������������������
বরিশালে ইউএনও’র ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫
বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে ইউএনও’র ওপর হামলার চেষ্টাকালে আনসার সদস্যদের গুলি ও পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন আহত হবার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানান।
বুধবার রাত ১১টার পর বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের ওপর হামলার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে ৩ পুলিশ ও ২ আনসার সদস্য রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা কর্মীদের সংঘর্ষবরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ‘বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় প্রাঙ্গনে রাতে ব্যানার খুলতে যায় নগর ভবনের কর্মচারীরা। এসময় বাসভবন থেকে বের হয়ে উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ড থেকে ব্যানার খোলার কারণ জানা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সাথে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের কথাকাটাকাটি হয়।’উপজেলা কমপ্লেক্সে ইউএনও’র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন আনসার সদস্য জানান, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ব্যানার খোলার কথা বলে কম্পাউন্ডে ঢোকা ২৫ থেকে ৩০ জন ইউএনও স্যারের বাসভবনে ঢুকে তাকে ঘিরে ফেলে। তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে আনসারদের সাথে হাতাহাতির একপর্যায়ে হামলা চালানো হলে আনসার সদস্যরা গুলি ছোড়ে। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।
আরও পড়ুনঃ সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আনসার সদস্য নিহত
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ নগর পরিষদের বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর গুলির খবর শুনে আরও নেতাকর্মীরা জড়ো হয় সেখানে। তাদের নিয়ে মেয়র উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকতে গেলে দ্বিতীয় দফায় ভেতর থেকে গুলি ছোড়ে আনসার সদস্যরা। গুলির মুখে ভেতরে ঢুকতে না পেরে কমপ্লেক্সের বাইরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবস্থান নেন মেয়র সাদিক। ছাত্রলীগ কর্মীরা এসময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধসহ একটি বাস ভাঙচুর করে। পরে মেয়র ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।উপজেলা কমপ্লেক্সে এসব ঘটনা চলার মধ্যেই সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌছায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। বাস ভাংচুরসহ সড়ক অবরোধ ঠেকাতে গেলে তাদের সাথে ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ আহত হয় প্রায় ৩০ জন। এক পর্যায়ে পিছু হটে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা। পরে রাত তিনটার দিকে অবরোধ তুলে নিলে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।গুলিবিদ্ধ আহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা শাহরিয়ার বাবু, হারুন অর রশিদ ও তানভীর নামে তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থায় অবনতি হলে তানভীরকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ বোয়ালমারীতে আ’লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত এক
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ৮ থেকে ১০টি মোটর সাইকেলে করে ১৫ থেকে ২০ জন আমার উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে ঢুকে ঘোরাফেরা করছিল। আমি তাদেরকে এখানে আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা জোর করে আমার ঘরে ঢুকে পড়ে। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল রাজীব নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।’
রাত সাড়ে ৩ টায় সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ তার বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বিসিসির কর্মীরা সেখানে তাদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন। অথচ তাদের ওপর ন্যাক্কারজনক ভাবে গুলি চালানো হয়েছে। ঘটনা সর্ম্পকে জানতে আমি সেখানে গেলে আমার ওপর গুলি চালানো হয়। আমার বহু নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। বিচার চাই। এভাবে তো দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়।’
এক অসহায় বৃদ্ধ বাবার সংবাদ সম্মেলন!
ছেলের নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পেতে অবশেষে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলেন এক অসহায় বৃদ্ধ বাবা।
বুধবার দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী সদর উপজেলার চরকাউয়ার নয়ানী গ্রামের বাসিন্দা মো. আনসার আলী এই হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
লিখিত বক্তব্যে মো. আনসার আলী জানান, তার মেজ ছেলে আবুল কাশেম নান্নু কয়েকবারে তার প্রায় ১০ লাখ টাকার গাছ ও বাঁশ বিক্রি করে। আর এ কাজে তিনি যতবার বাধা দিয়েছেন ততবারই মারধর করেছে। এ নিয়ে ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি নিজেদের বাড়িতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক হয়। তবে ওই সালিশের রায় মেজ ছেলে নান্নু মেনে নেয়নি।
মো. আনসার আলী বলেন, এরপর ২০১৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি টাকা চেয়ে না পেয়ে নান্নু আমাকে বেদম মারধর করে এবং জোর করে বাছুরসহ একটি গরু নিয়ে যায়। তখন আমি বাদী হয়ে একই সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করি। জামিনে ছাড়া পেয়ে আমাকে আদালত চত্বরেই হুমকি দেয় সে। তখন আমি কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ছেলের হাতে বাবা খুন
তিনি বলেন, আমার দায়ের করা মামলায় সাক্ষী দেয়ায় দেলোয়ার মুন্সী নামে একজনকে মারধরও করে কাশেম। পরে ২০১৭ সালের ১ জুন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতেও একটি মামলা করি।
আনসার আলী বলেন, জাল দলিল দিয়ে নান্নু আমার কিছু জমি জোর করে চাষাবাদ করছে এবং জমিও দখল করতে চায়। চাষাবাদে বাধা দিলে আমাকে বসতঘর থেকে নামিয়ে দেয়। তখন থেকে আমার বড় ছেলে আলাউদ্দিন বাবুলের ঘরে থাকি। ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাল দলিলের জোরে নান্নু লোকজন নিয়ে আমার ২৮৪ শতাংশ জমির ধান ও একটি রেন্ট্রি গাছ জোর করে কেটে নেয়।
তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে গত ৫ বছর আমার সাথে ঝামেলা করে আসছে আবুল কাশেম নান্নু। আমি জীবিত থাকা অবস্থায় আমার জমির জাল দলিল তৈরি করে আমার জমি আত্মসাৎ করার পায়তারা করে আসছে।
আনসার আলী আরও বলেন, আমার স্ত্রী দুলুফা বেগম ২০১৫ সালে মারা যাওয়ার পর আবুল কাশেম নান্নু দাবি করে যে তার মা তাকে দলিল মূলে প্রায় ৫ একর জমি দিয়ে গেছে। কিন্তু আমি আমার স্ত্রীকে কোন দলিল দেইনি। আর নান্নু যে জাল দলিল তৈরি করেছে তার বড় প্রমাণ হলো, আমি দুলুফা বেগমকে ১৯৬৭ সালে ১৪ মার্চ বিয়ে করি। তবে বিয়ের ৬ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৬১ সালের ২০ এপ্রিল সেই স্ত্রীকে কিভাবে জমি দিলাম।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ছেলের হাতে মা খুন
বৃদ্ধ বলেন, এছাড়া আরও প্রায় দেড় একরের মতো জমি আমার মা কুলছুম বিবি দলিল মূলে দিয়েছে বলে নান্নু দাবি করছে। কিন্তু তার কাগজও আজ অব্দি দেখাতে পারেনি। নান্নু জোর করে কিছু জমি চাষাবাদ করছে এবং আরও অন্য জমি দখল করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি যে কোন সময় মারা যেতে পারি। আমি অনেক ঋণগ্রস্ত ছিলাম, যেই অর্থ আমার বড় ছেলে আলাউদ্দিন বাবুল পরিশোধ করার পাশাপাশি জরিপ কাজের খরচসহ বহু ব্যয় বহন করেছে। সেজন্য আমি তাকে আড়াই একর জমি দিয়েছি। আবার মেজ ছেলে নান্নুর লাখ লাখ টাকা দেনা হলে ১১৭ শতাংশ জমি বিক্রি করে তা মিটিয়েছি এবং বিভিন্ন মামলা মোকাদ্দমা থেকেও মুক্ত করেছি।
আনসার আলী আরও বলেন, সবশেষ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আমার তিন একর জমির ধান কেটে নিয়ে যায় নান্নু ও তার লোকজন। ওইসময় বাধা দিলে নান্নু ও তার ছেলে এমরান ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আমাকে আহত করে। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই ঘটনায় আমার বড় ছেলে বাবুল বাদী হয়ে নান্নুসহ ৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ‘ছেলের’ হাতে বাবা খুন
করোনা ও উপসর্গে নতুন ৮ জনসহ বরিশালে মৃত্যু ৬০৬
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ছয় জন ও উপসর্গ নিয়ে দুই জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২৫৫ জন।
মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে দুই জন এবং করোনা ওয়ার্ডে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০৬ জনে।
আরও পড়ুন: করোনা: রামেক হাসপাতালে ১০ মৃত্যু
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ হাজার ৫৯৭ জনে। এই সময় ১ হাজার ৯৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ২৬ হাজার ২৪২ জন।
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৫ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৭০ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৬২ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১০৮ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা: প্রধান শিক্ষক এখন চায়ের দোকানদার
করোনায় বরিশাল বিভাগে ৮ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় পাঁচজন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: ঠাকুরগাঁওয়ে আক্রান্ত ১২, মৃত্যু ২
একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮৭ জন। আর এ সময়ের মধ্যে শনাক্তের প্রায় পাঁচগুণ, ৮৮০ জন সুস্থ হয়েছেন
আরও পড়ুন: করোনায় সিকৃবি কর্মকর্তা রথীন্দ্র মল্লিকের মৃত্যু
সোমবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে তিনজন ও করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০০ জনে।
বরিশাল বিভাগে করোনায় ১৪ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভাগে করোনায় পাঁচ ও উপসর্গ নিয়ে নয়জন মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ১০ জন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৫৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে করোনায় আরও ১১ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৪৩
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করে ৩৯৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বরিশালে শনাক্তের সংখ্যা ১৫৯, পটুয়াখালীতে ৬৮, ভোলায় ৮৫, পিরোজপুরে ৩৩, বরগুনায় ৩০ ও ঝালকাঠির ১৮ জন রয়েছেন। এই নিয়ে বিভাগে আক্রান্তে সংখ্যা ৪১ হাজার ১৫৫ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় সাড়ে ৪৩ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু
এদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে রবিবার সকাল পর্যন্ত ১৬৬ জন ভর্তি রয়েছেন। যার মধ্যে ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ইউনিটে ২৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
বরিশালে মোবাইল চুরির দায়ে শিশুর চুল কাটার অভিযোগ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে এক শিশুকে প্রকাশ্যে বাজারে মারধর করে তাঁর মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিকালে গৈলা বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের দরিদ্র ভ্যান চালক লাল মিয়া সরদারের শিশু পুত্র সজীব সরদারকে (১১)। ঘটনার দিন গৈলা বাজারের অলি টেলিকম থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় স্থানীয় তাওহীদ খানের নেতৃত্বে স্থানীয় এনামুলসহ ৪/৫জন মিলে বিকেলে প্রকাশ্যে তাকে মারধর করে। পরে সজীবের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়।
শিশুর মা সানু বেগম বলেন, দুপুরে তার ছেলে বাড়ি আসে। একটু পরে গৈলা অলি টেলিকমের মালিক অলি বেপারী তাদের বাড়ি এসে সজীবকে বাজারে ডেকে নিয়ে যায়। তার পরে বিকেলে তার ছেলে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে জানায় যে একটি মোবাইল ফোন চুরির অপবাদে তাকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে শিশু নির্যাতন: কারখানা মালিকসহ আটক ৪
তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যদি চুরি করে থাকে তাহলে তারা আমার কাছে বিচার দিলে আমি আমার ছেলের বিচার করতাম। আমার শিশু পুত্রকে মারধর করে বাজারের লোকজন অমানবিকভাবে মাথার চুল কেটে দিয়েছে।’
অলি টেলিকমের মালিক অলি ব্যাপারী বলেন, ‘আমি দোকানে না থাকা অবস্থায় অন্য একজনের উপস্থিতিতে সজীব আমার দোকান থেকে বিকাশ ও নগদ এজেন্টের দুটি সীম ভরা একটি মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। দোকানের সিসি টিভি দেখে সজীবকে ফোন নেয়ার ঘটনায় তার বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ফোন চুরির কথা স্বীকার করে। এক পর্যায়ে চুরি যাওয়া ফোনটি সজীব ফেরত দেয়। তার মধ্যে সীম না থাকায় তাকে সীম দুটি ফেরত দিতে বললে সে জানায় সীম ফেলে দিয়েছে। কোথায় ফেলেছে তা দেখানোর জন্য তাকে বাড়ি থেকে ডেকে আনলে সজীব কাঁচা বাজারের ময়লা ফেলার স্থান দেখিয়ে দিলে সেখানে খুঁজে সীম দুটি উদ্ধার করি। পরে তাকে নিয়ে মসজিদে নামাজ পরে মিলাদের তোবারক দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেই। এর পরে শুনেছি যে বাজারে বসে তার চুল কেটে দিয়েছে উৎসুক লোকজন।’
বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি সুশান্ত কর্মকার বলেন, বাজারে এসে একটি শিশুর চুল কাটার কথা শুনেছি। তবে কে বা কারা ওই শিশুটির চুল কেটেছে তা তিনি জানেন না।
আরও পড়ুন: শিশু নির্যাতন: ট্রমা বিশেষজ্ঞ সিএইচ রবিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু বলেন, লোক মুখে ঘটনা শুনে আমি গৈলা বাজারে উপস্থিত হয়ে শিশুকে মারধর ও চুল কাটার কথা জানতে পারি। অমানবিক এই এই ঘটনায় তিনি আইনগত বিচার দাবি করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম ছরোয়ার বলেন, সৌরভ মোল্লা, তাওহীদ ও অলিসহ বেশ কয়েকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে এই ঘটনায়।
দুর্নীতির দায়ে বিসিসির ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শনিবার জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাতে তাদের কাছে বরখাস্তের চিঠি পৌঁছে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেন।
তিনি জানান, এ বিষয়টি আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে গণমাধ্যমকে জানাবো। তার আগে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা হলেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মতিন, নির্বাহী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির, বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কমল ও জহিরুল ইসলাম, চিফ অ্যাসেসর মো. আজম, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রোমেল, হিসাবরক্ষক মো. মাইনুদ্দিন, সম্পত্তি শাখার অ্যাস্টেট অফিসার মাহাবুবুর রহমান শাকিল, আইন সহকারী রফিকুল ইসলাম, অফিস সহকারী আব্দুস সালাম ও হায়তুল ইসলাম।
বরখাস্ত হওয়া এই ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের চিঠিতে বরখাস্তের কারন উল্লেখ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন চাকরিচ্যুতরা।
চাকরিচ্যুত হওয়া বিসিসির পানি শাখার হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সিটি করপোরেশনের একজন লোক বাসায় এসে বরখাস্তের চিঠি দিয়ে গেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে তিন মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা আমি পাইনি। তাছাড়া সিটি করপোরেশনের কাছে ১৫ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী কাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে তারা ওএসডি ছিলেন। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট চতুর্থ পরিষদের নবম সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩ মাসের বেতন পরিশোধপূর্বক ১২ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগে বিসিসির প্রধান বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমানকে উৎকোচ গ্রহণ ও ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ঠিকাদারকে বিল প্রদান, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট আজিজ শাহীনকে নামে বেনামে স্বজনদের বিপরীতে করপোরেশনের স্টল বরাদ্দ দেয়া, একই অভিযোগে বাজার সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে বিসিসির রাস্তা খুঁড়তে সহায়তা করায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এনিয়ে গত দুই বছরে দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে চাকরি হারালেন ১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট
করোনা মোকাবিলায় তথ্য নয় বরং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করুন: টিআইবি
করোনা : বরিশাল বিভাগে ১১ মৃত্যু
বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় পাঁচ জন ও উপসর্গ নিয়ে ছয় জন মারা গেছেন।
একই সময় শনাক্ত হয়েছেন ১৭০ জন। যা গত তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বোনিম্ন। এর মধ্যে শনাক্তের দ্বিগুন ৩৪৫ জন সুস্থ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আক্রান্ত ও উপসর্গে রামেক হাসপাতালে ১১ মৃত্যু
শনিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ছয় জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচ জনের মধ্যে বরিশালে তিন জন এবং বরগুনা ও ঝালকাঠিতে একজন করে রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯০ জনে।
একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭০ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৭৬২ জনে। আর এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ৩৪৫ জন, এই নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২৩ হাজার ৬২৭ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনায় ৯ মৃত্যু
এদিকে, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৬ জন ও করোনা ওয়ার্ডে আট জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ১৯৯ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৬০ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৩৯ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ২০১ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
ফি মওকুফের দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বরিশালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সেশন চার্জসহ সব ধরনের ফি মওকুফের দাবিতে ঢাকা বরিশাল কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে বরিশাল নগরীর চৌমাথা এলাকায় তারা এই বিক্ষোভ করে। এতে করে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ‘অকৃতকার্য’ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বিক্ষোভকারীরা জানান, করোনাকালে অভিভাবকের আয় কমেছে। কারোর আয় একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্ধারিত ফি ছাড়াও বাড়তি কিছু ফি যোগ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। করোনাকালে যা পরিশোধ করা শিক্ষার্থীদের জন্য অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছে এবং একই কারণে সড়ক অবরোধ করেছে।
এদিকে, অবরোধের কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির মধ্যে এ সড়কে চলাচলকারী অসংখ্য যানবাহন ও মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
আরও পড়ুন: ৫ মাস বেতন বন্ধের প্রতিবাদে কেসিসির পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বিক্ষোভ
পরে কলেজ প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আড়াই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বরিশালের সিভিল সার্জন সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত
করোনা প্রতিরোধে টিকা নিয়েও বরিশাল জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী মুর্শিদা বানু করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরআগে তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুনঃ চার মাস পর খুলনায় সর্বনিম্ন মৃত্যু
তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট দিয়ে দোয়া চেয়ে লিখেছেন, ‘আমার ফেসবুক বন্ধুরা আপনাদের আজ (১১/০৮/২০১) একটা দুঃসংবাদ দিচ্ছি। আমার ও আমার সহধর্মিণীর করোনা পজিটিভ এসেছে। সবার কাছে দোয়া চাই। সবার প্রতি অনুরোধ আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করুন। সম্ভব হলে ঘরেই অবস্থান করুন।’
আরও পড়ুনঃ বরিশালে বিভাগে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ মৃত্যু
উল্লেখ্য, করোনার টিকা নেওয়া হলেও করোনায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু টিকা নেওয়া হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায়, যা চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে।