রংপুর
লালমনিরহাটে তামাক খেত থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে তামাক খেত থেকে রোমান মিয়া (৬) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। শনিবার বিকালে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের খোলাহাটি সেতুবাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
শিশু রোমান উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের ত্রিমোহনী ভাদাই খোলাহাটি এলাকার আমিনুর হকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বিকাল থেকে রোমানকে খুঁজে না পাওয়ায় এলাকায় মাইকিং ও থানায় জিডি করা হয়। শনিবার বিকালে সেতু বাজার এলাকার একটি তামাক খেতে কিছু লোক কাজ করতে গেলে সেখানে অর্ধশরীর পুতে রাখা অবস্থায় একটি শিশুর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে আদিতমারী থানা পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের কঠিন শাস্তি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী ঘটনার জানান, খবর পেয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ধানখেত থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার, সৎ বাবাসহ গ্রেপ্তার ২
লালমনিরহাটে দাঁড়ানো ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কা, অর্ধশত যাত্রী আহত
লালমনিরহাটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী আহত হয়েছেন।শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট রেল স্টেশনে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নম্বর ট্রেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা পার্বতীপুরগামী ৪৬১ নম্বর কমিউটার ট্রেনটি লালমনিরহাট রেলস্টেশনের প্লাটর্ফমে দাঁড়ায়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে আগের ইঞ্জিন নিয়ে লোকো শেডে চলে যান চালক। পরে লোকো শেড থেকে অপর ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দেওয়ার সময় সজোরে ধাক্কা দিলে কমিউটার ট্রেনটির প্রায় অর্ধশত যাত্রী বগির ভেতরেই ছিটকে পড়ে আহত হয়।
স্থানীয়দের সহায়তায় রেলকর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট রেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কৃষকের মৃত্যু
পরে আহতদের পুনরায় ওই ট্রেনেই গন্তব্যে পৌঁছে দেন। তবে দুইজন নারী যাত্রী মাথা ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের রংপুরে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় লালমনিরহাট স্টেশন মাস্টার লোকো শেড বিভাগের চালক গৌর গবিন্দের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নুরুন্নবী ইসলাম।
নুরুন্নবী ইসলাম জানান, লোকো শেড থেকে ইঞ্জিন নিয়ে বগিতে সংযোগ দিতে জোরে ধাক্কা লাগায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী সামান্য আঘাত পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় লোকো বিভাগের চালক গৌর গোবিন্দের বিরুদ্ধে লিখিত অবিযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ট্রেন নিয়ে ফিরলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে লোকো বিভাগ।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় ম্যানেজার আব্দুস সালামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পিকআপের ধাক্কায় সিএনজির ২ জন নিহত, আহত ৩
দিনাজপুরে আদিবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিশ্বনাথ টুডু নামে একজন আদিবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে লাশটি উদ্ধার করে স্থানীয় থানা পুলিশ।
মৃত বিশ্বনাথ ঘোড়াঘাটের সিংড়া ইউনিয়নের কোশিগাড়ি গ্রামের মৃত রায়া টুডুর ছেলে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, বিশ্বনাথ ঘরে তৈরি চোলাই মদ চুয়ানিতে বুঁদ হয়ে থাকতেন। একা জীবন যাপনে অতিষ্ঠ হয়ে নিজ বসতঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শিক্ষা অফিসের কক্ষ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ওসি জানান, শনিবার সকালে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধারের সময় শরীরে পচন ধরার লক্ষণ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে দুই-তিন দিন আগে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
এব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের একদিন পরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভুট্টা খেত থেকে জিৎ (৯) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
জিৎ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বুগলাগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা রনজিৎ কুমারের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকাল থেকেই নিখোঁজ ছিল জিৎ। দিনভর তার স্বজনেরা সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন। শনিবার সকালে সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে জিঞ্জাসাবাদ করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দুপুরে জিতের লাশ ভুট্টা খেত থেকে উদ্ধার করে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে আটকদের নাম আপাতত প্রকাশ করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে হত্যা করে লাশ ভুট্টা খেতে ফেলে রাখার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠে শিশুর লাশ
সিরাজদিখানে একই বাড়ি থেকে মাসহ ২ সন্তানের লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মুরুলী চন্দ্র নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
শুক্রবার(৩০ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে সীমান্ত পিলার ৯১৩/৪ এস- এর কাছে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বকশীবাজারে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বাসের ধাক্কায় এসবির কর্মচারী নিহত
নিহত মুরুলী উত্তর বালাপাড়া এলাকার সুশীল গীদালে ছেলে। আর আহতরা হলেন- মিজানুর রহমান ও লিটন মিয়া।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, সীমান্তে ৭৫- চিত্রাকোট বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের ২-৩ রাউন্ড গুলি করলে ঘটনাস্থলেই মুরুলীর মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফের গুলিতে দুইজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দিবাগত রাতে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। লাশ কালীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ হস্তান্তর
লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক লিটন মিয়ার (১৯) মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার জাওরানি সীমান্ত দিয়ে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
লালমনিরহাট ১৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ জানান, বিএসএফের হেফাজতে গুলিবিদ্ধ বাংলাদেশি যুবক লিটন চিকিৎসাধীন মারা যান। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় হাতীবান্ধা উপজেলার জাওরানি সীমান্তে বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাট সীমান্তে যুবক নিহত
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুর্গাপুর সীমান্ত পিলার নম্বর ৯২৩ এর পাশ দিয়ে কয়েকজনসহ গরু আনার জন্য ভারতের প্রবেশ করেছিলেন লিটন। এ সময় ভারতীয় ৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ানের রারথার বিওপি ক্যাম্পের টহলের সামনে পড়ে যান তারা।
তাদের দেখে বিএসএফ সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে লিটন মিয়া গুলি বিদ্ধ হয়ে গরুতর আহত হন। বাকিরা পালাতে সক্ষম হন। আহত লিটনকে বিএসএফ সদস্যরা তাদের বিওপি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটের দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
বিএসএফের গুলিতে লালমনিরহাট সীমান্তে যুবক নিহত
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত লিটন মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টায় ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
লিটন মিয়া আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মো. মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বুধবার(২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার দূর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, বিএসএফ’র গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মারা গেছেন। দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বাংলাদেশির লাশ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় ভারতের জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বারথার ক্যাম্পের টহল সদস্যদের গুলিতে লিটন মিয়া আহত হন। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নিয়ে এমজেএম নামক হাসপাতালে ভর্তি করালে বুধবার তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৩ দিন পর মেঘনা নদী থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
নাটোরে আনসার সদস্যের লাশ উদ্ধার, ভাবি আটক
লালমনিরহাটে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লালমনিরহাটে মাদক মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামি রাসেল মিয়া (১৯) লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ী হাজিগঞ্জ এলাকার নুরুল হকের ছেলে।
লালমনিরহাট জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আকমল হোসেন জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সুন্দরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন তিনজন।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বজরা হলদিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে পুলিশ আটক করেছে।
নিহত আজিজুল ইসলাম ওই একই গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রাক-কার্ভাডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ২
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, হলদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক মিয়ার সঙ্গে পাশের বাড়ির আজিজুল হকের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার দুপুরে জমি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিদ্দিক মিয়া তার লোকজন নিয়ে আজিজুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আজিজুল হককে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ সময় আরও তিনজন আহত হয়। খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করে।
ওসি জানান, নিহত আজিজুল হকের ছেলে হাসান আলী বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলার ডুবে নিহত ১, পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন নিখোঁজ
অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘিরে ভাগ্য বদলের আশা কুড়িগ্রামসীর
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম নদ-নদী বেষ্টিত হওয়ার কারণে প্রতি বছর বন্যা আর নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হতে হয় অসংখ্য মানুষকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কুড়িগ্রাম এক সময় মঙ্গাকবলিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল।
বর্তমানে মঙ্গার তকমা মুছলেও শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা না থাকায় খুব একটা পরিবর্তন আসেনি জীবিকার ক্ষেত্রে। এবার স্রোতস্বিনী ধরলা নদীকে কেন্দ্র করে বদলাতে চাচ্ছে নিজেদের ভাগ্যের চাকা।
২০১৫ সালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন এ জেলায় তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবেন। সেই কথা রাখতেই গত বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে এক দ্বিপক্ষীয় সভায় ভুটানের রাজা ও রানীর কাছে প্রস্তাব রাখেন কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করার। ধরলা নদীর পাড় ঘেঁষে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হতে যাচ্ছে বিশেষ এই অর্থনৈতিক অঞ্চল। যা জেলার দারিদ্র্য,মঙ্গা আর বেকারত্ব ঘুচাতে বিশেষ সহায়ক হবে।
এ জেলায় কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা না থাকায় প্রতি বছর নদী ভাঙন আর বন্যায় সহায় সম্বল,ভিটে-মাটি হারিয়ে চরের অধিকাংশ লোকজন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে গিয়ে শ্রমিকের কাজ করেন। কেউ রিকশা চালান,কেউ পোশাক কারখানায় কেউবা রাজমিস্ত্রির দিনমজুর হয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
জিটুজি ভিত্তিক প্রস্তাবিত ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ স্থাপন হলে এ জেলায় দারিদ্র্যের হার কমবে বলে মনে করছেন জেলার সচেতন মহল। সেই সঙ্গে জেলার বাসিন্দারা এতে যুক্ত হয়ে নিজেদের অভাব মোচন করে জেলার উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ পাবেন বলেও আশার আলো দেখছেন অনেকেই।
কুড়িগ্রাম ধরলা নদীর পূর্ব প্রান্তের সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার উত্তর-পূর্ব দিকে সরকারি জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার বৃহৎ এলাকা চরাঞ্চল। এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য জেলায় কলকারখানা প্রয়োজন। এখান থেকে যেহেতু ভুটান অনেক কাছে সেহেতু ভুটানের সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে পারলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত গতিতে বাড়বে। তবে এখানে দীর্ঘদিন ধরে যেসব কৃষক চাষাবাদ করছেন তাদের ন্যায্য অধিকার ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে জমি অধিগ্রহণ করলে ভালো হবে।’
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভোগডাঙা ইউনিয়নের মাধবরাম মৌজার অন্তর্ভুক্ত ১৩৩ দশমিক ৯২ একর জায়গাটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে ভুটানে প্রবেশের দূরত্ব মাত্র ১৫০ কিলোমিটার। ফলে এই পথে সহজে যাতায়াত করা যাবে। ভুটানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হলে জেলার আর্থ-সামাজিক অবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলটি বাস্তবায়নে আরও ৮৬ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও জেলার চিলমারী নৌ-বন্দরের কার্যক্রম এর সঙ্গে যুক্ত করে এই বিশেষ অঞ্চলটিকে আরও গতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ’কুড়িগ্রামের সঙ্গে ভারত ও ভুটানের কানেক্টিভিটি বেশ ভালো। কুড়িগ্রামের দুটি স্থলবন্দর ও চিলমারী নৌবন্দরের সঙ্গে ভুটানে যোগাযোগের সুবিধা রয়েছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি হলে মানুষের সক্ষমতা বাড়বে, আগের চেয়ে এ জেলার অধিকাংশ মানুষ ভাল জীবনযাপন করতে পারবে। সরকার সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন ভুটানের রাজা