কর্ণফুলী
চট্টগ্রামে বাস-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও দুই ছেলে নিহত
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড়উঠানে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে মা ও তার দুই ছেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে দুইজন এবং ঘটনাস্থলে একজন মারা যান।
এর আগে রাত ৮টার দিকে (আনোয়ারা থানাধীন) কর্ণফুলী বড়উঠান ইউনিয়নের ডাকপাড়া এলাকার পিএবি সড়কে এ দুঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, যে এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে তা আনোয়ারা থানায় পড়েছে। আমরা লাশ আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। তবে নিহত নারী ও তার দুই ছেলের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কাভার্ডভ্যান-পিকআপ সংঘর্ষে দম্পতিসহ নিহত ৩
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মইজ্জ্যারটেক থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনীর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই ওই নারী নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, এ সময় নারী ও শিশুসহ আরও তিনজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার পর এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে বড়উঠান রাস্তার মাথা এলাকায় বাসটি স্থানীয়রা আটক করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
দুর্ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মঞ্জুর আলম নামের স্থানীয় একজন জানিয়েছেন, নিহতদের একজন মা, অন্য দুইজন তার ছেলে। আহত অন্যজন তার মেয়ে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেলে আনা হলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। তাদের মধ্যে একজনের নাম মানিক। মানিকের বয়স ১৭ বছর। অন্যজনের নাম জানা যায়নি, তার বয়স আনুমানিক ২৩ বছর।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে পিকআপভ্যান-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
বাংলাদেশ নৌবাহিনী 'ক্রেতা' থেকে 'নির্মাতা' হতে চলেছে: প্রধানমন্ত্রী
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সততা, নেতৃত্ব এবং আত্মত্যাগের গুণাবলিতে উৎসাহিত হয়ে আপনাদের সর্বদা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার পাশাপাশি যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে।বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির (বিএনএ) মিডশিপম্যান ২০২০ আলফা ব্যাচ এবং ডিরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২২ ব্রাভো ব্যাচের উত্তীর্ণ ক্যাডেটদের প্রেসিডেন্ট প্যারেডে ভাষণ দিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সর্বদা জনগণের পাশে থাকে এবং দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই আমাদের কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুক।’
গ্র্যাজুয়েট অফিসারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় আপনারা আমাদের নৌবাহিনীর ভবিষ্যত নেতৃত্বদানকারী।
তিনি তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এবং শৃঙ্খলা ও সততার অনুভূতিতে সজ্জিত হয়ে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে বলেছিলেন।
আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণ করছে উল্লেখ করে
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে সক্ষম করার লক্ষ্যে তাদের আধুনিকায়নের কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারও সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না, বরং সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে। ‘একটি স্বাধীন দেশ হওয়ায় আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান এবং উন্নত সরঞ্জামে সজ্জিত করতে চাই, যাতে আমরা বাইরের শত্রুদের যে কোনও আক্রমণ প্রতিহত করতে পারি এবং যে কোনও যুদ্ধে জয়ী হতে পারি।’
তিনি বলেন, তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিচ্ছে এবং এ লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ক্রেতা থেকে নির্মাতা হতে চলেছে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী সামরিক জাহাজ ও ব্যবস্থার নির্মাতা হয়ে উঠছে যা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব ব্যবহারের জন্য স্থানীয় শিপইয়ার্ডে জাহাজ নির্মাণ করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী খুলনা শিপইয়ার্ডে পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট এবং দুটি বৃহৎ পেট্রোল ক্রাফট নির্মাণের কাজ শেষ করেছে। তিনি বলেন, আরও পাঁচটি টহল কারুশিল্প তৈরির কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী তিন বাহিনীর জন্য আইএফএফ (বন্ধু ও শত্রুর পরিচয়) ব্যবস্থা প্রস্তুত করেছে। এখন নৌবাহিনী ‘ক্রেতা’ থেকে ‘নির্মাতা’ (সামরিক জাহাজ ও ব্যবস্থার) বাহিনীতে পরিণত হতে যাচ্ছে। এটি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে, স্থানীয় প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং দক্ষতা বাড়াবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের প্রথম টানেল।
তিনি বলেন, বিএনএস শের-ই-বাংলার নির্মাণ কাজ চলছে এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করেছে এবং এখন তা বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে চারটি ফ্রিগেট, ছয়টি করভেট, চারটি বড় পেট্রোল ক্রাফট, পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট এবং দুটি প্রশিক্ষণ জাহাজসহ মোট ৩১টি যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সংকটে মানুষ যাতে কষ্ট না পায় তা নিশ্চিত করুন: স্থানীয় প্রতিনিধিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি বলেন, সরকার দক্ষ কমান্ডো ও উদ্ধারকারী দল হিসেবে 'স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ কমান্ড' এবং নেভাল এভিয়েশন উইং প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ২০১৭ সালে দুটি সাবমেরিন যুক্ত করেছি। ফলস্বরূপ, আমাদের নৌবাহিনী আজ একটি ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজ, ফিশিং ট্রলার, নৌকা এবং ব্লু ইকোনমি-সম্পর্কিত মেরিটাইম প্রতিষ্ঠানকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের অবকাঠামো উন্নয়ন করছি। নৌবাহিনীতেও ডিজিটাল প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ নৌবাহিনী সম্প্রতি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে 'ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ-২০২২'-এর আয়োজন করেছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নৌবাহিনীর জন্য ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি জমকালো কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ২০২০ আলফা ব্যাচের মোট ৩৫ জন মিডশিপম্যানকে কমিশন দেয়া হয়, আর ২০২২ ব্রাভো ব্যাচের ছয়জন সরাসরি প্রবেশকারী কর্মকর্তা স্নাতক হন।
প্রধানমন্ত্রী দুই সেরা অলরাউন্ড মিডশিপম্যানকে সম্মানের তরবারি এবং সিএনএস স্বর্ণপদক এবং সরাসরি প্রবেশকারী সেরা কর্মকর্তাকে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সকল ধর্মীয় বিশ্বাস সমান অধিকার ভোগ করে: প্রধানমন্ত্রী
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ পাশের কাজ শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের সাধারণ কাজ সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার এ উপলক্ষে সেতু বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন (গণভবন) থেকে যোগ দিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে এবং টানেলের উত্তর প্রান্তের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশের টানেল, যা কর্মসংস্থান, পর্যটন এবং শিল্পায়ন বৃদ্ধির সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধিতে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্ণফুলী টানেল চট্টগ্রামের যানজট পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটি পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হচ্ছে। টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তাদের মতে, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে আরও দুই মাস সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জি টু জি) যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘এক নগরী দুই শহর’ মডেল অনুসরণ করে নির্মিত এই টানেলটি উত্তরের বন্দর শহরটিকে দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।চীন এই প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমানে, টানেলের ভিতরে অগ্নিনির্বাপণ, আলো এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ৫২টি সেচ পাম্পও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে বর্ষাকালে পানির স্তর বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে টানেলটি আটকে না যায়, প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল সংলগ্ন দুটি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে। টানেলে একই সঙ্গে লাইট, পাম্প এবং ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে এবং একটি ৭৭২ মিটার ফ্লাইওভারও নির্মিত হয়েছে।
বর্তমানে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে।
কর্ণফুলী টানেল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের দুই পাশে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাগ্যের পরিবর্তনের সাক্ষী হতে শুরু করেছে।
কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যমতে, কর্নফুলীর দক্ষিণ তীরে অন্তত ১০টি বড় শিল্প গ্রুপ এবং ১৫০ জন ব্যবসায়ী বিভিন্ন সেক্টরে - বিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম, পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, মাছ প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত, সিমেন্ট এবং তেল শোধনাগার - কারখানা স্থাপনের জন্য অগ্রিম জমি কিনেছে।
টানেলটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে কর্ণফুলী টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
২০১৫ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাল্টি-লেন রোড টানেল প্রকল্পটি অনুমোদন করে এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নির্ধারণ করা হয়েছিল।পরবর্তীতে খরচ বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা করা হয় এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রকল্পের সর্বশেষ সংশোধনীতে ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং ব্যয় ১৬৪ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
২০১৩ সালে পরিচালিত জরিপ অনুসারে টানেল নির্মাণের আগে বছরে ৬৩ লাখ যানবাহন টানেল দিয়ে চলাচল করতে সক্ষম হবে। সে হিসাবে দিনে প্রায় ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলতে পারে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন কর্ণফুলী টানেল দিয়ে যাতায়াত করবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ (ফিশিং বোট) ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও দুই জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে সাত জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
শনিবার সকালে কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
মৃতরা হলেন-ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ চর আইসা গ্রামের আবদুল মোতালেব (৬০) ও জাহাজের গ্রিজার প্রদীপ চৌধুরী (৫৫)।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: সীতাকুণ্ডে আরও একজনের লাশ উদ্ধার
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক জানান, এফভি মাগফেরাত জাহাজ ডুবে আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার চারদিনের উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে কর্ণফুলী নদীর সি-রিসোর্সেস ডকইয়ার্ড ঘাটে প্রপেলার (পাখা) খুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীর ২ নম্বর বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর জাহাজে থাকা ১৬ জনের মধ্যে ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। সাত জন নিখোঁজদের মধ্যে আগে শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচ জন এবং শনিবার দু’জনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডদের উদ্ধার টিম।
কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: সীতাকুণ্ডে আরও একজনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ইছানগর এলাকায় ‘এফভি মাগফেরাত’ নামে জাহাজ (ফিশিং বোট) ডুবে নিখোঁজ একজনের লাশ সীতাকুণ্ড সাগর উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার ভাটিয়ারী অক্সিজেন রোডের পশ্চিমে সাগর উপকূলে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা লাশটি পুলিশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি, ক্যাপ্টেনসহ ৭ জন নিখোঁজ
বিষয়টা নিশ্চিত করে কুমিরা নৌ পুলিশের এসআই চান মিয়া বলেন, কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজের নিখোঁজদের একজনের লাশ ভাটিয়ারী সাগর উপকূল থেকে গাউছিয়া কমিটির সহযোগিতায় উদ্ধার করি।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি ওই জাহাজের সোহানী ছিলেন।
উদ্ধার হওয়া মো. মনির হোসেন (১৯) মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার খালিশা গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে কর্ণফুলী নদীর সি-রিসোর্সেস ডকইয়ার্ড ঘাটে প্রপেলার (পাখা) খুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীর ২ নম্বর বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবে যায়।
দুর্ঘটনার পর জাহাজে থাকা ১৬ জনের মধ্যে ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজদের মধ্যে আগে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: ক্যাপ্টেনসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার
কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: ক্যাপ্টেনসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরার ছোট জাহাজ (ফিশিং ট্রলার) ডুবে নিখোঁজ সাত জনের মধ্যে জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর মধ্যে দুটি লাশ ডক মেম্বার রহমত মিয়া এবং নিখোঁজ ক্যাপ্টেন ফারুক বিন আবদুল্লাহর বলে শনাক্ত করেছেন নৌ-পুলিশ। বাকি দু’জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি, ক্যাপ্টেনসহ ৭ জন নিখোঁজ
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, উদ্ধার কাজ এখনো চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামের সি রিসোর্স কোম্পানির জেটি এলাকায় এমভি মাগফিরাত নামে জাহাজেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যায়।
দুর্ঘটনার পর জাহাজে থাকা প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ সাত জন নিখোঁজ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেরামত করতে সি রিসোর্স কোম্পানির ডক ইয়ার্ডে তোলার সময় জাহাজেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে উল্টে অল্প সময়ের মধ্যে নদীতে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লাইটার জাহাজডুবি, ১২ নাবিক নিখোঁজ
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজডুবি: সীতাকুণ্ড থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার
কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি, ক্যাপ্টেনসহ ৭ জন নিখোঁজ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে একটি মাছ ধরার জাহাজ ডুবে ক্যাপ্টেনসহ সাতজন নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামের সি রিসোর্স কোম্পানির জেটি এলাকায় এমভি মাগফিরাত নামে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লাইটার জাহাজডুবি, ১২ নাবিক নিখোঁজ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেরামত করতে সি রিসোর্স কোম্পানির ডক ইয়ার্ডে তোলার সময় জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বয়ার সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে উল্টে অল্প সময়ের মধ্যে নদীতে তলিয়ে যায়। ঘটনার পরপর জাহাজে থাকা প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ সাত জন নিখোঁজ রয়েছেন।
উদ্ধার হওয়া নাবিকরা হলেন-জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোলাইমান, সহকারী প্রকৌশলী আসলাম, গ্রিজার মো. মনির এবং সেলার বশর, আনোয়ার, রাকিব, বাচ্চু ও সাইদুল।
নিখোঁজরা হলেন-ট্রলারের চিফ অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, স্কিপার ফারুক বিন আব্দুল্লাহ, গ্রিজার প্রদীপ চৌধুরী, ফিশ মাস্টার মো. জহির উদ্দিন, ডক মেম্বার রহমত মিয়া নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ অন্য জনের নাম জানা যায়নি।
সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, জাহাজ ডুবতে শুরু করলে প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ জনকে পাশ্ববর্তী নৌকার সাহায্যে উদ্ধার করে তীরে আনা হয়।
কিন্তু বাকিরা জাহাজের ভেতরে আটকা পরে। নিখোঁজদের উদ্ধার করতে ফায়ার সার্ভিস ও সদরঘাট নৌ-থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল যৌথভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্রোতের কারণে ডুবুরীরা কাজ করতে পারছে না। উদ্ধারকারী জাহাজ ও বিভিন্ন সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য ট্রলার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি।
তারা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলাপ করছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজডুবি: নিখোঁজ ৮
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজডুবি: সীতাকুণ্ড থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার
কর্ণফুলীতে জাহাজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ইঞ্জিন মিস্ত্রির মৃত্যু
চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট বাংলাবাজার এলাকায় জাহাজে কর্মরত অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. ইমাম হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ জুন) সকালে বারেক বিল্ডিং বাংলাবাজার জাহাজ ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমাম হোসেন ফটিকছড়ি উপজেলার রহমতপুর গ্রামের মো. ইউনুস ভান্ডারীর ছেলে। তিনি ওটি পলিকন পার্লস জাহাজের ইঞ্জিন মিস্ত্রি ছিলেন।সিএমপির পাঁচলাইশ থানার ওসি (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাটে নোঙ্গর করা ছোট জাহাজ ওটি পলিকন পার্লস-এ কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় ইমাম হোসেন। পরে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভৈরবে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু
কর্ণফুলীতে ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সাম্পান ডুবি, কিশোর নিখোঁজ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাত্রী বোঝাই সাম্পান উল্টে মো. সোহাগ (১৭) নামে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে।
শনিবার রাতে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের মেরিন ফিশারিজ ঘাট থেকে নদীর উত্তর পাড়ে আসার সময় সাম্পানটি নদীতে নোঙর করে থাকা এফভি পারটেক্স-১ এর সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় যাত্রীরা সবাই সাঁতার কেটে উঠতে পারলেও, নদীতে ডুবে যায় কিশোর সোহাগ।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখী ঝড়ে সন্দ্বীপে স্পিডবোট ডুবি, শিশুর লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে রাতে তাৎক্ষনিক নৌ পুলিশ টিম ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে ওই কিশোরে সন্ধান পায়নি। ফলে রবিবার দুপুর ১২টা থেকে ডুবুরি দল ফের নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে বলে জানান সদরঘাট নৌ থানার ওসি এবিএম মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, কিশোর সোহাগের বাড়ি কুমিল্লার লাকসামের কুলতি এলাকায়। তার বাবার নাম মো. করিম। সে বাবার সঙ্গে কর্ণফুলী এলাকা থেকে শহরে আসছিল। সাম্পান ডুবির খবর পেয়ে রাতে ফায়ার সার্ভিস ডুবরী টিম এবং আমরা যৌথভাবে তল্লাশি চালাই। কিন্তু নদীতে ভাটার টান থাকায় ছেলেটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রবিবার আবার অভিযান শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: ভোলায় মেঘনা নদীতে বালু বোঝাই বাল্কহেড ডুবি
সিলেটে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ আরেকজনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে মজুদকৃত ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বাজারের তিন গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সোমবার দুপুরে পাহাড়তলী বাজারের সিরাজ স্টোরে অভিযান চালিয়ে এসব তেল জব্দ করা হয়।
এর আগে, গতকাল রবিবার (৮ মে) চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকার কর্ণফুলী মার্কেটের একটি দোকানের মেঝের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা এক হাজার ৫০ বোতল সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছিল। পরে স্টোরের মালিক আব্দুল হালিমকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকরণ সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি ফখরুলের
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিকার অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ বলেন, সোমবার দুপুরে পাহাড়তলী বাজারের সিরাজ স্টোরের তিনটি গোডাউন থেকে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত বলা হবে।
ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান বলেন,‘আগের দামে কেনা এসব তেল বর্তমান বাজার দরে বিক্রির অপচেষ্টা করেছেন দোকান মালিক। আমরা এসব তেল জব্দ করেছি। তবে এখনও জরিমান করিনি। সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে জরিমানার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অভিযান এখনও চলমান।’
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল নিয়ে ডিলার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী