নির্বাচন
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নজিবুল বশর ভাণ্ডারী
চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও বর্তমান এমপি নজীবুল বশর মাইজভাণ্ডারী নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে ফটিকছড়ি মাইজভান্ডার শরীফের রহমান মঞ্জিলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নৌকাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন নজীবুল বশর।
আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ফুল প্রতীক নিয়ে তরিকত ফেডারেশন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমি চারবারের মধ্যে ৩ বার নৌকা প্রতীক এমপি নির্বাচিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বার বার সন্মানিত করেছেন। যেহেতু ১৪ দলীয় জোট নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ফটিকছড়িতে নৌকার প্রতীকের সমর্থন পূর্ণব্যক্ত করেছেন সেহেতু উনার প্রতি সন্মান জানানো আমার নৈতিক দায়িত্ব। তাই এখন ফটিকছড়িতে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করা সমীচীন মনে করছি না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির ১০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, আমি যদি নির্বাচনের মাঝে থাকি ভোটের যে সমীকরণ হবে সেখানে আমার প্রাপ্ত ভোটের কারণে নৌকার বিজয় বাধার কারণ হতে পারে আমি মনে করি।
‘তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৪ দলীয় জোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সন্মান জানিয়ে ও ফটিকছড়ির সার্বিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার নিমিত্তে আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের প্রার্থী থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম। আমি ফটিকছড়িবাসীর সঙ্গে সবসময় পাশে ছিলাম এবং থাকব।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পর তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নে উত্তর দেবেন না বলে জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের এক সমর্থককে সদরের মুন্সীকান্দি গ্রামে গুলি করে হত্যা ও আরেকজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি গ্রামের নৌকার ক্যাম্পে এই হামলা হয়। এতে নৌকার সমর্থক ডালিম সরকার (৩৫) গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সোহেল মিয়া নামের আরেক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের হাজী মো. ফয়সাল বিপ্লব সর্মথকরা এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি নৌকা সর্মথকদের।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
হামলায় আহত সোহেল মিয়া বলেন, ‘আমরা নৌকার ক্যাম্পে অবস্থান করছিলাম। রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারীর ভাই শিপন পাটোয়ারীর নেতৃত্ব একটি দল ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এ সময় আমরা গুলিবিদ্ধ ডালিম সরকারকে বাঁচাতে গেলে আমাকে পিটিয়ে আহত করে৷ তাই তাকে হাসপাতালে নিতেও দেরি হয়।’
স্থানীয়রা জানান, ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল নৌকার ক্যাম্পে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় পুরো ইউনিয়নজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নয়নশীল ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর ৫নং ওয়ার্ডে আয়োজিত জনসভায় সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোমেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন এই দেশকে বিক্রি করবেন না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সিলেটে সড়ক, রেলপথ, বিমানবন্দর, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছে। সিলেট নগরীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধার মানোন্নয়নে ইতোমধ্যে আরও অনেক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি দেশের কল্যাণ, অগ্রগতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, নগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জুবের খান, সৈয়দ মাহমুদুর রহমান, শাকিল তালুকদার, রিপন হাওলাদারসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার প্রবাসীবান্ধব: মোমেন
উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
নির্বাচনের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সোনিয়া হাসানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৫ বছরের শিক্ষা ছুটি নিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়াই ৯ বছর পর দেশে জাবি শিক্ষক
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সারাদেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা সরকারের
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
জীবন নাশের হুমকি, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাপার প্রার্থী
জাতীয় পাটির (জাপা) কেন্দ্রীয় নেতা ও দলীয় প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে গাইবান্ধার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
আতাউর জানান, সমর্থকদের মারধর, নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও চিহ্নিত মহলের হুমকি এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জাতীয় পাটি থেকে আতাউর রহমান সরকারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
নিয়মানুযায়ী তিনি নির্বাচনী প্রচার চালাতে থাকেন। আর মাত্র তিন দিন পর নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে তিনি পাড়া মহল্লায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
কিন্ত ইদানিং তার নির্বাচনী অফিসে হামলা, ভাঙচুর, নেতা-কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে তাকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। মিথ্যা মামলায় জড়ানোসহ জীবন নাশের হুমকিও দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এসব কারণে তিনি তার জীবনে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন। তার জীবন রক্ষার তাগিদে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন।
এক প্রশ্রে জবাবে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো মামলা দায়ের করেননি। সময় হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
‘প্রহসনের’ নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না: মঈন খান
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. আব্দুল মঈন খান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণকালে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করাই একমাত্র লক্ষ্য: মঈন খান
তিনি আরও বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দমন-পীড়ন চালিয়ে সরকার বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাকে জিজ্ঞেস করে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আমরা কী করব? আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সরকারকে বুঝতে হবে যে ২০২৪ ও ২০১৪ একই নয়। এবার এমন হবে না যে, তারা (সরকার) ভুয়া ও বিদ্বেষমূলক নির্বাচন করে আবারও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা নিশ্চিত করবে।’
বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তাদের রক্ত দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি রাজপথে বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড মোকাবিলা করে দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন বলেন, প্রার্থীরা যেদিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সেদিনই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘কে কোন আসনে এমপি হবেন তা সরকার এরই মধ্যে ঠিক করে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভুয়া নির্বাচনের ভুয়া ফলাফল নিয়ে একদলীয় সংসদ ও সরকার গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে তারা প্রহসন ও নাটক করছে। দেশের বাইরের সব নামকরা গণমাধ্যম এক বাক্যে বলছে, বাংলাদেশে যে নির্বাচন হচ্ছে তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ বর্তমান সরকার এর মাধ্যমে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায়।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে: ড. মঈন খান
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, তাদের দল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন দেখতে চায়।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি লগি-বৈঠা দিয়ে সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা কখনই সংঘাতের রাজনীতি এবং অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণ শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশে পরিবর্তন আনুক, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করুক।’
ড. মঈন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের বিএনপির আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
এদিকে সকালে রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনি বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ৭ জানুয়ারি জোরপূর্বক একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
তিনি বলেন, ‘এই একতরফা ডামি নির্বাচনকে না বলার জন্য আমি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ৭ জানুয়ারি কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। আমাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য আমরা তাদের (আওয়ামী লীগ) প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি।’
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার আরও লুটপাট ও দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নির্বাচন আয়োজন করছে।
যুবদল নেতা আসিফুর রহমান বিপ্লবসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: সরকার ক্ষমতাকে অন্যায় ও অগণতান্ত্রিকভাবে দীর্ঘায়িত করতে চায়: মঈন খান
চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই প্রার্থী।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী রবিউল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। যদিও এর দুদিন আগে মৌখিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সাংবাদিকদের জানান দুই প্রার্থী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করে প্রার্থীরা জানান, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেন। সেই সঙ্গে তারা প্রার্থীদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন ও যোগাযোগ রাখছেন না।
দলের শীর্ষ এই দুই নেতা এই বার বার প্রার্থীদের বিপদে ফেলে সরকারে কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অবিযোগ করেন তারা।
এসব কারণে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
তারা বলেন, দলের হাই কমান্ড ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ভোটারদের কাছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের হেয় ও নিন্দিত করছেন।
একই সঙ্গে অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বলে জানান দুই প্রার্থী।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এবারের ভোট কেমন হচ্ছে, তা তো জানছেন। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আর মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না। কেবল মনোনয়ন দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন। দল থেকে কোনো নির্বাচনের একটি টাকাও দেয়নি। আমি ২০০১ সাল থেকে নির্বাচন করছি। আমি বলতে পারি, আমি দলকে টাকা দিয়েছি, দল আমাকে টাকা দেয়নি।’
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
তিনি বলেন, ‘২৬ জনকে নিয়েই ব্যস্ত নেতারা। আর আমরা ২৫৭ জন পড়েছি মহাবিপদে। এবারের ভোট অন্য রকম। টাকা ছাড়া কেউ কথা বলছে না। দৈনিক কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেখানে আমার যতটুকু ছিল খরচ করেছি। এখন আর পারছি না। তাই সরে দাঁড়ালাম।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা প্রার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টির ভোটারদের কোনো বিধি নিষেধ নেই। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। জাপার প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস খোকন, জীবননগর উপজেলার সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রশীদ হানেয়ারসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শুনানি গ্রহণ শেষে সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর ১ ও ২ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বৈধ: হাইকোর্ট
আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ জানান, রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেন অনুযায়ী নির্বাচন করতে বাধা নেই। ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
গত ২৯ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই তফসিল স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাত জনকে বিবাদী করা হয়।
জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় ১৫ নভেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে রিটে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের আরজি জানানো হয় রিটে। রিটে রুল শুনানি বা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের নিয়মে অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের আদেশও চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ এখনো বহাল। পাঁচ বছরের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। এই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে তখন দুটি সংসদ হবে। অর্থাৎ সংসদ সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০০।
অথচ সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে আছে যে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী নির্বাচিত ৩০০ সদস্য নিয়ে সংসদ গঠিত হবে। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর।
তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে। এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। এ রিটের উপর গত ৪ ডিসেম্বর শুনানি হয়। সোমবার রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ (সামারালি রিজেক্ট) করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন চান তিনি এবং দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এটি মাইলফলক স্থাপন করবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং তাদের বিজয়ী করবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
বুধবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলায় দলের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
আরও পড়ুন: বিএনপি মানুষ পোড়ায়, বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই তাদের: বরিশালে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই নির্বাচন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রার পথ প্রশস্ত করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘কারণ অনেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক খেলা খেলতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা জয় বাংলা স্লোগান ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে, তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে।
তিনি বলেন, ‘তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। সুতরাং আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, কেউ যেন আর এ ধরনের খেলা খেলতে না পারে তা নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।‘এখানে, কেউ কাউকে প্রতিরোধ করতে পারে না। আমি কোনো ধরনের সংঘাত চাই না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, 'আমি যাকে চাই তাকে ভোট দেব’।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সুতরাং দয়া করে আপনার পছন্দ মতো ভোট দিন, তবে আমি কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে এবং সবাইকে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।’
সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ‘আমাদের সেই পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রেললাইনসহ বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য তিনি আবারও বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের জবাব দিতে হবে বাংলাদেশের জনগণকে।
তিনি বলেন, '৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা সফল হব এবং জনগণই বিজয়ী হবে।’
বিএনপি-জামায়াতের নৃশংসতার উপযুক্ত জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে দলের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেওয়া জরুরি। এটাই আমরা চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় সব আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে এবং মনোনয়ন না পাওয়া দলের প্রার্থীদের জন্যও প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্ত করা হয়েছে।
পরে তিনি গাইবান্ধা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলা এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে বলেই নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেখানেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, সেখানেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা তাদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।
কাদের আরও বলেন, ‘বিশ্ববাসী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। যেখানে জনমত বিজয়ী হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তারা এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। তারা ব্যর্থতা ও ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। এখান থেকে তারা বের হতে পারছে না। তাদের নেতিবাচক কর্মসূচি, নাশকতা, অবরোধ জনগণ অগ্রাহ্য করেছে। বিএনপি সহিংসতা করবে না বললেও সেটা সত্যি কথা কি না সেটা বলার সুযোগ নেই। কারণ তারা বলে একটা, করে আরেকটা। খবর পাচ্ছি তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দ্বিমুখী ভূমিকার সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনুসের মামলার রায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে সে বিষয়ে কেন কথা বলছে না। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের