হাতিরঝিল
হাতিরঝিলের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি
রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পে সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদসহ চার দফা নির্দেশনা ও ৯ দফা সুপারিশ করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজউকের দায়ের করা এ সংক্রান্ত লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আইনজীবীরা জানান, পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত হাতিরঝিলের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ হচ্ছে না।
আদালতে রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার ইমাম হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের আয়কর কর্তৃপক্ষকেই পরিশোধ করতে হবে: হাইকোর্ট
এর আগে গত ২৪ মে হাইকোর্টের রায়ে চার দফা নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, ঢাকার ফুসফুস বেগুনবাড়ী খালসহ হাতিরঝিল এলাকা জাতীয় সম্পত্তি। এই এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ এবং নির্মাণ সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন ও তুরাগ নদের রায় অনুযায়ী বেআইনি ও অবৈধ। আর হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দ করা সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ এবং এখতিয়ারবহির্ভূত মর্মে এসব বরাদ্দ বাতিল ঘোষণা করা হলো।
এছাড়া, আদালত হাতিরঝিলের বিষয়ে ৯ দফা পরামর্শ দেন। সেগুলো হলো-
১. হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ী সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ, তথা হাতিরঝিল লেক সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি অধীন গঠন করা।
২. বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে যৌথভাবে হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকার স্থায়ী পরামর্শক নিয়োগ করা।
৩. জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট স্থাপন করা।
৪. নির্ধারিত দূরত্বে বিনা মূল্যে সব জনসাধারণের জন্য পান করার পানির ব্যবস্থা করা।
৫. পায়ে চলার রাস্তা, বাইসাইকেল লেন ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা।
৬. পানির জন্য ক্ষতিকর লেকে এমন সব ধরনের যান্ত্রিক যান তথা ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
৭. লেকে মাছের অভয়ারণ্য করা।
৮. হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে নামকরণ করা।
৯. হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ী সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার ব্যয় রেভিনিউ (রাজস্ব) বাজেট থেকে বরাদ্দ করা
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, প্রতি ফোঁটা পানি অতি মূল্যবান। পানির চেয়ে তথা সুপেয় পানির চেয়ে মূল্যবান আর কোনও সম্পদ এ পৃথিবীতে নেই। সুতরাং প্রতিটি ফোঁটা পানির দূষণ প্রতিরোধ করা একান্ত আবশ্যক।
রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট আরও বলেছেন, দ্বিতীয় কোনও পৃথিবী নেই। এ পৃথিবী ব্যতীত আর কোনও গ্রহে পানির কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায় নাই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে এক ফোঁটা পানি এ পৃথিবীর বাইরে থেকে আনতে সক্ষম হয় নাই। অথচ উক্ত খরচের শত ভাগের এক ভাগ টাকা খরচ করলে আমরা আমাদের গ্রহের পানিকে দূষণমুক্ত ব্যবহারযোগ্য রাখতে সক্ষম। হাতিরঝিলের পানি এবং এর নজরকাড়া সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ। এ অমূল্য সম্পদকে কোনরূপ ধ্বংস বা ক্ষতি করা যাবে না। রায়ে রিট মামলাটি একটি চলমান আদেশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
পরে গত বছরের ৩০ জুন ওই রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। গত ২৪ মে এই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে রাজউক।
আরও পড়ুন: বিপিসির এসএওসিএল-এ ৪৭২ কোটি টাকা অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট
চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে হিমাদ্রী হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড হাইকোর্টে বহাল
ঢাকায় কোরিয়ান লাইভ মিউজিক কনসার্ট ১ অক্টোবর
দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস ঢাকার হাতিরঝিলে অবস্থিত অ্যাম্ফিথিয়েটারে ১ অক্টোবর লাইভ কোরিয়ান মিউজিক কনসার্টের আয়োজন করবে।
সাত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত কোরীয় ফিউশন মিউজিক ব্যান্ড ‘ই-সাং’ আধুনিক ফিউশন শৈলীতে কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকগানের লাইভ কনসার্ট পরিবেশন করবে।
ঐতিহ্যবাহী কোরীয় মিউজিক ইন্সট্রুমেন্ট যেমন গায়াজিয়াম, জাংগু (ড্রাম) এবং তেপিয়ংসো (বাঁশি), পাশাপাশি বেস গিটার, কীবোর্ড পিয়ানো ও ড্রামের মতো পশ্চিমা ইন্সট্রুমেন্টগুলো তাদের পরিবেশনার সময় বাজানো হবে।
আরটিভির সহযোগিতায় দূতাবাস এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা রনি সুস্থ হয়ে উঠছেন
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনিসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
২০২০ সালে কোভিড মহামারি প্রাদুর্ভাবের পর দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এটিই প্রথম উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মঙ্গলবার ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস জানিয়েছে, যেহেতু এটি একটি উন্মুক্ত ও বিনামূল্যের কনসার্ট তাই যে কেউ আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকিট ছাড়াই কনসার্ট উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে শীর্ষ পুরষ্কার জয়ী টেইলর সুইফট
ঢাকার দর্শকদের মুগ্ধ করেছে শিরোনামহীন!
ঈদের ছুটিতে শিশুদের নিয়ে ঢাকার ভেতরে খোলামেলা পরিবেশে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
ঈদ আনন্দের কেন্দ্রবিন্দু থাকে শিশুরা। শৈশব-কৈশোর পার করে আসার মানুষেরা এই শিশুদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ দেখেই নিজেদের মধ্যে সুপ্ত চঞ্চলতাটা টের পান। ফিরে যান আবার নিজেদের সেই শৈশবে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের ঈদের দিনগুলো কাটানোর জন্য প্রধান পছন্দ থাকে কোথাও ঘুরতে যাওয়া। ঘুরতে যাবার আগের দিন এমন পরিবারের অভিভাবকদের সাথে সাথে শিশুদের অস্থিরতাটাও বেশ দেখার মত হয়। ঘুরতে যাবার আগে মনের ভেতর সেই জায়গাটির ছবি আঁকতে শুরু করে। আর বাবা-মার দিকে সেই জায়গাগুলো নিয়ে ছুড়ে দেয় হাজারো প্রশ্ন। ঈদের দিনগুলো উদযাপনের জন্য ঢাকার ভেতরেই দারুণ কিছু জায়গার তথ্য থাকছে আজকের নিবন্ধে।
ঈদের ছুটিতে শিশুদের নিয়ে ঢাকার ভেতরে বেড়ানোর মত ১০টি মনোরম জায়গা
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এই বিমান বাহিনী জাদুঘরটি। জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার এবং রাডারে পূর্ণ বিশাল খোলা চত্বরের এই জায়গাটি বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী জাদুঘর। এগুলোর মধ্যে তিনটি বিমান ভারতী বিমান বাহিনীর, যেগুলো তারা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করেছিলো। পরবর্তীতে বিমান তিনটি বাংলাদেশকে উপহার দেয়া হয়।
শিশুরা দুয়েকটি বিমান ও হেলিকপ্টারে চড়তে পারে। এছাড়া তাদের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইড এবং লেকে নৌকা ভ্রমণ। চত্বরের আশপাশ জুড়ে আছে স্যুভেনির শপ নীলাদ্রি, একটি ফুড কোর্ট, বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি, নান্দনিক ফোয়ারা ও থিম পার্ক। জাদুঘরে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। তবে সামরিক বাহিনীর পরিবারের জন্য তা ২৫ টাকা।
পড়ুন: ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য ঢাকার কাছাকাছি সেরা কয়েকটি রিসোর্ট
হাতিরঝিল
দিগন্তের দৃশ্য দেখতে বাধা দেয়ার জন্য হাতিরঝিলের চারপাশে ঘেরাও করা কোন দৈত্যাকার অট্টালিকা নেই। লেকের পাশ দিয়ে পায়ে চলা রাস্তা থেকে খুব সহজেই সেই দিগন্ত এবং লেকের পানিতে আকাশের প্রতিবিম্ব উপভোগ করা যায়। এটি মুলত ঢাকার মগবাজার থেকে গুলশান-বাড্ডার যাওয়ার পথ, তাই এখানে নেই কোন প্রবেশদ্বার বা বের হওয়ার গেট।
দিন-রাত পুরোটা সময়েই দর্শনার্থীরা বিনামূল্যেই ঘুরতে পারেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের ব্রিজের নিচ থেকে রঙ-বেরঙের আলো পুরো হাতিরঝিলের রূপ যেন আরো বাড়িয়ে দেয়। হাতিরঝিলের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যাওয়ার জন্য স্থলপথে আছে চক্রাকার ট্যুরিস্ট বাস সার্ভিস। আর লেকের পানিপথ পেরোবার জন্য আছে ওয়াটার ট্যাক্সি।
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
ঢাকার বাইরে এমনকি দেশের বাইরে থেকেও যে ভ্রমণপিপাসুরাই রাজধানী ঘুরতে আসেন, তারা মিরপুরের চিড়িয়াখানা দেখতে ভোলেন না। তাদের মুল আকর্ষণ থাকে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখা। কিন্তু প্রায় ৭৫ হেক্টর আয়তনের এই দর্শণীয় জায়গাটিতে ১৯১ প্রজাতির ২১৫০টি দেশ-বিদেশের প্রাণীদের আশ্রয়স্থল।
পড়ুন: ঢাকার কাছেই প্রকৃতির মাঝে ক্যাম্পিং সাইট
শিশুরা এখানে দেখতে পারে সিংহ, চিত্রা হরিণ, বানর, ভালুক, নীলগাই, গন্ডার, ফ্লেমিংগো, কুমির, জলহস্তি, জেব্রা, কানাবক, এবং অজগর সাপ সহ নানা ধরনের প্রাণী। আর প্রায় ২৪০ প্রজাতির স্টাফিং পশুপাখি নিয়ে আছে প্রাণী জাদুঘর। চিড়িয়াখানার ভেতরে আছে ১৩ হেক্টর আয়তনের দুইটি লেক। চিড়িয়াখানায় প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। প্রাণী জাদুঘরের জন্য দিতে হয় ১০ টাকা। তবে দুই বছরের নিচে শিশুদের জন্য জন্যে কোন টিকেট লাগে না।
বোটানিক্যাল গার্ডেন
মিরপুরের চিড়িয়াখানা দেখতে গেলে হাতে আরো একটু বেশি সময় নিয়ে যাওয়া ভালো। কারণ পাশেই আছে বাংলাদেশের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিক্যাল গার্ডেন। এর প্রায় ২০৮ একর জায়গা বুকে ধারণ করে আছে প্রায় ৮০০ প্রজাতির নানান ধরনের বৃক্ষ।
এখানে প্রবেশ করতে মাথাপিছু ২০ টাকা দিতে হয় আর শিশুদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৫ টাকা। চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘোরার ক্ষেত্রে যেটা খেয়াল রাখতে হবে তা হচ্ছে সন্ধ্যার বেশ কিছু সময় আগেই এখান থেকে বের হয়ে যেতে হবে। কেননা এ দুটি জায়গা গরমের সময় বিকেল পাঁচটা আর শীতের সময় বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে দেশের বাইরে কোথায় ঘুরতে যাবেন?
চন্দ্রিমা উদ্যান
শিশুদের নিয়ে খোলামেলা পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য চন্দ্রিমা উদ্যান সেরা জায়গা। লেকের দু’ধারে সিড়ি ও বসার জায়গা এবং উপর দিয়ে নজরকাড়া সেতু উদ্যানটির প্রবেশপথকে মনোরম করে তুলেছে। সেতুতে দাড়িয়ে দু’পাশের লেক থেকে ফোয়ার দেখার আকর্ষণেই মুলত দর্শনার্থীরা ভিড় করেন এখানে।
এর ভেতরের বিশাল ঘাসে বিছানো জায়গাটিতে নির্দ্বিধায় শিশুদেরকে ছেড়ে দেয়া যায় আপন মনে খেলা করার জন্য। এর প্রায় ৭৪ একর জায়গার ভেতরে সেতু পেরলেই দেখা যাবে মরহুম জিয়াউর রহমানের সমাধি কমপ্লেক্স। চন্দ্রিমা উদ্যানের ঠিক উল্টো পাশে অবস্থিত জাতীয় সংসদ। এখানে আসার আগে বিজয় সরণী এলাকায় অতিক্রমের সময় এক পাশে চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটার।
ধানমন্ডি লেক
ঢাকার ছড়ানো-ছিটানো লেকগুলোর মধ্যে ধানমন্ডি লেক সবচেয়ে বেশি এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এই বেশি বলতে কিন্তু একপার থেকে অন্য পাড়ের দূরত্ব অনেক বেশি তা নয়। পুরো ধানমন্ডি এলাকাটার আশপাশ দিয়ে সংকীর্ণ পানিপথ তৈরি করে বয়ে গেছে লেকটি। এই দর্শনীয় স্থানটিতে প্রবেশের সাথে সাথেই পুরো ধূসর পরিবেশটা যেন আচমকা পরিণত হয় সবুজের সমারোহে।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ভ্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি এবং দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা
এখানে বেশ পরিপাটি করে বিছানো হয়েছে হাঁটার রাস্তা, তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যায়ামের স্থান, বসার বেঞ্চ, ফাষ্টফুড শপ ও রেস্টুরেন্ট। নির্দিষ্ট ফি দিয়ে লেকে মাছ ধরা আর বোটে চড়ে ঘুরে বেড়ানো যায়। তাছাড়া এটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রবীন্দ্র সরোবর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসস্থানের জন্য বেশ নামকড়া।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
মাঝে ছোট্ট একটি লেক নিয়ে বিস্তৃত মাঠের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যে কোন এক বিকেল কাটানোর জন্য দারুণ এক জায়গা। ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত এই উদ্যানটির পূর্ব নাম রমনা রেসকোর্স ময়দান। ঘোড়দৌড় খেলার জন্য জায়গাটি বেশ জনপ্রিয় ছিলো।
এখানেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ৭ মার্চের সেই জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছিলেন। এখানেই ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এখানকার নান্দ্যনিক স্থাপনা স্বাধীনতা স্তম্ভ এবং শিখা চিরন্তন এখনো তার সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে। হাতে একটু বেশি সময় নিয়ে শিশুদের ঘুরিয়ে আনতে পারেন তিন নেতার মাজার আর কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি।
পড়ুন: গরমকালে কম খরচে বাংলাদেশের কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবেন?
রমনা পার্ক
ঢাকা নগরীর সব বয়সের অধিবাসীদের ঘোরাঘোরির জন্য সাধারণ পছন্দ হলো রমনা পার্ক। একসাথে এত জায়গা জুড়ে সুনিবিড় ছায়া ঘেরা পরিবেশ ঢাকার আর কোথাও নেই। প্রায় ৬৮.৫০ একরের এই পার্কটির দুর্লভ প্রজাতির গাছ-গাছালির ভিড়ে অপরূপ লেকটি সরবে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়।
প্রতি বছর এর বটমূল নামক জায়গাটিতে ছায়ানটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। ভোরে আলো ফুটার আগ থেকেই শরীর চর্চার ধুম পড়ে যায় পার্কটিতে। পাশাপাশি হওয়ায় আরো কিছু সময় নিয়ে এই পার্কের সাথে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানও ঘুরে নিতে পারেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এই স্থানদুটিতে ঘোরার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়সূচী নেই এবং কোন ফি দিতে হয় না।
জিন্দা পার্ক
ঢাকা থেকে মাত্র ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বের জিন্দা পার্ককে খুব বেশি দূরে বলা যায় না। পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়ক ধরে গেলে সর্বোচ্চ দেড় থেকে দুই ঘন্টার মধ্যেই পৌছে যাওয়া যায় আদর্শ গ্রাম নামে খ্যাত এই দর্শনীয় স্থানটিতে। এটি পড়েছে মুলত নারায়ণগঞ্জ জেলার দাউদপুর ইউনিয়নে। এর প্রায় ১৫০ একর এলাকার জুড়ে আছে ২৫০ প্রজাতির দশ হাজারেরও বেশী গাছপালা এবং ৫ টি জলাধার। এর সুন্দর ভাবে গড়া গাছের উপর টং ঘর, পুকুরের উপর সাঁকো, মাটির ঘর, বড় সান বাধানো পুকুর, লাইব্রেরি দেখলে নিমেষেই মন ভরে যায়।
পড়ুন: রাতে হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় প্রয়োজনীয় কিছু সতর্কতা
ঢাকা নগরবাসীর ডে-আউটের জন্য সেরা জায়গা হতে পারে জিন্দা পার্ক। জিন্দা পার্কে ঢোকার জন্য ১০০ টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হয়। বাচ্চাদের জন্যে এই টিকেট ফি জনপ্রতি ৫০ টাকা। লাইব্রেরিতে ঢুকতে হলে ১০ টাকা খরচ করতে হয়। যারা নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাবেন তাদের ৫০ থেকে ১০০ টাকা পার্কিং ভাড়ার কথা মাথায় রাখতে হবে।
লা রিভারিয়া রিসোর্ট এন্ড পার্ক
যারা রিসোর্ট পছন্দ করেন তাদের জন্য ঢাকার অদূরেই এই দৃষ্টিনন্দন জায়গাটি সেরা পছন্দ হতে পারে। যারা ঢাকার ভেতরে নদীর হাওয়া পেতে চান তাদের চাহিদাও মেটাবে শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ঘেসে গড়া এই রিসোর্টটি। কাঞ্চন ব্রীজ দিয়ে মায়ার বাড়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে কাছেই এই রিসোর্টটিতে পৌছে বড়জোর আড়াই ঘন্টা লাগতে পারে।
এই দারুণ অবকাঠামোরটির অবস্থান মুলত নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ-এ। কোন প্যাকেজ বুকিং ছাড়া শুধুমাত্র ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে রিসোর্টটি ঘুরে দেখা যাবে। এখানে সকাল ১০ থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত ডে-লং প্যাকেজের জন্য জনপ্রতি ২,৫০০ টাকা খরচ করতে হয়। এর মধ্যে পাওয়া যাবে কটেজে থাকা, দুপুরের খাবার এবং সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সুবিধা।
পড়ুন: সিলেট শহরের দর্শনীয় স্থান: অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক নগরী
পরিশিষ্ট
ঈদের ছুটিতে শিশুদের নিয়ে ঢাকার ভেতরে ঘোরার জন্য এই জায়গাগুলো কেবল খোলামেলাই নয়, বেশ নিরাপদও বটে। তাছাড়া উন্মুক্ত পরিবেশে সময় কাটানো শুধু মন নয়, দেহের জন্যও উপকারি। দৈহিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রে শিশুদের স্বাভাবিক ক্রমবিকাশের জন্য প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা জরুরি। ভ্রমণের সময় শিশুদের এই দর্শনীয় স্থানগুলোর তাৎপর্যের পাশাপাশি এই জায়গাগুলোকে যে যত্ন করা আমাদেরই দায়িত্ব তা বুঝাতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা ও ফুল ছেড়া সহ স্থানীয় সম্পদের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকার জন্য শিশুদেরকে অভ্যস্ত করে তোলা প্রত্যেক অভিভাবকদের দায়িত্ব।
‘হাতিরঝিল’ প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ ঘোষণার রায় স্থগিত হয়নি: শুনানি ২৭ জুন
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দ করা সব হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেননি আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)’র করা লিভ টু আপিলের ওপর ২৭ জুন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এই আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। অপরপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টে লে-আউট প্ল্যানের নির্দেশনার বাইরে কতিপয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে রাজউকের নিষ্ক্রিয় থাকার প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ২০১৮ সালে হাইকোর্টে রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। ওই সময় রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে ওই রুলের শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৩০ জুন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে ওই পকল্প এলাকার ভেতরে সব ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ সহ চার দফা নির্দেশনা ও ৯ দফা সুপারিশ করেন হাইকোর্ট।
রায়ে বলা হয়, ‘প্রতিটি ফোটা পানি অতি মূল্যবান। পানির চেয়ে তথা সুপেয় পানির চেয়ে মূল্যবান আর কোনো সম্পদ এ পৃথিবীতে নেই। সুতরাং প্রতিটি ফোটা পানির দূষণ প্রতিরোধ একান্ত আবশ্যক।’
আরও পড়ুন: হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ: হাইকোর্ট
পানির অস্তিত্ব নিয়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘দেয়ার ইজ নো ‘প্ল্যানেট বি’। দ্বিতীয় কোন পৃথিবী নেই। এ পৃথিবী ব্যতীত আর কোন গ্রহে পানির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায় নাই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করে এক ফোটা পানি এ পৃথিবীর বাইরে থেকে আনতে সক্ষম হয় নাই। অথচ এ খরচের শতভাগের একভাগ টাকা খরচ করলে আমরা আমাদের গ্রহের পানিকে দূষণমুক্ত ব্যবহার যোগ্য রাখতে সক্ষম।’
হাতিরঝিলের সৌন্দর্য নিয়ে উচ্চ আদালত বলেন, হাতিরঝিলের পানি এবং এর নজরকাড়া সৌন্দর্য অমূল্য সম্পদ। এ অমূল্য সম্পদকে কোনোরূপ ধ্বংস বা ক্ষতি করা যাবে না।
রায়ে হাইকোর্ট চারটি নির্দেশনা হলো-
১.সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন এবং তুরাগ নদে রায় মোতাবেক রাজধানী ঢাকার ফুসফুস বেগুনবাড়ী খালসহ হাতিরঝিল এলাকা যা ‘হাতিরঝিল’ নামে পরিচিত পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি তথা জনগণের জাতীয় সম্পত্তি।
২.‘হাতিরঝিল’ এলাকায় হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ এবং নির্মাণ সংবিধান, পরিবেশ আইন, পানি আইন এবং তুরাগ নদের রায় অনুযায়ী বেআইনি এবং অবৈধ।
৩. ‘হাতিরঝিল’ প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দকৃত সবহোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অবৈধ এবং এখতিয়ার বহির্ভূত মর্মে এসব বরাদ্দ বাতিল ঘোষণা করা হলো।
৪. এ রায়ের অনুলিপি প্রাপ্তির পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে সব হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
এছাড়াও হাতিরঝিলের বিষয়ে উচ্চ আদালত ৯ দফা সুপারিশ করেন।
সেগুলো হলো-হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ি সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং পরিচালনায় একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ তথা ‘হাতিরঝিল লেক সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ’ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সরাসরি অধীন গঠন করা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে যৌথভাবে হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকার স্থায়ী পরামর্শক নিয়োগ, জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে আন্তর্জাতিক মানের টয়লেট স্থাপন করা। নির্ধারিত দূরত্বে বিনামূল্যে সব জনসাধারণের জন্য পান করার পানির ব্যবস্থা করা। পায়ে চলার রাস্তা, বাইসাইকেল লেন এবং শারিরীক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা। পানির জন্য ক্ষতিকর হেতু লেকে সব ধরনের যান্ত্রিক যান তথা ওয়াটার ট্যাক্সি সার্ভিস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। লেকে মাছের অভয়ারণ্য করা। হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে নামকরণ করা। হাতিরঝিল এবং বেগুনবাড়ি সম্পূর্ণ প্রকল্পটি সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার ব্যয় রেভিনিউ বাজেট থেকে বরাদ্দ করারও সুপারিশ করেন হাইকোর্ট।
তাছাড়া হাইকোর্ট এ রিট মামলাটিকে চলমান রাখেন। রায় প্রদানকারী দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের পর গত ২৪ মে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৫৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। এরপর রাজউক হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) দায়ের করে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলকে রক্ষা করার সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: হাতিরঝিলে লেজার শো, ৬৪ জেলায় উদযাপন
আগামী ২৫ জুন দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে উদযাপিত হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। স্মরণীয় অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে ঢাকার হাতিরঝিলে লেজার শোসহ নানা কর্মসূচি থাকবে।
রাজধানী ঢাকা এবং চার জেলা মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুরে পাঁচ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার এক ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সব জেলা প্রশাসককে উল্লিখিত কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে বলেছে।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর নাম চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন
পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা: হাতিরঝিল লেকে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
হাতিরঝিল লেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ২৪ বছর বয়সী এক যুবক। প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়ার জেরে এ আত্মহত্যা বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।
নিহত বজলু মিরাজ চৌধুরী ওরফে রাজ রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের মৃত জামান চৌধুরীর ছেলে।
নিহতের মা শেখ নাদিরা বেগমের বরাত দিয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. করিবেল হাসান জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে রাজ হাতিরঝিল সেতু থেকে পানিতে ঝাঁপ দিলে ডুবে মারা যায়।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ধর্ষণচেষ্টার শিকার তরুণীর আত্মহত্যা, গ্রেপ্তার ২
পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জটিলতা দেখা দিলে রাজ আত্মহত্যা করে।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষার্থী অন্তুর আত্মহত্যা: প্রকৃত কারণ এখনও অজানা
হাতিরঝিলে প্রাইভেটকারে আগুন
নগরীর হাতিরঝিল এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি প্রাইভেটকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তর সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এফডিসি ক্রসিং সংলগ্ন হাতিরঝিল সড়কে প্রাইভেটকারের ইঞ্জিন থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান সিকদার জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যা ৭টা ১৩ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন লেগেছে বলে জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: খুলনায় আগুনে পুড়ল ১৫ ঘর
গাজীপুরে স্পিনিং মিলের গোডাউনে আগুন
হাতিরঝিলে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর হাতিরঝিল মহানগর প্রকল্প এলাকা থেকে সোমবার এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতর থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ব্যাগটি সেখানে কে রেখে গেছে স্থানীয়রা বলতে পারেনি বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গার্ডারের আঘাতে শ্রমিকের মৃত্যু
ধামরাইয়ে ট্রাকচাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত
সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান হাবীবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হাবীবুর রহমান নিহত হন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক হাবীবুর নিহত
সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে ডিআরইউর শোক
সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে ডিআরইউর শোক
হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত সংবাদিক হাবীবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
বুধবার এক শোক বার্তায় তার মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ডিআরইউর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ‘সময়ের আলো’ এর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন হাবীবুর রহমান।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে হাতিরঝিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।
এদিকে, আজ বুধবার দুপুর ২টায় হাবীবুর রহমানের নামাজে জানাজা ডিআরইউ চত্বরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক হাবিব নিহত
ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যা মামলা: সাংবাদিক শাকিলের অন্তবর্তীকালীন জামিন