���������������-������������������������
রবীন্দ্র-নজরুল প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নড়াইলে বিশেষ আয়োজন
নড়াইলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম এবং প্রেম ও বিদ্রোহের অমর কবি জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৬তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দু’কবির জীবন ও সৃষ্টির ওপর আলোচনা সভা অুনষ্ঠিত হয়েছে।
নড়াইল জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: গুগল ডুডলে কাজী নজরুলের ১২১তম জন্মবার্ষিকী
অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের জীবন ও সৃষ্টির ওপর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন ও সৃষ্টির ওপর নড়াইল আব্দুল হাই ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: টিআইসিতে তির্যকের নাটক রবীন্দ্রনাথের ‘রাজা’
অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মলয় কুন্ডু, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, রওশন আরা কবির লিলি, নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও মূর্ছনা সংগীত নিকেতনের সভাপতি শামীমূল ইসলাম টুলু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান লুলু, মুন্সি আসাদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে শিল্পকলা একাডেমি ও বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা সংগীত-কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের শিল্প, সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহিত করতে ইরানি রাষ্ট্রদূতের আহ্বান
কুমিল্লায় পূজা হবে ৭৬৪ মণ্ডপে
কুমিল্লায় এবার ৭৬৪ পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্দির, মণ্ডপগুলোতে দুর্গাৎসব উদযাপনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। চলছে পূজা মন্ডপকে আকর্ষনীয় করে তুলতে আলোকসজ্জা ও গেট নির্মাণের প্রতিযোগিতা। প্রতিমার গায়ে শেষ রংয়ের আঁচড় দিচ্ছেন শিল্পীরা। তবে গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমা তৈরির খরচ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: বাগরেহাটে ৬৩৩ মণ্ডপে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে
সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলার ১৮ উপজেলায় এ বছর মণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে। উপজেলা মণ্ডপের সংখ্যা হচ্ছে-আদর্শ সদরে ৭২, সদর দক্ষিণে ৪৩, চৌদ্দগ্রামে ২২, চান্দিনায় ৭১, বুড়িচংয়ে ৪৩, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১২, বরুড়ায় ৮৫, লাকসামে ৩৬, মনোহরগঞ্জে ১২, লাঙ্গল কোটে ৯, দাউদকান্দিতে ৪৬, তিতাসে ছয়, হোমনায় আট, মেঘনায় চার, দেবিদ্বারে ১৮, বাঙ্গরায় ৪৫, মুরাতনগরে ২১ ও লালমাইয়ে ১৬টি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ৭১২ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল পাল বলেন, ‘আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপন করবো। বরবরের মতোই এবারও পূজা উদযাপন হবে। আশা করছি পূজা চলাকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। তারা আমাদেরকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
জেলা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ জানান, জেলার প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। পূজা চলাকালীন সময়ে সাদা পোশাক ও পোশাক ধারী পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। এই ব্যাপারে আমরা জনসাধারণ ও পূজারীদের সহায়তা চাইবো।
রাজধানীতে রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধন
ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর স্মরণে গুলশানে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে শিল্পী রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্ম প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) এই প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হয়।
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, লেখক এবং ১৯৭১ সালের গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসির মামুন এবং ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বেঙ্গল ফাউন্ডেশন কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত শিল্পী রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্ম বিষয়ক একটি মনোগ্রাফও উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানটির মধ্য দিয়ে ভারতে রোকেয়া সুলতানার শিল্পকর্মের প্রথম স্বতন্ত্র প্রদর্শনের সূচনা হয়েছে, যা আগামী ২৩ অক্টোবর নয়াদিল্লির ললিত কলা একাডেমিতে শুরু হবে। সম্পূর্ণরূপে আইসিসিআর কর্তৃক আয়োজিত শিল্পকর্ম প্রদর্শনীটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কলকাতায়ও অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এই প্রদর্শনীটি শান্তিনিকেতনে অধ্যয়নকালীন শিল্পীর মনোমুগ্ধকর যাত্রাকে চিত্রিত করেছে। তিনি শান্তিনিকেতনে সোমনাথ হোর, সনৎ কর এবং লালু প্রসাদ শ’র তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষিত হয়ে বাংলাদেশে তার শিল্পীজীবনের প্রসার ঘটিয়েছেন।
রোকেয়া সুলতানা একজন পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশি প্রিন্টমেকার এবং চিত্রশিল্পী।
তিনি ১৯৮৩ সালে আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন থেকে চারুকলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
পড়ুন: গান্ধীজীর জীবন এবং বাণী আজও প্রাসঙ্গিক: দোরাইস্বামী
মাগুরায় ৭১২ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
দুর্গাপূজার মহোৎসবে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ১০ পদের মিষ্টি
শারদীয়া দুর্গাপূজা মানেই আশ্বিন মাসের সংক্রান্তি জুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহান ধর্মীয় উৎসব। বাঙালিদের এই মহোৎসবে দেবী দুর্গার স্তুতির সাথে সাথে পেট পূজাও চলে সমানতালে। এসময় আরাধনার জন্য তৈরি প্রসাদের স্বাদে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার সীমানা ছাড়িয়ে দিগ্বিদিক একাকার হয়ে যায়। পূজা উপলক্ষে একদিকে যখন চলে পোশাক-আসাক ও সাঁজ-গোজের কড়চা, অন্যদিকে ভোজন রসিক বাঙালি স্বপ্ন বুনতে থাকে মিষ্টি দিয়ে উদরপূর্তির। এ শুধু ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত জিবের খোরাক মিটানো নয়, দুর্গাপূজার মিষ্টি বাঙালির ঐতিহ্যও বটে। বাঙালির ঘরে ঘরে অন্যান্য জমকালো অনুষ্ঠানগুলোতেও ভোজন পর্বের এক বিরাট অংশ জুড়ে জায়গা করে নেয় এই মিষ্টিগুলো।
দুর্গাপূজার এই মিষ্টিগুলোতেই ভরপুর থাকবে এবারের ফিচারটি।
দুর্গাপূজায় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ১০ পদের মিষ্টি
নলেন গুড়ের সন্দেশ
শীতকালে খেজুরগাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় খাঁটি নলেন রস আর এই রসেই বানানো হয় নলেন গুড়। এই গুড়ের ডিশের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। বংশ পরম্পরায় বিশেষত হিন্দু কারিগরেরা নলেন গুড়ের সন্দেশ বানিয়ে থাকেন। নলেন গুড়ের সাথে এই সন্দেশ বানানোর প্রধান উপাদান দুধের ছানা।
বছরের শেষ নাগাদ শীত ও বসন্ত জুড়ে প্রায় ছয় মাস এই সন্দেশ পাওয়া যায়। আর তাই এই সময়ের বাঙালির প্রতিটি উৎসবে ভোজের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে আকর্ষণীয় এই মিষ্টান্নটি। চিনির বদলে এই গুড় ব্যবহার করে তৈরি করা নলেন গুড়ের পায়েসও বেশ জনপ্রিয়।
পড়ুন: লাল চাল: কেন খাবেন এবং কারা এড়িয়ে চলবেন?
ছানার পায়েস
বাঙালির প্রতিটি উৎসবে ছানার পায়েসের জুড়ি মেলা ভার। চেখে দেখার আগে ছানার ক্যানভাসের উপর পেস্তা, কিশমিশ, অ্যামন্ড ও কাজু বাদামের সজ্জা দেখেই মন ভরে যায়। তাই পরিবেশনের সাথে সাথেই বাচ্চা থেকে শুরু করে বুড়ো কারোরই গলধকরণে বেগ পেতে হয় না।
অনেকের কাছে এটি ক্ষীর বা ফিরনি নামেও পরিচিত। মূলত পায়েস হলো মোঘল আমলের মিষ্টান্ন। এতে কাশ্মিরী ও পারস্য রন্ধনশৈলী সংযোজিত হয়ে তৈরি হয় ফিরনি। আর ফিরনিতে উত্তর ভারতীয় রীতিতে দুধের মিষ্টি থাকায় এর নাম কোথাও কোথাও বদলে ক্ষীর হয়ে যায়।
পড়ুন: থটস অফ শামস: মজার সব চরিত্রে এককভাবে অভিনয়কারী প্রতিভাবান কন্টেন্ট নির্মাতা
মিষ্টি দই
মিষ্টি দইকে মিষ্টির রাজা বলা যেতে পারে। শুধুমাত্র ঘনীভূত দুধ ও চিনিতে তৈরি আশ্চর্য এই খাবারটির স্বর্গীয় স্বাদ একবার নিলে বারবার মনে করিয়ে দেয়। মুখের ভেতরে নিয়ে হালকা চাপ দিতেই অমৃত স্বাদের অনুভূতি জানান দিতে শুরু করে।
বাংলাদেশসহ ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের প্রিয় মিষ্টান্নের নাম মিষ্টি দই। বগুড়ার দইয়ের জগৎ জোড়া খ্যাতির কথা সবার-ই জানা। স্থানীয়দের মতে দইয়ের ইতিহাস প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো। সে সময় বগুড়ার কাছেই অবস্থিত শেরপুরে বসবাসরত ঘোষ সম্প্রদায় বংশ পরম্পরায় দই বানানোর কাজ করতো।
পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক: করণীয় এবং প্রতিরোধে যে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে
রসগোল্লা
ভোজনরসিক বাঙালির পরিচয় বহন করে রসগোল্লা, যার জন্য এর মিষ্টান্নের নাম বলা হয় বাঙালির রসগোল্লা। কড়া রান্না করায় পোড়ামাটির মতো বাদামি রঙের হয় এই মিষ্টি। এই মিষ্টিকে ভিত্তি ধরে বানানো হয় বিভিন্ন নামকরা মিষ্টি। এগুলোর মধ্যে রাজভোগ ও ক্ষীর কদম অন্যতম।
রসগোল্লার উৎপত্তি নিয়ে বেশ মতবিরোধ আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে পর্তুগীজদের আমলে বর্তমান বরিশালের পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় হিন্দু ময়রাগণ রসগোল্লা বানাতেন। পরবর্তীতে এদের বংশধরেরা কলকাতা, ওড়িশায় স্থানান্তরের মাধ্যমে সেখানেও রসগোল্লার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে দেন।
পড়ুন: কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
রাজভোগ
ছানা, জাফরান ও শুকনো ফলের মিশ্রণে চিনিতে ভরপুর জিহ্বে জল আনা মিষ্টি রাজভোগ। আকারে বড় মুখ রোচক এই স্পঞ্জি মিষ্টিগুলো অনেকটা রসগোল্লার মত। খোয়া দিয়ে ভরা এই রসাল মিষ্টি একের পর এক শেষ করার জন্য রীতিমত দুঃসাহসের প্রয়োজন। কারণ মিষ্টি স্বাদের এই আধিক্য একমাত্র শুধু মিষ্টিপ্রেমীদের পক্ষেই বশে আনা সম্ভব। এরপরেও দেশ-বিদেশের মিষ্টিপ্রিয়রা একবার হলেও এই মিষ্টির স্বাদ আস্বাদন করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে রাখেন।
পান্তুয়া
পশ্চিমবঙ্গের কালনা, রানাঘাট ও কাটোয়ায় বিখ্যাত এই মিষ্টান্ন বেশ সুস্বাদু এবং হৃদয়গ্রাহী। পান্তুয়া অনেকটা গুলাব জামুনের মতো দেখতে এই রসাল মিষ্টি ছানা, ময়দা, ও খোসার পেস্ট থেকে তৈরি করা হয়। মাঝারি আকারের মিষ্টিবলগুলো ডুবো চিনির সেরায় ভেজে তাতে এলাচ দেয়া হয়।
পড়ুন: কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
এই মিষ্টিটির জনপ্রিয়তা শুরু হয় দেশভাগের সময় সুরেন্দ্রলাল কুন্ডুর হাত ধরে। সে সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে কাটোয়ায় চলে যান এবং ছেলে প্রাণকৃষ্ণকে সাথে নিয়ে একটি খাবারের দোকান দেন। সেখানেই প্রাণকৃষ্ণ বানাতে শুরু করেন ক্ষীরের পান্তুয়া। প্রাণকৃষ্ণের ডাকনাম পরান-এর নামানুসারে স্থানীয়রা মিষ্টান্নটিকে পরানের পান্তুয়া বলে ডাকতে শুরু করে।
ল্যাংচা
বর্ধমানের রাজা তাঁর পূত্রবধূর মিষ্টি খাওয়ার শখ মেটাতে নদিয়া নিবাসী ময়রা নামক এক ল্যাংড়া মিষ্টির কারিগরকে রাজপ্রাসাদে ডেকে আনিয়েছিলেন। ময়রা’র বানানো মিষ্টির স্বাদে মুগ্ধ হয়ে তাকে বর্ধমানের বড়শূল গ্রামে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। ময়রা’র মিষ্টির দোকান করে দেয়া হয় বাদশাহী সড়কের উপর শক্তিগড় গ্রামে, যেখান থেকে প্রতিদিন এক মণ করে মিষ্টি যেতো বর্ধমান প্রাসাদে। পরবর্তীতে এই ময়রা’র মিষ্টান্ন ল্যাংচা নামে বহুল পরিচিতি পায়।
