ধর্ষণ
সিলেটে হোটেলে দুই তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
সিলেট নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে দুই তরুণীকে আটকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ছাত্রদল নেতা নাবিল রাজা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) র্যাবের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে সিলেট নগরী থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) সুনামগঞ্জ জেলার সদর থানার হরিণাপাটি গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে। তিনি মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে তিনি সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন জালালাবাদ আবাসিক এলাকার ৪৭/১০ নং বাসার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় আরও দুইজন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা কারাগারে আছেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি
গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাতে মহানগরীর পাঠানটুলাস্থ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের দুটি কক্ষে দুই তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় ভিকটিম দুই তরুণী সিলেটের জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার এক তরুণী (১৮) কয়েক মাস আগে আইএলটিএস পড়ার জন্য সিলেট মহানগরীতে এসে আরেক নাট্যশিল্পী তরুণীর (২৫) সঙ্গে শাহজালাল উপশহরের একটি বাসায় থাকতে শুরু করেন। উপশহর এলাকায় থাকার সুবাধে ওই এলাকার স্নেহা বিউটি পার্লারের কর্মী তানজিনা আক্তার তানিয়া (২৫) নামের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়।
তানিয়া সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়সিদ্দি গ্রামের দবির মিয়ার মেয়ে। তিনি শাহজালাল উপশহরের এইচ ব্লকের ৪ নং রোডের আলী ভিলা নামক ৫ তলা বাসায় ভাড়া থাকেন।
পরিচয়ের এক পর্যায়ে তানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে সিলেটে আইএলটিএস করতে আসা সেই তরুণীর। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুবাধে ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানিয়া ফোন করে ওই তরুণীকে বলেন, তার ভাইয়ের জন্য এবি পজেটিভ রক্ত প্রয়োজন। ওই তরুণীর এবি পজেটিভ রক্ত হওয়ায় তিনি যেন এক ব্যাগ রক্ত দেয়ার জন্য রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে যান।
এমন ফোন পেয়ে ওই তরুণী তার বন্ধবীকে (২৫) নিয়ে তৎক্ষণাৎ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালের সামনে যান। সেখানে গিয়ে তানিয়াকে দেখতে পেয়ে রক্ত দেয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি ওই দুই তরুণীকে জানান, রক্ত দেয়ার আগে তার এক কাজিনের বাসায় একটু প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন শেষ করে তারা হাসপাতালে যাবেন।
এ কথা বলে কৌশলে ওই দুই তরুণীকে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী গ্রিন হিল আবাসিক হোটেলের ৪র্থ তলায় নিয়ে যান তানিয়া এবং তাদের দুইজনকে আলাদা আলাদা কক্ষে বসিয়ে রাখেন।
এ সময় তানিয়ার সহযোগী কয়েকজন তরুণ ও যুবক এসে ওই দুই তরুণীকে আটকে রাখেন এবং রাত সাড়ে ১১টার থেকে একের পর এক ১০-১২ জন যুবক তাদের দুইজনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এছাড়াও এক তরুণীর (১৮) কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে যান তানিয়া ও ধর্ষকরা।
পরদিন (২৪ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে দুই তরুণীকে এক কক্ষে নিয়ে তাদের কাছ থেকে ‘ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি’এ মর্মে স্বীকারোক্তি নেয়া হয় এবং এ কথাগুলো মোবাইল ফোনে ভিডিও করে তাদের ছেড়ে দেয় তানিয়া ও তার সহযোগিরা।
ঘটনার পর দুই তরুণী জালালাবাদ থানায় পৃথক মামলা করেন।
তানিয়া ছাড়াও এই দুই মামলার আসমিরা হলো, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নগর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাইমিন রহমান রাহি (৩৩), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার গোবিগন্দগঞ্জ গ্রামের মৃত তহুর আলীর ছেলে জুবেল (৩১), সিলেট নগরীর পাঠানটুলা এলাকার আলী আকবরের ছেলে রানা আহমদ শিপলু ওরফে শিবলু (৩৫), সুনামগঞ্জ সদর থানার হরিনাপাট গ্রামের ফরহাদ রাজা চৌধুরীর ছেলে নাবিল রাজা চৌধুরী (৩৫) ও সুজন (৩৫) এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয় জন।
এদিকে, এ ঘটনায় দায়ের করা পৃথক মামলায় মোহাইমিন রহমান রাহি ও তানজিনা আক্তার তানিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং র্যাব।
এর মধ্যে রাহি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৯ মাসে ৩৪ নারী ধর্ষণের পর হত্যা: আসক
ছেলের বউকে ধর্ষণ: শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৯ মাসে ৩৪ নারী ধর্ষণের পর হত্যা: আসক
চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত ৯ মাসে সারাদেশে কমপক্ষে ৩৪ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং আরও সাতজন ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এছাড়া এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একই সময়ে প্রায় ৭৩৪ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে এবং আরও ১২৮ জন ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন।
আসক-এর ডকুমেন্টেশন ইউনিট ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯টি নেতৃস্থানীয় জাতীয় দৈনিক এবং সংস্থাটির নিজেদের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যানগুলো তৈরি করেছে।
আসকের তথ্য বলছে যে একই সময়ে পারিবারিক সহিংসতায় কমপক্ষে ১৫৮ জন নারী তাদের স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। একই সময়ে কমপক্ষে ৩৯৫ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এছাড়াও এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ক্রস ফায়ারে নিহত হন, একজন র্যাবের গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনের কারণে মারা যান এবং একজন র্যাবের হেফাজতে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।
আসকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে শারীরিক নির্যাতনে দুজন মারা গেছেন, অন্য চারজনের নির্যাতনের কারণে মৃত্যু হয়েছে,একজন পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যা করেছে,একই সময়ে পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে আরও দুজন।
আসক জানায়, সারাদেশে ৩৮৭টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ৫৮ জন মারা গেছেন এবং পাঁচ হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
খুলনায় নারী নির্যাতনের মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
ছেলের বউকে ধর্ষণ: শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ছেলের বউকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শ্বশুর খলিলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিন জামিনে থাকা আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতে বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খলিল তার ছেলের বউকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মঞ্জুর রাহী আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
গত ১৬ মার্চ আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এ মামলা চলাকালীন সময় সাতজন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি
ধর্ষণের সঙ্গে নারীর মর্যাদার কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, ‘যতক্ষণ সমাজ মনে করবে যে ধর্ষণ ভুক্তভোগীর মর্যাদা হানি করে, ততক্ষণ মানসিকতার পরিবর্তন হবে না।’
সোমবার কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে ব্র্যাক আয়োজিত ‘এক্সপ্লোরিং অ্যাটিটিউড টুয়ার্ডস জেন্ডার নর্মস আমোং দ্য ইউথ পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক এক গবেষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,‘আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণের শিকার নারীদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করেছেন।’
দীপু মনি নারীর মর্যাদা, তাদের অবস্থান, শিক্ষা, অধিকার, পোশাকের স্বাধীনতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা এবং সম্পত্তির অধিকার নিয়েও কথা বলেন।
এ সময় তিনি নারী ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান দীপু মনির
মোমেন ভারতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাচ্ছেন না: গণমাধ্যমে ‘বাদ’ শব্দটি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন দীপু মনির
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর: দীপু মনি
ভিডিও ধারণ করে গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ, থানায় মামলা
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলিং করে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন-উপজেলার চানন্দী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব আদর্শ গ্রামের মো. মানিকের ছেলে মো. নূর আলম রাব্বি (২২) এবং তার বড় ভাই নূর হোসেন (২৯) এবং ভাবি রাশেদা আক্তার (২৪)।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার দুই নম্বর আসামি বড় ভাই নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীর পরিবার গরীব হওয়ায় তাকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রধান আসামি নূর আলমের ভাবি রাশেদা আক্তার তার ছোট সন্তানদের দেখাশোনা করার জন্য ওই কিশোরীকে বাড়িতে রাখে।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন
একপর্যায়ে নূর আলম রাব্বি ওই গৃহকর্মীকে বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে নিজের রুমে ১৯ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। পরে, ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
পরে, ভুক্তভোগী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধান আসামিসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
ধর্ষণের অভিযোগ: টঙ্গীতে দুই যুবককে পুলিশে দিলো স্থানীয়রা
ধর্ষণের অভিযোগ: টঙ্গীতে দুই যুবককে পুলিশে দিলো স্থানীয়রা
টঙ্গীতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের সময় দুই যুবককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
শনিবার অভিযুক্ত দুই জনকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয় স্থানীয়রা।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, কর্তব্যে অবহেলার অভিযাগে ৩ পুলিশ ক্লোজড
আটক ব্যক্তিরা হলেন-টঙ্গী পূর্ব থানার তিস্তার গেট এলাকার গোপালপুর এলাকার জুনায়েদ (২০) ও শিপু (২২)।
ওসি বলেন, শনিবার দুপুরে নোটুন বাজার এলাকায় ক্যাপ্রি সিনেমা হলের একটি পরিত্যক্ত ভবনে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের সময় স্থানীয়রা আটক করলেও তাদের দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীকে প্রথমে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ওসি আশরাফুল জানান, ওই দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শিশু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামি গ্রেপ্তার
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও পরে হত্যার অভিযোগে ৯ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
আসামিরা হল-ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার আশরাফ উদ্দীন শেখের ছেলে গোলাম রসুল, তাহের উদ্দীন মন্ডলের ছেলে (পলাতক) শরিফুল ইসলাম, হুরমত আলীর ছেলে (পলাতক) আমিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল, আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ, আফজাল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান, দাউদ বিশ্বাসের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, দলিল উদ্দীন মন্টুর ছেলে বাদশা মিয়া ও কেশবপুর গ্রামের গোলাপের ছেলে আব্দুল বাতেন।
আরও পড়ুন: দুই কিশোরীকে ধর্ষণ: তিনজনের যাবজ্জীবন
এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
রায় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১২ মার্চ রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের আরব আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে ধর্ষণ করে আসামিরা। পরে তারা ওই নারীকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। ১৩ মার্চ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আরব আলী বাদী হয়ে পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ ১১ বছর পর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী ও নিহতের স্বামী আরব আলী মঙ্গলবার বিকালে বলেন, ২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে আসামিরা ধর্ষণের পর হত্যা করে।
আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হয়ে ফাঁসি হলে তিনি খুশি হতেন বলে জানান তিনি।
ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান বলেন, ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
এছাড়া রায়ে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় জিকে শামীমসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
রাজশাহীতে শিশু ধর্ষণ, যুবক আটক
রাজশাহীর দুর্গাপুরে রবিবার দুপুরে ছয় বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অভিযুক্ত যুবককে ধরে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে।
আটক নাদিম হোসেন (২২) উপজেলার পাঁচুবাড়ী গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে।
আরও পড়ুন: দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
ভুক্তভোগী শিশুটির চাচা জানান, নাদিম তাদের বাড়িতে জমি চাষ করা পাওয়ার ট্রিলারের চালক ছিলেন। এ কারণে তিনি তাদের বাড়িতেই থাকতেন। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির লোকজন ধানমাড়াইয়ের কাজ করছিলেন। এই সুযোগে অভিযুক্ত নাদিম তার ভাতিজিকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকার করলে অভিযুক্ত নাদিম দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশীর তাকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, বর্তমানে অভিযুক্ত যুবক থানা হেফাজতে রয়েছে। আর ভুক্তভোগী শিশুকে রাজমাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানববন্ধনে যোগ দিতে ঢাকায় আসার পথে সলিমপুরের ৬৩ বাসিন্দা আটক
ওসি জানান, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা: প্রাইভেট শিক্ষকের ৩ দিনের রিমান্ড
নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদীতে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত প্রাইভেট শিক্ষককে তিনদিনের রিমান্ড এবং অন্য তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
নিহত তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪)পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে এবং নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তার প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনি (২০) একই এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে। এবং বাকি গ্রেপ্তাররা হলেন-সুধারামপুর থানার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার অজি উল্যাহের দুই ছেলে ইসরাফিল (১৪), সাঈদ (২০)ও ইমাম।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে শিক্ষকের স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা
শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ নোয়াখালী মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে প্রধান অভিযুক্ত আবদুর রহিম রনির ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ এমদাদ রনির তিনদিনের রিমান্ড ও অন্য আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, নিহত স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওই ছাত্রীকে উত্যাক্তকারী কিশোর ইসরাফিল, তার ভাই সাঈদ ও সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নখের আঁচড় দেখে তাকে এঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগে ওই স্কুলছাত্রী রনির কাছে প্রাইভেট পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে প্রাইভেট শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হলেও রনি ওই স্কুলছাত্রীর বাসায় আসা যাওয়া করতো। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ২টার মধ্যে কোন একসময় ওই ছাত্রীর ঘরে গিয়ে ধর্ষণ ও পরে ঘটনা দামাচাপা দেয়ার জন্য ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করে। ঘটনা ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য ঘরের আলমারিতে থাকা জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। কিন্তু ঘরে থাকা কোন মূল্যবান জিনিস বা স্বর্ণালংকার সে নেয়নি।
এসপি আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পারিবারিক বা অন্যকোন বিষয় আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, রনি ও ইসরাফিলকে হত্যা মামলা এবং সাঈদ ও ইমামকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত, ডিএনএ ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালী জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে স্থানীয় একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর তালাবদ্ধ ঘরে গলাকাটা ও অর্ধনগ্ন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষণিক চারজনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অটোরিকশার চালককে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
স্বামীকে ছেড়ে দেবরকে বিয়ে: নারীকে গলাকেটে হত্যা, সাবেক স্বামী আটক
দুই কিশোরীকে ধর্ষণ: তিনজনের যাবজ্জীবন
আড়াই বছর আগে রাজধানীর কদমতলী এলাকায় দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন-সোহেল বেপারী (৩৮), রানা বেপারী (৩২) ও আকতার আলী (৩৮)। পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়ছে। অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
সজল নামে এক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, রাজধানীর কদমতলী থানাধীন নোয়াখালী পট্টিস্থ গেসুর বাড়ির ভাড়াটিয়া আব্দুর রাজ্জাক মাদবরের বাড়িতে আসামি ও দুই ভিকটিম পরিবারসহ ভাড়া থাকতেন।
২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে আসামিরা সুযোগ বুঝে ভাড়া থাকা দুই ভুক্তভোগীর বাসার দরজায় নক করেন। বাসার দরজা খুললে আসামিরা বাসায় ঢুকে দরজা লাগিয়ে তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
ওই ঘটনায় ওই দুই তরুণী থানায় হাজির হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে।
২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালীন ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জন সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
এক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন!