���������������������-���������������������
২৩-২৫ মে কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৩-২৫ মে দোহায় অনুষ্ঠিতব্য বৈশ্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য নিবেদিত মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় কণ্ঠ কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেবেন।
বৃহস্পতিবার এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানির আমন্ত্রণে ‘তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম: একটি নিউ গ্লোবাল গ্রোথ স্টোরি’- শীর্ষক ফোরামে যোগ দেবেন।
এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং এর ফলে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক পরিণতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বের করা।
দোহায় অবস্থিত ফোরামটি কৌশলগতভাবে এশিয়াকে আফ্রিকা এবং তার বাইরের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য কাতারের ক্ষমতায়নের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক কূটনৈতিক হাব ও এলএনজি জ্বালানি প্রযুক্তির অন্যতম নেতা হিসেবে এর অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।
আয়োজকরা বলেছেন, ফোরামে বৈশ্বিক নেতা এবং উদ্ভাবকদের একটি কিউরেটেড গ্রুপ রয়েছে, যারা বর্তমানের আরও কিছু প্রাসঙ্গিক চ্যালেঞ্জের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে। কারণ তারা আমাদের ভাগ করা ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
আরও পড়ুন: কাতার ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন-ইরাক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ এস আল-সুদানী, জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি গারিবাশভিলি, রুয়ান্ডা প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি পল কাগামে, কাতার এয়ারওয়েজের গ্রুপ সিইও আকবর আল-বাকার, সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহ, সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল-জাদান,কাতারের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী এবং কাতার এনার্জির প্রেসিডেন্ট ও সিইও সাদ শেরিদা আল-কাবি।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে অন্যতম অতিথি হিসেবে রাখেন।
কাতার ইকোনমিক ফোরাম ২০২৩ বিশ্বব্যাপী সমাজ ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে এমন উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর ফোকাস করবে।
২০২৩ সালের আয়োজনে এই চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিবেশে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উন্নয়নে একটি নতুন রোডম্যাপ নির্ধারণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ২২ মে দোহার উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং ২৬ মে দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুন: কাতার চ্যারিটির খাদ্য সহায়তা পেল ৫৭,৯৭০ জন
বাংলাদেশে কাতার চ্যারিটির নানাবিধ প্রকল্পে উপকার পেয়েছে ৩ লাখ মানুষ
বাংলাদেশের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা অনেক দেশের তুলনায় ভালো: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অন্য অনেক দেশের তুলনায় ‘অনেক ভালো ও দক্ষ উপায়ে’ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিরবিচ্ছিন্নভাবে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে এবং দক্ষতার সঙ্গে নিরাপত্তা দেওয়া অব্যাহত রাখবে।’
তিনি আরও জানান যে সরকার এই বিষয়ে অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছে এবং তাদের হাতে আরও অনেক কাজ রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘(এ বিষয়ে) আমরা অনেক ব্যাখ্যা দিয়েছি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বর্তমানে বিশেষ শাখা থেকে দুজন গানম্যানসহ ১৫৮ জন নিরাপত্তা কর্মী পরিষেবা পাচ্ছে।
এরমধ্যে প্রত্যেক দূতাবাস, বাসভবন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ৩৯ জন করে নিরাপত্তা কর্মী রয়েছে এবং এগুলোর মোট সংখ্যা ১১৭ জন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন দূতাবাসের অন্যান্য কূটনীতিকদের বাসভবনের জন্য আরও ৩৯ জন নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, এসকর্ট হিসেবে ব্যবহার করা অতিরিক্ত ৮জন কর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে বর্তমানে ৩৯ জন নিরাপত্তা কর্মী এবং দুইজন গানম্যান রয়েছে এবং ৭ জন অতিরিক্ত কর্মীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যমান সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ঢাকা-সিউল উচ্চ পর্যায়ের সফর প্রয়োজন: শাহরিয়ার
অন্যদিকে, ভারতের হাইকমিশন ৪০ জন নিরাপত্তা কর্মী পায় এবং ঢাকায় সৌদি দূতাবাস ৪৮ জন নিরাপত্তা কর্মী পায়।
এর আগে বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আগামীকাল বা রবিবার ঢাকায় কূটনৈতিক মিশনের জন্য আনসাররা যে বিকল্প নিরাপত্তা পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে, সে বিষয়ে সরকার জানিয়েছে।
বাংলাদেশের আনসার ও ভিডিপি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তারা (আনসার) তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছে।
আমরা এক ধরনের ধারণা পেয়েছি, সেই তথ্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় আমরা বিদেশি মিশনে জানিয়ে দেবো।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, আগামীকালের মধ্যে সম্ভব না হলে রবিবার (২১ মে) একটি নোট মৌখিকভাবে মিশনগুলোকে জানাবেন তারা।
আনসার মহাপরিচালক বলেছেন, আনসার ব্যাটালিয়ন অবিলম্বে রাষ্ট্রদূতদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রোটোকল দিতে প্রস্তুত।
আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ইতোমধ্যে সংসদসহ সারা দেশে এ ধরনের প্রটোকল দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে মঙ্গলবার পররাষ্ট্র সচিব বলেছিলেন যে সরকার চার কূটনীতিকের জন্য ‘অতিরিক্ত নিরাপত্তা এসকর্ট’ প্রত্যাহার করায় বিকল্প হিসেবে ঢাকাস্থ বিদেশি মিশনগুলোতে আনসার (একটি আধাসামরিক সহায়ক বাহিনী) পরিষেবা অফার করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বুধবার তারা (আনসার বাহিনী) কী কী সুযোগ-সুবিধা দিতে পারবেন এবং এই সেবা নিতে ইচ্ছুক মিশনগুলোর সঙ্গে কিভাবে সংযোগ গড়ে তুলতে পারেন সে বিষয়ে আনসার মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সরকার ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে আয়োজক দেশ হিসেবে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন এবং বিদেশি মিশন ও তাদের কর্মীদের নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের জন্য বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্র সচিব
‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র সচিব
আইএমও মহাসচিব পদে প্রার্থীর জয়ে আশাবাদী ঢাকা
আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব পদে বাংলাদেশের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘একজন পেশাদার হিসেবে তার পেশাগত জীবন অনেক বর্ণাঢ্য। আমরা ভালো ফলাফল আশা করছি।’
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আইএমও সদস্য দেশগুলোর দুই ডজন কূটনীতিককে ব্রিফ করার পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বর্তমানে আইএমও’তে ১৭৫টি সদস্য রাষ্ট্র এবং তিনটি সহযোগী সদস্য রয়েছে এবং একই পদের জন্য ফিনল্যান্ড, চীন, তুরস্ক, ডোমিনিকা, কেনিয়া ও পানামার প্রার্থী রয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন চাওয়ার জন্য এবং তার (প্রার্থী) সম্পর্কে অবহিত করার জন্য এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।’
মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ওই পদের প্রার্থী হিসেবে মঈন উদ্দিন আহমেদকে মনোনীত করেছে, যিনি ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
আইএমও অনুসারে, ১৮ জুলাই আইএমও সদর দপ্তরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনের পরে, কাউন্সিলের সিদ্ধান্তটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে আইএমও-এর ৩৩তম অধিবেশনে জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আইএমও মহাসচিব পদে প্রার্থীকে কূটনীতিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল ঢাকা
নিয়োগ অনুমোদনের জন্য জাতিসংঘের কাউন্সিলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং নির্বাচিত মহাসচিব ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
আইএমও সাতটি সদস্যরাষ্ট্র প্রতিবারই আইএমও-এর মহাসচিব পদের জন্য একজন প্রার্থীকে মনোনীত করেছে।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বর্তমান মহাসচিব কিটাক লিমের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রাপ্ত মনোনয়নগুলো ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ প্রার্থীদের নাম অনুসারে বর্ণানুক্রমিক ক্রমে নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে- মঈন উদ্দিন আহমেদ (বাংলাদেশ), সুত হায়রি আকা (তুর্কিয়ে), আর্সেনিও আন্তোনিও ডোমিঙ্গুয়েজ ভেলাস্কো (পানামা), ডা. ক্লিওপেট্রা ডুম্বিয়া-হেনরি (ডোমিনিকা), ন্যান্সি কারিগিথু (কেনিয়া), মিন্না কিভিমাকি (ফিনল্যান্ড) এবং চীনের ঝাং জিয়াওজি (চিয়াওজি)।
আইএমও কাউন্সিল তার ১২৮ তম অধিবেশনে (২০২২ সালের ডিসেম্বরে) কাউন্সিলের ২০২৩ সালের জুলাই অধিবেশনে মহাসচিব নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতিগুলো অনুমোদন করেছে।
মঈন উদ্দিন আহমেদ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম স্যাটেলাইট অর্গানাইজেশনের (আইএমএসও) ২৫তম অধিবেশনে মহাপরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি ২০১৪ সালের নভেম্বরে প্রথম মহাপরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সালের এপ্রিলে তার যাত্রা শুরু করেন।
২০১৪ সালে আইএমএসও -এর মহাপরিচালক হিসেবে মনোনীত হওয়ার আগে তিনি আইএমও মেরিটাইম সেফটি ডিভিশনের একজন সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সামুদ্রিক শিল্প উদ্যোগে আইএমও-এর সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
রাষ্ট্রদূতদের জন্য বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্র সচিব
আইএমও মহাসচিব পদে প্রার্থীকে কূটনীতিকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল ঢাকা
আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব পদে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে সমর্থন চেয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
ব্রিফিংয়ে অংশ নিতে দুই ডজন দেশের কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মঈন উদ্দিন আহমেদকে এ পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
আইএমও এর তথ্যানুসারে ১৮ জুলাই আইএমও সদর দপ্তরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়লো আইএমও’র স্বাস্থ্য কেন্দ্র
২০২৩ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনের পর কাউন্সিলের সিদ্ধান্তটি ২০২৩ সালের শেষের দিকে আইএমও-এর ৩৩তম অধিবেশনে জমা দেওয়া হবে।
নিয়োগ অনুমোদনের জন্য অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং নির্বাচিত মহাসচিব ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
সাতটি আইএমও সদস্য রাষ্ট্র প্রত্যেকেই আইএমও-এর মহাসচিব পদের জন্য একজন করে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে।
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের বর্তমান মহাসচিব কিটাক লিমের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।
মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রাপ্ত মনোনয়নগুলো ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ প্রার্থীদের নাম অনুসারে বর্ণানুক্রমিক ক্রমে নীচে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে- মঈন উদ্দিন আহমেদ (বাংলাদেশ), সুত হায়রি আকা (তুর্কিয়ে), আর্সেনিও আন্তোনিও ডোমিঙ্গুয়েজ ভেলাস্কো (পানামা), ডা. ক্লিওপেট্রা ডুম্বিয়া-হেনরি (ডোমিনিকা), ন্যান্সি কারিগিথু (কেনিয়া), মিন্না কিভিমাকি (ফিনল্যান্ড) এবং চীনের ঝাং জিয়াওজি (চিয়াওজি)।
আইএমও কাউন্সিল তার ১২৮তম অধিবেশনে (ডিসেম্বর ২০২২) কাউন্সিলের জুলাই ২০২৩ অধিবেশনে মহাসচিব নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতিগুলো অনুমোদন করেছে।
মঈন উদ্দিন আহমেদ আন্তর্জাতিক মেরিটাইম স্যাটেলাইট অর্গানাইজেশনের (আইএমএসও) ২৫তম অধিবেশনে মহাপরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি ২০১৪ সালের নভেম্বরে প্রথম মহাপরিচালক হিসাবে নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সালের এপ্রিলে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
২০১৪ সালে আইএমএসও-এর মহাপরিচালক হিসেবে মনোনীত হওয়ার আগে তিনি আইএমও মেরিটাইম সেফটি ডিভিশনের একজন সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ সামুদ্রিক শিল্প উদ্যোগে আইএমও-এর সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
বিদ্যমান সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ঢাকা-সিউল উচ্চ পর্যায়ের সফর প্রয়োজন: শাহরিয়ার
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর জোর দিয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আনন্দ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী আলম।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জাং-কেউন বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিদায়ী বৈঠক করেন।
তারা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, দক্ষ শ্রম, কানেক্টিভিটি, ইন্দো প্যাসিফিক, উচ্চ পর্যায়ের সফর, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রদূত লি বাংলাদেশে তার মেয়াদে অর্জিত চারটি বড় মাইলফলক তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
এগুলো হলো- দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি (১ দশমিক ৫ বিলিয়ন থেকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), ওডিএ (৭০০ মিলিয়ন থেকে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), ইপিএস কর্মী (প্রতিবছর ১৫০০ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত) এবং এফডিআই (২০২২ সালে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
তিনি চলমান ঢাকা-সিউল সরাসরি ফ্লাইট এবং বাংলাদেশে দুটি কোরিয়ান জায়ান্ট কোম্পানি- হুন্দাই এবং স্যামসাং-এর অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্টের উদ্বোধনের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে তার সফল মেয়াদের জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান এবং তার ভবিষ্যত দায়িত্বের জন্য তার সাফল্য কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ. কোরিয়ার ‘আরও উদ্যোগ’ চায় বাংলাদেশ
সিউলে বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ পিপিপি প্লাটফর্ম মিটিং অনুষ্ঠিত
মেঘালয় বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে অবদান রাখতে প্রস্তুত: মুখ্যমন্ত্রী
ভারতের মেঘালয় রাজ্য সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী।
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সঙ্গে বুধবার তার কার্যালয়ে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
মেঘালয় রাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ ও সম্ভাবনা সম্পর্কে হাইকমিশনারকে অবহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী।
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, বিশেষ করে তিনি বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস, প্লাস্টিক ও ইলেকট্রনিক পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও হিমায়িত খাদ্য সরাসরি আমদানির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা আসামের মুখ্যমন্ত্রীর
বৈশ্বিক ভ্যালু চেইনে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব জোরদার করা এবং পণ্যের বৈচিত্র্য আনার ওপরও জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি মেঘালয়ের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার রহমান মেঘালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ বাড়াতে কাজ করছে।
তিনি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের আগ্রহের কথাও তুলে ধরেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, মেঘালয়ের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। হাইকমিশনার সীমান্ত এলাকায় বন্ধ স্থল শুল্ক স্টেশনগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরায় চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এর আগে বাংলাদেশ হাইকমিশনার গুয়াহাটিতে আসামের ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যান্ড ট্রেড ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সরকারি সফরে তিনি সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্থল শুল্ক স্টেশন পরিদর্শন করবেন এবং মেঘালয়ের ডাউকি ও তামাবিলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বাণিজ্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মানিক সাহা
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বুধবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে যে বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা তারা চাইলে ফেরত দেওয়া হবে। তবে তাদের অবশ্যই হবে টাকা দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যখন জঙ্গিদের উত্থান, তখন আমাদের এখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল...তখন আমরা মাত্র চারটি দূতাবাসকে সুরক্ষা দিতাম। এটি আমাদের কাছে লিখিতভাবে প্রয়োগ করা হয়নি, তারা আমাদের অনুরোধও করেনি। আমরা তাদের দিয়েছিলাম (অতিরিক্ত নিরাপত্তা) যাতে তারা কোন সমস্যার সম্মুখীন না হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি সেই পরিস্থিতি আর নেই। যেহেতু সেই পরিস্থিতি নেই, তাই আমরা এই সুরক্ষা তুলে নিয়েছি। তবে, যদি কোনো রাষ্ট্রদূত মনে করেন এটির প্রয়োজন হবে, তাহলে নতুন আনসার গার্ড রেজিমেন্ট তাদের সুরক্ষা দেবে...তাদের অর্থ দিতে হবে। খরচ এবং আমরা সে অনুযায়ী তাদের জন্য ব্যবস্থা করব। সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশ বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত টাস্কফোর্সের বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও স্পষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র সচিব
তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলছি যে প্রতিটি দূতাবাসে তাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের পুলিশি সুরক্ষা রয়েছে এবং আমি যে চার রাষ্ট্রদূতের কথা বলেছি তাদের জন্যও বন্দুকধারী রয়েছে। সেখানে সব ধরনের সুরক্ষা রয়েছে। আমরা যে সুরক্ষা দিতাম শুধুমাত্র রাস্তায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি মনে করি আমি এটা পরিষ্কার করে দিয়েছি।’
রাষ্ট্রদূতদের ওপর কোনো হামলা বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাকে পরিষ্কার বলেছি, যদি তারা মনে করে যে তাদের সড়কে নিরাপত্তা দরকার, তাহলে আমাদের সবকিছু প্রস্তুত আছে। যদি তারা চায় তাহলে তা পাবে।’
তিনি বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী ও ভিআইপিদের এই আনসার গার্ড রেজিমেন্ট দেব।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের জন্য বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রদূতদের জন্য বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আগামীকাল বা রবিবার ঢাকায় কূটনৈতিক মিশনে আনসাররা যে বিকল্প নিরাপত্তা সেবা প্রদান করতে পারে সে বিষয়ে সরকার তথ্য জানাবে।
তিনি আনসার ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালকের সাথে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তারা (আনসার) তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করেছে। আমরা এক ধরনের ধারণা পেয়েছি যে আমরা কোন পদ্ধতিতে বিদেশি মিশনে পৌঁছে দেব।’
পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, আগামীকালের মধ্যে সম্ভব না হলে তারা রবিবার একটি নোট মৌখিকভাবে মিশনগুলোকে অবহিত করবেন।
মিশন চাইলে আনসার সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার বিদেশি মিশনে আনসারদের মাধ্যমে বিকল্প সুবিধা দেবে: পররাষ্ট্র সচিব
এর আগে মঙ্গলবার, পররাষ্ট্র সচিব বলেছিলেন যে সরকার চার কূটনীতিকের জন্য ‘অতিরিক্ত নিরাপত্তা এসকর্ট’ প্রত্যাহার করায় বিকল্প হিসাবে ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোতে আধাসামরিক সহায়ক বাহিনী আনসারের পরিষেবাগুলোর প্রস্তাব করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বুধবার আনসার মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা কী কী সুযোগ-সুবিধা দিতে পারেন এবং এই সেবা নিতে ইচ্ছুক মিশনগুলোর সঙ্গে সংযোগ গড়ে তুলতে পারেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আনসার ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক বলেন, মিশনগুলোর নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ। তবে তারা অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য আমাদের সেবা চাইলে আমরা যে কোনো সময় তা দিতে প্রস্তুত আছি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, সরকার ভিয়েনা কনভেনশনের অধীনে আয়োজক দেশ হিসেবে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন এবং বিদেশি মিশন ও তাদের কর্মীদের নিয়মিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র সচিব
ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের পর ঝুঁকিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে লাখ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
ইউনিসেফ বুধবার বলেছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কিছু অংশে ঘূর্ণিঝড় মোখার ধ্বংসযজ্ঞের পর লাখ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত শিশু এবং পরিবারের জীবনে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, যার মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বসবাস করছে।
এমনকি ঝড়ের সবচেয়ে খারাপ সময় পেরিয়ে গেলেও, ভূমিধসের ঝুঁকি বেশি থাকে এবং সামনের দিনগুলোতে পানিবাহিত রোগসহ আরও বিপদ বাড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা গত ১৪ মে, স্থানীয় সময় প্রায় বিকাল ৩টায় বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূলে আঘাত হানে। যা ভারী বৃষ্টিপাত, ঝড়বৃষ্টি এবং প্রতি ঘণ্টায় ১৭৫ মাইল প্রবল বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছিল।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেছেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু শিশু এবং পরিবার আবারও একটি সংকটের তীক্ষ্ণ প্রান্তে রয়েছে, যা তাদের সৃষ্ট নয়। ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে ইতোমধ্যেই সংঘাত, দারিদ্র্য, অস্থিতিশীলতা এবং জলবায়ু সংকট , পরিবেশগত ঝুঁকির মধ্যে সম্প্রদায়গুলো বসবাস করছে।’
‘যেহেতু আমরা জরুরিভাবে এই ঘূর্ণিঝড়ের পরে শিশুদের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের মূল্যায়ন এবং প্রতিক্রিয়া জানাই, সেহেতু আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে শিশুদের এবং তাদের পরিবারের জীবন বাঁচাতে এবং উন্নত করার সর্বোত্তম উপায় হলো দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজে বের করা।’
কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরের আবাসস্থল বাংলাদেশে। যেখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবল ঝড়ের কবলে পড়েছে, যাদের অর্ধেকই শিশু। শরণার্থী শিবিরগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে আঁটসাঁট জায়গাগুলোর মধ্যে স্থাপিত হয়েছে, যা শিশুদের রোগ, অপুষ্টি, অবহেলা, শোষণ এবং সহিংসতার জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতিতে প্রকাশ করে। শিবিরগুলোও ভূমিধসের প্রবণ, এবং শিশুরা ভঙ্গুর অস্থায়ী আশ্রয়ে থাকে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা ২০১৯ সালের গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ফণীর সঙ্গে উত্তর ভারত মহাসাগরে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হিসাবে যুক্ত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি দেখেছেন যে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রচেষ্টা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস করেছে, জলবায়ু পরিবর্তন এই অগ্রগতিকে হুমকি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাড়ে ৩৪ মিলিয়ন নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছর বয়সের আগেই: ইউনিসেফ
তারা উল্লেখ করেছে যে ঝড়ের ক্রমবর্ধমান ফ্রিকোয়েন্সি এবং তীব্রতা আগামী দশকগুলোতে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি ঝুঁকি তৈরি করবে।
কক্সবাজার ঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেলেও, হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং শরণার্থীদের দেওয়া বেশ কিছু অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র, সুযোগ-সুবিধা এবং অবকাঠামো বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং প্রবল বাতাস ও বৃষ্টির কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উভয় দেশের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সময়মত এবং জরুরি মানবিক প্রবেশাধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইউনিসেফ মাঠে রয়েছে, প্রয়োজন মূল্যায়ন করছে এবং জরুরি ত্রাণ প্রদান করছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন, শিশু সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং শিক্ষাসহ আমাদের প্রতিক্রিয়া পরিষেবাগুলোকে আরও বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে সরবরাহের পূর্ব বরাদ্দ করেছে।
রবিবার দিনের শেষের দিকে ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়ে, ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘর, স্বাস্থ্য সুবিধা, স্কুল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্থ লক্ষাধিক লোকের মধ্যে অনেকেই উদ্বাস্তু বা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষ (আইডিপি), শিবিরে এবং নাগালের কঠিন এলাকায় দুর্বল কাঠামোগত আশ্রয়ে বসবাস করে।
তারা খাদ্য, পানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সুরক্ষার জন্য মানবিক সহায়তার উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।
বিশেষ করে মিয়ানমারে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ১৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ - এর মধ্যে ৫৬ লাখ শিশু - রোহিঙ্গা, জাতিগত রাখাইন এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের ১২ লাখ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকসহ রাখাইন রাজ্যে এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চীন রাজ্য এবং সাগাইংসহ ম্যাগওয়ে অঞ্চলঅবস্থানগুলো ঘূর্ণিঝড়ের পথে ছিল।
এলাকাগুলো নিচু এবং বন্যার ভূমিধসের ঝুঁকিপূর্ণ।
মূলত বিঘ্নিত পরিবহন ও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা এবং গাছপালা ও ধ্বংসাবশেষের কারণে কিছু রাস্তার দুর্গমতার কারণে মিয়ানমারে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের মূল্যায়ন চ্যালেঞ্জিং।
তবে, প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ঝড়ের শিকারদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ
বাংলাদেশের অবকাঠামো ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সংযুক্ত আরব আমিরাত: প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত
সংযুক্ত আরব আমিরাত পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের অবকাঠামো ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আলী আল হামুদি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিমান চলাচল খাতে সহযোগিতার বিষয়ে তার বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রদূত স্মরণ করেন যে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল দুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর উপসাগরীয় দেশ সফরের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে শেখ নাহিয়ান ১৯৮৪ সালে ঢাকা সফর করেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাটিকানের পোপের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
আগামী নভেম্বরে দুবাইয়ে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে তিনি সেখানে চাকরির জন্য যেতে ইচ্ছুকদের আরবি ভাষা শেখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে অবস্থানকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানান।
বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছর ঢাকায় কনসুল্যার মিশন খুলতে পারে পর্তুগাল