পান্তুয়ার একই গোত্রভুক্ত এই রসাল মিষ্টিটি প্রথমে নলাকার ছিলো। পরে এটি পান্তুয়ার মতই গোলাকার করা হয়। অনেকের কাছে এটা বাংলাদেশের কালোজামের মত দেখতে।
পড়ুন: ২০০ কেজি সোনায় কারুকার্যমণ্ডিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন
চমচম
বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম বাঙালির একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। ভারতের উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার রাজা রামগড় ও তাঁর নাতি মতিলাল গড়-এর অবদানে এই মিষ্টি স্বাদ ও উপাদানের গুণগত মানে সিদ্ধি লাভ করে।
প্রায় দুইশত বছর পূর্বে যশোরত হাল নামের এক কারিগরের হাতে প্রথম চমচম তৈরি হয়। টাঙ্গাইলের
যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানির সহজাত বৈশিষ্ট্যের কারণে চিনির গায়ে দ্রবণ থাকায় অন্যান্য মিষ্টি থেকে চমচম অপেক্ষাকৃত কম পচনশীল হয়ে থাকে। মাখন, চিনি ও ময়দার মিশ্রণে সুস্বাদু এই মিষ্টিকে বাংলাদেশের মিষ্টির রাজা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
পড়ুন: মাগুরায় ৭১২ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
ক্ষীর কদম
বাইরে গুড়ো চিনির খোয়া ভাজা ক্ষীর এবং ভেতরে লুকানো রসগোল্লা- এই দুই স্তরের ক্ষীর কদম খেতে যেমন মজা দেখতেও তেমনি সুন্দর। পরিবেশনে আলাদা সৌন্দর্য্য আনার জন্য এর অতিরিক্ত কিছুই প্রয়োজন পড়ে না। কদম ফুলের মত দেখতে হওয়ায় মিষ্টান্নটির এরকম নামকরণ। ক্ষীর ও কদমের এমন দারুণ সংযোজনে বাঙালির পূজাগুলো মুখরিত হয়ে ওঠে। এছাড়া শৈল্পিক রন্ধনপ্রণালীর এক আশ্চর্য প্রয়োগ এই ক্ষীর কদম যেখানে মেহমান ও মেজবান উভয়ের মাঝেই মুগ্ধতা সৃষ্টি করে।
কাঁচাগোল্লা
গরুর দুধের কাঁচা ছানা ও এলাচে মিশ্রিত নিমেষেই মুখ মিষ্টি করে দেয়ার মত একটি খাবার এই কাঁচাগোল্লা। কাঁচাগোল্লার নামের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গের জেলা নাটরের নামটি।
একদা নাটরের প্রসিদ্ধ লালবাজারের মধূসুদন পাল-এর মিষ্টির দোকানে কারিগর না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান দোকানের মালিক। এরপরেও তিনি কর্মচারীদেরকে কাঁচা ছানাতে চিনির রস ঢেলে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে রাখতে বলেন। অবশেষে সেই ছানা চেখে দেখে বিস্মিত হয়ে যান। এই কাঁচা ছানার মিষ্টির কথাই সে সময় কাঁচাগোল্লা নামে ঢোল পিটিয়ে চারপাশ জানানো হোতো।
পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলো ২০৯ মেট্রিক টন ইলিশ
মিহিদানা
১৯০৪ সালে বর্ধমানের মিষ্টি প্রস্তুতকারক ভৈরবচন্দ্র নাগ সর্বপ্রথম মিহিদানা তৈরি করেছিলেন। বর্ধমানের ভূস্বামী বিজয়চাঁদ মহতাব বড়লাট জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন-এর বর্ধমান ভ্রমণ স্মরণীয় করতে এই মিষ্টি বানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি বুন্দিয়ার আদলে তৈরি রঙ-বেরঙের এই চমৎকার মিষ্টিটি অবলীলায় ভোজনরসিকদের মন জয় করে নেয়। এর মুল উপাদান বেসন, ঘি, চিনি, জাফরান ও চাল হলেও এখন অনেক কারিগর এতে চিনির বদলে খেজুরের গুড়ও ব্যবহার করছেন।
পরিশিষ্ট
যুগ যুগ ধরে দুর্গাপূজার মিষ্টিগুলো বাঙালিয়ানাকে সমৃদ্ধ করেছে। আবহমান বাংলার ধর্মপ্রাণ মানুষগুলোর উপসনাকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানগুলোতে করেছে প্রাণের সঞ্চার। এরকম আরো বহু মিষ্টান্নের আকর্ষণের জন্য এদের কারিগরেরা বেশ মর্যাদার আসনে আসীন হন। বর্তমানে যোগাযোগ মাধ্যমের উৎকর্ষের কারণে ঘরে ঘরে এ ধরণের মিষ্টি বানানোর রেসিপিও ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্যব্যাপী। ফলে পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা প্রতিটি বাঙালির মিষ্টিমুখ অনুষ্ঠানে অবলীলায় জায়গা করে নিচ্ছে দুর্গাপূজার মিষ্টি।
পড়ুন: বর্ষা মৌসুমে যেসব পুষ্টিকর সবজি খেতে পারেন
মাগুরায় ৭১২ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এ উৎসব দুর্গার্পজা আগামী ১১ অক্টোবর (সোমবার) থেকে শুরু হবে। এ বছর মাগুরা জেলায় চারটি থানায় মোট ৭১২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদ।
গত বছর জেলায় ৬০২ মণ্ডপে পূজা হয়েছিল। এ বছর ১১০টি মণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালিমন্দিরে পূজা দিলেন মোদি
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে দেবীর বোধন আমন্ত্রণ অধিবাস দিয়ে শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর শুক্রবার মহাবিজয়া উৎসবের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। এবার সদর উপজেলায় ২৩২টি, শ্রীপুরে ১৫৪, শালিখায় ১৭১, মহম্মদপুরে ১৩২ ও পৌরসভায় ২৩টিসহ জেলায় মোট ৭১২টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের মতো করোনার কারণে এবারও পূজায় কোনো আলোকসজ্জা, মেলা, আরতি প্রতিযোগিতা, কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হবে না। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র মন্দির প্রাঙ্গণে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সরেজমিনে মাগুরা সদরের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে শিল্পীরা ইতোমধ্যে প্রতিমায় মাটির কাজ শেষ করেছেন। চলছে রঙ-তুলির কাজ।
প্রতিমা শিল্পী মুকুল বৈদ্য বলেন, ‘ব্যস্ত সময় পার করছি। বেশ কিছু প্রতিমার কাজ পেয়েছি; কিন্তু পারিশ্রমিক ভালো না। পূজামণ্ডপে চলছে ডেকোরেশনের কাজ। আগে যে প্রতিমা ৫০ হাজার টাকায় তৈরি করেছি, এবার ২৫ হাজার টাকায় তৈরি করতে হচ্ছে। সারাবছর আমাদের এই দুর্গাপূজার আয়ের টাকায় সংসার চলে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ মিষ্টি বিনিময়
মাগুরা নতুন বাজার স্মৃতি সংঘের আয়োজক প্রকাশ সাহা বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও পূজার আয়োজন চলছে।’
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুণ্ডু বলেন, ‘মাগুরায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম- সবাই মিলেমিশে বাস করে। উৎসবে সবার একাত্বতা হলেও এবার পূজায় উৎসব আমেজ সীমিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।’
জেলার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানান, প্রতিটি মণ্ডপে আনসার, গ্রামপুলিশ, পূজা পরিষদের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করবে। এছাড়া শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল টিমসহ ডিবি পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করবে।
গান্ধীজীর জীবন এবং বাণী আজও প্রাসঙ্গিক: দোরাইস্বামী
মহাত্মা গান্ধীজীর জীবন এবং তার বাণী আজও প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
শনিবার নোয়াখালীতে গান্ধী আশ্রম ও ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত 'অহিংসা, সত্যাগ্রহ এবং মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন হাইকমিশনার।
মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবেও পালন করা হয়।
গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে. আব্দুল মোমেন ও ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সাবেক সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, মিস অ্যারোমা দত্ত, এমপি, জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন আবাসিক সমন্বয়কারী মি. টুয়োমো পুটিআইনেন এবং আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি জনাব সুদীপ্ত মুখার্জী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট ভারতীয় ব্যক্তিদের সাথে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠতার কথা স্মরণ করলেন দোরাইস্বামী
আনিসুল হক, ড. আবদুল মোমেন এবং হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সদ্য সংস্কারকৃত গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
গান্ধী আশ্রম ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত অনন্য এই জাদুঘর সংস্কারে সহায়তা করেছে ভারত সরকার। অতিথিরা গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিচিহ্ন এবং জাদুঘরের প্রদর্শনীর শিল্পকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য স্মরণ করেন।
মুজিববর্ষ উদযাপনকালে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী বাংলাদেশে প্রদর্শিত হওয়ায় হাইকমিশনার আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকায় চলমান বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী দেখার জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ জানান। প্রদর্শনীটি ১১ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ঢাকায় উন্মুক্ত থাকবে এবং পরে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা এবং রাজশাহীতে প্রদর্শিত হবে।
তিনি বলেন, প্রদর্শনীটি আমাদের দুই দেশের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও উত্তরাধিকারের মতো একটি অনন্য বিষয়কে উপস্থাপন করছে।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চণ্ডালিকা অবলম্বনে একটি বিশেষ নৃত্যনাট্য উপস্থাপন করে ঢাকার স্পন্দন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন: বেনাপোলে বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ
এস এম সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলে আর্ট ক্যাম্প
নড়াইলে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী আর্ট ক্যাম্প ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শিল্পী সুলতানের প্রতিষ্ঠিত শিশুস্বর্গ ভবনে এসএম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের পৃষ্টপোষকতায় এ আর্ট ক্যাম্প ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
এই আর্টক্যাম্পে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, যশোর ও নড়াইলের বিভিন্ন আর্ট কলেজের শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান ৩৬ জন চারুকলার ছাত্র অংশগ্রহণ করছেন।
আরও পড়ুন: শিল্পী এস এম সুলতানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী আজ
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম, এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু,এসএম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অশোক শীল, বর্তমান অধ্যক্ষ অনাদী বৈরাগী, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কুন্ডু,নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলুসহ অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
আরও পড়ুন: অব্যবস্থাপনায় নষ্টের পথে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের চিত্রকর্ম
বুড়িগঙ্গায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
ঢাকার বুড়িগঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ রোয়িং ফেডারেশনের সহযোগিতায় নৌকাবাইচের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের সোয়ারীঘাট লঞ্চঘাটে এ নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: চিত্রা নদীতে নারী-পুরুষের নৌকাবাইচ
কামরাঙ্গীরচরের ঢোডা ঘাট থেকে নৌকা বাইচ শুরু হয়ে শেখ জামাল স্কুলঘাট পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার মিটার বাইচে ১১ দল অংশগ্রহণ করে। এতে ৬০ মাল্লার নৌকা ইভেন্টে শেখ বাড়ি শেখ রাসেল ও তার দল প্রথম স্থান অধিকার করে এবং ১২ মাল্লায় বরিশাল রোয়িং ক্লাব বিজয়ী হয়।
এরপর নৌকা বাইচের পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে কামরাঙ্গীরচরের শেখ জামাল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ
তিনি বলেন, ‘নদীমাতৃক বাংলাদেশের নৌকাবাইচ থাকলে নদী থাকবে। নদী দখল ও দূষণের আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারা দেশে নৌকা বাইচ কিভাবে প্রসার ঘটানো যায় সেই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল আইজি আতিকুল ইসলাম ও হাজি সেলিম।
সবশেষ অংশে এক মনোজ্ঞ লেজার শো ও আতশবাজির আয়োজন করা হয়।
থটস অফ শামস: মজার সব চরিত্রে এককভাবে অভিনয়কারী প্রতিভাবান কন্টেন্ট নির্মাতা
সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে অভিনব ও ফ্রেশ কন্টেন্ট নির্মাণ বাংলাদেশে নতুন নয়। কিন্তু এর উপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার গঠনের ধারণাটি একই সাথে চমকপ্রদ ও সম্ভাব্যতার প্রশ্নের যোগান দিচ্ছে। তাই বিশ্বমানের এই ক্যারিয়ারের সাথে বাংলাদেশ কেবল মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ইউটিউব ও ফেসবুকে কন্টেন্ট নির্মাণের মাধ্যমে সফলতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। থটস অফ শামস তেমনি একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ, যেটি মজার সব ভিডিওর মাধ্যমে ইতোমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
আজকের ফিচারটি এই থটস অফ শামসকে কেন্দ্র করেই।
বাংলাদেশি নারী ইউটিউবার শামস-এর ব্যক্তি জীবন
থটস অফ শামস-এর নেপথ্যের মানুষটি সবার নিকট শামস নামেই পরিচিত; পুরো নাম শামস আফরোজ চৌধুরী। কাছের প্রিয়জনরা তাকে প্রভা নামে ডাকে।
আরও পড়ুন: হৈচৈ বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম: বিশ্বজুড়ে বাঙালির কোটি প্রাণের স্পন্দন
কুমিল্লার মেয়ে শামস ২০০৯-এ এইচএসসি’তে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বিবিএ’তে ভর্তি হন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে গ্রাজুয়েশন শেষ করে ২০১৩ সালে একটি বেসরকারি ব্যাংকে যোগ দেন ইন্টার্নীর জন্য।
২০১৮তে এই মেধাবী ছাত্রী এমবিএ সম্পন্ন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কর্মজীবনের শুরুতে শামস একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করেন।
কন্টেন্ট নির্মাণ এবং দাম্পত্য জীবন একসাথে শুরু হলেও দুটোর কোনটাই পরস্পরের জন্য কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি শামসের ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: রেহানা মরিয়ম নূর: কানের সম্মানজনক তালিকায় বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
শামসের কন্টেন্ট নির্মাতা হয়ে ওঠার গল্প
এমবিএ চলাকালে বিসিএস ও ব্যাংকে চাকরীর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন শামস। একের পর এক জবের জন্য আবেদনের পরেও কোথাও থেকে আশানুরূপ কোন সাড়া আসছিলো না। বরং প্রতিটি ইন্টারভিউ থেকে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছিলো।
বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে কর্মরত অবস্থায় নিজের কাজের সঠিক মূল্যায়ন পাচ্ছিলেন না। এভাবে বাংলাদেশের চাকরীর চিরাচরিত দৌরাত্ম্যে জড়িয়ে গিয়ে ক্যারিয়ার নিয়ে বেশ হতাশায় পড়ে যান শামস।
২০১৭ এর ২৩ আগষ্ট থটস অফ শামস নামে ফেসবুক পেজ তৈরি করে সেখানে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। একদিন হঠাৎ চিন্তা আসে যে, লেখা কন্টেন্টগুলো নিয়ে ভিডিও বানালে কেমন হয়! এই ভাবনা থেকেই নিজের লেখা কন্টেন্টগুলোতে দারুণ হাস্যরস মিশিয়ে ভিডিও বানাতে শুরু করে দেন। ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি থটস অফ শামস টাইটেল দিয়ে খুলে ফেলেন একটি ইউটিউব চ্যানেল।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার শীর্ষ ১০ জনপ্রিয় বাংলা নাটক
শামস বর্তমানে ৪৩০ হাজার গ্রাহকের ইউটিউব চ্যানেল এবং ২.৩ মিলিয়ন ফলোয়ার-এর ফেসবুক পেজ-এর মালিক।
শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী শুরু
ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী’ আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শনীটি জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনী চলবে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: চিত্র শিল্পী প্রয়াত চুনিলাল দেওয়ানের একক চিত্র প্রদর্শনী
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি,সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত শ্রী বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী