������������������������
ফের বিয়ে উদযাপন করলেন লোপেজ-আফ্লেক
জর্জিয়ার সাভানাহতে পরিবার ও বন্ধুদের সামনে দ্বিতীয়বার বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন হলিউড তারকা জুটি জেনিফার লোপেজ ও বেন আফ্লেক।
এর আগে গত মাসে লাস ভেগাসের একটি উপাসনালয়ে ছোট পরিসরে তাদের বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছিল। সেসময় তাদের বন্ধু ও পরিবার জর্জিয়ায় ছিল।
পিপল ম্যাগাজিনের সূত্রমতে, শনিবার তাদের সন্তানদের উপস্থিতিতে জর্জিয়ার সাভানাহতে আফ্লেকের বাড়ির বাইরে তাদের বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
এই তারকা জুটি গত মাসে লাস ভেগাসে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি অফিসিয়ালি ভক্তদের জানাতে লোপেজ তার ‘অন দ্যা জে লো’ নিউজলেটারে শেয়ার করেছেন।
গত মাসে জেনিফার বেন আফ্লেক লেখেন, ‘ভালোবাসা সুন্দর। ভালোবাসা মহৎ। প্রেম ধৈর্য্যশীল। বিশ বছরের ধৈর্য্য।’
২০০০ সাল থেকে ৫৩ বছর বয়সী লোপেজ ও ৫০ বছর বয়সী আফ্লেক জুটি বিখ্যাত হয়েছেন। তারা ২০০৩ সালে ‘গিগলি’ ও ২০০৪ সালে ‘জার্সি গাল’ –এ অভিনয় শুরু করে বাগদান করলেও তারা এতদিন বিয়ে করেননি।
গত বছরের ভেনিস ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে রেড কার্পেট ডেবিউ প্রদর্শন এবং প্যারিসে তাদের সাম্প্রতিক হানিমুন এবং প্যারিসে তাদের রোম্যান্স পুনরুজ্জীবিত করার পর থেকে পাপারাজ্জিরা এই দম্পতিকে ভীষনভাবে অনুসরণ করেছে।
রবিবার এই যুগলের কোনো প্রতিনিধি তাদের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন: অবশেষে বিয়ে করলেন জেনিফার লোপেজ ও বেন
চতুর্থবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে জেনিফার লোপেজ
আমার জীবনটাই সিনেমা: রায়হান রাফী
সময়টা এখন পরিচালক রায়হান রাফীর। ঈদের প্রায় দুই মাস পরেও এখনও পুরোদমে চলছে তার ‘পরান’' সিনেমাটি।এরইমধ্যে নতুন আরেক খবর দিলেন এই নির্মাতা। তবে এবার বড়পর্দায় নয়, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আসছে তার নতুন চমক।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে রায়হান রাফীর পরিচালনায় ওয়েবফিল্ম ‘নিঃশ্বাস’।
২০ আগস্ট রাতে চরকির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই সিনেমার একটি টিজার প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা গেছে হালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণকে।
এ বিষয়ে পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, ‘আমি আসলে খুব ভাগ্যবান। সেই সঙ্গে খুব খুশি যে আমার সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে চলছে, আবার ওটিটিতেও আসবে। চরকি আমার জন্য একটা সিনেমা হল। যারা হলে যেতে পারেন না, তারা দেশ-বিদেশ থেকে চরকি দেখেন। ‘নিঃশ্বাস’ এখন পর্যন্ত আমার করা সবচেয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ। আমার সব ছবি থেকে এই ছবির মেকিং, স্টাইল, জনরা সব কিছুই আলাদা।’
এক বছরেই ওটিটি ও হল মিলিয়ে এতগুলো সিনেমা কিভাবে বানাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে সিনেমার মধ্যেই থাকি। সিনেমার মধ্যে খাই, ঘুমাই। গল্পের মধ্যে থাকি। আমার জীবনটাই সিনেমা। আমি যখন থেকে সিনেমাতে কাজ শুরু করেছি তখন থেকে এক সপ্তাহের জন্যও ব্রেক নেইনি। আমি কাজের মধ্যে থাকতেই পছন্দ করি। এ জন্যই বোধহয় দর্শককে এত এত সিনেমা দিতে পারছি।’
রাফীর সিনেমার আয়োজন সব সময় একটু ভিন্ন থাকে। তার সিনেমায় একটা অন্যরকম ভাষা থাকে। এমন কাজ করতে কতটুক শ্রম প্রয়োজন জানতে চাইলে রাফী বলেন, ‘আমি আসলে দর্শককে ঠকাতে চাই না। দর্শক তো নিজের সময়, টাকা সব দিয়ে সিনেমাটা দেখেন। তাদেরকে ঠকালে তো আমাদের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাবে। জানি না ‘নিঃশ্বাস’-এর টিজার দেখে দর্শক কতটুক বুঝতে পেরেছে, এই সিনেমার অনেক বড় একটা সেট বানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে ৫০-৬০জন আর্টিস্ট কাজ করেছেন।’
আরও পড়ুন: ‘শুল্কপক্ষ’ শেষ পর্যন্ত দর্শককে আটকে রাখবে: সুনেরাহ
অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক
অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক
গত কোরবানি ঈদে মুক্তি পায় বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘দিন: দ্য ডে’। এটি নির্মাণ করেন ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজম। আর কেন্দ্রিয় চরিত্রে দেখা যায় অনন্ত জলিলকে। সিনেমাটি মুক্তির পর বিতর্কের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। এবার তা মামলা পর্যন্ত পৌঁছালো।চুক্তি ও শর্ত ভঙ্গ করার দায়ে অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে ইনস্টাগ্রামে জানান পরিচালক ও সিনেমাটির মূল প্রযোজক মুর্তজা অতাশ জমজম। তিনি পোস্টে লেখেন, সিনেমাটির নাম হওয়ার কথা ছিল ‘ডে (রোজ)’। কিন্তু অনন্ত আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই নিজের মতো নাম ঠিক করেছেন। তাছাড়া আমি ছিলাম সিনেমাটির মূল প্রযোজক। কিন্তু অনন্ত নামকরণ থেকে শুরু করে কোনো কিছুই আমার সঙ্গে পরিকল্পনা করে কিংবা সম্মতি নিয়ে করেননি।অনন্ত জলিলের দায়িত্বহীনতার কথা উল্লেখ করে মুর্তজা লেখেন, ‘তিনি আমাদের মধ্যকার চুক্তি ও শর্ত ভেঙেছেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যে বিষয়গুলোতে আমরা একমত হয়েছিলাম, অনন্ত সেগুলোর একটিরও দায়ভার নেননি। তার কারণে সিনেমাটির অর্ধেকই নষ্ট হয়েছে।’মুর্তজা আরো লেখেন, বাংলাদেশি জনগণকে সম্মান জানিয়ে আমি একটি শান্তিপূর্ণ ও সহজ সমাধানের কথা অনন্তকে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি তা মানেননি। এ কারণেই আমি তেহরানের আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিই। একজন আন্তর্জাতিক আইনজীবীর মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের আদালতেও যাবো।পরিচালক তার দীর্ঘ পোস্টে আরো উল্লেখ করেন, শিগগিরই তিনি সিনেমাটির সকল চুক্তিপত্র ও অফিশিয়াল কাগজ প্রকাশ করবেন।
আরও পড়ুন: অ্যামাজন প্রাইমে বাংলাদেশের সিনেমা
শোক দিবসের বিশেষ নাটক ‘একজন কফিলুদ্দিন’
রূপালি গিটারের জাদুকর কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন আজ
দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পর বাংলাদেশে শুরু হলো ব্যান্ড সঙ্গীত চর্চা। সেই সময় দেশের তরুণদের অনুপ্রেরণা পিংক ফ্লয়েড, বিটলস, ডায়ার স্ট্রেইট বা দা ডোরস’র মতো পশ্চিমা সঙ্গীতের অনেক ব্যান্ড। তাদের কেউ হতে চান মার্ক নফলার, জিম মরিসন। আবার কেউ ডেভিড গিলমোর অথবা জিমি হেন্ড্রিক্স।
এখন যে কিংবদন্তী রক আইকনের কথা বলব তিনি হচ্ছেন দেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের পথিকৃত আইয়ুব বাচ্চু। ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার প্রায়ত এই তারকার ৬০তম জন্মদিন আজ।
আইয়ুব বাচ্চুর বেড়ে উঠা চট্টগ্রামে। ৭০ দশকে স্কুলে থাকতে বাবার কাছ থেকে একটি গিটার উপহার পান। আর সেই থেকেই তার টুংটাং শুরু। কিশোর বয়সে প্রেমের পরেন পশ্চিমা সঙ্গীতের। হয়তো স্বপ্ন দেখতেন জিমি হেন্ড্রিক্স হওয়ার। যাকে আইয়ুব বাচ্চুর টিশার্টে প্রায় দেখা যেত।
দেশের টিভির এক অনুষ্ঠানে আইয়ুব বাচ্চু প্রথম দেখলেন আজম খানের পারফর্মেন্স। তার সঙ্গে ঝাঁকড়া চুলে গিটার বাজাচ্ছিলেন দেশের কিংবদন্তী গিটারিস্ট নয়ন মুন্সি। মুগ্ধ হয়ে যান আইয়ুব বাচ্চু। তখন থেকে নেশা চড়ে যায়। তাই কলেজ জীবনে বন্ধুদের নিয়ে একটি ব্যান্ড গড়লেন। নাম দিলেন ‘গোল্ডেন বয়েজ’।
আরও পড়ুন: আইয়ুব বাচ্চু স্মরণে চট্টগ্রামে রূপালি গিটার
চট্টগ্রামে সেই সময়ে বেশ জনপ্রিয় ‘ফিলিংস’ব্যান্ড। আইয়ুব বাচ্চুর ইচ্ছা ছিল সেই ব্যান্ডে জয়েন করার। কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে যেহেতু আগেই পরিচয় ছিল তাই সেই ইচ্ছাটাও পুরোন হলো। এতে আইয়ুব বাচ্চু তার গিটারের প্রেক্টিস আরও ভালোভাবে করার সুযোগ পেয়ে যান। আর তার উদ্দেশ্য ছিল মূলত এটাই। এটা ছিল ১৯৭৮ সালের কথা।
এরপর ১৬ বছর বয়সে ‘ফিলিংস’ থেকে আইয়ুব বাচ্চু প্রথম গান রেকর্ড করেন। শিরোনাম ‘হারানো বিকেলের গল্প’। গীতিকার ছিলেন শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। ব্যান্ডটিতে তিন বছরের মতো ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। পরবর্তীতে যোগ দেন চট্টগ্রামের আরও একটি জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘সোলস’-এ।
সোলস তখন ছিল চট্টগ্রাম ভিত্তিক ব্যান্ডদল। যদিও ৮২ সালের দিকে সোলস ব্যান্ড ঢাকায় মুভ করে। যার কারণে আইয়ুব বাচ্চুও ঢাকায় চলে আসেন। সেই সময়েই সোলসের প্রথম অ্যালবাম, ‘সুপার সোলস’ রিলিজ হয়।
এক সাক্ষাৎকারে আইয়ু বাচ্চু বলেছিলেন, ‘১৯৮৩ সালের শেষের দিকে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে এসেছিলাম। উঠেছিলাম এলিফ্যান্ট রোডের একটি হোটেলে। তখন এখানে আমার অনেক আত্মীয়স্বজন থাকতেন। আমি কারও কাছেই যাইনি। বিপদে কারও মুখাপেক্ষীও হইনি। নিজেকে গড়ে তুলেছি। দিনরাত্রি কাজ করে একটা অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি।
১৯৮৬ সালে ‘সোলস’এ থাকা অবস্থায় নিজের প্রথম একক অ্যালবাম, ‘রক্তগোলাপ’ প্রকাশ করেন আইয়ুব বাচ্চু। এই অ্যালবামের সুর ও সঙ্গীত ছিল তার নিজেরই। কিন্তু এখানে মজার ব্যাপার হলো, অ্যালবামের কভারে সুর ও সঙ্গীতের জায়গায় তিনি তার ডাকনাম ‘রবিন’ ব্যবহার করেন এবং শিল্পীর স্থানে আইয়ুব বাচ্চু ব্যবহার করেন।
প্রথমবার পর্দায় দীর্ঘ স্মৃতিচারণায় আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী
দেশের রক আইকন আইয়ুব বাচ্চুর জন্মদিন ১৬ আগস্ট। আর এ দিন প্রথমবারের মতো পর্দার সামনে আসবেন তার স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার চন্দনা। স্বামী আইয়ুব বাচ্চু’র গান, তার সঙ্গে যাপিত জীবন, বর্তমান স্মৃতি সংরক্ষণ, দাম্পত্যজীবন নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
কোলাহল কমিউনিকেশনের ডিজিটাল প্লাটফর্মে আগে থেকে রেকর্ড করা ‘রিমেমবারিং আইয়ুব বাচ্চু’ শিরোনামে অনুষ্ঠানে আইয়ুব বাচ্চু’র স্মৃতি চারণা ও তার নামে ফাউন্ডেশন তৈরির উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছেন ফেরদৌস আক্তার চন্দনা ও এলআরবি গিটারিস্ট আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।
অনুষ্ঠানটি প্রসঙ্গে ফেরদৌস আক্তার চন্দনা বলেন, ‘আমি আজীবনই মিডিয়ার বাইরে থেকেছি। এসব বুঝিনা। বুঝতেও চাইনি। কিন্তু এখন বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণ আর ওর এই অমূল্য গানের সংরক্ষণের কাজগুলো আমি আমার দুই সন্তানের পক্ষ থেকে করছি। দায়িত্বগুলো আমার সন্তানের। ওরা যেহেতু বাইরে পড়াশোনা করছে। সেই কাজগুলো করার জন্য আমি এখন ছুটে বেড়াচ্ছি। এসব কাজ নিয়ে অনেকেই সাপোর্ট দিচ্ছেন। কারো কারো বাঁকা কথাও শুনতে হচ্ছে। ওদের সবাইকে তো আমি জনে জনে ব্যাখ্যা দিতে পারবো না। তানভীর ভাই বাচ্চুর খুব স্নেহধন্য ছিলেন। তাই তার অনুরোধের, এবং সময়ের প্রয়োজনে কিছু কথা বলেছি।’
অনুষ্ঠানে এলআরবির ভবিষ্যত, সন্তানদের ইচ্ছে, আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম, আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে আবেগতাড়িত স্মৃতিচারণাসহ নানান প্রসঙ্গ উঠে এসেছে এলআরবির গিটারিস্ট আব্দুল্লাহ মাসুদের কথায়। এছাড়াও বলেন প্রিয় এবিবস্ কে নিয়ে স্মৃতিচারণসহ নিজের সেক্রিফাইসের গল্প।
অনুষ্ঠানটি প্রসঙ্গে তানভীর তারেক বলেন,‘বাচ্চু ভাইকে নিয়ে আমার অধিকাংশ শোতে কথা বলি। এই অনুষ্ঠানটি বিশেষ। কারণ, আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী এবং তাদের সন্তানের মা কথা বলেছেন। তাই এলআরবির গান ও আনুসঙ্গিক বিষয় নিয়ে খোলাসা করার চেষ্টা করেছি। এমন এক কিংবদন্তীর প্রতি দর্শকের কৌতুহল অনেক। তাই নানান মিশ্রমত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমি চেয়েছি তারই কিছু প্রাসঙ্গিক আলাপের অবতারণা করতে। আশা করছি দর্শকেরা উপভোগ করবেন।’
কয়েক পর্বের এই অনুষ্ঠানের একটি পর্বে কথা বলেছেন গীতিকবি বাপ্পী খান। ‘রিমেমবারিং আইয়ুব বাচ্চু’ সিরিজটির প্রথম পর্ব অবমুক্ত হবে ১৬ আগস্ট রাত ১০টায় তানভীর তারেকের অফিশিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে। পরবর্তীতে অনুষ্ঠানটি স্বাধীন মিউজিক অ্যাপেও দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: উন্মোচিত হলো আইয়ুব বাচ্চুর সেই রূপালী গিটার
আইয়ুব বাচ্চুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে দেবের ‘মায়াবী গিটার ফেলে’
শোক দিবসের বিশেষ নাটক ‘একজন কফিলুদ্দিন’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এটিএন বাংলায় আজ (১৫ আগস্ট) রাত ৮টা ৪৫ প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘একজন কফিলুদ্দিন’।
‘মহামানবের দেশে’ গল্প অবলম্বনে নির্মিত কাহিনিচিত্রটি রচনা করেছেন সহিদ রাহমান। নাট্যরূপ দিয়েছেন বিদ্যুৎ রায় এবং পরিচালনায় সুমন ধর। এতে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, আহমেদ রুবেল, রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ।
এছাড়া নাটকটির এক বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দু-বাংলার খ্যাতিমান কথা-সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব কফিলুদ্দিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ২৬ বছর ধরে খালি পায়ে, কালো-কাপড় পরিধান করে ও কোন প্রাণীর মাংস না খেয়ে জীবন যাপন করছেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার এমন শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর শোক পালন মানুষকে হতবাক করে। ফলে গ্রামের মানুষ তাকে মুজিব পাগল নামে ডাকে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় সে। পরিবার পরিজনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে গিয়েছিলেন কফিলুদ্দিন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি ছিল তার অগাধ বিশ্বাস।
যুদ্ধ শেষে গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মিজানের কাছে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাত লাভের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন।
কমান্ডার জানান, ঢাকাতে নিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাত প্রাপ্তির বিষয়টি জটিল ও অনিশ্চিত। তবে কমান্ডার আশান্বিত করে বঙ্গবন্ধু আমতলীতে এক জনসভায় আসবেন। তাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে দূর থেকে দেখার সুযোগ করে দিবেন। পরবর্তীতে কমান্ডারের কাছ থেকে খবর পেয়ে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা হয়ে ৩৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে কফিলুদ্দিন সেখানে যান। ততক্ষণে বঙ্গবন্ধু আমতলীর জনসভা শেষ করে ঢাকার উদ্দেশে চলে যান।
এভাবে এগিয়ে চলে নাটকের কাহিনি।
পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত অপশক্তির ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি: জয়
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের শ্রদ্ধা
রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, গায়ক নোবেলকে আইনি নোটিশ
রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেলকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিঠুন বিশ্বাস। নোটিশে তার পেজ থেকে স্ট্যাটাস দুটি অপসারণ ও অপরাধ স্বীকার করে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
রবিবার (১৪ আগস্ট) মইনুল আহসান নোবেলের ঢাকার ডেমরার ঠিকানায় উকিল নোটিশটি পাঠিয়েছেন। সংগীতশিল্পী নোবেল গত ১০ ও ১১ আগস্ট নিজের ফেসবুক থেকে স্ট্যাটাস দুটি পোস্ট করেন। এরপরই তাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হলো।
ডাকযোগে নোটিশ পাঠানোর কথা নিশ্চিত করে আইনজীবী মিঠুন বিশ্বাস বলেন, লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল গত ১০ ও ১১ আগস্ট নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ‘আসুন! রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলা পরিত্যাগ করে আমার সোনার বাংলাকে ভালোবাসি। ভারতের চাটুকারিতা করতে করতে এখন নিজেকে গো-মূত্র সেবনকারী মনে হয়। ইয়াক থু!!’ এবং ১০ আগস্ট ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার রাবীন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে বয়কট করা হউক। আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল! বিদ্রোহী কবি; যখন আমাদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ছিলেন। রোজ রোজ ব্রিটিশদের কাছে কারাবন্দি হতেন, কনডেম সেলে টর্চারের শিকার হচ্ছিলেন, তখন ব্রিটিশদের চাটুকারিতা করে সো-কল্ড বিশ্বকবি বিন্দাস আমাদের বাপ-দাদার রক্ত চুষে খাচ্ছিল,’ এই দুটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন।
ওই স্ট্যাটাস দুটিতে নোবেল বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটির বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে কুৎসা, বিদ্বেষ প্রচার করেছেন। এছাড়া গানটির রচয়িতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অন্যায়ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করেছেন।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটি শুধু আমাদের জাতীয় সংগীত নয়, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসারও এক অনন্য বহিঃপ্রকাশ। জাতীয় সংগীত বলেই এর মর্যাদাও সর্বোচ্চ। সে কারণে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সংবিধান দ্বারা সংরক্ষিত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটির বিরুদ্ধে কোনো প্রকার প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালানো বা মদদ প্রদান করাকে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোবেলের বিরুদ্ধে করা মামলা তদন্ত করবে সিআইডি
লিগ্যাল নোটিশে আরও বলা হয়েছে, নোবেলের ফেসবুক পেজে প্রচারিত স্ট্যাটাস দুটিতে ইচ্ছাকৃতভাবে মনগড়া, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, মানহানিকর ও বিদ্বেষমূলক আপত্তিকর মন্তব্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধাচার এবং এর রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, সাহিত্যিক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, বিদ্বেষমূলক অপপ্রচারের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিকের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। যা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সেখানে বলা হয়, ওই নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ নামের পেজে প্রচারিত উল্লেখিত বিদ্বেষমূলক, মিথ্যা, মানহানিকর স্ট্যাটাস দুটি অপসারণ করে নিজের কৃত অপরাধ স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। অন্যথায় নোবেলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধাচার ও এর রচয়িতা বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্বেষমূলক, মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ, বানোয়াট, মানহানিকর বক্তব্য ডিজিটাল মাধ্যম তথা নিজের ফেসবুক পেজে প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় যথাযথ আদালতে মামলা দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
'ব্রেভহার্ট': বঙ্গবন্ধুকে গ্যালারি কসমসের শৈল্পিক শ্রদ্ধা নিবেদন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাসটি সবসময়ই বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এটি শোকের মাস হিসেবেও পরিচিত।
আপাদমস্তক রাজনৈতিক নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি একটি লক্ষ্যের জন্য নিরন্তর সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের জীবন পরিচালনা করেছেন। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে স্বাধীন বাংলাদেশ উপহার দিয়ে তিনি ইতিহাসে তার স্থান নিশ্চিত করেছেন।
জনগণের উন্নতিতে অপরিসীম অবদানের জন্য, আজকের বাংলাদেশিরা, তাকে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় নেতাদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করে। বাঙালির অবিসাংবাদিত এই নেতা একজন সংস্কৃতিমনাও ছিলেন। তিনি তার প্রমাণ দিয়েছেন বিভিন্ন সময়ে শিল্প ও সংস্কৃতির পাশাপাশি শিল্পীদের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা করে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিবর্তনের পেছনের স্বপ্নদর্শী হিসেবে বঙ্গবন্ধু সকলের হৃদয়ে এবং জাতির বুননে রয়েছেন। তিনি দেশের জন্য কাজ করে গেছেন, যতক্ষণ না প্রায় পুরো পরিবারসহ তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই দিনে জাতির পিতাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
‘শুল্কপক্ষ’ শেষ পর্যন্ত দর্শককে আটকে রাখবে: সুনেরাহ
প্রথম সিনেমা দিয়েই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চিত্রনায়িকা সুনেরাহ বিনতে কামাল। তবে ‘ন ডরাই’-এর পর আর বড়পর্দায় পাওয়া যায়নি তাকে। সেই অপেক্ষায় কিছুটা হলেও অবসান হলো তার ওয়েবফিল্ম ‘শুল্কপক্ষ’ দিয়ে।১১ আগস্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে সুনেরাহ অভিনীত ওয়েবফিল্ম ‘শুল্কপক্ষ’। এটি নির্মাণ করেছেন ভিকি জায়েদ।
ওয়েবফিল্মটিতে অন্যতম আরও দুটি চরিত্রে দেখা যাবে খায়রুল বাশার ও জিয়াউল রোশানকে।‘শুল্কপক্ষ’ প্রসঙ্গে সুনেরাহ বলেন, ‘গল্প পছন্দের ব্যাপারে সবসময় চেষ্টা থাকে অভিনয়ের জায়গাটা কত ভালো পাব সেটি খেয়াল রাখা। এটি তেমনই একটি কাজ। বাকীটা দর্শকরা বলতে পারবেন। তবে আমার জায়গা থেকে বলব এটি বেশ যত্ন নিয়ে করা, শুল্কপক্ষ শেষ পর্যন্ত দর্শককে আটকে রাখবে।’
আরও পড়ুন: চুড়ি-ফিতা বিক্রেতা মৌসুমী!একই ইউনিভার্সিটি থেকে পর পর তিনজন মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। কেউ একজন টার্গেট করছে তরুণীদের। মঞ্জুর ধারণা, তার পছন্দের মানুষ লাবণীও হতে পারে অপহরণের শিকার। কিন্তু শুধু ধারণার ওপর ভর করে মঞ্জু কী করে বাঁচাতে পারবে লাবণীকে?
