চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ‘দামপাড়া’র শ্যুটিং শুরু আজ
১৯৭১’র মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হকের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে সিনেমা ‘দামপাড়া’। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে এ ছবিটির শ্যুটিং।
ছবির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন আনন জামান। পরিচালনা করবেন শুদ্ধমান চৈতন।
ছবিতে প্রয়াত পুলিশ শামসুল ইসলামের চরিত্রে অভিনয় করবেন ফেরদৌস আহমেদ। তার স্ত্রী মাহমুদা হক চৌধুরীর ভূমিকায় আশনা হাবিব ভাবনা।
সিএমপি সূত্র জানায়, এম. শামসুল হক ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানিদের লক্ষ্যই ছিল চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল হককে হত্যা করা। অবর্ণনীয় নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে পাকিস্তানিরা। শহীদ হন তিনি, তবে তার মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। জীবন বাজি রেখে তিনি চট্টগ্রামের জনগণের সঙ্গে পুলিশকে একাত্ম করে এক জনযুদ্ধের সূচনা করেন। ২৮ মার্চের পর চট্টগ্রাম শহরের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে চলে যায়। ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে নিয়ে যায় এবং নির্মমভাবে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: কিডস্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে মনোনয়ন পেলো সিসিমপুর
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর লালদিঘিতে পুলিশ সদর দপ্তরে স্থাপন করা হয় কন্ট্রোল রুম। কন্ট্রোল রুমে প্রতিনিয়ত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বৈঠকে মিলিত হতেন। তারা পুলিশ সুপার শামসুল হকের দিক-নির্দেশনা নিতেন ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করতেন। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম এলাকার সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ২০০ বাঙালি সদস্য পুলিশ লাইন্সে আশ্রয় নিলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাজনৈতিক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও এসব বাঙালি সদস্যদের হাতে অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তুলে দেয়া হয়।
২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়। পরে ২৯ মার্চ ভোর ৪টার সময় পুলিশ লাইন্সের দক্ষিণ-পূর্বদিক এবং উত্তর-পূর্বদিক থেকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একযোগে আক্রমণ করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ভারি মেশিনগান এবং থ্রি ইঞ্চি মর্টার ব্যবহার করে। যুদ্ধরত পুলিশ সদস্যরা পাহাড়ের ঢালে এবং ট্রেঞ্চে অবস্থান করায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রথমদিকে বেশ বেগ পেতে হয়। পরবর্তীতে ভোর ৬টার দিকে গোলাবারুদের অভাবে যুদ্ধরত পুলিশ সদস্যদের প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ে এবং পুলিশ সদস্যদের একটি বড় অংশ শাহাদাতবরণ করেন।
মূলত এই কাহিনী অবলম্বনে ‘দামপাড়া’ নির্মিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের মিউজিক ভিডিওতে টলিউডের মিমি
লাভ মকটেল ছবির সফলতার পর এবার আসছে লাভ মকটেল-২
চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে ছবির গল্প, চিত্রনাট্যকার আনন জামান বলেন, ‘সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর বিজয় অর্জনের পর চট্টগ্রামে হিন্দু নির্যাতন শুরু হলে বঙ্গবন্ধু এই এসপি শামসুল ইসলামকে সিলেট থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। যখন যুদ্ধ শুরু হয় পাকিস্তানিদের লক্ষ্যই ছিল কি করে এসপি শামসুল ইসলামকে খুন করা যায়। শেষ পর্যন্ত তাকে অবর্ণনীয় নির্যাতনের মাধ্যমে খুনও করে পাকিস্তানিরা। কিন্তু তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায় না। স্বামীহারা স্ত্রীর বর্ণনায় গল্পটি বড়পর্দায় দেখতে পাবো আমরা।’
তিনি বলেন, ‘চরিত্র নির্বাচনে ফেরদৌসকে আমরা বেছে নেই এ কারণে যে, তার যে পরিণত লুকটা এসেছে তা আমাদের প্রয়োজন ছিল। তাছাড়া পর্যাপ্ত সময় তার হাতে থাকায় চরিত্রটির জন্য তাকে তৈরি করতেও সুবিধা হবে। তাকে সচরাচর যে রোমান্টিক হিরো হিসেবে দেখা যায়, তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে অন্য এক ফেরদৌস ধরা দেবেন এখানে। অন্যদিকে ভাবনাকে বরাবরই দেখে এসেছি নায়িকা হওয়ার চেয়ে অভিনয়শিল্পী হওয়ার প্রতি তার মনোযোগ ছিল। মূলত এ কারণেই তাকে চলচ্চিত্রটিতে নেয়া হয়েছে।’
চলচ্চিত্রটির প্রযোজক সিএমপির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, ২৩ ডিসেম্বর (আজ) থেকে চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং শুরু হতে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই একটি মহরত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যদায় শহীদজায়া মুশতারী শফির দাফন সম্পন্ন
৭১’র স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারীনেত্রী ও সাহিত্যিক এবং উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি বেগম মুশতারী শফীর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর চৈতন্যগলিতে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।এর আগে বাদ জোহর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেয়।জানাজার আগে বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফীর মরদেহ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনা হলে সেখানে তাকে শেষবারের মত এক নজর দেখতে এবং তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণেই এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)র একটি চৌকস দল।
এ সময় ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবসার, নারীনেত্রী নূরজাহান খান, প্রফেসর রীতা দত্ত,নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, লেখিকা আনোয়ারা আলম, আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার,ডা.চন্দন দাশ,শীলা দাশগুপ্ত,কবি আশীষ সেন, রাশেদ হাসান।
আরও পড়ুন: শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী আর নেই
এসময় বেগম মুশতারী শফীকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কবি আবুল মোমেন, চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, অধ্যাপক বেণু কুমার চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বালাগাত উল্লাহ, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, প্রমার সভাপতি রাশেদ হাসান।এছাড়াও উদীচী, কমিউনিস্ট পার্টি, সনাক, বোধন, প্রমা, খেলাঘর, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, মহিলা কলেজ, বাসদ, জেলা শিল্পকলা, সিআরবি রক্ষা মঞ্চ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, নারী যোগাযোগ কেন্দ্র, ফুলকি, বিটা, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, যুব ইউনিয়ন, বিজয় মেলা পরিষদ, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, অগ্নিবীণা পাঠাগার, গণজাগরণ মঞ্চ, ব্লাস্ট, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, নারী শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বিপ্লবী তারেকশ্বর স্মৃতি পরিষদ শ্রদ্ধা জানায়।
কাপ্তাইয়ে ১৫ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিশালাকৃতির একটি অজগর সাপ উদ্ধারের পর কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। অজগরটি ১৫ ফুট দীর্ঘ এবং এর ওজন প্রায় ২০ থেকে ২২ কেজি।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের রেশম গবেষণা কেন্দ্র এলাকায় সাপটি দেখতে পেয়ে তরনমনি তনচংগ্যা নামে এক ব্যক্তি বস্তাবন্দি করেন এবং বন বিভাগকে খবর দেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান গিয়ে সাপটি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিটের কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে যান। সাপটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ধানখেতে মিলল ১২ ফুট লম্বা অজগর, সুন্দরবনে অবমুক্ত
পরে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) গঙ্গা প্রসাদ চাকমার উপস্থিতিতে অজগর সাপটিকে কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অজগরটি ডার্ক পাইথন প্রজাতির বয়স্ক সাপ। এই ধরনের সাপের আবাসস্থল দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারণে অথবা রাতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে পড়েছিল সাপটি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২০ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য উদ্বেগ: মাহবুব তালুকদার
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
মঙ্গলবার চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়াকে উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনকে উৎসাহিত করা ‘সম্ভবত সম্ভব নয়, এমনকি সমীচীনও নয়’।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব তালুকদার বলেন, এমন একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, চলমান ইউপি নির্বাচনে ৩৬০ চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন এবং অন্যান্য পদে আরও ১ হাজার ৬০০ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, এ সংস্কৃতির উন্নতি করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: বিএনপি এখনও আমন্ত্রণ পায়নি
মাহবুব তালুকদার বলেন, এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন আনার প্রয়োজন আছে কি না তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়েছে তিনি বলেন, সেগুলোতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে। এটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি, এই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সভায় আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: বুধবার বৈঠকে বসবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল
চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা চলাকালে দুই পক্ষের মারামারি, হামলা ও চেয়ার ছুঁড়ে মারার ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এতে পণ্ড হয়ে গেছে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির তৃণমূলের প্রতিনিধি সভা।
মঙ্গলবার বিকালে নগরীর নাসিমন ভবন কার্যালয়ে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতদের কয়েকজন হলেন- সারোয়ার আলমগীর, ফরিদুল আলম চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান, আমান উল্লাহ, নাজিম উদ্দিন শাহীন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, নাসিমন ভবনে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সভা চলাকালে দু’পক্ষের মধ্যে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর জেলা বিএনপির সম্মেলনকে সামনে রেখে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে প্রতিদিন দুই উপজেলার প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মঙ্গলবার সকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রতিনিধি সভা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও বিকালে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি সভা বিবাদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে পণ্ড হয়ে যায়।
প্রতক্ষ্যদর্শী কয়েকজন নেতা জানান, দুপুর ২টার দিকে সভা শুরু হওয়ার আগেই সভাস্থল নাসিমন ভবনের তৃতীয় তলায় দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে ফটিকছড়ি বিএনপির আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীরের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী। এ সময় গোলাম আকবর খোন্দকার তাদের বেরিয়ে যেতে বললে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে জানতে গোলাম আকবর খোন্দকারকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফটিকছড়ি বিএনপির আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীর বলেন, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত প্রতিনিধি সভায় কর্নেল বাহার ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের দল হামলা করেছে। এতে তিনিসহ পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া অত্যন্ত সংকটময় সময় পার করছেন: বিএনপি
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৯ নেতার পদত্যাগ
চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে ৫ তলা ভবন
চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানার মাঝিরঘাট পার্বতী পুকুর পাড়ের পাঁচ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন হেলে পড়েছে। সোমবার রাত ১১ টার দিকে হেলে পড়ার দৃশ্য নজরে এলে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম জানায়, মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড এলাকায় একটি ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়ে আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশন থেকে একটি রেসকিউ টিম রাত ১১ টায় ঘটনাস্থলে যায়।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিস টিম লিডার সহকারী পরিচালক ফারুক সিকদার জানান, মাঝিরঘাট এলাকায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের নালার খনন কাজ করার কারণে একটি ভবন হেলে পড়ে পাশের ভবনের উপর।
তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা ওই ভবনের সকল বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্প: চট্টগ্রামে ৩টি ভবন হেলে পড়েছে
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ স্বামীসহ আটক ২
শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী আর নেই
৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বামী-ভাই হারানো বীর মুক্তিযোদ্ধা ও উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি…..রাজিউন। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি।
উদীচী চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শীলা দাশগুপ্তা বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শহীদ জায়া বেগম মুশতারী শফী লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আজ বিকেল চারটার দিকে তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়।
৮৩ বছর বয়সী বেগম মুশতারী শফী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। রক্তে হিমগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় শ্বাসকষ্ট আরও বেড়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর ভোরে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
একাত্তরের ঘাতক-দালাল বিরোধী আন্দোলন, চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক-নাগরিক আন্দোলনে সামনের সারির সংগঠক এবং মুক্তিযুদ্ধে স্বামী-ভাই হারানো বেগম মুশতারী শফীর নগরীর এনায়েতবাজারের ডাক্তার শফীর ‘মুশতারী লজ’ নামের বাড়িটি ছিল ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সূতিকাগার।’ এই বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্যোক্তা বেলাল মোহাম্মদ তার কতিপয় সহকর্মীসহ এ বাড়িতে থেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম রণাঙ্গন চট্টগ্রামের কালুরঘাট ট্রান্সমিটার ভবন থেকে প্রচার কাজ চালিয়েছিলেন ২৯ মার্চ পর্যন্ত।
মুশতারী শফীর জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি। জন্মস্থান ভারতের মালদহ জেলার কালিয়াচকে। বাবার বাড়ি ফরিদপুরের গেরদায়। খন্দকার নাজমুল হক আনসারী অবিভক্ত ভারতবর্ষের পুলিশের ডিএসপি ছিলেন। মা আরেফা খাতুন।
বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যুতে উদীচী চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির চট্টগ্রাম জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কমরেড আব্দুল নবী ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড অধ্যাপক অশোক সাহা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দেশ গড়তে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম: শিক্ষামন্ত্রী
শোকবার্তায় নেতারা বলেছেন,বেগম মুশতারী শফীর পরিবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর স্বামী ডা.শফী মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র-গোলাবারুদ নিজের হেফাজতে রেখেছিলেন। এ কারণে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে এবং মুশতারী শফীর ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। স্বামী-ভাই হারিয়েও মুশতারী শফী মনোবল অক্ষুন্ন রেখে চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক হিসাবে কার্যক্রম চালিয়ে যান। স্বাধীন দেশে প্রগতিশীল সংস্কৃতির সংগ্রাম, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন, নারীমুক্তির আন্দোলন, নাগরিক আন্দোলন-সবক্ষেত্রে রাজপথে সোচ্চার থেকেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ছিল তাঁর স্বপ্ন।
নেতারা আরও বলেন, বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বেগম মুশতারী শফীর অবদান অবশ্যই স্মরণে রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সিপিবির পক্ষ থেকে গভীর শোক জ্ঞাপন করছি। একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি।
আরও পড়ুন: ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক' প্রবর্তন
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ স্বামীসহ আটক ২
চট্টগ্রামে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর নির্যাতনে আঁখি (২১) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর পাঁচলাইশ সার্জিস্কোপ ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আঁখির মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তার ভগ্নিপতি আবুল কালাম।
নিহত আঁখি ও তার স্বামী আনিসুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার বাঁশখালী জলদি গ্রামে।
এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ স্বামী আইনজীবী আনিসুল ইসলামসহ দু’জনকে আটক করেছে।ভগ্নিপতি আবুল কালাম জানান, আমার শ্যালিকা আঁখির সঙ্গে আইনজীবী আনিসুল ইসলামের বিয়ে হয় প্রায় দেড় বছর আগে। আনিসুল চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী। বিয়ের পর তারা নগরীর চাঁন্দগাও থানার পাঠানিয়া গোদা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার দায়ে এরাবিয়ান কর্পোরেশনকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
তিনি বলেন, বিয়ের পর থেকে স্বামী আনিসুল যৌতুকের জন্য আঁখির উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। সে তার পরিবারকে নির্যাতনের কথা জানালে স্বামী আরও বেশি নির্যাতন চালাতে থাকে। ছয় মাস আগে তার ফোন কেড়ে নেয় আনিসুল। যার কারণে এতোদিন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। কয়েকদিন আগে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। পেটে লাথি মারলে তিনি গুরুত্বর আহত হন।পরে তাকে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করে গতকাল। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে নির্যাতনে আঁখির পেটের নাড়িভুঁড়ি ছিঁড়ে যায়। ফলে জটিল এ অপারেশন করতে তারা অপরাগতা জানালে রবিবার সকালে আঁখিকে পাঁচলাইশ সার্জিস্কোপ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় সেখানে মারা যান।এবিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল বলেন, নির্যাতনে এক নারীর মৃত্যু হলে আমরা অভিযোগ পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি এবং স্বামী ও তার খালাতো ভাইকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পরিবারে অভিযোগ তাদের মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বাসা এবং নির্যাতনস্থল যেহেতু চান্দগাঁও থানা এলাকায় সেহেতু মামলার বিষয়টি দেখবে চাঁদগাও থানা। সেখানে মামলা হবে। আমরা তাদেরকে হস্তান্তর করাবো।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরের পথে ৬১৩ রোহিঙ্গা
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার দায়ে এরাবিয়ান কর্পোরেশনকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটার অভিযোগে এরাবিয়ান কর্পোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নগরীর খুলশী থানার জিইসি এলাকায় ২০ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার অভিযোগে এ অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ জরিমানা করেন মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক নুরুল্লাহ নুরী।
তিনি বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিদর্শন টিম জিইসি এলাকায় একটি পাহাড়ের ২০ হাজার ঘনফুট মাটি কাটার সত্যতা পায়। এর প্রেক্ষিতে রবিবার পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
নুরুল্লাহ নুরী বলেন, পাহাড় কেটে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করায় এরাবিয়ান কর্পোরেশনের মালিক হাজী মো. নুর ইসলাম এবং স্ত্রী আমেনা বেগমকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা তৎক্ষণাৎ আদায় করা হয়েছে এবং বাকি পাঁচ লাখ টাকা আগামীকালের (সোমবারের) মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর’
চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানাধীন বিশ্ব কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তাঁর মেয়ে। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে সিডিএ বি-ব্লক রেল লাইন সংলগ্ন বস্তিতে এই আগুনে পাঁচ কক্ষের একটি টিনের ঘর পুড়ে গেছে।
নিহত রাজিয়া বেগম (৭০) চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার রাজারগাও এলাকার ফজলুল হকের স্ত্রী। আহত খাদিজা বেগম সেফি (৪০) তাঁর মেয়ে। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ভোরে নিজঘরে আগুন লাগার পর ঘুমে থাকা রাজিয়া ও তার মেয়ে আটকা পড়ে। এলাকার লোকজন দ্রুত মেয়েকে বের করে আনতে পারলেও তার মা আটকা পড়ে। প্রাণে বাঁচতে তিনি চৌকির নিচে ঢুকে যান। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একপর্যায়ে চৌকির নিচ থেকে রাজিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করেন তারা।
আরও পড়ুন: রাজধানীর নাজিরাবাজারে জুতার কারখানায় আগুন
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, আগুনে মারা যাওয়া নারীর লাশ আমরা ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তার মেয়ে খাদিজাকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বিশ্ব কলোনির পাঁচটি কাঁচা ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে আমাদের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় আগুনে দগ্ধ হয়ে রাজিয়া নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। আমরা লাশ আকবর শাহ থানা ওসির কাছে হস্তান্তর করি।
আরও পড়ুন: সোনাগাজীতে মেম্বার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে দুর্বৃত্তদের আগুন
নওগাঁয় ফার্নিচার কারখানায় আগুন