নিহত
চাঁদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে চাঁদপুর শহরে প্রবেশদ্বারের কাছে শহরতলীর দর্জি ঘাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ২ সহোদর নিহত
স্থানীয়রা জানায়, নিহত ওই ব্যক্তি ট্রেনের নিচে কাটা পড়লে তার মাথা ও মুখ থেতলে যায়, যার কারণে কেউ তাকে চিনতে পারেনি। তার পরনে প্যান্ট ও শার্ট ছিল।
তারা জানান, গত তিন মাসে এখানে তিন ব্যক্তি এভাবেই নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১
চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্যাহ্ বাহার জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পিবিআই চাঁদপুর ইউনিটের কর্মকর্তাদেরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই ব্যক্তির আঙ্গুলের চাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করবে। পরবর্তীতে এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ৩
বাস খাদে: মাগুরায় নিহত ৪, আহত ৩০
মাগুরায় বাস উল্টে রাস্তার পাশে খাদে ডুবে নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শিশুসহ ৩০ জন। রবিবার বিকাল ৪টার দিকে মাগুরা-যশোর মহাসড়কের রামকান্তপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, জেলার শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাদ গ্রামের মামুন মিয়া (২০), শালিখা উপজেলার দিঘলগ্রামের বারি মিয়ার স্ত্রী সহিরন নেছা (৫০), শতখালী গ্রামের হারুন মিয়ার স্ত্রী নাজমা খাতুন (৩২)। মামুন মিয়া ওই বাসের হেলপার। অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তিনি বাস ড্রাইভার কিনা তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
আহতদের মাগুরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বাসের মধ্যে আটকে থাকা দুই নারী ও দুই পুরুষের লাশ উদ্ধার করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মাহাবুব জানান, যশোর থেকে মাগুরাগামী বিসমিল্লাহ নামের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এঘটনায় শালিখা থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাসটি জব্দ করেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মাগুরা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাগুরায় ২ লাখ টাকার কারেন্ট জাল উদ্ধার
বিজিবির সাথে বন্দুকযুদ্ধে টেকনাফে নিহত ১
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে বন্দুকযুদ্ধে এক জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি। নিহতের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
এই সময় তিন লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ও বন্দুকসহ ধারালো কিরিচ ও লোহার রড উদ্ধারের দাবি করেছে সামীন্তরক্ষী বাহিনী।
রবিবার ভোরে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে বাংলাদেশে ঢুকার সময় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খানের ভাষ্য, ভোরে মিয়ানমারের জলসীমানা থেকে নৌকাযোগে টেকনাফের নাফ নদ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশেকালে কয়েকজন মাদক পাচারকারিকে দেখতে পায় বিজিবি। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি করতে থাকে পাচারকারীরা। আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও গুলি করেন। এক পর্যায়ে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে তিন লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি বন্দুক উদ্ধার করে বিজিবি।
তার ভাষ্য, এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাঁধা ও অবৈধ মাদক পাচারের দায়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ১
খুলনা, ১১ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- খুলনা নগরীতে ট্রেনের ধাক্কায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী নিহত হয়েছেন।
নগরীর ফুলবাড়ি গেট সংলগ্ন রেলক্রসিং এলাকায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন ভোলা মহেশ্বরপাশা বনিকপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
খানজাহান আলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদ জানান, দুপুর ১টার দিকে আনোয়ার হোসেন ভোলা ফুলবাড়িগেট বাজারের ভেতরে একটি গলি হয়ে রেলক্রসিংয়ের উত্তর পাশে একটি গ্যারেজের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় যশোর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী একটি ট্রেন তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
পরবর্তীতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশের (জিআরপি) কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতের পরিবারকে মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানান এসআই আসাদ।
আরও পড়ুন: ছাগল বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের
স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামীর মৃত্যু
মাগুরার মোহম্মদপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার দীঘা গ্রামে শুক্রবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে।
মৃত ইয়াসিন শেখ (৪০) ওই এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, দীঘা গ্রামের ইয়াসিন শেখের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৩০) নিজ বাড়িতে ফ্যানের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে। তাকে বাঁচানোর জন্য তার স্বামী ইয়াসিন শেখ চেষ্টা করলে তিনি নিজেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মোহম্মদপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইয়াসিন শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত স্ত্রী জুলেখা বেগম চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসি জানান, এ ব্যাপারে মোহম্মদপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ৩
সন্তানদের কাছে লাঞ্ছিত হয়ে বাবার ‘আত্মহত্যা’!
ঠাকুরগাঁওয়ে পারিবারিক কলহের জেরে সন্তানদের কাছে লাঞ্ছিত হয়ে এক বাবা আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক (৬৭) সদর উপজেলার সালন্দর শাহপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
শুক্রবার বাড়ির পাশের একটি মেহগনী গাছের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যা, আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ায় মামলা
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বাড়িতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে বৈঠক ছিল। সেখানে তিনি সন্তানদের কাছে লাঞ্ছিত হন।
এ ঘটনা সহ্য করতে না পেরে পরদিন বাড়ির অদূরে একটি গাছের সাথে রশি পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন:ফরিদগঞ্জে দুই নারীর ‘আত্মহত্যা’
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী জানান, এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগ করেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস, বাসায় হাজির পুলিশ
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
কুমিল্লার ময়নামতিতে পাথর বোঝাই ট্রাকের চাপায় তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল ৬টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ময়নামতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সিলেট থেকে আসা কুমিল্লা মুখী পাথর বোঝাই একটি ট্রাক একইমুখী একটি রিকশাকে চাপা দেয়। ট্রাকের চাপায় রিকশা চালক ও দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত
নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ডাকলাপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন সাগর, হবিগঞ্জ জেলার জুড়ী উপজেলার সাহাপুর এলাকার আব্দুল আহাদ এবং অপর এক জনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এসআই নিহত
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক জব্দ এবং ট্রাকের চালক হেলপারসহ তিনজনকে আটক এবং নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশ।
ভোলায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ভোলার লালমোহন উপজেলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চাটিকা দুলা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশুরা হলো-উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের মো. শাহিনের ছেলে মো. সাইদ (৫) ও একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মো. জাকিরের মেয়ে মীম (৪)।
আরও পড়ুন: বরিশালে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, মীম ওই এলাকায় তার নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। সকালের দিকে মীম পার্শ্ববর্তী মো. শাহিনের সাথে বাড়ির দরজায় খেলতে যায়। এসময় তারা দু'জনই দরজার পুকুরে পড়ে যায়। পরে পরিবারে লোকজন বিভিন্নস্থানে খুঁজেও তাদের না পেয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ভাসতে দেখে ওই দুই শিশুকে। এরপর তাদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে পানিতে ডুবে ৩ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
বন্ধুদের সাথে ঘুরতে এসে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড রেল স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও দুইজন আহত হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাহবুব (২০) মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান মধ্যেরচর হাসকান্দি এলাকার মোহাম্মদ দুলাল মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মেইল সীতাকুণ্ড থামে এবং একই সময়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস একই স্থানে আসলে বুঝতে না পেরে দুই ট্রেনের মাঝে পড়ে দুর্ঘটনায় পড়েন ওই তিনজন। এতে মাহবুব নামের একজন নিহত হন। রেল পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তাছাড়া গুরুতর আহত দু’জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ২জানা গেছে, নিহত যুবকসহ তার কয়েকজন বন্ধু সীতাকুণ্ডে ঘুরতে আসেন। সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মেইল ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ করলে কয়েকজন যুবক তাড়াহুড়ো করে নেমে যায়। একই সময়ে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন দ্রুত স্টেশনে প্রবেশ করলে মাহবুবসহ তিনজন দুর্ঘটনায় পড়েন।
কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ৩
তিন দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে মারা গেলেন সিলেটের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ভাটেরায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত আরেকজন মাইক্রোবাস যাত্রী। নিহতের নাম কামাল আহমেদ (৩৫) দুর্ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে মারা যাওয়া আফিফের বাবা। সিলেট নগরের লোহারপাড়া কাজী জালাল উদ্দিন আবাসিক এলাকার ১২৩/১ বাসার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মোট ৩ জন মারা গেলেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কামাল আহমেদের প্রতিবেশী রিজভী আহমেদ।
এদিকে, এ ট্রেন দুর্ঘটনায় কামাল আহমেদের বড় ভাই লাবিব গুরুতর আহত অবস্থায় নগরীর আল-হারামাইন হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: রেললাইনে পিকআপ, বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল সোনার বাংলা ট্রেন
এছাড়া আরও চারজন আহত অবস্থায় নগরীর আল-হারামাইন হসপিটাল ও জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন- লিলি বেগম (৪০), রাবু বেগম (২০), রিজু (২০) ও জাহানারা বেগম (৫৪)।
এর আগে গত রবিবার সামাজিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দু’টি মাইক্রোবাসে করে সিলেট শহর থেকে কুলাউড়ার ভাটেরায় যাচ্ছিলেন নগরীর লোহারপাড়া কাজী জালাল উদ্দিন আবাসিক এলাকার একটি পরিবার। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুলাউড়ার ভাটেরা এলাকার হোসেনপুর গ্রামে প্রবশের সময় একটি গাড়ি রেলক্রসিং অতিক্রম করে। অন্যগাড়ি ৯ জন যাত্রী নিয়ে রেললাইন অতিক্রম করতে গেলে স্থানীয়রা বাঁধা দেন।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
রাস্তা সরু ও মাইক্রোবাস চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় রাস্তা দিয়ে প্রবেশ না করতে মাইক্রোবাসের ড্রাইভারকে আপত্তি জানান স্থানীয় বেশ কয়েকজন শ্রমিক। কিন্তু ড্রাইভার এদের আপত্তি তোয়াক্কা না করে রেল লাইনে উঠে পড়ে।
মাইক্রোবাসের দু’টি চাকা অতিক্রম করলেও পেছনের দুটি চাকা অতিক্রম করতে সময় নিচ্ছিল গাড়িটি। অবস্থা বেগতিক দেখে গাড়ি থেকে নেমে সড়ে যান ড্রাইভার। এর কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সিলেটগামী আন্ত:নগর পারাবত ট্রেন এসে আটকাপড়া মাইক্রেবাসে প্রচণ্ড শক্তিতে ধাক্কা দেয়। দ্রুতগামী ট্রেনটি প্রায় আধা কিলোমিটার টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় মাইক্রোবাসটিকে।
আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য ১০ জনের রক্ষা
এতে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ফরিদ উদ্দিন (৪৮) ও তার ভাইয়ের ছেলে আফিফ (৮) মারা যান। আহত হন ছয়জন। হতাহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠান। পরে তারা নগরীর প্রাইভেট দু’টি হাসাপাতালে ভর্তি হন।