এমন এক ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘শুক্লপক্ষ’।
নিজের প্রথম ওয়েবফিল্ম নিয়ে সুনেরাহ আরও বলেন, ‘দর্শক হিসেবে যখন শুক্লপক্ষ-এর স্ক্রিপ্ট পড়েছি তখনই কাজ করার আগ্রহ জন্মেছিল। ভিকি জাহেদের থ্রিলার মানেই তো অন্যরকম কিছু। উনার কাজ আমার বরাবর ভালো লাগে। সেই সাথে আমার কো-আর্টিস্ট যারা ছিলেন তারা সকলেই ক্যারেক্টারগুলোর সাথে জাস্টিস করেছেন।’শুটিং-এ কি ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল জানতে চাইলে সুনেরাহ বলেন, ‘সিনেমাতে আমাকে অনেকগুলো লুকে দেখা যাবে। যেটা আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেই সাথে আমরা একদিন জঙ্গলে শ্যুট করেছিলাম। সেখানে খুবই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে ছিলাম। আমার সারা শরীরে পোকার আক্রমণে পুরো নাজেহাল অবস্থা ছিল। সবকিছু অনেক কষ্টে সামলে নিয়ে কাজটি করেছি।’
আরও পড়ুন: ২৫০ বছর ধরে ‘কারাগার’-এ চঞ্চল চৌধুরী
অ্যামাজন প্রাইমে বাংলাদেশের সিনেমা
২৫০ বছর ধরে ‘কারাগার’-এ চঞ্চল চৌধুরী
সিনেমা বা ওটিটির পর্দা, দুই অঙ্গনেই তরুপের তাস এখন চঞ্চল চৌধুরী। ‘আয়নাবাজি’র পর ‘হাওয়া’ নিয়ে বড়পর্দার মধ্যমণি এখন তিনি। এই সিনেমার আলোচনা যখন চলমান এরমধ্যে নতুন অবয়ব নিয়ে সামনে এলেন তিনি।
ভারতের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’ এর পর্দায় ১৯ আগস্ট মুক্তি পাবে চঞ্চল চৌধুরীর নতুন ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকীর পরিচালনায় এই সিরিজে রহস্যময় এক কয়েদীর চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চলকে।
‘কারাগার’ সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর লুক প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই আলোচনা শুরু। এরপরই প্রকাশ পেল ট্রেলার। ‘তাকদীর’ এর পর এই সিরিজ দিয়েও নতুন এক রহস্যের গল্প বলবেন পরিচালক। সেটি ট্রেলারে ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।
ট্রেলারে দেখা যায়, আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলে ৩২৫ জন কয়েদী। একদিন হেড-কাউন্টের সময় দেখা গেল একজন অতিরিক্ত কয়েদী। তাকে পাওয়া গেল ৫০ বছর ধরে বন্ধ এক সেলে। কিন্তু সেখানে ব্যক্তিটি কীভাবে এলো!
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
পরবর্তীতে জানা যায় ২৫০ বছর ধরে জেলখানায় বন্দি তিনি। খুন করেছেন মীরজাফরকে। বর্তমান নিয়ে সবজান্তা এই কয়েদীর তথ্যে বিস্মিত হন সকলে।
‘কারাগার’ প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটা কাজের ভিন্নতা থাকে। তবে চ্যালেঞ্জের জায়গা থেকে কারাগার আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি সিরিজ। এখানে চরিত্রটি আমাকে ভীষণ টেনেছে। ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তোলার জন্য সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা ছিল। মূল কথা, আমি চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছি। ওজন কমানো, মেকআপের পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করা, কস্টিউম; সব কিছু ঠিকঠাক রাখার জন্য বেশ পরিশ্রম হয়েছে। এখন দর্শকরা কীভাবে নেবেন সেটি মুক্তির পর বোঝা যাবে।’
অন্যদিকে পরিচালক শাওকী বলেন, ‘কারাগার নিয়ে প্রায় প্রায় দেড় বছর আগে কাজ শুরু করি। এখন পর্যন্ত আমাদের সবচেয়ে বড় স্ক্রিপ্টের কাজ এটা। এতে রহস্য আছে, ইতিহাস ও নাটকীয়তা আছে। সিরিজটির সঙ্গে থাকা সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। সবার পরিশ্রমে কাজটি সুন্দরভাবে হয়েছে।’
‘কারাগার’-এ আরও অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ্, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, শতাব্দী ওয়াদুদসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: ‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
অ্যামাজন প্রাইমে বাংলাদেশের সিনেমা