ৫ বছরের কারাদণ্ড ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের ব্যবস্থা আছে। বিগত বছরগুলোতে এসব কারণে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও আমরা শুনিনি। এ কারণে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সহিংসতা: প্রধান বিচারপতি বিবৃতি না দেয়ায় ফখরুলের ক্ষোভ
ই-কমার্সের মাধ্যমে কত টাকা পাচার ও পাচারকারীদের তথ্য জানতে চান হাইকোর্ট
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ এর রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর অবদান অবিস্মরণীয়।
ড. মোমেন বলেন, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এবং আমাদের মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে গাফ্ফার চৌধুরীর লেখনি বিশেষ করে, তাঁর লেখা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গান এক অমর সৃষ্টি। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীণ তাঁর প্রকাশিত পত্রিকা ‘জয় বাংলা’ মুক্তিযোদ্ধাদের যথেষ্ট অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক কলম যোদ্ধাকে হারিয়েছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি মরহুম আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আর নেই
ট্রেনের টয়লেট থেকে মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার
পঞ্চগড়গামী ট্রেনের টয়লেট থেকে এক মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে একটি ট্রেনের বগির টয়লেট থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত আব্দুল আজিজ শেখ (৭৪) ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার লক্ষ্মণদিয়া গ্রামের মৃত আমীর উদ্দিন শেখের ছেলে এবং বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা।
আরও পড়ুন: যমুনায় নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মাসুদ পারভেজ জানান, দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশনে আসার পর ওয়াস রুমের কর্মচারীরা টয়লেটে এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পান। বিষয়টি রেলপুলিশকে অবহিত করেন। রেল পুলিশ পঞ্চগড় থানা পুলিশকে খবর দেন। বিজিবির সহযোগিতায় পঞ্চগড় থানা পুলিশ ওই মুক্তিযোদ্ধার লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুটি ব্যাগ, মোবাইল ফোন, সাড়ে আট হাজার টাকা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও একটি চেক বই উদ্ধার করা হয়।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন রেল পুলিশ।
দিনাজপুর রেল পুলিশের (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ
পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, এটা রেল পুলিশের তদন্তের বিষয়। তার সঙ্গে থাকা কাগজপত্র দেখে তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতের পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধার মৃত্যূ
ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়ায় মোটর সাইকেলের ধাক্কায় আহত এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। শনিবার বিকালে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসাপাতালে চিকিৎাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সালমা বেগম (৫৫) সদর উপজেলার পশ্চিম কুজিশহর গ্রামের লিয়াকত আলীর স্ত্রী।
জানা যায়, শুক্রবার বিকালে ঘনিমহেশপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের ছেলে মতিউর রহমান মতি বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আটোয়ারী অভিমুখে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হাসকিং মিলের সামনে সালমা বেগমকে ধাক্কা দেয় মোটর সাইকেলটি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে হাসপাতালে মারা যান বৃদ্ধা সালমা ।
রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ভ্যান-মোটর সাইকেল সংঘর্ষে শিক্ষকের মৃত্যু
মোটর সাইকেল করে বেড়ানো হলো না তাদের!
স্বাধীনতার ইতিহাসে তাদের স্থান কি হবে?
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সুফল যা একটি কঠিন বাস্তবতা। এদেশের আপামর জনতার পরোক্ষ প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ, মা বোনের ইজ্জত, মানবিক বিপর্যয়, ত্যাগ তিতিক্ষার কথা ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। অসমাপ্ত রয়ে গেছে ইতিহাসের অনেক উপাদান। গবেষকরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
দেশের বাইরে থেকেও যারা যুদ্ধে সমর্থন জুগিয়েছিল তাদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকেই দেশের মাটিতে পা না দিয়েও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আছেন এবং ভাতা গ্রহণ করছেন। এমনকি বিজয়ের মুহূর্তে কোন অবদান না রেখেও শুধু মাত্র স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে নিহত হয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সম্বোধিত হচ্ছেন। কিন্তু উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক বাঙালিরা যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানে মানসিক চাপ, নির্যাতন, জেল ও অনেক কষ্ট করে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে নিগৃহীত হয়েছিলেন। তাদের ইতিহাস অনুচ্চারিত রয়ে গেছে।
সামরিক বেসামরিক সকল শ্রেণিই নিজের মাতৃভূমিতে ফেরত এসে বাঙালী মূল স্রোতের সঙ্গে একাত্ম হতে চেয়েছিলেন। তাদের এই ত্যাগ তিতিক্ষা কি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে স্থান পাওয়ার যোগ্য নয়? সে উদ্যোগ কেউ নিয়েছেন কি না জানা নেই।
জানামতে আমাদের অনেক আত্মীয় স্বজন পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছে । আফগানিস্তান হয়ে কপর্দকশূন্য অবস্থায় অনেকে দেশে ফিরেছেন। দুর্গম পর্বত অতিক্রম করতে গিয়ে নিজের কোলের সন্তান শত ফুট নিচে গড়িয়ে পড়েছে। পরিবার ছাড়া বসবাসকারী অনেকেই পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে। এসব কি ইতিহাসের উপাদান নয়?
এবার আসি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রসঙ্গে।
২৫ শে মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যখন পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ বাঙালিদের ওপর হামলা চালায় তখন যুদ্ধের সূচনা হয়। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত দি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাঁচটি ব্যাটালিয়ন বিদ্রোহ করে ও পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগ করে সসস্ত্র প্রতিরোধে অংশ নেয়। সেদিন থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালী সদস্যরা গাদ্দার নামে অভিহিত হয়। তারা পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার শপথ ভঙ্গ করেছে। পূর্ব পাকিস্তানে প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও গণ যোদ্ধাদের সম্মিলিত শক্তির মুখোমুখি পাকিস্তানী বাহিনী। অপর দিকে পাকিস্তানে আটকে পড়া বাঙালী সামরিক সদস্যরা ( তাদের ভাষায় গাদ্দার) কড়া নজরদারির আওতায় এলেন।
এসব ভুক্তভোগী অফিসারদের থেকে অনেক কিছু জানা যায়। যুদ্ধের প্রথম দিকে হালকা নজরদারি। এর মধ্যে সুযোগ বুঝে দু একজন যখন পালিয়ে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয় তখন আরও কড়া নজরদারি আরোপিত হয়। অনেকে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে জেল খাটেন, সুবিধা বঞ্চিত হন।
পাকিস্তান মিলিটারি সদর দপ্তর ধরে নিয়েছিল ডান্ডা মেরে বাঙালিকে দু একমাসের মধ্যে ঠান্ডা করে দেয়া যাবে। কিছুদিন পরেই বোঝা গেলো এ ধারণা ভুল। সামগ্রিক অবস্থা পাকিস্তানের অনুকূলে নয়। এর পর থেকে বাঙালীদেরকে যথাসম্ভব দায়িত্বপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে দেয়া হলো। তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে একত্রিত করে কঠিন প্রহরায় রাখা হলো। অদম্য বাঙালিরা এখান থেকেও পালিয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়ে গেলো।
৭১ সালের যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্বে পাকিস্তানের পরাজয়ে ( পূর্ব ও পশ্চিম উভয় সীমান্তে) বাঙালিরা আরও রোষানলে পড়ে। এবার শুরু হয় সকল বাঙ্গালীদের একত্র করে দুটি গ্রুপে ভাগ করে বিভিন্ন ক্যাম্পে বন্দী করা। একটি গ্রুপ অবিবাহিত ও সিঙ্গেল অফিসারদের, আরেকটি গ্রুপ পরিবারসহ বসবাসকারীদের। সৈনিকদের বেলায় ও একই অবস্থা। কড়া পাহারার মাঝে কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগ, দেখা সাক্ষাৎ কিছুই সম্ভব নয়। দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ও নেই। কবে ছাড়া পাবে তার নিশ্চয়তা নেই। দেশ স্বাধীন হয়েছে। পুনর্গঠনের কাজ চলছে। পাকিস্তানে আটক বাঙ্গালীদের ফেরত নেয়ার দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখে বন্দী শিবিরে অবস্থানরত ব্যক্তিরা আরো হতাশ হলেন।
আটকে পড়া বাঙ্গালীদের নিয়ে পাকিস্তানীরা নুতন ষড়যন্ত্র শুরু করে। যুদ্ধে বিপর্যস্ত ও পরাজিত পাকিস্তানীদের মনোবল শূন্যের কোঠায়। ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দী কিভাবে কখন ফেরত আসবে। এর মাঝে অনেকের পুত্র, জামাই, নিকটাত্মীয় রয়েছে। এ ৯৩ হাজারের বিপরীতে পাকিস্তানীদের হাতে কোনো ভারতীয় যুদ্ধবন্দী নেই। তাই ওরা চেষ্টা চালালো আটকে পড়া বাঙালিদের যুদ্ধবন্দী বানিয়ে দর কষাকষির ক্ষেত্র তৈরি করার।
বন্দী শিবিরগুলোতে কঠোর নিয়ম কানুন চালু হলো । লয়ালপুর জেল, সাগাই দুর্গ, খাজুরি ক্যাম্পের বিভীষিকার কথা অনেক শুনেছি। বাইরে যোগাযোগ নেই, অর্থকষ্টে অনেকেই বিপদে ছিলো। বেসামরিক ঠিকাদারের সরবরাহকৃত খাবার ক্রয় করে খেতে হতো। কয়েকদিন পরপর বিছানাপত্র ব্যাক্তিগত বাক্স পেটরা তল্লাশি, রেডিও, টেপ রেকর্ডার ক্যামেরা ইত্যাদি বাজেয়াপ্ত করা হতো। সন্দেহ এতই প্রবল যে প্রায়ই দল বদল, রুম বদল, ক্যাম্প বদল ইত্যাদি রুটিন হয়ে দাঁড়ালো। ক্যাম্পের পাহারায় ছিলো উপজাতীয় মিলিশিয়ারা। ওরা ওদের ভাষা ছাড়া আর কারো ভাষা বুঝতো না। ক্যাম্প ইনচার্জ কারো সাথে যোগাযোগের কোনো সুত্রই রাখেননি।
জুনিয়র অফিসারগণ বন্দীত্ব ঘুচাতে সদা তৎপর। ওরা পালিয়ে যাবার চেষ্টা চালিয়ে গেলো। এতো নজরদারির ভেতরেও গোপনে সুড়ঙ্গ তৈরির পরিকল্পনা করলো। সুড়ঙ্গ খননের যন্ত্রপাতি যোগাড় করা, গোপনীয়তা বজায় রেখে খনন কাজ চালানো কঠিন ব্যাপার ছিল । খননের আওয়াজ লুকানোর জন্য হারমোনিয়াম বাজিয়ে উচ্চস্বরে গান করা হতো। খননের বাড়তি মাটি লুকানোর জন্য নিজের সুটকেস খালি করে মাটি ভরা হলো। তাদের চেষ্টা, বুদ্ধিমত্তা ও স্পৃহা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হয়। এতো চেষ্টার পর ও তীরে এসে তরী ডুবলো। সুড়ঙ্গ তৈরি হলো কিন্তু তার শেষ প্রান্ত গিয়ে ঠেকলো কর্তব্যরত এক সেন্ট্রির পায়ের কাছে। উদ্যোক্তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলো। নেমে এলো সবার উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন। রূপকথার কাহিনীকেও এসব বাস্তব গল্প হার মানায়। কিন্তু কোথাও উল্লেখ না থাকায় বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্ম জানবে না এ কাহিনী।
লেখক: কলামিস্ট কর্নেল (অব.) মো. শাহ জাহান মোল্লা
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
পড়ুন: বাংলাদেশে বিরোধী দলের বন্ধ্যাত্ব
গণতন্ত্রের মোহমুক্তি
মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অন্যান্য অনুষ্ঠানের মতো, ঈদের দিনও প্রধানমন্ত্রী ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার গজনবী রোডে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রের মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ফুল, ফল ও মিষ্টান্ন সামগ্রী পাঠিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু ও সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সারওয়ার-এ-আলম সরকার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ সব শুভেচ্ছা সামগ্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হাতে তুলে দেন।
আরও পড়ুন: সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ঈদ ও পহেলা বৈশাখের মতো প্রতিটি জাতীয় দিবস ও উৎসবে মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে স্মরণ করা এবং তাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যেরা। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বের প্রশংসা এবং তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বের প্রশংসা এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।