নিহত
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রসহ নিহত ২
পঞ্চগড়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক স্কুলছাত্রসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জেলার বোদা ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাংগা গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী সালাহউদ্দিনের ছেলে সুমন (১৬) ও তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের উত্তর বালাবাড়ি গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে আবু শাহ মিনু (৩৫)। নিহত সুমন ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সুমন বৃহস্পতিবার প্রাইভেট শিক্ষকের পড়া শেষে মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে জেলার বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ভাউলাগঞ্জ সড়কের বগদুলঝুলা সরকারপাড়া এলাকায় বাইসাইকেলের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাস্তার পাশের গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এসময় একই ইউনিয়নের নুতন বাংলা গ্রামের শফিকুল ইসলাম ঝুনুর ছেলে বাইসাইকেল চালক আল আমিন (৩৫) আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
বড়শশী ইউপি চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন ও বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর মত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে বুধবার গভীর রাতে জেলার উপজেলাধীন বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ভেরসা সেতুর উপর মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর রেলিংয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে আবু শাহ মিনু মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত ৩
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মিনু ভজনপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বুড়াবুড়ির ভেরসা সেতু এলাকায় আসলে ঘনকুয়াশার কারণে সড়ক ও সেতু দেখতে পাননি। এতে তিনি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর বাম পাশে থাকা রেলিংয়ের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি দল তাকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসক মিনুকে মৃত ঘোষণা করেন।
নড়াইলে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় সন্ত্রাসীরা এক ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চরমল্লিকপুর গ্রামের নিহতের বাড়ির কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পলাশ মাহমুদ (৩২) ওই এলাকার খোকন শেখের ছেলে ও লোহাগড়া বাজারের তার ফল ব্যবসা ছিলেন।
আরও পড়ুন: শাহরাস্তিতে নারীকে কুপিয়ে হত্যা
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, পলাশ মাহমুদকে কী কারণে কে বা কারা হত্যা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতালে পাঠানো হলেও এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জন্য মৌখিক তালাক দেয়ায় প্রবাসী স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা
মোটরসাইকেলের চাপায় মাগুরায় শিশু নিহত
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মোটরসাইকেল চাপায় চার বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার খালিয়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আফিফা খাতুন খালিয়া গ্রামের উত্তরপাড়া মো. মোস্তাকিনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিশু নিহত
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির হোসেন জানান, খালিয়া উত্তরপাড়া আফিফা বাড়ির সামনে রাস্তায় খেলা করার সময় হঠাৎ দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল এসে তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়ে।
এঘটনায় মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্তকর্তা।
কুমিল্লায় ট্রাকচাপায় মাদরাসার ছাত্র নিহত
কুমিল্লার চান্দিনার মাধাইয়া বাসস্টেশন এলাকায় ট্রাকচাপায় এক মাদরাসার ছাত্র নিহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সালমান উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ও চান্দিনার একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত ৩
পুলিশ জানায়, যাত্রী উঠানোর জন্য মহাসড়কের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা মারুতিকে ধাক্কা দেয় বালুবাহী একটি ট্রাক। এসময় সালমান তার চাচা তোফাজ্জলের সাথে রাস্তা পারাপারের সময় মারুতির ধাক্কায় মহাসড়কে ছিটকে পড়লে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়।
লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত মারুতি ও ট্রাক জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ২ বন্ধু নিহত
চুয়াডাঙ্গায় তিন মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই বন্ধু নিহত এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের হাজরাহাটি ঘোরামারা ব্রিজ সংলগ্ন পটলাপীরের মাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সজিব হোসেন (১৮)ও তার বন্ধু মারুফ হোসেন (১৭)। সজিব জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের শরিফ হোসেনের ছেলে এবং মারুফ একই এলাকার আবু বক্করের ছেলে। নিহত দুজনই নতিডাঙ্গা সপ্তগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৩
