খুলনা
অসুস্থ সঙ্গীত শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়ার পাশে ছাত্রলীগ সভাপতি
দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক নানা সমস্যা ও আর্থিক সংকট নিয়ে নিজ বাড়িতে চরম দুরাবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া। এ সময় তার পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
কুষ্টিয়া শহরের জেল খানা মোড়ে এরশাদ নগর সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন কাঙ্গালিনী সুফিয়া।
এব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক জানান, কিছুদিন আগে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার দুরাবস্থা নিয়ে আরেক বাউল শিল্পী নেত্রকোনার কুদ্দুস বয়াতী তার ফেসবুকে একটা ভিডিও আপলোড করেন। ভিডিওটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের নজরে আসে। গুণী এই শিল্পীর দুরবস্থার কথা জানতে পেরে তিনি কাঙ্গালিনী সুফিয়াকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করার ইচ্ছা পোষণ করেন। যোগাযোগ করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে।
আরও পড়ুন: অর্ধশত বছর ধরে বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের জমি প্রভাবশালীদের দখলে
এদিকে, শনিবার বিকালে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে শিল্পীর বাড়িতে যান। এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের পক্ষ থেকে অসুস্থ শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়ার হাতে সহযোগিতা পৌঁছে দেন।
নগদ ১০ হাজার টাকা ছাড়াও সহায়তার মধ্যে ছিল ৫০ কেজির চাল, ২০ কেজি আটা, ডাল, সেমাই, চিনি, সোয়াবিন তেল, নারিকেল তেল, সাবান, আলু, পেয়াজ, লবণ, হুইল পাউডার, পাউডার দুধসহ অন্যান্য সামগ্রী।
আরও পড়ুন: বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম: ভাটি বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতির এক কীর্তিমান শিল্পী
এ সময় কুষ্টিয়া পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাসিব কোরাইশী, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম লিমনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনিক জানান, হঠাৎ সহযোগিতা পেয়ে অসুস্থ এই শিল্পী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান সহ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: বাউল শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা
কাঙ্গালিনী সুফিয়ার প্রকৃত নাম টুনি হালদার। তবে তিনি কাঙ্গালিনী সুফিয়া নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৬১ সালে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। লালন গীতি, লোক সঙ্গীত ও বাউল গানের জন্য তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন। প্রায় পাঁচ শতাধিকেরও বেশি গান গেয়েছেন। কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই, পরাণের বান্ধব রে বুড়ি হইলাম তোর কারণে, নারীর কাছে কেউ যায় না, আমার ভাঁটি গাঙের নাইয়া প্রভৃতি গানের জন্য তিনি বিখ্যাত। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মঞ্চে গান পরিবেশন করেছেন। ১০টি আন্তর্জাতিকসহ ৩০ টি জাতীয় পুরস্কার রয়েছে গুণী এই শিল্পীর ঝুঁলিতে।
সাতক্ষীরার শীর্ষ প্রতারক বাদশা মিয়া অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার শীর্ষ প্রতারক এস এম বাদশা মিয়াকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, মন্ত্রী-এমপিদের সীলসহ প্রতারণার একাধিক উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় এসআই পরিচয় দেয়া এক প্রতারক আটক
এস এম বাদশা মিয়া সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্যারডাঙ্গী গ্রামের হাতুড়ি ডাক্তার নূর ইসলামের ছেলে।
শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাদশার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নকল নোট প্যাড, সীল, সংসদ সদস্যের ডিও লেটার ও বিভিন্ন প্রকার নিয়োগপত্র এবং জমাজমি সংক্রান্ত কাগজপত্র জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিজেকে কখনও ডাক্তার, আবার কখনও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টর পরিচয় দিতেন। আবার কখনও (বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় সভাপতি) ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন।
পুলিশ সুপার জানান, এছাড়াও বাদশা মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানুষকে টাকার বিনিময়ে চাকরিতে পদোন্নতি, চাকরি পাইয়ে দেয়া, এমনকি যে কোন মামলার সুরাহা করে দেয়ার প্রতিশ্রুত দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
শ্রমিক সংকটে ঝালকাঠিতে কৃষকের ধান কেটে দিল যুবলীগ
করোনা মহামারিতে শ্রমিক সংকটে দিশেহারা ঝালকাঠির এক কৃষকের দুই বিঘা জমির বোরো ধান কেটে আঁটি বেঁধে মারাই করে ঘরে তুলে দিয়েছে জেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা।
শনিবার (১ মে) মহান মে দিবসের সকালে সদর উপজেলার আগলপাশা গ্রামের কৃষক সাইফুল তালুকদারের জমির ধান কাটেন তারা।
কৃষক সাইফুল তালুকদার জানান, ক্ষেতের বোরো ধান পেঁকে ক্ষেতেই পরে ছিল। তীব্র গরম ও প্রখর রোদের তাপে শ্রমিকরা ধান কাটায় অপারগতা প্রকাশ করছিল। এদিকে করোনা ও লকডাউনের কারণে কৃষকের দুশ্চিন্তা আরো বেরে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: চলনবিলে কৃষকের ধান কেটে দিল ছাত্রলীগ
ধান কাটার জন্য শ্রমিক সংকটে ভুগছিলেন তিনি। খবর পেয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকিরের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা কৃষকের মাঠে গিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ধান কাটেন। পরে কাটা ধান আঁটি বেঁধে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেন তাঁরা। বাড়িতে মেশিনের মাধ্যমে সেই ধান মারাই করেও দেন যুবলীগ নেতা-কর্মীরা।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নির্দেশে ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন স্থানে করোনায় সংকটে পরা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে যুবলীগ। মহান মে দিবসে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা শ্রমিকের কাজ করে কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটিয়েছে। ঝালকাঠি জেলা যদি কোন কৃষক ধান কাটা নিয়ে শ্রমিক সংকটে ভোগেন, যুবলীগ সেই কৃষকের পাশে দাঁড়াবে বলেও জানান তিনি।
নড়াইলে মাশরাফীর পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের ইফতারি বিতরণ
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার পক্ষ থেকে পথচারী ও ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে ইফতারি বিতরণ করেছে নড়াইল জেলা ছাত্রলীগ।
নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ২৫০ জন রোজাদারের মাঝে এই সব ইফতারি বিতরণ করা হয়।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ সিংহ পল্টু বলেন, করোনাকালীন সঙ্কটে ছাত্রলীগ সব সময় মাঠে ছিল ও থাকবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ নড়াইলের কৃতিসন্তান, বাংলাদেশের গর্ব মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এমপির পক্ষ থেকে আমরা ছিন্নমূল শিশু ও পথচারীদের মাঝে ইফতারি বিতরণ করছি।
এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রকিবুজ্জামান পলাশ, সহ-সভাপতি মাহাবুব রহমান, মিঠুন বিশ্বাস রাজু, সন্দীপ মজুমদার, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম ভূঁইয়া, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান মোল্ল্যা, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফুলতলায় অধিকাংশ অগভীর নলকূপে পানি নেই
খুলনা জেলার ফুলতলায় তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৫ থেকে ৬ মাস বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিম্নগামী হচ্ছে। ফুলতলায় অধিকাংশ অগভীর নলকূপে পানি নেই।
বর্তমানে দেশজুড়ে প্রচণ্ড তাপদাহ চলছে। যার ফলে এলাকার শিশু ও বয়বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একদিকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত অবস্থা। প্রচন্ড এই রোদে গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে শিশু ও বৃদ্ধদের।
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৮
বর্তমানে বোরোধান কাটা মৌসুম প্রায় শেষ। কৃষকরাও এই গরমে বেশি সময় কাজ করতে করতে পারছে না। আবার যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তারাও গরমে কষ্ট পাচ্ছে। দীর্ঘ কয়েকমাস বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং তাপদাহ বেশি হওয়ার ফলে বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। ইতোপূর্বে এত দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টিপাতের অভাব দেখা যায়নি। প্রচণ্ড তাপদাহসহ অনাবৃষ্টির কারণে নেমেছে পানির স্তর যার ফলে দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব।
আরও পড়ুন: করোনার প্রভাবে খুলনায় চিংড়ি শিল্পে বিপর্যয়
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, গভীর ও অগভীর নলকূপে পানি কম উঠছে। কোন কোন নলকূপে মোটেও পানি উঠছে না। অনেক সময় মটর দিয়েও পানি উঠানো সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেকের মটর পরিবর্তন করেও কোন কাজ হচ্ছে না।
একজন মটর মেকানিক শহিদুল ইসলাম জানান, এলাকার বেশিরভাগ অগভীর নলকূপে পানি থাকছে না এবং ঘন ঘন মটর মেরামত করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছর ধরে উৎপাদনে নেই খুলনা অক্সিজেন কোম্পানি
ফুলতলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ২ হাজার ২০০’ গভীর নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ অকেজো। তাছাড়া অধিকাংশ অগভীর নলকূপে পানি কম উঠছে। যে কারণে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বর্তমানে আউশ মৌসুমে বীজ বপনের কার্যক্রম চলছে। ১৫ মার্চ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এ মৌসুম। এর মধ্যে বীজ বপন ও চারা রোপনের কার্যক্রম শেষ করতে হবে। বর্তমানে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকরা বীজ বপন করতে পারছে না। উপজেলায় ৩৫০ বিঘা জমিতে আউশ চাষাবাদের আওতায় আনা হলেও পানির অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
দ্রুত বৃষ্টি না হলেও আউশ মৌসুমে নির্ধারিত কৃষকরা আউশ চাষে ব্যর্থ হবে বলে কৃষি অফিস জানায়।
আড়তের ৭০ টাকার আম খুচরায় ২০০ টাকা!
খুলনার বাজারে উঠেছে মৌসুমি ফল আম। সাতক্ষীরা অঞ্চলে উৎপাদিত গোবিন্দভোগ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বাজারে হলুদ ও লাল রংয়ের টসটসে আম দেখে অনেকেই আগ্রহ নিয়ে এর দাম করছে, আবার অনেকে দাম শুনে চলে যাচ্ছে।
খুলনাস্থ বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে আম বিক্রেতা মিজান জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে তিনি খুলনায় আম বিক্রি করছেন। সোনাডাঙ্গাস্থ ট্রাক টার্মিনাল থেকে ক্রয় করে তিনি ফেরি করে বিক্রয় করছেন। সকাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি ১৪ থেকে ১৫ কেজি আম বিক্রি করেছেন, দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ৪৯ ক্যারেট আম বিনষ্ট
খুলনা রূপসা উপজেলার বাসিন্দা মো. আশিকুর রহমান আশিক দুপুর ১ টায় খুলনা সদর থানার সামনে দাঁড়িয়ে আম বিক্রি করছিলেন।
তিনি জানান, তার নিজস্ব কোন পুঁজি নেই। মহাজনের কাছ থেকে আম নিয়ে তিনি ফেরি করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন। এ হিসেবে তিনি প্রতিদিন পারিশ্রমিক হিসেবে ৪৫০ টাকা নেন। তিনি ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। গত দু’দিনে তিনি ৬০ কেজি আম বিক্রি করেছেন। প্রতিদিন তিনি ভ্যানে ৮০ কেজি আম নিয়ে শহরে বের হন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে লিচু গাছে আম আকৃতির ফল!
এদিকে, খুলনা বড় বাজার পাইকারী কাঁচা ও পাকা ফলের আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হায়দার পাটোয়ারি জানান, বাজারে আম উঠেছে বলে তিনি শুনেছেন। এখানো তার ঘরে পাকা আম আসেনি। যে আমের আটি হয়েছে সেগুলো ঘরে রেখে দিলে পেকে যাচ্ছে।
তবে প্রকৃত মৌসুমি আম আসতে এখনো ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা কৃষিকে দিয়েছেন নতুন দিগন্ত: কৃষিমন্ত্রী
অপরদিকে, কেসিসির ট্রাক টার্মিনালস্থ পাইকারী কাচা বাজারের মেসার্স ঝালকাটি ট্রেডার্সের এক কর্মচারী জানান, গত দু’দিন ধরে আড়তে আম আসছে। আম সাতক্ষীরা থেকে ব্যাপারীরা তার আড়তে নিয়ে এসেছেন। গোবিন্দভোগ নামের এ ফলটি সব থেকে আগে পাকে। এটা খেতে খুব মিষ্টি। ২০ থেকে ২৫ ক্যারেট আম শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা থেকে এসেছে এবং তা খুচরা বিক্রেতারা কিনেছেন। প্রতিকেজি আম ৭০ টাকা দরে তার প্রতিষ্ঠান থেকে পাইকারী দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মহানগরীর ডাকবাংলা মোড় এলাকার ফুটপথের ফলের দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো হয়েছে আম।
দুপুর ১ টায় এসএম এ রব শপিং কমপ্লেক্সের সামনে আম ক্রেতা নজমুল হকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আম তার খুব পছন্দের ফল। দাম যদিও বেশী। আম দেখে তিনি লোভ সামলাতে না পেরে ১৫০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। তাছাড়া দোকানি জানিয়েছেন যে আমগুলো খেতে খুব মিষ্টি।
যশোরে কলেজ শিক্ষকের ‘চুইঝাল’ চাষে সম্ভাবনার হাতছানি
যশোরের ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান আরজান আলী। শিক্ষকতাই তার পেশা। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাই ব্যতিক্রমি এক উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
কুষ্টিয়ায় ব্যবসায়ীর গুদামে ১৩ টন সরকারি চাল
কুষ্টিয়ায় এক ব্যবসায়ীর গুদামে প্রায় সাড়ে ১৩ টন সরকারি চালের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। চাল পাওয়ার পর পুলিশ গুদামটি বন্ধ করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট মাদরাসা পাড়ার ওই গুদামে ওই চালের বস্তা পাওয়া যায়।
গুদামটির মালিক আবু তালেব। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী সাইফুল খন্দকার তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে এটি ব্যবহার করে আসছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জ পাচারের সময় ভিজিডির ৩ হাজার কেজি চাল উদ্ধার, আটক ১
স্থানীয়রা প্রথমে সাইফুলের গুদামে রাখা ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ স্লোগান লেখা ও খাদ্য অধিদপ্তরের সিল মারা বস্তায় চালের বিষয়টি টের পেয়ে সাংবাদিকদের জানান।
সাংবাদিকরা বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে জানালেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ৯৯৯ এ ফোন দিলে জগতী পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী ঘটনাস্থলে যান। পরে রাত ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবীর গুদাম পরিদর্শন করে তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: নাচোলে সরকারি চালসহ আটক ব্যক্তির কারাদণ্ড
তিনি জানান, খাদ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তদন্ত টিম এসে প্রতিবেদন দেয়ার পর তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।
তবে সাইফুলের দাবি, তিনি কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন থেকে ৩৮ টাকা দরে চাল কিনে ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। কিন্তু এ সময় বক্তব্যের স্বপক্ষে চাল কেনার কোনো বৈধ কাগজ তিনি দেখাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৩০০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার
এ বিষয়ে বটতৈল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ মোমিন মন্ডল বলেন, ‘এই চাল কীভাবে ওখানে গেল এটা আমার জানা নাই। এটা রেশন বা দুঃস্থদের চাল হলেও হতে পারে। যদি ক্রয়ের চালান না থাকে তাহলে এটা অবশ্যই অবৈধ।’
জেলার খাদ্য পরিদর্শক জহুরুল আলম বলেন, গুদামটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। কোনো পরিবর্তন না করে এটি যেমন আছে তেমনই রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রবিবার তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে জেলা ফুড অফিসকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।’
শৈলকুপায় দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলেন ইউএনও
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের কাছে টাকা ও ঘাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা লিজা।
নিহত পরিবারদের ৫০ হাজার টাকা ও দুই বস্তা খাদ্য সামগ্রী সহায়তা প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার শৈলকুপার দুধসর নামক স্থানে ইজিবাইক-প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি গ্রামের ফজলুর রহমানের স্ত্রী তহুরা খাতুন (৫০), একই উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের ইনসার আলীর ছেলে সজিব হোসেন (১৮) ও দুধসর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারের স্ত্রী রেনুকা খাতুন (৫০)।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পরপরই জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান মৃত পরিবারদের খোঁজ খবর নেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণা করেন। সেই মোতাবেক শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার তাদের পরিবারদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা ও দুই বস্তা খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে তহুরা খাতুনের পরিবারকে ২০ হাজার, সজিব হোসেনের পরিবারকে ২০ হাজার ও রেনুকা খাতুনের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
সাবেক সংসদ সদস্য ও খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আহমেদ মারা গেছেন
বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক অনির্বাণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আলী আহমেদ মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা মহানগরীর নার্গিস মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক কন্যা সন্তান, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অধ্যক্ষ আলী আহমেদ বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার তার হার্ট ও কিডনির কোনোটাই ঠিকমতো কাজ করছিল না বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অর্থমন্ত্রীর জামাতা দিলশাদ মারা গেছেন
সাতক্ষীরা মহকুমার কলারোয়া থানার মুরারীকাটি গ্রামের ১৯৪৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সাবেক এই সংসদ সদস্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও সংস্কৃত বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৬৪ সালে দৈনিক পূর্বদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতা পেশার সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত খুলনার সাপ্তাহিক জন্মভূমির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৪ সালের পূর্বাঞ্চল দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে তিনি নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন কবরী
১৯৭৫ সালে তিনি বাকশালে যোগ দেন। ১৯৭৭ সালে দৈনিক অনির্বাণ সম্পাদনা করেন। ১৯৭২-৭৮ খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং ৯১-৯২ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনও করেন। ১৯৮৮ ও ৮৯ সালে বাংলাদেশ এডিটরস কাউন্সিলের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
জীবনের প্রথম দিকে মুসলিম লীগের নীতি আদর্শে পরবর্তীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের দর্শনে বিশ্বাসী হয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালের বিএনপির মনোনয়নে সাতক্ষীরা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: করোনায় এনটিভির যুগ্ম বার্তা সম্পাদকের মৃত্যু
১৯৬৫ সালের ১ জুলাই থেকে ১৯৯৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এম এম সিটি কলেজে শিক্ষকতা করেন। তার অনন্য সৃষ্টি খুলনার আহসানউল্লাহ ডিগ্রি কলেজ ও খুলনা শিশু বিদ্যালয়। কলারোয়ায় মুরারীকাটি ইউনাইটেড হাইস্কুল ও খুলনা শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দী কলেজ প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
সাতক্ষীরা সুন্দরবন পাবলিক ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠায় জনমত গঠনে উদ্যোগ নিয়েছেন। এলজিইডি প্রতিষ্ঠায় প্রকৌশলী মরহুম কামরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সাথে তিনি নিরলস শ্রম দেন। তিনি খুলনা আহসানউল্লা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী মিতা হক আর নেই
এদিকে দৈনিক অনির্বাণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আলী আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তোপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিয়ার পারভেজ সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লাসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য।