������������������-���������������������
২১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী ২১ জানুয়ারি ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানালেন জয়শঙ্কর
তিনি বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানী থেকে ১৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার পূর্বে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে (বিবিসিএফইসি) আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা চলবে ২১ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি। বাণিজ্য মেলা সাধারণত প্রতি বছর ১ জানুয়ারি শুরু হয়। তবে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে মেলা পিছিয়ে দেয় ইপিবি।
আরও পড়ুন: শীতে দরিদ্রদের দুর্ভোগ কমাতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। প্রবেশ মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
সাধারণ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ফার্মগেট ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি
মেলায় ২৩টি প্যাভিলিয়ন ও ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়নসহ মোট ৩৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১৫টি ফুড স্টল। যথারীতি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
বড়দিন উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ শামসুর রহমান জানান, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে সরকারি ছুটির কারণে আজ সারা দিন দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়ছে। আগামী মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টে যাত্রী যাতায়াত অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস হাউসের কার্গো শাখায় কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা কলিম উল্লাহ বলেন, খ্রিস্টানদের বড়দিন উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল বন্দরে পণ্য আনলোড করে ভারতীয় খালি ট্রাক ফিরে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে চারমাসে ভারতের সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি ৩১৩ কোটি
আগামী দশকের কৌশল হবে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, প্রযুক্তি ও জটিল দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ: বিজিএমইএ পরিচালক
বিজিএমইএয়ের পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেছেন, বিশ্ব বাজারের অর্থনৈতিক মন্দা, ভূ-রাজনৈতিক সংকট, বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন, জলবায়ু কর্মকাণ্ড এবং ইএসজি অগ্রাধিকার এবং সরবরাহ চেইন বা ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট আগামী বছরে প্রধান সমস্যা হতে পারে।
ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবেল বলেন, ‘আমাদের জন্য পরবর্তী দশকের কৌশলটি হবে পশ্চাৎপদ সংযোগ, প্রযুক্তি, জটিল দক্ষতা উন্নয়ন এবং টেকসই গতিতে বিনিয়োগ করা।’
তিনি বলেন, সবুজ রূপান্তরের উদ্যোগকে ত্বরান্বিত ও সমর্থন করতে হবে।
রুবেল তার ‘বিয়োন্ড চ্যালেঞ্জেস: কম্প্রেহেনসিভ রিক্যাপ অব বাংলাদেশ রেডি-মেড গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ইন ২০২৩’-শীর্ষক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘বৈশ্বিক হওয়া আমাদের পরবর্তী এজেন্ডা, যেখানে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস একটি কৌশলগত উপায় হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে এসএমইগুলোর জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা ২০২৪ সালে পদার্পণ করতে প্রস্তুত, একটি নতুন অধ্যায়ে শুরু করার জন্য প্রস্তুত; আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি ২০২৩ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক দ্বিগুণ চ্যালেঞ্জের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সত্ত্বেও আমরা সফলভাবে সেগুলো অতিক্রম করেছি এবং শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি।’
রুবেল বলেন, ‘শুধু ২০২৪ সালে নয়, আগামী দশকেও আমাদের অর্জনের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
পণ্য, ফাইবার ও বাজারের বহুমুখীকরণ এবং মূল্য সংযোজনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন এই সেক্টরের মূল সুযোগ।
রুবেল বলেন, ‘ব্যাকওয়ার্ড ও ফরোয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত আপ-গ্রেডেশন, ডিজাইন ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক সক্ষমতার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে।’
তৈরি পোশাক শিল্পের এই নেতা বলেন, অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে, কারণ উন্নত অর্থনীতিগুলোও মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার সঙ্গে লড়াই করছে। সেইসঙ্গে মহামারির সংকট এখনও আমাদের অর্থনীতিকে তাড়িত করছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মতো ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা প্রতিকূলতার একটি বাড়তি স্তর তৈরি করেছে।
মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ২০২২ সালে ৮ দশমিক ৮ শতাংশসহ রেকর্ডের শীর্ষে পৌঁছেছে, ২০২১ সালে যা ছিল ৪ দশমিক ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
এর প্রভাবে ২০২৩ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ অব্যাহত ছিল, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পোশাকের জন্য ভোক্তাদের চাহিদাকেও প্রভাবিত করেছে।
২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামগ্রিক আমদানি ১২ দশমিক ০৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ আমদানি হ্রাস রেকর্ড করা হয়েছে।
ফলে বাংলাদেশও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আমদানিতে ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং মার্কিন বাজারে ২৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হ্রাসের সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই চাপটি প্রধান পোশাক আইটেমগুলোর মূল্য নির্ধারণের গতিশীলতায় একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে আমাদের গড় ইউনিটের দাম উল্লেখযোগ্য ৭-৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প মূল্য সংযোজন পোশাক উৎপাদন শুরু করেছে, একটি কৌশলগত পদক্ষেপ যা আমাদের গড় ইউনিট মূল্য বজায় রাখার অনুমতি দিয়েছে।
একইভাবে, প্রতিকূলতার মধ্যে আমাদের সাফল্যের তালিকায় যোগ হয়েছে বেশ কিছু অর্জন।
ইউএসজিবিসির লিড প্রত্যয়িত সবুজ পোশাক কারখানার সংখ্যা ৭৬টি প্লাটিনাম রেটেডসহ ২০৬টিতে পৌঁছেছে।
অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০২২ সালে ডব্লিউটিও’র ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ’ অনুসারে, বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ারসহ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে র্যাংকিং পুনরুদ্ধার করেছে।
রুবেল বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর জন্য শীর্ষ ডেনিম-সোর্সিং দেশে পরিণত হয়েছে। এখন আমরা ইইউ বাজারে চীনের সবচেয়ে বড় পোশাক রপ্তানিকারকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিযোগিতায় আছি।
আরএমজি সেক্টরের উন্নতি অব্যাহত রয়েছে, গত অর্থবছর ২০২২-২০২৩ সালে ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এটি আমাদের আরএমজি উৎপাদনের ইতিহাসে একটি নতুন অর্জন, কারণ ৪০ বছরের যাত্রায় আমরা ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছি।
প্রধান বাজার ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অপ্রচলিত বাজারে আমাদের রপ্তানি ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে পদ্মাসেতু ও রেলওয়ে সেতু, মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু টানেল (কর্ণফুলী), ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩, মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
রুবেল বলেন, ‘বছরজুড়েই চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ আমরা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বর্ধিত দাম, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস এবং ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি।’
মার্কিন প্রকাশনা এবং ইউরোপীয় শ্রম নিয়ন্ত্রণের উপর বিশ্বব্যাপী মনোযোগ অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা জোর দিতে চাই এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখেও আমরা যেন শিল্পকে টেকসই করতে এবং আমাদের কর্মী ও সম্প্রদায়ের আরও ভালো যত্ন নেওয়ার জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিতে পারি।’
আরও পড়ুন: টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
আবারও হিলি দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় গত ১১ দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। রপ্তানি বিধি-নিষেধ শিথিল করায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারত থেকে প্রায় ৩০ টন পেঁয়াজবাহী দুইটি ট্রাক হিলি স্থল বন্দরের পানামা পোর্টের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করে।
নতুন করে আমদানির ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা জানান, ভারত সরকার হঠাৎ করেই গত ৭ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় হিলি স্থলবন্দরের মোকামে কেজিতে ১০০-১২০ টাকা করে দাম বেড়ে ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়। গত কয়েকদিন ধরে অবশ্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।
বন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকটের অজুহাত দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ৭ তারিখের আগে করা এলসির পেঁয়াজ রপ্তানি করার জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে চাপ তৈরি করা হচ্ছিল।
এমতাবস্থায় ভারত সরকার আগের এলসির পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত দিলে মঙ্গলবার থেকে দেশে আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আশরাফ আহমেদ
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ২০২৪ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফ আহমেদ।
জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিমার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক তালহা ইসমাইল বারী। আর সহসভাপতি হিসেবে পুণঃনির্বাচিত হয়েছেন হাইটেক স্টিল অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রাইভেট) লিমিটেড ও জাবের স্টিলের চেয়ারম্যান এবং জে এন কর্পোরেশন ও ট্রেড ল্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. জুনায়েদ ইবনে আলী।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বারের ৬২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আশরাফ আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান ডিসিসিআইয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল হাসান ফজলে রাব্বি।
ডিসিসিআইর নবনির্বাচিত অন্য পরিচালকরা হলেন- মো. সালিম সোলায়মান, মো. সিয়াম আল-দ্বীন মালিক, মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সাইফ, নাইমুর রহমান ও সাইফ উদ্দৌলাহ্।
আরও পড়ুন: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ
ঢাকা চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি আশরাফ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
ডিসিসিআইর নবনির্বাচিত জেষ্ঠ সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডন থেকে ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় স্নাতক এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
জুনায়েদ ইবনে আলী বাংলাদেশ সেকেন্ডারি কোয়ালিটি টিনপ্লেট ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস্ অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোরটার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেষ্ঠ সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন:সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারে ‘এসএমই উন্নয়ন বিভাগ’ চালু
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকন টাওয়ারে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ ও স্থিতিশীল মূল্যের বিষয়ে আলোচনায় ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
২০২৪ সালের ১০ মার্চ বিশ্বজুড়ে রমজান শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের প্রাণ, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। আর সে কারণেই দেশ এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘একটি শিল্প স্থাপনের জন্য ৪৩টি সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবুও ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এত কষ্টের পরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে পুরো ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বদনাম হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি
তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের তাতে আপত্তি রয়েছে, তাই এফবিসিসিআই সবসময় সুষ্ঠু ব্যবসার পক্ষে।
মাহবুবুল আরও বলেন, ‘যারা অনৈতিকভাবে বাজারে সংকট তৈরি করবে আমরা তাদের সঙ্গে নেই। আমরা ব্যবসায়ীদের অসৎ বা সিন্ডিকেট করার কোনো কথা শুনতে চাই না। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করুক। সমস্যা থাকলে সমাধান হোক। তবে আমরা কোনো বদনাম চাই না।’
তিনি বলেন, ‘এলসি খোলা নিয়ে জটিলতা রয়েছে, এই নিয়েই আমরা কথা বলছি। প্রয়োজনে আরও কথা বলব। তবে আমি মনে করি, বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, খেজুরসহ ফলমূলের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে এফবিসিসিআই আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য জেলা চেম্বারদেরও আহ্বান জানান মাহবুবুল।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী, সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, পরিচালক ও বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় কেজিতে দাম কমেছে ৪০ টাকা
নতুন উৎপাদিত মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসায় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সোমবার প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১৮০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগের দিন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ২১০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আড়তে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ৭১ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে।
যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টন বেশি।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সোমবার ইউএনবিকে বলেন, বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তাই অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আগের এলসি অনুযায়ী ভারত থেকে প্রায় ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসছে। এছাড়া বাজারে ওঠা নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাই এক সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নেমে আসবে।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা বশির উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, সোমবার বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে এবং আগের দুই দিনের তুলনায় দামও কমেছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন নতুন পেঁয়াজ আসার পরিমাণ বাড়ছে। কৃষকরাও এখন ভালো দাম পাচ্ছেন।
বশির আরও বলেন, অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুদ করার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান বাজারে পুরাতন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে সহায়তা করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়, যার ফলন হয় প্রায় ৮ লাখ টন।
এ বছর প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ রোপণ করা হয়েছে, যার ফলন প্রায় ৫০ হাজার টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই মুড়িকাটা ও গ্রীষ্মকালীন জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং এটি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাস পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
এরপর প্রধান জাতের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে এবং এ বছর উৎপাদন প্রায় ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন হতে পারে।
তিনি বলেন, এ বছর অনেক জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের পেঁয়াজের চাষ হয়েছে একারণে ফলন বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি আমদানি করা ৯০ টন পেঁয়াজ
সৌদি বিনিয়োগ দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ: সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আঞ্চলিক ব্যবসায়িক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চায় সৌদি আরব।
তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগেও উৎসাহী দেশটির ব্যবসায়ীরা। সৌদি আরবের এই বিনিয়োগকে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ হিসেবে দেখছে সরকার। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব উদ্যোগের ফলেই এ ধরনের বিনিয়োগ বাড়ছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে নির্বাচন থামানো যাবে না: সালমান এফ রহমান
সকালে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের পর দুপুরে অনির্ধারিত সফরে বিশেষ বিমানে সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী এবং রেড সি গেটওয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রামে যান প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বন্দর নগরীতে এসে সরাসরি পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে যায় এই প্রতিনিধিদল। ঘুরে দেখেন পুরো টার্মিনাল এলাকা।
পরে সাংবাদিকদের সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। প্রধানমন্ত্রী এই খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন সবসময়। সরকার ব্যবসা করে না, বরং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে– এটাই প্রমাণ করেছেন তিনি।
এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা মনে করেন, বিশ্ব বাণিজ্যে শক্ত অবস্থান নেওয়ার সুযোগ আছে বাংলাদেশের। বন্দরে বিদেশি বিনিয়োগ সেই সুযোগকে আরও প্রসারিত করবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভৌগোলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
এসময় পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের প্রশংসা করেন সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী।
এই অঞ্চলকে ঘিরে ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান রেড সি গেটওয়ের সঙ্গে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার বিষয়ে ২২ বছরের চুক্তি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ল্যান্ডলর্ড বন্দর ধারণার যুগে প্রবেশ করল চট্টগ্রাম।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
সরকার পরিবর্তন করতে হলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে: সালমান এফ রহমান
শ্রম আইনের সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে: বাণিজ্য সচিব
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) ও শ্রম আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় শ্রম অধিকার বাস্তবায়ন নিয়ে সোমবার সভা করেছি। আমাদের কতটা অগ্রগতি হয়েছে এবং আগামীতে আরও কী করতে হবে, তা নিয়েই কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে যেহেতু স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে, সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা অন্য দেশগুলো বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু অঙ্গীকার দেখতে চায়, সেগুলো বাস্তবায়ন নিয়েও আলোচনা করেছি।
বাণিজ্য সচিব আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের শ্রম আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ সেখানেও সংশোধনী আনা হয়েছে। সংশোধনী আনার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য ছিল। তাদের চাওয়াগুলো পূরণ করার জন্য এসব সংস্কার এনেছিলাম।
তিনি বলেন, গেল ১০ বছরে আমরা অনেক সংস্কার এনেছি। যে কারণে শ্রম আইনে তিনবার সংস্কার আনা হয়েছে। চারবার ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের শিল্পায়নের কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার নিয়েও সোমবার কথা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমরা ভালো অবস্থানে আছি।
কোথায় কোথায় সমস্যা আছে- জানতে চাইলে সচিব বলেন, আমাদের বাণিজ্যে যারা বড় অংশীদার, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২৫ বিলিয়ন ডলার আমরা রপ্তানি করি। শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করলেও সেখানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই না। বরং পৃথিবীর মধ্যে বলা যায় যে যুক্তরাষ্ট্রে আমরা অনেক বেশি শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করছি। কিন্তু তাদের কিছু দাবি আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনগুলো অনুমোদন করেছি, সে অনুযায়ী আমাদের শ্রম আইনে একটা ন্যূনতম থ্রেশহোল্ড আছে, একটি কারখানায় মোট শ্রমিকের ২০ ভাগ সদস্য যদি সংগঠন করতে চায়, তাহলে সেটা করতে পারবে। এটাকে ১০ শতাংশ করার দাবি তারা করেছিল, আমরা ১৫ শতাংশ করে দিয়েছি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বেপজা আইনের ক্ষেত্রে সংগঠন করার অধিকার আছে, কিন্তু আমরা সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন বলি না, আইনে সেটাকে বলা হয়েছে ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে তারা বলে যে ট্রেড ইউনিয়ন প্রবর্তন করতে হবে। বিষয়টি প্রায় একই। এখনও সংগঠন হচ্ছে, তখনও সংগঠন হবে। কিন্তু নামটি যেন শ্রম সংগঠন হয়। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বেপজা আইনটা সংশোধন করা হবে। সংশোধনটা কীভাবে হবে, সেটা সব অংশীজনদের মধ্যে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার: বাণিজ্য সচিব
তিনি বলেন, শ্রম আইনে মোটাদাগে দুটি জিনিস তারা দাবি করেছে। তারা চাচ্ছে বেপজাতে শ্রম সংগঠন করার অধিকার দিতে আর থ্রেশহোল্ডটা কমিয়ে আনা অর্থাৎ শ্রমিক সংগঠন করার অধিকার ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শ্রম অধিকার সংক্রান্ত সমঝোতায় যেসব ইস্যু ছিল, সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিকী মূল্যায়ন প্রতিবেদন, সেটা কিন্তু সবার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়েছে। সর্বশেষ ১২ থেকে ১৬ নভেম্বর একটা উচ্চ পর্যায়ের দল ঢাকায় এসে সব অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আর বাংলাদেশ যে সংস্কারগুলো নিয়ে এসেছে, সেগুলোর প্রশংসাও করেছেন।
সচিব বলেন, তারা বলেছেন আংশিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন তাদের চাওয়াগুলো আরও বেশি বাস্তবায়ন দেখতে চান। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশ যেহেতু শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়, সেহেতু তাদের চাওয়াগুলোকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিই। আমাদের মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশ যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নে যায়।
তপনকান্তি বলেন, আমাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল এই পাঁচ বছর মেয়াদি। সেক্ষেত্রে কিছু বাস্তবায়িত হয়েছে, কিছু বাস্তবায়ন হয়নি।
বেপজা আইনের সংশোধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অংশীজন যারা আছে, বিদেশি বিনিয়োগকারী সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করা হবে। এরইমধ্যে বেপজা আইনে অনেকগুলো সংশোধন আনা হয়েছে। এখন সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেবে, বিশেষ করে আইএলও আইনে ত্রিপক্ষীয়ভাবেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটাও সরকার, শ্রমিক ও মালিকপক্ষ মিলে ঠিক করবে, কীভাবে করা হবে। বেপজার শ্রমিক কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশনকে ট্রেড ইউনিয়ন করতে হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি।
এসব সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে কি না- জানতে চাইলে সচিব বলেন, তাদের চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে, যেমন বেপজা আইনে সংস্কার করা হয়েছে, শ্রম আইনটিই বেপজার মতো প্রযোজ্য হবে, বাংলাদেশের শ্রম আইনে সংশোধন আনা হয়েছে, এ অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে। এজন্য কয়েকদিন লাগবে, প্রস্তুতি নিতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন— শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এহছানে এলাহী ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: চিনি আমদানিতে শুল্কছাড়ের মেয়াদ বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হবে: বাণিজ্য সচিব
যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ হাইকমিশন
যুক্তরাজ্যের ক্রমবর্ধমান বাজার ধরতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই ও যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) এফবিসিসিআইয়ের হেড অব পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশনস তানজিদ বসুনিয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চায়না প্লাস ওয়ানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মার্কেট ধরতে রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের উপর জোর দিয়েছে উভয় পক্ষ।
রবিবার রাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশটিতে সফররত এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক ডায়ালগে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। এসময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের উপর জোর দিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমরা শুধু তৈরি পোশাক খাতে নির্ভরশীল হয়ে আছি। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের বিকল্প নেই। পোশাক শিল্পের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে আরও কী ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করছি আমরা।’
এসময় তৈরি পোশাকের বাইরে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রপ্তানিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসার বিষয়েও বাংলাদেশি হাইকমিশনের সহযোগিতা চান এফবিসিসিআই সভাপতি।
পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা তাসনিম মুনা বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন ও বেসরকারি খাতের উদ্যোগে গত বছর যুক্তরাজ্যে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির দিক থেকে সর্বোচ্চ। এই রপ্তানির ৯১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
এ ছাড়াও টেক্সটাইল, মৎস্য, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হলেও সেই সংখ্যা খুব কম। চায়না প্লাস ওয়ান নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় কৃষিজাত পণ্য ও আনারসসহ বিভিন্ন ফল রপ্তানির উপর জোর দেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার।
বাংলাদেশের তৈরি পণ্য মূলধারার বাজারে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মূলধারার বাজারে কী ধরনের পণ্য আসছে এবং সেসব পণ্যের উৎস কোথায়, কী ধরনের চাহিদা রয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি, তাহলে সেটি দেশের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।’
বৈঠকে প্রশিক্ষিত নার্সসহ দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি নিয়েও আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যবাসায়ী নেতারা ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে এফবিসিসিআই: মাহবুবুল আলম