���������������������-���������������������
মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে কারাগার থেকে বুধবার ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরবেন।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে মিয়ানমার নৌবাহিনীর চিন ডুইন জাহাজে করে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।
বুধবারের মধ্যে জাহাজটি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পৌঁছাবে এবং ওই সময় বাংলাদেশি নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে প্রকৃত রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রদর্শন করুন: জাতিসংঘে মিয়ানমারকে বাংলাদেশ
১৭৩ বাংলাদেশির মধ্যে কক্সবাজারের ১২৯ জন, বান্দরবানের ৩০ জন, রাঙামাটির ৭ জন এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে রয়েছেন।
মিয়ানমারের জাহাজটির বাংলাদেশে সম্ভাব্য সফরের তথ্য পাওয়ার পর মিয়ানমারে কারাগারে থাকা বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর সুযোগ কাজে লাগাতে তৎপর হয় ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস। এরপরই তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে।
দূতাবাস মিয়ানমারে বিভিন্ন কারাগারে থাকার পর মেয়াদ শেষ হওয়া বা ক্ষমাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ১৪৪ জনকে নির্বিঘ্নে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে।
এছাড়াও ২৯ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক যারা এখনো কারাদণ্ড পাচ্ছে বা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে তাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। মিশনের প্রচেষ্টায় এই ২৯ জনকেও ক্ষমা করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
এর আগে গত বছরের ৩ অক্টোবর দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দেশে ফিরে আসে ২৯ বাংলাদেশি। সর্বশেষ বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইয়াঙ্গুনের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট বাকিদের ফিরিয়ে আনতে ‘অবিচলভাবে’ কাজ করছে।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও সিতওয়ের প্রতিনিধিরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালনা এবং প্রত্যাবর্তনকারীদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে মানবাধিকারে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন নেই: মার্কিন প্রতিবেদন
২০২৩ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিতে 'উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন' হয়নি বলে নতুন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছে, ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনে (এইচআরআর) থাকা দেশভিত্তিক প্রতিবেদনগুলো আইনি সিদ্ধান্ত, দেশগুলোর ক্রমবিন্যাস বা তুলনা করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট প্রকাশিত ২০২৩ সালের মানবাধিকার প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার পরিস্থিতির একটি বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ দলিল।
আরও পড়ুন: সুদানে চলমান সংঘাতে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
২০২৩ সালের হিউম্যান রাইটস রিপোর্ট (এইচআরআর) ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলকে নিয়ে কাজ করেছে। মানবাধিকার প্রতিবেদনে পৃথকভাবে মানবাধিকার অবমাননা ও লঙ্ঘনের ওপর বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের বিস্তৃত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। যা সরকার, মানবাধিকারের সমর্থনে কাজ করা ব্যক্তি, সাংবাদিক এবং নির্দিষ্ট দেশ ও অঞ্চলগুলোতে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের ব্যবহারযোগ্য একটি হাতিয়ার সরবরাহ করে।
প্রায় ৫ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকারদের অপরিহার্য সেবা নিশ্চিত করতে হবে: প্রতিবেদন
মানবাধিকার প্রতিবেদনটি ওয়াশিংটন ও বিভিন্ন দেশের মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটে তাদের সহকর্মীদের বেশ কিছু মাসের কাজের প্রতিনিধিত্ব করে। যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবহিত করে এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে সঠিক তথ্যের প্রয়োজন হলে কংগ্রেস, এক্সিকিউটিভ ব্র্যাঞ্চ ও অভিবাসন আদালতকে সহায়তা করে।
মানবাধিকার প্রতিবেদন সুশীল সমাজের কাজ সম্পর্কেও জানায়, যার মাঝে অন্তর্ভুক্ত আছে মানবাধিকার রক্ষাকারীসহ বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা, স্কলার, অভিবাসন বিচারক এবং আশ্রয় কর্মকর্তা, বহুপক্ষীয় প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সরকার।
অন্যান্য দেশের প্রতিবেদনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রতিবেদনটি state.gov এ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির হার রেকর্ড উচ্চতায়: প্রতিবেদন
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ: জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে শাহাবুদ্দিন আহমদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে তার নতুন মেয়াদে নিয়োগ কার্যকর হবে।
২০২০ সালে শাহাবুদ্দিন আহমদকে ৩ বছরের জন্য জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
পরে তার মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং চলতি বছরের জুনে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সর্বশেষ আরও ৬ মাস বাড়ানো হওয়ায় তিনি চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব এবং বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারের একজন সদস্য ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্সে ডিগ্রি অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূত হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেলেন ৪ কর্মকর্তা
প্রধানমন্ত্রীর থাইল্যান্ড সফরে ৫ দলিল সই ও বহুমুখী সহযোগিতার সম্ভাবনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সফরে দেশটিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতা প্রসারে এ সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি , তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট সইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সফরের পর্দা উন্মোচনবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আগামী ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সরকারি এই সফরে ইউনাইটেড নেশনস ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনেও যোগদান করবেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, ২৬ এপ্রিল থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউজে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
একই দিন শেখ হাসিনা তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
এছাড়াও দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তির পাশাপশি জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করতে একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সফরে থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাক্লাচাওউহুয়া ও রাণী সুধিদা বজ্রসুধাবিমলালক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’র পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষত বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে মানব-সম্পদ উন্নয়ন, বৌদ্ধ সার্কিট পর্যটন প্রচারণা, পর্যটন অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম ও দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধা অর্জন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন হাছান।
তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পে এই সহযোগিতার ফলে উভয় দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি করা হলে উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর হবে এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তারা সময়মতো যোগদান করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে আসিয়ানের ’সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ মর্যাদালাভে বাংলাদেশের আবেদনের বিষয়ে আরও জোরালোভাবে অনুরোধ করা এবং রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমারে চলমান সংঘাত নিরসনে থাইল্যান্ডসহ আসিয়ান সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে অধিকতর সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও জানান, ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫ এপ্রিল এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বক্তব্য প্রদান করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইউএনএসক্যাপের নির্বাহী সচিব সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরটি সফল এবং ফলপ্রসূ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
এ সফরে আরও থাকবেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা।
টোকিওতে বৈশাখী মেলায় সাড়া ফেলেছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা মাঙ্গা বই
জাপানের টোকিওতে আয়োজিত ২৩তম বৈশাখী মেলা ও কারি ফেস্টিভ্যালে সাড়া ফেলেছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা মাঙ্গা বই।
গত ২১ এপ্রিল তোশিমা সিটির ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলায় বাংলাদেশ থেকে এনআরবি স্কলার্স পাবলিশার্স লিমিটেড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানি গ্রাফিকস নোবেল জাপানিজ 'মাঙ্গা' ফর্মে প্রকাশিত 'ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু' বইটি নিয়ে অংশ নেয়।
বইটির লেখক, প্রকাশক ও সেন্টার ফর এনআরবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম এই মেলায় ছিলেন।
তিনি বলেন, জাপানের ১৭তম আন্তর্জাতিক মাঙ্গা অ্যাওয়ার্ড আসরে ব্রোঞ্জ পুরস্কার প্রাপ্ত এই বইটির বাংলা, ইংরেজি এবং জাপানিস ভার্সন এই মেলার স্টলে বিক্রি করা হয়। সেখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক জাপানি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা জানার জন্য জাপানিজ ভাষায় বইটি কিনেছেন। জাপানিজ ভাষাতেই বইটির বিক্রি বেশি হয়েছে।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা জাপানে বসবাসরত তাদের দ্বিতীয় প্রজন্মের পরিবারের সদস্যদের জন্য বইটি সংগ্রহ করেন বলে জানান তিনি।
সকালে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিনামূল্যে বইটি বিতরণ করেন।
এ সময় এম ই চৌধুরী শামীম জানান, বইটির ব্যাপারে জাপানিজরাও প্রচুর আগ্রহ দেখিয়েছেন। এই বইটি আগামী মাস থেকে জাপানের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে।
লেখক আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’ বইটিতে আমরা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে তুলে ধরেছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষ্যে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে।’
দিনব্যাপী এই মেলায় জাপানে বসবাসরত প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি প্রবাসী বাঙালি সমবেত হন।
মেলায় বাঙালিদের নানা রকমের ঐতিহ্যবাহী খাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ পরিবেশন করা হয়। মেলাটি ঘিরে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাপক উচ্ছ্বসিত ছিলেন।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহামেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন তোশিমা সিটি মেয়র মিয়ুকি তাকাগিওয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া বিভাগের সচিব ইয়াসুহিরো শিনতো, জাপান-বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হিরোয়ুকি সাকুরাই।
এর আগে গত বছরের ৫ এপ্রিল বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানিজ 'মাঙ্গা' ফর্মে এই কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
পরে ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাসাকা প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোন শেখ রেহানার হাতে বইটি তুলে দেন এর লেখক এম ই চৌধুরী শামীম।
বাংলাদেশকে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট সইয়ে সমর্থন দেবে কিরগিজস্তান
ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট সইয়ে বাংলাদেশ কিরগিজস্তানের সমর্থন পাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রী আভাজবেক আতাখানভ।
তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ সমর্থনের কথা জানান কিরগিজ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সাক্ষাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান দুই দেশের মধ্যে প্রথম ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এছাড়াও ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন বার্তার জন্য কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতির প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাবেক ইউএসএসআরের অংশ হিসেবে কিরগিজ জনগণের মূল্যবান সমর্থনের কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে।
কিরগিজস্তানকে পোশাক, ওষুধ, পাটজাত পণ্য, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল, সিরামিক, আইটি পণ্য ও সেবা আমদানির আহ্বান জানান ড. হাছান।
বৈঠকে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সাথে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরে বাংলাদেশকে সমর্থন দান এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে দেশের প্রার্থীদের সমর্থনের জন্যও কিরগিজস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি।
পাশাপাশি অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের স্বদেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে ও ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কিরগিজস্তানের সহায়তা কামনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান।
বৈঠকে কৃষিখাতসহ বিভিন্ন অঙ্গনে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন কিরগিজ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভাজবেক আতাখানভ।
কিরগিজস্তানে প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত বলে জানান তিনি।
আভাজবেক আরও জানান, কিরগিজস্তানের বিপুল বিদ্যুৎ শক্তি আছে ও বছরে প্রায় ২২ থেকে ২৪ টন স্বর্ণ উৎপাদন করছে দেশটি। সেখানে ব্যাপক জনশক্তি নিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।
কিরগিজস্তান ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে এবং জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে বাংলাদেশের সমর্থন প্রত্যাশা করে উল্লেখ করলে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভাজবেক আতাখানভকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ 'রিসিপ্রোসিটি'র ভিত্তিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সম্পর্ক জোরদারে সরকারি সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে ৬ দিনের সরকারি সফরে আগামীকাল বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই হবে এই সফরে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড়, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করতে পারে। এছাড়া সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব নথি সই প্রত্যক্ষ করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এটি দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফর।’
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশও থাইল্যান্ডের সমর্থন চাইবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহন সংযোগের বিষয়টিও আলোচিত হবে। ‘আমি বিষয়টি উত্থাপন করতে খুব আগ্রহী।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের কাছ থেকে বিনিয়োগ বাড়াতে চাইবে।
১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ড শীর্ষ পর্যায়ে সফর করছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের মানবাধিকার রক্ষা করতে হবে: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই সফর বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।
মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ডের উপস্থাপক শ্রেষ্ঠ থাভিসিন আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
একই দিনে গভর্নমেন্ট হাউজে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং থাইল্যান্ডের রাজা ও রানী সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষনের সঙ্গে রাজকীয় সাক্ষাৎ করবেন।
শেখ হাসিনা তার সম্মানে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন।
বহুপক্ষীয় কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিশন ফর এসকাপ’র ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার সফর 'স্থগিত'
তিনি ২৫ এপ্রিল এসকাপ’র অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
'লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এই অধিবেশনে একত্রিত করবে।
এছাড়াও, অংশগ্রহণকারীরা ডিজিটাল উদ্ভাবনের রূপান্তরমূলক সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে উন্মোচনের সুযোগগুলো চিহ্নিত করতে এবং টেকসই উন্নয়নে তাদের অবদান জোরদার করার পথগুলো নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম হবেন।
একটি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা অংশীদার ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুযোগ দেবে। এখানে ডিজিটাল উদ্ভাবনগুলো প্রদর্শন করা হবে যা এরই মধ্যে এই অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখছে।
টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অবস্থান অনন্য।
এরই মধ্যে, এই অঞ্চল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল ফিন্যান্স, গভটেক ও ইন্টারনেট অব থিংসের মতো অগ্রণী প্রযুক্তির মাধ্যম ডিজিটালি চালিত উদ্ভাবনের জন্য একটি গতিশীল কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
তবুও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বিশাল সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে আরও দক্ষতা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগানোর জন্য, এই অঞ্চলের একটি পরিকল্পনা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কাতারে কর্মী পাঠাতে সোমবার সমঝোতা স্মারক সই হবে: প্রবাসীকল্যাণ সচিব
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন জানিয়েছেন কাতারে কর্মী পাঠাতে আগামীকাল (২২ এপ্রিল) সমঝোতা স্মারক সই হবে।
শিগগিরই জর্ডান, মরিশাশ, মাল্টা, ব্রুনেই ও কুয়েতেও বাংলাদেশের শ্রমবাজার খুলে যাবে বলে জানান তিনি।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর প্রবাসীকল্যাণ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান সচিব।
সভায় আরও ছিলেন প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রবাসীকল্যাণ সচিব বলেন, অভিবাসন একটি জটিল ইস্যু। এটা একক দেশের ওপর নির্ভর করে না। অনেক জটিলতা থাকলেও সেগুলো সুরাহা করে কাজ করতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘কাতারের সঙ্গে আগামীকালই আমাদের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে। জর্ডানের সঙ্গে যে কোনো সময় এমওইউ সই হতে পারে বলে দুপক্ষই একমত হয়েছি। মরিশাশের সঙ্গেও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে, মাল্টার সঙ্গেও কার্যক্রম চলছে। এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
রাশিয়াতেও কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, ‘এরইমধ্যে সীমিত আকারে রাশিয়াতে দক্ষকর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে রাশিয়া আমাদের জন্য একটি ভালো বাজার হবে।’
তিনি আরও জানান, ব্রুনেইয়ের শ্রমবাজার অনেক দিন বন্ধ থাকার পর আবার কর্মী পাঠানো শুরু করে ভালো চাহিদা পাওয়া গেছে। মরিশাশেও কর্মী পাঠানো শুরু হবে বলে জানান সচিব।
কুয়েতে কর্মী পাঠানো বন্ধ হয়ে গেলেও নার্স পাঠানোর কার্যক্রম অনেকটা এগিয়ে গেছে জানিয়ে প্রবাসীকল্যাণ সচিব বলেন, ‘তারা আমাদের নার্সের চাহিদা পাঠিয়েছে। আমরাও প্রয়োজনীয় উপাত্ত পাঠিয়েছি, যারা নার্সিংয়ে গ্র্যাজুয়েট কিংবা ডিপ্লোমা করা আছেন, তাদের মধ্যে যারা যারা আগ্রহী, সরকারিভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সহযোগিতায় তাদের তথ্য আমরা পাঠিয়েছি। আশা করছি, কুয়েতে আমরা নার্স পাঠাতো পারব।’
রেমিট্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘গত তিন মাসে আমাদের রেমিট্যান্স বেড়েছে। এটা শুধু আমাদের মন্ত্রণালয়ই না, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থবিভাগ সবাই মিলে আমরা চেষ্টা করছি রেমিট্যান্সের প্রবাহ বাড়াতে।’
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে রুহুল আমিন জানান, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১ মের মধ্যে আগের কোটা অনুসারে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশ থেকে কর্মী নেবে মালয়েশিয়া সরকার।
তিনি আরও বলেন, ‘আগের ব্যবস্থাটা তারা পর্যালোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচির জন্য কাজ করবে। আমাদের তরফ থেকে মন্ত্রী মহোদয় সবসময় যোগাযোগ রেখেছেন। মালয়েশিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে এরইমধ্যে তাদের চিঠি পাঠিয়েছি। কারণ তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা বোঝা দরকার, সে অনুসারে আমাদের কাজ করতে হবে।’
রুহুল আমিন আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়া যে কোটা নিয়ে কাজ করছে, এরপর তাদের পরবর্তী যে কোটা তৈরি হবে, সেখানে আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আমরা নিয়মিত দূতাবাসের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা মে মাসের মধ্যেই মালয়েশীয় সরকারের সঙ্গে বসতে চাই।’
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কর্মীদের অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আমি মনে করি, সেখানে দুটি গ্রুপ আছে। একটা চাহিদার বিপরীতে যাচ্ছে, আরেকটা হচ্ছে, যারা ভিজিট ভিসায় গিয়েছেন কিংবা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে অবস্থান করছেন।’
প্রবাসীকল্যাণ সচিব আরও বলেন, ‘সর্বশেষ যে প্রতিবেদন নিয়েছি, সেখানে যারা চাহিদার বিপরীতে গিয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার লোকের কাজ হয়েছে। এটা সেখানে কাজে যাওয়া মোট কর্মীর মাত্র এক শতাংশ হবে। ভিজিট ভিসায় যারা গেছেন, তাদের হিসেবে নিলে সংখ্যাটা একটু বড় হবে। তবে চাহিদার বিপরীতে যে লোকগুলো মালয়েশিয়ায় গেছেন, তাদের মধ্যে যাদের কাজ নেই, আশা করছি, ৩১ মের পরেই তাদের পুনর্বণ্টন করা হবে।’
অভ্যন্তরীণ কারণে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফর স্থগিত: হাছান মাহমুদ
ভারতের অভ্যন্তরীণ নানা কারণে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার বাংলাদেশ সফর স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ওখানে (ভারতে) নির্বাচন চলছে। তাদের অভ্যন্তরীণ নানা কারণে সফর স্থগিত করা হয়েছে।’
এই সফর আবার কবে হতে পারে তা ঢাকাকে এখনো জানানো হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে সফর করবেন তিনি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় এবং দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এজেন্ডার অগ্রগতি পর্যালোচনার অংশ এই সফর।
সফরের বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না থাকলেও গতকাল ২০ এপ্রিল সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসার কথা ছিল ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের।
ভারতে জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশটিতে সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো। বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে সাতটি ধাপে ১৯ এপ্রিল লোকসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে ১ জুন পর্যন্ত। আর আগামী ৪ জুন ভোট গণনা করা হবে।
প্রাক-নির্বাচনি জরিপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জোট আবারও নির্বাচিত হতে পারে। তারাও পুনঃনির্বাচিত হওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে আশাবাদী।
এ বিষয়ে সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) ভারত সফর অবশ্যই হবে। তবে এটি ভারতের নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে।'
তবে সফরটি ঠিক কবে হবে তা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে এখনো আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।
গত জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান মোদি। সে সময় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অব্যাহতভাবে জোরদার করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জি-২০ লিডারস সামিটে বাংলাদেশ অতিথি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করলে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।
আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী মোদী তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশীয় এবং বিমসটেক দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
গত মার্চ মাসে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বিনয় কোয়াত্রার কার্যকালের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছে ভারত সরকার।
১৯৮৮ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবায় যোগ দেওয়া কোয়াত্রা ২০২২ সালের ১ মে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান।
কাতার আমিরের সফরে ৬ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকা। সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ সফরে আসবেন তিনি। এ সফরে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ১১টি সহযোগিতার বিষয়ে ৬টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। চলতি বছর নতুন সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে এটিই প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর।’
এ সফরে ৬টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক নিয়ে যে ১১টি দ্বিপক্ষীয় দলিল সই হওয়ার কথা রয়েছে-
১. দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি
২. আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি
৩. সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি
৪. উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি
৫. দুই দেশের মধ্যকার দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি সংক্রান্ত চুক্তি
৬. যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি
৭. শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক
৮. বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক
৯. উচ্চ শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক
১০. যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক
১১. কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক
দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্র ছাড়াও ফিলিস্তিন-ইসরায়েলসহ বৈশ্বিক ইস্যু নিয়েও আলোচনা হবে, যেখানে বাংলাদেশ তার অবস্থান তুলে ধরবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবেই এই আলোচনা উঠতে পারে। গাজায় হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। সবাই এটা চায়। আমরাও চাই।’
গত মাসে তুরস্কে আন্তালিয়া কূটনীতি ফোরামে অংশ নেওয়ার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নির্মূলের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহির আওতায় আনার উপরও জোর দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তির পক্ষে, যুদ্ধের পক্ষে নয়।’
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসবেন কাতারের আমির।
এক গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমিরের দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে তাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার।
সফর উপলক্ষে ঢাকার কয়েকটি রাস্তায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতারের আমিরের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে।
প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতার থেকে ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী এমন উচ্চ পর্যায়ের সফর হচ্ছে।
এর আগে ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি বাংলাদেশ সফর করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এই সফর দুই দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদারে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমিরকে গান স্যালুট ও আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন অভ্যর্থনা জানাবেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুজনের মধ্যে বৈঠকের পর আরও একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
সহযোগিতাবিষয়ক নথি সই হওয়ার পর দুই নেতা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
পরিদর্শন বইয়ে সই শেষে মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনে যাবেন আমির। সেখানে রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বঙ্গভবনের দরবার হলে আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীর একটি সড়ক ও একটি পার্কের নামকরণ করা হবে।
এদিন বিকাল ৩টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়ক উদ্বোধন করবেন তিনি।
আমির যেখানে অবস্থান করছেন সেখানে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন।
এদিনই সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বাংলাদেশ সফরের পর বাংলাদেশ ও কাতার জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায়।
গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) ফাঁকে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি বিশেষ করে এলএনজি বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কাতারের কূটনৈতিক মিশন চালু হয়।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ, অভিন্ন ধর্মীয় ভিত্তি, অভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ। কাতারে ৪ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কাজ করেন এবং তারা নিবেদিত ও কঠোর পরিশ্রমী হিসেবে প্রশংসিত।
বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ এবং কাতারের রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও কাতার একে অপরকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে।