নির্বাচন
রাসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় ১৬ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় ১৬ নেতাকে শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সোমবার রাতে তাদের কাছে কারণ দর্শানোর এ নোটিশ পাঠানো হয়।
এর আগে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত রবিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা ও সদস্যসচিব মামুনুর রশিদের সই করা একটি চিঠি কেন্দ্রে পাঠানো হয়। এরপর কেন্দ্র এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া রাজশাহী মহানগর বিএনপির ১৬ নেতা হলেন- রাজপাড়া থানার সাবেক সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বদি (৬ নম্বর ওয়ার্ড), ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু বকর কিনু (১১ নম্বর ওয়ার্ড), শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি টুটুল (১৪ নম্বর ওয়ার্ড), সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সোবহান লিটন (১৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল হোসেন (১৬ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক রনি হোসেন রুহুল (১৬ নম্বর ওয়ার্ড), নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু (১৯ নম্বর ওয়ার্ড), ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা রিপন (২২ নম্বর ওয়ার্ড), বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলিফ আল মাহমুদ লুকেন (২৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ারুল আমিন আজব (২৭ নম্বর ওয়ার্ড), মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল হাসান বাচ্চু (২৮ নম্বর ওয়ার্ড)।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বরিশালে বিএনপির ১৯ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
এছাড়া নগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা বেগম বেলী (সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আলতাফুন নেসা পুতুল (সংরক্ষিত ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহার (সংরক্ষিত ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি শাহনাজ বেগম শিখা (সংরক্ষিত ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড), নগর মহিলা দলের ৪ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক আয়েশা খাতুন মুক্তি (সংরক্ষিত ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড)।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা জানান, দলীয় সিদ্ধান্তর বাইরে গিয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের নাম ও পদবিসহ চিঠি পাঠানো হয়েছিল। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের শোকজ করেছে।
তিনি বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের শোকোজের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এতে তারা যদি আত্মপক্ষ সমর্থন করে চিঠির জবাব দেন, তাহলে কেন্দ্রীয় কমিটি তা বিবেচনায় নেবে। তারা যদি উত্তর না দেন তাহলে তাদের বহিষ্কার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: বিএনপির ৮ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার
সিলেট সিটি নির্বাচন: বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ৪১ নেতাকর্মীকে শোকজ
নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের আলোচনার ইঙ্গিত আমির হোসেন আমু’র
আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু মঙ্গলবার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্দোলনে থাকা বিএনপির সঙ্গে সরকারের আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আলোচনা বাদে অন্য কোনো পন্থায় সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। আর অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় আসার পাঁয়তারা করলে প্রতিরোধ করবে জনগণ।’
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দেশবিরোধী দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৪ দলের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন।
নির্বাচনি সমস্যা সমাধানে বিএনপির সঙ্গে সরকার আলোচনা করতে রাজি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির সামনে বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে রাজনৈতিক সংকট ও আগামী নির্বাচনের সুরাহা করতে চায় আওয়ামী লীগ বলে জানিয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আমুই হলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র
আমির হোসেন আমু বলেন, সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা। বিএনপির সঙ্গে যেকোনো আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দ্বার সবসময় খোলা আছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভিসানীতির ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশটির নানামুখী তৎপরতা চোখে পড়ার মতো।
মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে।
পাশাপাশি তিনি বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও। দুই দিন আগে তিনি বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: ঈর্ষা করে বিএনপি নানা কথা বলছে: আমু
বাংলাদেশের সম্পদের ওপর বিদেশিদের লোভ দীর্ঘদিনের: আমু
সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকর্মীকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মো. ছালাহ উদ্দিন রিমনও রয়েছেন। বাকীদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ কাউন্সিলর ও চারজন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।
সোমবার (৫ জুন) রাতে কেন্দ্র থেকে সিলেট মহানগর বিএনপির কাছে বহিষ্কারের আদেশ আসে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, সিলেট সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ৪৩ জনকে বিএনপি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৪১ নেতাকর্মী প্রথমে দল শোকজ করেছে। কিন্তু তারা শোকজের কোনো জবাব দেননি। এরপর কেন্দ্রে আরও দু’জনের নাম পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সিলেটের ৪৩ নেতাকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আপনি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা করছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক নয়। আপনার নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গত ১৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে করা গুম, খুন ও সরকারি পৈশাচিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে এমন পরিবারসহ গণতন্ত্রকামী জনগোষ্ঠীর আকাঙ্ক্ষার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আজীবন বহিষ্কারর করা হলো। এবং গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাসে আপনার নাম একজন বেইমান, বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর হিসেবে উচ্চারিত হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেটে সেনা সদস্যের মৃত্যু: সিসিকের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আজীবন বহিস্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন মেয়র প্রার্থী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য ছালাউদ্দিন রিমন।
সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বহিস্কৃত হয়েছেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদি (১নং ওয়ার্ড), মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম (৬নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম মুনিম (১৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল (১৮নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব তুহিন (২১নং ওয়ার্ড), মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ (২৫নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক উসমান হারুন পনির, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুফতি কমর উদ্দিন কামু (১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু (৩নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. কামাল মিয়া (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী (৫নং ওয়ার্ড), আমিনুর রহমান খোকন (৫নং ওয়ার্ড), শাহেদ সিরাজ (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান জুবের (১০নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম মতছির (১১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান (১৫নং ওয়ার্ড), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সালমান চৌধুরী শাম্মী, ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রহমান মামুন (২৩নং ওয়ার্ড), এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা (২২নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির সুহিন (২৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সেলিম আহমদ রনি (২৬নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জাবেদ আমিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সানর মিয়া, টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানবীর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দুলাল আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন জয়, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল হাছিব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ সিকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা সাহেদ খান স্বপন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা ইউনুস মিয়া বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম মাসুম।
এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে বহিস্কৃত হয়েছেন- জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি রুহেনা বেগম মুক্তা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি কামরুন নাহার তান্নি (সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬)।
এর আগে গত শনিবার (৩ জুন) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী পৃথকভাবে এসব শোকজ নোটিশ ইস্যু করেছেন। শোকজ নোটিশে বলা হয়, ‘১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া দীর্ঘ প্রায় পাঁচবছর ধরে কারাভোগ করছেন। বিএনপি এই অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ দলের সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে দলীয় বড় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। সুতরাং কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার কারণ দেখিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।’
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু সিলেটে যারা দলের সিদ্ধান্ত আমান্য করে প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের বিএনপি আজীবন বহিষ্কার করেছে।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী হন বদর উদ্দিন কামরান; ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হন কারাগার থেকে। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে আছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ জুন পঞ্চমবারের মতো সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ প্রার্থীই বিএনপির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করতে সরকারের ‘ভয়ংকর মাস্টার প্ল্যান’: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার অভিযোগ করেছেন, সরকার বিরোধী দলগুলোর নেতাদের নির্বাচনের মাঠ থেকে সরাতে 'ভয়াবহ মাস্টারপ্ল্যান' নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যখন মৃত্যু ঘনিয়ে আসে এবং বেঁচে থাকার কোন আশা থাকে না, তখন অনেকেই বেঁচে থাকার জন্য কিছু একটা ধরে রাখার চেষ্টা করে। তাই, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সাজা তাদের (সরকার) পরিকল্পনার অংশ যে বাংলাদেশের রাজনীতিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া, রাজনীতিকে বিলুপ্ত করা। দেশ ও রাজনীতিবিদদের রাজনীতির মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে একাই নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা পার করুন।’
এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা বলেন, তারা শুনেছেন যে সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের নেতাদের কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রায় ১ হাজার ৩৫০টি মামলা নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মামলার আসামি বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা। তারা (সরকার) এখন এই ভয়ানক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
ফখরুল বলেন, সরকার ভাবছে বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার ও সাজা হলে তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কথা বলেন যেহেতু তারা তাদের ইচ্ছানুযায়ী জাতীয় সনদ সংশোধন করে একতরফা খেলা এবং একা গোল করার সুযোগ তৈরি করেছেন। ‘তারা কোনো প্রতিপক্ষ ছাড়াই (নির্বাচনের নামে) খেলার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকবে। তারা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।’
বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার শুনানি এবং দলের নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমানুল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের পৃথক দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।
ফখরুল বলেন, ২০০৭ সালে তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলায় আসামিদের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের সুযোগ না দিয়ে হঠাৎ করেই শুনানি শুরু হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এখন খুব দ্রুত প্রতিদিন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে এবং রাত পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করি এর মাধ্যমে দেশের বিচার বিভাগের কফিনে পেরেক ঠেকানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
বিষয়টি নিয়ে ঢাকার বিশেষ আদালতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা কথা বলার চেষ্টা করলে ফখরুল বলেন, সেখানে তাদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
