আইন
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বৃষ্টি আইনে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৫ রানে হারল ইংল্যান্ড
বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৫ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ডের দেয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৪.৩ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান করে ইংল্যান্ড। এরপর বৃষ্টি নামায় ডিএল নিয়মে ইংল্যান্ডের তখন প্রয়োজন ছিল ১১০ রান। ফলে ম্যাচটি ইংল্যান্ড পাঁচ রানে হেরে যায়।
এর আগে মেলবোর্নে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে আইরিশরা। দলের পক্ষে আধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি ৪৭ বলে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৫ রানে হেরেছে ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ডের মার্ক উড লিয়াম ও লিভিংস্টোন তিনটি করে এবং স্যাম কারেন দুটি উইকেট শিকার করেন।
জবাবে ১৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো রান না করেই আউট হন অধিনায়ক জস বাটলার। ডেভিড মালান করেন ৩৫ রান। এছাড়া মঈন আলী ২০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আইরিশদের জশুয়া লিটল দুটি উইকেট নিয়েছেন।
সুপার টুয়েলভে আগের ম্যাচে আফগানিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা করেছিল ইংল্যান্ড। অপরদিকে শ্রীলঙ্কার কাছে বড় ব্যবধানে হেরে সুপার টুয়েলভ মিশন শুরু করে আইরিশরা।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে ইংল্যান্ড
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: নেদারল্যান্ডসকে ৯ রানে হারাল বাংলাদেশ
আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইন বলে দিবে খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না।
তিনি বলেছেন, আইন যা বলে, তাই হবে। আইনে যদি বলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন, তাহলে তিনি করবেন। আর আইন যদি বলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না, তাহলে তিনি তা করতে পারবেন না। আপতত যে আইন আছে তাতে মনে হয় না যে, তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ করতে পারবেন।
সোমবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি-না-এমন প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৪৭ তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আইনমন্ত্রী কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে, যদি কোন ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে নূন্যতম দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।
তিনি (খালেদা জিয়া) তো আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত।
বিএনপির আইনজীবীরা খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করে তা শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এর ফল কি হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা কি করবেন, আর কি করবেন না, আমি কি সে জন্য তাদের উপদেশ (এডভাইস) দিবো?
তারা আপিল শুনানির উদ্যোগ নিচ্ছেন না, তার কৈফিয়ত যদি আমাকে দিতে হয়, তাহলে তো সেটা অযৌক্তিক হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, এ আইন নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ এ আইন করাই হয়েছে শুধু সাইবার অপরাধ দমন করার জন্য।
বাক স্বাধীনতা বা সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য এ আইন করা হয়নি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় যে ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোর নাম ঘোষণা দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কয়েক দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিবেন বলে জানান আইনমন্ত্রী।
প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ এর পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায় সরকার: আইনমন্ত্রী
আবেদন করলেই শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, পণ্যের দাম নির্ধারণ নয়, বরং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারীদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত। খোলাবাজার অর্থনীতেতে পণ্যের দাম একদম নির্ধারণ করে দিয়ে তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমরা একটা ইন্ডিকেটর দিতে পারি যে, দাম এত টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।
সোমবার ময়মনসিংহে টাউন হলে অ্যডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধানের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জামানাত ছাড়াই কৃষককে ঋণ দেয়া যায়: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, কঠোরভাবে বাজার মনিটর ও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মিলমালিকেরা হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে বিরাট মুনাফা করার চেষ্টা করে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে, লাইসেন্স বাতিল করতে হবে।
তিরি বলেন, এসব বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে সবসময় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমন্বয় করে কাজ করে।
পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত কর্মশালায় যোগ দেন।
এসময় তিনি বলেন, আমন উৎপাদনে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমনে উৎপাদন গতবছরের তুলনায় বেশিও হতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার খাদ্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সঠিক পথে রয়েছে। গত ১৩ বছরে খাদ্যের কোন সংকট হয় নি। এমনকি করোনা ও যুদ্ধের অভিঘাতের মধ্যেও খাদ্য নিরাপত্তার দিক থেকে দেশ অনেক ভাল অবস্থানে আছে। সামনের দিনগুলোতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম,
বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরে একটি মানুষও না খেয়ে কষ্ট করেনি: কৃষিমন্ত্রী
৫০ লাখ মানুষকে ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফের গ্রেপ্তার ঝুমন দাস
ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট শেয়ার দেয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সুনামগঞ্জের শাল্লার উপজেলার ঝুমন দাসকে আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার রাতে ঝুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উপপরিদর্শক (এসআই) সুমনুর রহমানের দায়ের করা মামলায় ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঝুমনের ভাই নুপুর দাস বলেন, সাম্প্রদায়িক উসকানি মূলক পোস্ট দেয়ার অভিযোগে পুলিশ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তাকে থানায় নিয়ে যায়। এর আগে দু’দিন ধরে তাকে ফলো করছিল পুলিশ। তার মোবাইল পুলিশ নিয়ে গেছে এবং কিছু পোস্ট রিমুভ দিয়েছে। সন্ধ্যায় ঝুমনের স্ত্রী থানায় গেলে তাকে জানানো হয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঝুমনকে ছেড়ে দেয়া হবে। পরে মধ্যরাতে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঝুমনের ফেসবুকে শেয়ার করা ছবির বিষয়ে তিনি বলেন, মন্দিরের ভেতরে মসজিদের দানবাক্স সংক্রান্ত ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবি নিজের আইডি থেকে শেয়ার করেছিলেন ঝুমন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন:সাইবার নিরাপত্তায় অবহেলা, অভিযোগ টুইটারের সাবেক নিরাপত্তা প্রধানের
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শানে রিসালাত সম্মেলন নামে একটি সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। এতে হেফাজতের তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক এতে বক্তব্য দেন। এই সমাবেশের পরদিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের ঝুমন দাস। স্ট্যাটাসে তিনি মামুনুলের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ আনেন। মামুনুলের সমালোচনাকে ইসলামের সমালোচনা বলে এলাকায় প্রচার চালাতে থাকেন তার অনুসারীরা। এতে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দারা ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এরপর ২২ মার্চ ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম।
কারাবন্দির ছয় মাস পর শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পান ঝুমন দাস।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে রেলওয়ের ৪ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বরখাস্ত
নেত্র নিউজ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
নেত্র নিউজ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের অভিযোগে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নেত্র নিউজ’-এর ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন হাসিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুদ্দিন আহম্মেদ তারেক।
এ মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজের ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন হাসিনুর রহমানকে।
আদালতের বিচারক গোলাম ফারুখ মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপারকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি নুরুল ইসলাম কাকন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম সারওয়ার রাজীব বলেন, মামলার আসামি হাসিনুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার নাথের পাথুয়া বিনয়ঘর গ্রামে। তিনি বর্তমানে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে বসবাস করছেন। তিনি একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা।
মামলার অপর আসামি অনলাইন নিউজ পোর্টাল নেত্র নিউজের ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন।
তিনি বলেন, হাসিনুর রহমান একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্র, সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে নেত্র নিউজের মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, এছাড়া রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন ভিডিওসহ পোস্ট ভাইরাল হয় নেত্র নিউজ থেকে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়।
মিথ্যা, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক এই অপপ্রচারের কারণে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করেছে বাদী।
আরও পড়ুন: গৃহবধূ ধর্ষণ মামলায় ভাসুরসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইনার হুইল ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সব সময় বলে থাকি তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না। জনগণও তাতে আস্থা রাখে না ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। আমাদেরকে কিছু প্রশ্ন আগেই দিয়েছিলেন। তার প্রশ্নের ৭৬ জন গুমসহ অন্যান্য বিষয় আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তাকে দেখিয়েছিলাম এবং কোনদিন কী হয়েছে বিস্তারিত বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছি। এসব দেখে তিনি কোনো প্রশ্ন আমাদেরকে করেননি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি তারা (বিএনপি) একটা অবস্থার সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে রটনা করে যাচ্ছে। যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সত্যতা দেখাতে পারেনি। ভিত্তি না থাকার কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নওগাঁ ও মেহেরপুরে ২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত
মন্ত্রিসভায় মেহেরপুরে ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ ও নওগাঁয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’- নামের দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। এসময় তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এতে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রস্তাবিত দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোটোটাইপ।’
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর আইন, ২০২২’ এবং বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ আইন, ২০২২-এর খসড়া আইন দুটি যাচাই-বাছাইয়ের শর্তে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: খসড়া আইন অনুমোদন: ওষুধ সংক্রান্ত অনিয়মে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড
এছাড়া, দেশের আলোক প্রকৌশল খাতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে হালকা প্রকৌশল শিল্প নীতি-২০২২-এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নীতিমালার কারণে হালকা প্রকৌশল শিল্পের প্রসার ঘটবে, শিল্প খাতের ভূমিকা আরও বাড়বে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।’
বৈঠকে সিলেট নগরী ও এর আশপাশের এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২২’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনটির লক্ষ্য সিলেট নগরী ও এর আশপাশের এলাকায় অপরিকল্পিত নির্মাণ রোধ করে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলা।
গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরিত অভিবাসন ও গতিশীলতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) মন্ত্রিসভা পূর্ববর্তীভাবে অনুমোদন করেছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় প্রতি বছর প্রায় চার হাজার বাংলাদেশি গ্রিসে যাওয়ার সুযোগ পাবে এবং তারা প্রাথমিকভাবে গ্রিসের কৃষি খাতে কাজ করার জন্য পাঁচ বছরের অনুমতি পাবে।
এছাড়া ১৪-১৫ হাজার বাংলাদেশি যারা ইতোমধ্যে গ্রিসে অননুমোদিত হয়ে পড়েছেন তাদের এই চুক্তির আওতায় বৈধতা দেয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় পারিবারিক আদালত আইনের খসড়া অনুমোদন
একনেকে ২ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন
ধর্ষণের বিচারকালে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না
ব্রিটিশ আমলের সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনের একটি সংশোধনী অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা । এর মাধ্যমে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের বিচারকালে অভিযোগকারী নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং দুশ্চরিত্র প্রমাণের যে আইনি সুযোগ রয়েছে তা বাতিল হতে যাচ্ছে।
নারী অধিকার কর্মীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। তারা দেশে বহুদিন ধরে এই ধারাটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই বিধানকে ধর্ষণ শিকার নারীর জন্য অপমানজনক বলে মনে করেন তারা ।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ক আইন এভিডেন্স অ্যাক্ট ২০২২-এর সংশোধনীর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের মিডিয়া ব্রিফিং অনুসারে, প্রস্তাবিত সংশোধনীটি সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনের ১৪৬ (৩) ধারাকে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করে যাতে ভুক্তভোগীদের আদালতের অনুমতি ছাড়া তাদের চরিত্র সম্পর্কে ‘আপত্তিকর প্রশ্ন’ জিজ্ঞাসা করা না যায়।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল আদালতের স্বীকৃতি পাওয়ায় খসড়া আইনে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রতিপক্ষের ভুক্তভোগীদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রবণতা রয়েছে। ‘খসড়া আইনে এর ওপর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারও চরিত্র নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলার জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে,’ বলেন তিনি।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী ডিজিটাল রেকর্ডকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্যের পাশাপাশি ডেটাও ব্যবহার করা যাবে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনটি (দ্য এভিডেন্স অ্যাক্ট, ১৮৭২) অবিলম্বে বাংলায় অনুবাদ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, যুবক গ্রেপ্তার
সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া সেই শিশুর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের দাবিতে রিট
ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় মা-বাবা ও বোন হারিয়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওযা নবজাতকের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং কল্যাণ নিশ্চিতের দাবিতে রিট করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনা তদন্ত করতে আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কানিজ ফাতেমা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
রিটে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিকে বিবাদী করা হয়।
রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানান, সড়ক পরিবহন সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি থেকে এ ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি খিজির আহেমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো.জাকির হোসেনের অবকাশকালীন বেঞ্চে এ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার রিট খারিজ; মামলা চলবে
শিশুটির স্বজনরা জানান, শনিবার বিকালে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এবং ছয় বছরের শিশুকন্যা সানজিদাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। পরিকল্পনামতো ত্রিশালের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্টাসনোগ্রাম করে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্তু মহাসড়ক পার হওয়ার সময় হঠাৎ বেপরোয়া একটি মালবাহী ট্রাক চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তিনজনই নিহত হন।
তবে দুর্ঘটনার সময় মায়ের পেটের ওপর দিয়ে মালবাহী ট্রাকের চাকা চলে গেলেও অলৌকিকভাবে মায়ের পেট ফেটে ফুটফুটে এক নবজাতকের জন্ম হয়। তবে নবজাতকের ডান হাতের দুটি হাড় ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা তাৎক্ষণিক ওই নবজাতককে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এরপর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হয়।
এদিকে, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক চিকিৎসাধীন ওই শিশুকে দেখতে গিয়ে শিশুটির চিকিৎসাসহ সব ধরনের দায়িত্ব নেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, শিশুটির চিকিৎসা খরচসহ ভবিষ্যতের জন্য তার নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদক কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতি: নিরপেক্ষ তদন্তে ১০ আইনজীবীর রিট
নিহতের স্বজনরা জানান, ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রত্না বেগমের আরও দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে মা-বাবার সঙ্গে ছয় বছর বয়সী সানজিদা আক্তারের মৃত্যু হয়। অন্য দুজন হলো- ১০ বছরের মেয়ে জান্নাত ও সাত বছর বয়সী ছেলে এবাদত।
নিয়ন্ত্রণ নয়, সুরক্ষায় ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ করা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ উপাত্ত নিয়ন্ত্রণের জন্য নয় বরং উপাত্ত সুরক্ষার জন্য করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়নের বিষয়ে আয়োজিত পরামর্শ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, উপাত্ত সুরক্ষা আইন যাতে সর্বজনীন হয় এবং বাংলাদেশের জনগণ যাতে এই আইনের মাধ্যমে পরিবর্তিত পৃথিবীকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার উপযোগী করে তোলার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ সভা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে জুলাই-আগস্ট মাসে আরও ২-৩টি পরামর্শ সভা করা হবে এবং এসব পরামর্শ সভার মাধ্যমে উঠে আসা যুক্তিসঙ্গত সুপারিশগুলো গ্রহণ করে সকলের জন্য মঙ্গলজনক এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য আইন করা হবে।
এই আইনের দ্বারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের সময় বঙ্গবন্ধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে যে সুরক্ষা ও নিশ্চিয়তা দিয়ে গেছেন, সেখানে হাত দেয়ার ক্ষমতা কারও নেই। বর্তমান সরকার যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করে এবং জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করে, সেজন্য আমরা সেখানে হাত দিবোই না।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক উপাত্ত সুরক্ষা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের এবং রাষ্ট্রের তথ্যের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র লেজিসলেটিভ এক্সপার্ট এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. শহিদুল হক, আইসিটি এক্সপার্ট তারিক এ বরকতুল্লাহ বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন সভায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন আইনটির বিভিন্ন ধারা ও উপধারার বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো আছে: আইনমন্ত্রী
বিচার বিভাগের সমস্যা সমাধানে কার্পণ্য করবে না সরকার: আইনমন্ত্রী