নির্বাচন
নির্বাচন নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের নির্বাচন নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের জন্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কৃষক লীগ আয়োজিত তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বর্ণনা দিতে গিয়ে ফখরুলের ‘অপভাষার ব্যবহার’ উল্লেখ করে কাদের বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব কীভাবে এমন অবমাননাকর মন্তব্য করতে পারেন? তিনি কি গাজীপুর,বরিশাল, খুলনা ও কক্সবাজারের নির্বাচন দেখেননি?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুলের মন্তব্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা।
তিনি বলেন, ‘এটি কি সম্প্রতি ঘোষিত মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধের অধীনে পড়েনা?’
আরও পড়ুন: সরকার কোনো চাপের কাছে মাথা নত করবে না: কাদের
বিএনপির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে যারা কথা বলছে তারা এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন? এটা কি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা নয়?
কাদের দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ফখরুলের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপিকে একটি ‘হাটুভাঙ্গা দল’ বলে অভিহিত করেছিলেন; কারণ তারা বারবার আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে।
কাদের বলেন, ‘আমাদের হাঁটু ভাঙ্গা হয়নি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে বিএনপির হাটুর কাঁপুনিও শুরু হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা রাজনীতির নামে বড় বড় দাবি ও মিথ্যাচার করে, তারা বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে যাতে বাংলাদেশ আরও সমস্যায় পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আজ, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিদেশেও খেলা চলছে। ষড়যন্ত্র চলছে। তারা ক্ষমতায় না থাকলেও কোটি কোটি টাকা ব্যবহার করে লবিস্ট নিয়োগের টাকা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে মর্মে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ছয়জন কংগ্রেসম্যান চিঠি পাঠিয়েছেন। দেশ আমাদের, কিন্তু মাথাব্যথা তাদের।’
আরও পড়ুন: জাতীয় উন্নয়নকে বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করুন: আ. লীগ নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিলেও নীতি পরিবর্তন করেনি আ. লীগ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আ.লীগ সরকার অবাধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে উচ্চ মান প্রতিষ্ঠা করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন, তার সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মান স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের আমলে কোনো নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি। আমরা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি উচ্চ মান প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে অনুষ্ঠিত ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মতো কোনো বিতর্কিত নির্বাচন আওয়ামী লীগের শাসনামলে হয়নি, হবেও না।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
বর্তমানে জেনেভায় অবস্থানরত শেখ হাসিনা সংসদে আওয়ামী লীগের কাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-১১) এর এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সংসদ নির্বাচন ও উপ-নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সংস্থা নির্বাচন ও উপ-নির্বাচন, যা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বেশ নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বে অবাধে নি
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও ক্ষমতা দখল করতে আসেনি। জনগণকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এসেছে যাতে জনগণ তাদের সরকার নির্বাচন করতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ, অবাধ, নির্ভীক, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহায়তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেটে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কে দেশ চালাবে তা জনগণই ঠিক করবে।
তিনি বলেন, এটা জনগণের শক্তি। আমাদের সরকার জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, তার সরকার 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ প্রণয়ন করেছে এবং আইন অনুযায়ী ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে স্বাধীন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সব সরকারি কর্মকর্তা/প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সময় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের কর্তৃত্বে আসবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক ম্যান্ডেট অনুযায়ী স্বাধীনভাবে কাজ করবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।
আ.লীগ সভাপতি বলেন, তারা দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, যারা পর্যবেক্ষক পাঠাতে চান তারা তা করতে পারেন।
আমাদের সরকার জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করবে: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য করতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। ভিসা নীতিতে যা বলা হয়েছে, সবই বাংলাদেশ ও এর জনগণের পক্ষে।’
মঙ্গলবার শেরপুর জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে সংসদে বিরোধী দলের ডেপুটি নেতা কাদের শহরের সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান পদ্ধতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করতে পারি না। এটি পরিবর্তন করা দরকার। তবে সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিবর্তনের বিষয়ে আমাদের ঐকমত্য প্রয়োজন। তাই আমরা (জাতীয় পার্টি) মার্কিন ভিসা নীতিকে সমর্থন করি।’
জিএম কাদের বলেন, সবাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
আরও পড়ুন: দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা নেই: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আমরা এখনও কোথাও থেকে কোনো প্রস্তাব পাইনি। তবে আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী নির্বাচনে কীভাবে অংশগ্রহণ করব তা পরে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে শহরের চকবাজার কেন্দ্রে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দেন জিএম কাদের ও জাতীয় পার্টির নেতারা।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ সঙ্কটের কারণে দেশ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে: জিএম কাদের
ফয়জুল করিমের ওপর হামলা আবারও প্রমাণ করে আ.লীগের অধীনে কখনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: বিএনপি
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যায়িত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, বর্তমান 'অবৈধ' সরকার অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়।
সোমবার এক বিবৃতিতে বিএনপির এই নেতা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং এর জন্য ক্ষমতাসীন দলের 'ক্যাডারদের' দায়ী করেছেন।ফখরুল বলেন, ‘প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্য দিবালোকে একজন ধর্মীয় নেতা এবং একজন মেয়র প্রার্থীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা কাপুরুষোচিত ও ঘৃণ্য। এই বর্বরোচিত হামলা আবারও উন্মোচিত করেছে যে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী ছাড়া বিরোধী দলের কোনো প্রার্থীকে সহ্য করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের যে কোনো উপায়ে প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করার মনোভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের
সরকারের নির্দেশের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারে না বলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কড়া সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া এ ধরনের নির্বাচন করতে ইসি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যখন একজন মেয়র প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা আক্রান্ত, সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা কোথায়? এমন নির্বাচনী পরিবেশের কারণে বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই আওয়ামী লীগের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
ফখরুল ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী ফয়জুল করিমের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম অভিযোগ করেছেন যে কাউনিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের হামলায় তার সমর্থকদের পাশাপাশি তিনি আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ভোটার ও তার এজেন্টদের কাউনিয়া কেন্দ্র ও মানিক মিয়া কেন্দ্র ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আইএবি।
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় সিলেট ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
খুলনা সিটি নির্বাচন: কর্মী-সমর্থকদের ভোট থেকে দূরে থাকার নির্দেশ বিএনপির
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অংশগ্রহণের চেষ্টা করায় ৯ নেতাকে বহিষ্কার করে স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির খুলনা মহানগর শাখার সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে দূরে থাকার জন্য কেউ দলীয় নির্দেশ লঙ্ঘন করলে অবিলম্বে বহিষ্কার করা হবে।
সিটি নির্বাচন বর্জনের কেন্দ্রীয় কমান্ডের নির্দেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম
দলীয় কর্মী, সমর্থক ও নেতা হওয়ার পাশাপাশি তারা ভোটারও বটে; তাই তাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্থগিত করার অপচেষ্টা বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রবীণ সাংবাদিক ও গবেষক অজয় দাস গুপ্ত বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রচারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির আলোকে, ভোটদান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার এই ধরনের প্রচেষ্টা বিবেচনায় আসে কিনা তা দেখা গুরুত্বপূর্ণ।
খুলনা ও বরিশালে চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচন আজ বর্জন করছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
বরিশাল ও খুলনা সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে: ইসি হাবিব
নির্বাচন ঘিরে খুলনা সিটিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয়
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ভোটগ্রহণকে ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে টহল দিচ্ছে বিজিবির ১১ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র ও নগরীর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ জন সদস্য।
নির্বাচনী মাঠে থাকবেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে বসানো হচ্ছে ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা
ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। প্রায় ৩ হাজারইভিএম মেশিন প্রয়োজন হচ্ছে।
এতে দুটি সংস্থার ২০ জন বেসরকারি ও নির্বাচন কমিশনের ১০ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন।
কেসিসি নির্বাচনে এবার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি ভোটকেন্দ্র এবং ১ হাজার ৭৩২টি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে।
ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন ৫ হাজার ৭৬০ জন কর্মকর্তা।
কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন-আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা) ও জাকের পার্টি মনোনীত এসএম সাব্বির হোসেন (গোলাপফুল) এবং একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক (দেয়াল ঘড়ি)।
এছাড়া সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঁঞা বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া কমপ্লেক্স থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে সরঞ্জাম পাঠানো কার্যক্রম চলছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি অডিটোরিয়ামে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলছে, শেষ হবে শনিবার
রাত পোহালে বরিশাল সিটি নির্বাচন
নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, নির্বাচনে আসুন, অংশগ্রহণ করে আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আপনারা দশ শতাংশ ভোট পান কিনা সেটি পরখ করে দেখুন। দয়া করে নির্বাচনের খেলা থেকে পালিয়ে যাবেন না।
শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ ও সাবেক বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আলমের মৃত্যুতে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন আমরা ওয়াকওভার চাই না, নির্বাচনী খেলায় আপনারা আসুন, আমরা খেলে বিজয় লাভ করতে চাই, আওয়ামী লীগ খেলে আপনাদেরকে গোল দিতে চায়। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে পালিয়ে যেতে চান।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে নাকি আওয়ামী লীগ ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না। ১৯৭৯ সালের নির্বাচন সময়ে জিয়াউর রহমান আমাদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সেই নির্বাচনেও আমরা ৩৩-৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা আবার জনগণের ওপর হামলা পরিচালনা করবে। তারা জানে নির্বাচনে জিতবে না, এখন চেষ্টা করবে দেশে গন্ডগোল লাগানোর। গন্ডগোল লাগিয়ে দেশে একটা বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু জনগণ তাদেরকে সেই সুযোগ আর দিবে না।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনের নামে নতুন খেলা শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার আবারও নির্বাচনের নামে খেলা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘জনগণের এখন ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। আমরা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আমাদের ভোট দিতে পারিনি। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, আওয়ামী লীগ সরকার আবার নির্বাচনী খেলায় লিপ্ত হয়েছে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ‘ভয়ানক’ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন: ফখরুল
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় শ্রমিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেন।
ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ‘একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া ক্ষমতাসীন দলকে নির্বাচন করতে দেবে না।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: বিপিডিবি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, যাতে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানের সুযোগ তৈরি হয়। ‘এর অন্য কোন বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জোরপূর্বক ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষের সব অধিকার হরণ করেছে।
ফখরুল আরও বলেন, ‘এখানে জড়ো হওয়া শ্রমিক ভাইদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং তারা কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাবে খারাপভাবে সংগ্রাম করছে। কিন্তু যারা ক্ষমতায় আছে এবং যারা তাদের সঙ্গে আছে তারা অবৈধভাবে লুটপাট ও অর্থ উপার্জনে লিপ্ত। তারা তাদের অবৈধ অর্জিত অর্থ দেশ থেকে বিদেশে পাচার করছে।’
কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও তাদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি কর্তৃক সূচিত আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: ১৩ ও ১৬ জুন মহানগরীগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার সংসদে বলেছেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করায় কোনো সরকারি সংস্থা হয়রানির জন্য মামলা করবে না।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান (সিলেট-২) এর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
১১ দফা সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে কোনো সরকারি সংস্থার দ্বারা হয়রানির জন্য মামলা দায়ের না করা; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সমর্থক, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের হামলা প্রতিরোধ করা এবং এ ধরনের হামলা হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: কোনো মতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা যায় না: আইনমন্ত্রী
অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে সরকারের কাছে প্রস্তাবনা যাতে সব রাজনৈতিক দল অবাধে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারে; বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে সংবিধান ও নির্বাচনী আইন অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠদের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা; যোগ্য ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ; এবং দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ আইনানুগ প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বাকি সিদ্ধান্তগুলো হলো নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে এবং তারা যাতে নিষ্ঠার সঙ্গে ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া। নির্বাচন; ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী এলাকায় অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মোতায়েন করা; নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য নির্বাহী ও বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়ভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সবার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ, পর্যাপ্ত সংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি সংবাদ তথ্য অবাধে নিতে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকে সুযোগ-সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যেন সব ভোটার এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সকল প্রার্থীর সঙ্গে সমান আচরণ করবে, নির্বাচন কমিশনের আরও যোগ্য কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেবে, নিরপেক্ষ প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করবে যারা পক্ষপাতমূলক নির্বাচন থেকে মুক্তি দেবে এবং কর্মকর্তারা নির্বাচনী আইন ও বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে তা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন: আইনমন্ত্রী
বিএনপির কাছে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার বলেছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর সংলাপের বক্তব্যকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পরস্পরবিরোধী মন্তব্যও প্রকাশ করেছে যে সরকার এখন কেমন অস্থির হয়ে পড়েছে।
সংলাপে আমুর মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা তার মন্তব্য জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাই না। আমি এটা নিয়ে কথা বলতেও চাই না।’
বিকালে কয়েকজন সাংবাদিক ফখরুলের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমুকে আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক মুখপাত্র করা হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না। ‘আমরা কেন তার বক্তব্যকে গুরুত্ব দেব? আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
আরও পড়ুন: এটি জনবিরোধী, জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠনের জন্য তৈরি করা হয়েছে: ২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে নিয়ে বিএনপি
এর আগে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমু বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের দরজা খোলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চাই এবং দেখতে চাই পার্থক্য কোথায়।’
এদিকে বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আলোচনা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্য বেপরোয়া।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল হওয়ায় নির্বাচন নিয়ে আলোচনার প্রশ্নই আসে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমির হোসেন আমু গতকাল (মঙ্গলবার) বলেছেন, তারা জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। কিন্তু ওবায়দুল কাদের (আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক) আজ (বুধবার) তা প্রত্যাখান করেছেন। সুতরাং, কে সঠিক? আসলে, তারা (আ.লীগ নেতা) বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং বেপরোয়া মন্তব্য করছে।’
মোশাররফ বলেন, দলের সময় শেষ হওয়ায় আগামী দিনেও আওয়ামী লীগ অসংগঠিত থাকবে। ‘সময় শেষ হলে মানুষ অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করে।’
তিনি আরও বলেন, একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৮ জুন দেশব্যাপী বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি
বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের পরিণতি: ফখরুল