‘তারা (বিএনপিপন্থী আইনজীবী) ক্ষমতাসীন দলের আইনজীবীদের ওপর হামলা চালায় যখন পুলিশ বেআইনিভাবে আদালতে ঢুকে তাদের ওপর নির্যাতন চালায়। তাহলে আমরা কিভাবে বলবো, এ দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সুযোগ আছে? আমরা কিভাবে বলবো যে বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার আছে, জনগণের ভোটের অধিকার আছে, সাংবাদিকদের লেখার অধিকার আছে এই দেশে? তিনি প্রশ্ন করেন।
বিএনপি নেতা সরকারকে সতর্ক করে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের দলের চলমান আন্দোলনকে কোনো কিছুই দমন করতে পারবে না। তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করে কারাগারে রেখে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। জনগণ জেগে উঠেছে এই শাসককে পরাজিত করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব নয়।‘আমরা সরকারকে বলতে চাই যে এখনও সময় আছে। সুতরাং, অশুভ খেলা পরিহার করে এবং জনগণকে প্রতারণা ও নির্যাতনের পথ থেকে সরে সরল পথে আসুন...দেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
বিএনপি নেতা টুকু ও আমানের বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, একই ধরনের মামলায় ক্ষমতাসীন দলের নেতা প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না এটা এখন বাস্তবতা।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে দেশের সংবিধান অনুযায়ী তা গ্রহণ করা হবে না।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সত্য এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে নির্বাচন কখনই সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হতে পারে না এবং আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষ কখনই তাদের মতামত প্রকাশ করতে এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার কোনো স্থান নেই, এটি সারা বিশ্বে এখন স্বীকৃত।
তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণরূপে স্বৈরাচারী শাসকের হাতে, তাই গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা তাদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য এখানে সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
ফখরুল বলেন, সারা বিশ্বে যারা স্বাধীন সংবাদপত্র, গণতন্ত্র এবং ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, , তারা সবাই এক বাক্যে বলছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মুক্ত সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, কারণ ভিন্ন মতামত সহনশীল করার মানসিকতা সরকারের নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (সরকার) একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ও তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে জনগণের ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার এবং বাঁচার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।’
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে: ফখরুল
আগামী নির্বাচন নিয়ে সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত মার্কিন ভিসা নীতির কারণে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে।
সোমবার এক আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, তাদের দল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চায়।
মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আ.লীগ) ভিন্ন মোড়কে আবারও একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাত্র কয়েকদিন আগে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা খুব উত্তেজনায় কাঁপছিলেন। কিন্তু এখন তাদের উত্তেজনা কমতে শুরু করেছে। তাদের সুর নেমে এসেছে। তারা এখন বলছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে, কারণ তারা অশান্তি চায় না।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
এর আগে রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আর কোনো অস্থিরতা ও সংঘাত চায় না; বরং জনগণের জীবনমান উন্নত করতে চায়।
ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলের বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে সহিংসতার উস্কানি দিচ্ছে। তবে আমরা (বিএনপি) তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন করে আসছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে।
আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে বলে তাদের দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এই বিএনপি নেতা।
বিএনপি নেতা বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবিকে প্রতিফলিত করে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, কারণ দেশের জনগণ আপনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় যে দলীয় সরকারের অধীনে; বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেখার নতুন কিছু নেই, কারণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে যা ঘটেছে তা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চাই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা সেই ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে চাই যেখানে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, তারাও চান একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত হোক, যাতে জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
বিভিন্ন অপপ্রচার ও সহিংসতা চালিয়ে সরকারের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যও বিএনপি নেতা তার দলের সহকর্মীদের সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) তাদের করা অগ্নিসংযোগের সহিংসতার পরে আমাদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। অতীতেও তারা একই কাজ করেছে। তাই সবাইকে খুব সাবধানে থাকতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, এটা আশ্চর্যজনক। ‘আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পিছনে কী জাদু আছে? লোকে বলছে চোরেরা সেই টাকা ফেরত আনছে, যেগুলো তারা চুরি করে আমেরিকা পাচার করেছিল।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের এয়ারবাস কেনার সিদ্ধান্তের মূল কারণ কমিশন: ফখরুল
আন্দোলন দমন করতে সরকার সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বিএনপি এখন গভীর অবসাদে নিমজ্জিত। তাই বিএনপি আন্দোলনের পথ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক বলে গণ্য হবে না, যা গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থী বলে বিএনপির প্রচারণা ভেস্তে গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে বিএনপির নির্বাচন বয়কটের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপির অগ্নিসংযোগ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের বিদেশি প্রভুদের খুশি করতে লাখ লাখ ডলার খরচ করে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে। তাদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে।
বিদেশি প্রভুদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেয়ে তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির আলোকে সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নতুন নাটকের ষড়যন্ত্র করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে: তথ্যমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে।
দলের সকল কর্মকাণ্ড জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে সম্পৃক্ত করে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিক্রি করে বিএনপি যতই বিদেশি প্রভুর প্রতি অনুগ্রহ করবে ততই জনশত্রু হয়ে যাবে।
আ.লীগ নেতা বলেন, জনগণ বিভ্রান্ত হবে না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন বিএনপি নেতারা যতই চেষ্টা করুক না কেন, এদেশের মানুষ তাদের অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হবে না, কারণ বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ; যিনি উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।’
আরও পড়ুন: আ.লীগকে বিদেশিদের কাছে আগ্রাসী হিসেবে তুলে ধরতে চায় বিএনপি: কাদের
অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যাপক পরাজয়ের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ
কয়েকটি বিরোধী দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি এমন এক সময়ে বর্তমান সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছে,যখন তারা আরেকটি অগ্রহণযোগ্য উচ্ছ্বাস পোষণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে।
রবিবার রাজধানীর মালিবাগে রোডমার্চ কর্মসূচির আগে তারা আরও বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যাপক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
তারা বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ সাল থেকে জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি শুধু এই সরকারের কারণেই দেশের মানুষের মুখে চুন ঢেকে দিয়েছে।
জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই ভিসা নীতি সরকারের নীতিনির্ধারকদের হৃদয়কে নাড়িয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি 'প্রহসনমূলক' নির্বাচন করতে চায়।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, 'আওয়ামী লীগের নেতারা এখন বুকে দুঃখ-বেদনা নিয়ে হাসছেন এবং বলছেন,এই ভিসা নীতি বিরোধীদের জন্য। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ভরাডুবির সম্মুখীন হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১৪ দফা দাবিতে মালিবাগ রেলগেট থেকে বাড্ডা অভিমুখে পদযাত্রা করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
নেতারা আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ৭ মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, কারণ তারা উপলব্ধি করতে পারে যে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ভোট জালিয়াতির চেষ্টা করছে। 'বিশ্বের কোনো দেশই এখন এই সরকারকে বিশ্বাস করে না'
তারা বলেন, ১৪ দফা দাবি আদায়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আগামী ৪ থেকে ৭ জুন ঢাকা থেকে দিনাজপুর অভিমুখে রোডমার্চ করবে জোট। আগামী ৪ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই রোড মার্চ শুরু হবে। ঈদুল আজহার আগে আন্দোলনকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমরা ধারাবাহিকভাবে আরও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। 'আমি বিশ্বাস করি আমরা বিজয়ী হব'
মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের কারচুপির চেষ্টা ব্যর্থ করতে গোপনে কাজ চলছে।
মান্না বলেন, ভোট কারচুপি, জালিয়াতি, প্রতারণা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। আপনাদের (সরকারকে) এখনই যেতে হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে বিরোধী দলগুলো বিপাকে পড়েছে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের করা মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ভেসে যাবে। দেশের জনগণকে বোকা মনে করে তারা এ ধরনের মন্তব্য করছে।
সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সিইসি’র
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের দিন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় রেখে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
রবিবার বিকালে বরিশাল সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বরিশাল সিটি নির্বাচন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই সভা হয়।
এসময় সিইসি বলেন, জেলা প্রশাসন, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কমিশনারকে বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ, সিটি করপোরেশন এলাকাতে পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া থাকে। অনেকটা যৌথ ভূমিকা পালন করতে হবে। সেটা আমাদের নির্বাচনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এছাড়া র্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটা একটা সামগ্রিক সমন্বিত প্রয়াস। তাই সকলকেই কিন্তু এই কর্মযজ্ঞে গুরুত্ব সহকারে অংশগ্রহণ করতে হয়।
আরও পড়ুন: সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বরিশালে সুষ্ঠু নির্বাচন চান সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে তুলে আনা কাজটি সহজ নয়। যদিও একদিকে কাজটি সহজ, ভোটাররা যাবেন ভোট দেবেন, ভোট শেষ হলে ভোট গণনা হবে, ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু টোটাল আয়োজনটা বেশ কষ্টসাধ্য। কারণ যেকোনো আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে সবাই কাজ করছেন কিনা সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপক্ষে ভোটের জন্য এই জিনিসগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। সেগুলো নিশ্চিতের জন্য মতবিনিময় করেছি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম, বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
বরিশাল সিটি নির্বাচন: ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৬
গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, গাজীপুরের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গাজীপুরে সুষ্ঠু সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, আমরা সেটিই চেয়েছিলাম। আমরা আগের মতো আবারও জাতিকে দেখিয়েছি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনকে বিএনপি ব্যাহত করতে পারবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না, আগামী নির্বাচনকেও ব্যাহত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ২-৩ দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। তারপরও বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবেলা করবে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হওয়ারও কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা যেটি চাই- দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন, সেটিই যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে দেখতে চায়। এক্ষেত্রে বিএনপিই মূল বাধা। আন্দোলন করে, সন্ত্রাস করে বিএনপি নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, বানচাল করতে চায়। বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছিল। সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে পার্বত্য চট্টগ্রাম: কৃষিমন্ত্রী