আহতরা হলেন,উপজেলার আঠারোখাদা গ্রামের শ্রী বিজয় দাশের ছেলে নরসুন্দর শ্রী তপন দাশ (৩০), একই উপজেলার জেহালা গ্রামের আজিমদ্দীন (৪৫)এবং সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন কুকিয়া চাঁদপুর গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে স্যানেটারি মিস্ত্রি শাহীন (২২)।
জানা যায়, রবিবার সকাল ১০টার দিকে নিজ গ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গার আলি হোসেন সুপার মার্কেটে আসছিল দুই বন্ধু সজিব ও মারুফ। একই সময়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের দিকে আসছিল নরসুন্দর তপন দাশ। এদিকে কুকিয়া চাঁদপুর গ্রাম থেকে কাজের জন্য আলমডাঙ্গা যাচ্ছিল স্যানেটারি মিস্ত্রি শাহীন ও চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার থেকে আলমসাধুযোগে মুদি দোকানের জন্য ভোজ্য তেল কিনে মুন্সিগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিল আলমসাধু চালক আজিমউদ্দীন।
পথের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের হাজরাহাটি মোড় পটলাপীরের মাজারের সামনে পৌঁছালে দ্রুত গতির তিন মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।সংঘর্ষটি দেখতে পেয়ে আজিমউদ্দীন দ্রুত তার আলমসাধুটি ব্রেক করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন। এসময় তিন মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি মোটরসাইকেল ছুটে এসে তাঁর পায়ে আঘাত করে। এই সংঘর্ষে তিন মোটরসাইকেলের চারজন ও আলমসাধুচালকসহ মোট পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক সজিবের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সজিবকে মৃত ঘোষণা করেন ও আহত অন্য চারজনকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
প্রতক্ষদর্শী রফিকুল নামের এক ভ্যান চালক বলেন, আমি নিজ ভ্যান নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় পটলাপীরের মাজারের সামনে খুব দ্রুত গতির দুটো মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঠিক সে সময় চুয়াডাঙ্গামুখী আরও একটি মোটরসাইকেল এসে ওই দুই মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা খায়। তবে হাপসাতালে নেয়ার আগেই এক যুবকের মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মোট পাঁচজনকে বেলা ১১টার দিকে জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। এর মধ্যে এক যুবককে আমরা মৃত অবস্থায় পায়। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। জরুরি বিভাগ থেকে অন্য চারজনকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌনে ১২টার দিকে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমরা কোন অভিযোগ পায়নি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
কুড়িগ্রামে ট্রাকচাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভা এলাকায় উলিপুর-রাজারহাট সড়কের মহেশের বাজ এলাকায় ট্রাকচাপায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভা এলাকার ২নং ওয়ার্ডে উলিপুর-রাজারহাট সড়কের মহেশের বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত ৩
নিহত তানজিদ ইসলাম (১৮) উলিপুর পৌরসভা এলাকার নিজাইখামার গ্রামের মৃত বক্তার আলীর ছেলে ও বাকরেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকাল ৭টার দিকে সাইকেলে চড়ে বাড়ি হতে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল তানজিদ ইসলাম। উলিপুর-রাজারহাট সড়কের মহেশের বাজার এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা বালুবোঝাই ট্রাক ধাক্কা দিলে তানজিদ ইসলাম সাইকেল থেকে রাস্তায় থেকে ছিটকে পড়ে। এসময় ট্রাকের পেছনের চাকার নিচে পড়ে ওই শিক্ষার্থী মাথা থেতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ আরোহী নিহত
উলিপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাতেন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশসহ জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। এখানে ট্রাকটি রয়েছে। এই মুহূর্তে আর কোন মন্তব্য করতে পারছি না।’
বরিশালে বাসচাপায় কনস্টেবল নিহত
বরিশালে ডিউটিরত অবস্থায় নেজারুল (৪৫) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল বাসচাপায় নিহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর রুপাতলীর উকিল বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসচাপায় ব্যবসায়ী নিহত, সড়ক অবরোধ
ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম বলেন, রুপাতলী থেকে জব্দ একটি অটো গাড়ি নিয়ে নেজারুল পুলিশ লাইনের দিকে আসছিলেন। পথে উকিলবাড়ির সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা ঝালকাঠিগামী একটি বাসের সাথে অটোটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় অটোচালক অটো থেকে লাফ দিলেও নেজারুল অটোসহ বাসের নিচে চাপা পরে। তাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলে ইচলাদী টোল ঘর এলাকায় আসার পর তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বাসচাপায় ৩ পথচারী নিহত
তিনি জানান, নেজারুলের লাশ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক বা সহকারী কাউকে আটক করা যায়নি।
বরগুনায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-ছেলে নিহত, আহত ১৫
বরগুনার আমতলীতে দুটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও তাঁর আট মাস বয়সী ছেলে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। শনিবার বিকেল চারটার দিকে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আয়শা বেগম (৩০) এবং তাঁর ছেলে আয়ানের বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস বরগুনার আমতলী উপজেলার আমড়াগাছি এলাকায় পৌঁছালে কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা সেবা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই বাসের ভেতর থেকে ১৭ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা আয়শা বেগম ও তার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম হাওলাদার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৭ জনকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। পরে সেখানে চিকিৎসকরা এক নারী ও শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও বাস দুটির চালক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত ৩
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৬
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত 'দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ' নামের একটি মাদরাসায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয় জনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনায় একজনকে একটি দেশীয় লোডেড ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ হাতেনাতে আটক করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত মাদরাসাটিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও ১ সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
নিহতরা হলেন- রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২, ব্লক-জে-৫ এর বাসিন্দা হাফেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইদ্রীস (৩২), ক্যাম্প-৯ ব্লক-১৯ এর মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন (২৪), ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ -৫২ এর নুরুল ইসলামের ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র আজিজুল হক (২২), একই ক্যাম্পের ভলান্টিয়ার আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২)। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২ এর মোহাম্মদ নবীর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক নূর আলম ওরফে হালিম (৪৫), এফডিএমএন ক্যাম্প-২৪এর রহিম উল্লাহর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার বলেন, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮ এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত 'দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ' মাদ্রাসায় রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। হামলায় মাদ্রাসায় অবস্থানরত চার জন মারা যান। ঘটনা শুনে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দু্ই জন মারা যান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা বাড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের
নেপাল ও ভারতের বন্যায় নিহতের সংখ্যা ১৮০ ছাড়িয়েছে
নেপালে সোমবার থেকে কয়েক দিনের মুষলধারে বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৯৯ জন নিহত হয়েছে।এদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ভারী বর্ষণের ফলে কমপক্ষে ৮৮ জন মারা গেছেন।
নেপালের পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা অন্তত ৪০ জনকে খুঁজছেন, যাদের নিখোঁজ বলে জানা গেছে, এতে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পুলিশের মুখপাত্র বসন্ত বাহাদুর কুনওয়ার বলেন, বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দেশের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে, যেখানে এই সপ্তাহে ভারী বৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ভারত ও নেপালে মৃতের সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে
তিনি বলেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল মানুষকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করছে এবং আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।বৃষ্টিতে আহত অন্তত ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নেপালের ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আজমত উল্লা বলেন, ফসল ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে, যা ইতোমধ্যেই করোনা মহামারির ধ্বংসাত্মক পরিণতিতে জর্জরিত পরিবারগুলির জন্য একটি মারাত্মক আঘাত।রেডক্রসের দলগুলি উভয় দেশে উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
বৃহস্পতিবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা পশ্চিমাঞ্চলের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং দুর্গতদের দ্রুত উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের দিকে কর্তৃপক্ষকে মনোযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন।
নেপালের পূর্বাভাসকারীরা বৃহস্পতিবারের পরে মাঝারি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছেন কিন্তু সপ্তাহের শেষের দিকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে আশা করছেন।
ভারতে এই সপ্তাহে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে উদ্বেগজনকভাবে বৃষ্টি বেড়েছে। সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা ও ভূমিধসের ফলে উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে কমপক্ষে ৪৬ জন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় ৪২জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও হাজারো পরিবার পানিবন্দি