������������������������
শেরপুর সীমান্তে বিদ্যুতায়িত করে হাতি হত্যার অভিযোগ
জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি সীমান্তের মালাকাকোচা এলাকা থেকে মঙ্গলবার একটি বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বনের ভেতর স্থানীয় কৃষক আমীর আলীর বাড়ির চারপাশে পাতা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ওই বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। হাতির মৃত্যুর পর ওই কৃষক হাতির শরীর থেকে বিদ্যুতের তার খুলে ফেলেন বলেও জানান তারা।
খবর পেয়ে বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হাতির প্রাথমিক সুরতহাল পরীক্ষা শেষে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। মৃত হাতিটি পুরুষ এবং বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর হতে পারে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বালিঝুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে ভোরেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে ধারণা করা হচ্ছে হাতিটি বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে। তবে চূড়ান্ত তথ্য ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
এ বিষয়ে শ্রীবরদী থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বন্য হাতির মৃত্যু
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বন্য হাতির মরদেহ উদ্ধার
জামালপুরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
জামালপুর সদর উপজেলার নারিকেলীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সাথে ট্রাকের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও অপর দুজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে জামালপুর-ঢাকা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিতরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার ছোনটিয়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে মিন্টু মিয়া (২৮) এবং মেলান্দহ উপজেলার মুন্সিনাংলা গ্রামের উসমান গনির ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৪৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোরে জামালপুর থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা মধুপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নারিকেলী বাজারের কাছে জামালপুরগামী একটি ট্রাক অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ আহত দুজনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামালপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ জানান,ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ স্কুলছাত্র নিহত
সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া হলো না তন্ময়ের
শেরপুর সীমান্তে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই পাহাড়ি অধিবাসীদের
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে আবারও বন্য হাতির আনাগোনা শুরু হয়েছে। ক্ষেতের ফসল পাকতে শুরু করতেই বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে এসে হানা দিচ্ছে আবাদী জমিতে। গত এক সপ্তাহ ধরে হাতির দল খেয়ে সাবাড় করছে, পায়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে খেতের আধপাকা ধান, সীম-বরবটি, করলাসহ নানা ধরনের সবজীর আবাদ।
মূলত: খাবারের সন্ধানেই বন্য হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসছে। হাতি তাড়াতে রাত জেগে জান-মাল রক্ষার চেষ্টা করছেন সীমান্ত অঞ্চলের অধিবাসীরা। এতে হাতি আতঙ্কে ঘুম নেই স্থানীয় পাহাড়ি অধিবাসীদের।
স্থানীয়রা জানান, ভারতের সীমানাঘেঁষা শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় গারো পাহাড়ের প্রায় ৪০টি গ্রাম রয়েছে। ওইসব গ্রামের চারপাশ ঘিরে গারো পাহাড়। কয়েকদিন যাবত ভারত থেকে নেমে আসা শতাধিক বন্য হাতি কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে ওইসব এলাকায় বিচরণ করছে। বন্য হাতির দল সারাদিন পাহাড়ি ঝোপ-জঙ্গলে থাকলেও সন্ধ্যা হলেই নেমে আসে লোকালয়ে। হামলা চালাচ্ছে বাড়ি-ঘরে। খেয়ে সাবাড় করছে চলতি আমন মৌসুমের আবাদ। পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমির ফসল। আর ধ্বংস করছে সবজি খেত। বাধা দিতে গেলে শুরু হয় হাতি ও মানুষের যুদ্ধ। ঢাকঢোল পিটিয়ে, পটকা ফুটিয়ে আর মশাল জ্বালিয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না হাতির তান্ডব। এখন ওইসব গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ হাতির আতঙ্কে দিন পার করছেন।
৩১ অক্টোবর রবিবার সরেজমিনে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি এলাকায় গেলে কথা হয় স্থানীয় গারো কৃষক ব্রতীন মারাকের সাথে। তিনি জানান, আমরা পাহাড়ে বসবাস করি। এখানকার প্রায় সবাই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বন্য হাতি খেতের সবজি আর ধান খেয়ে সাবাড় করছে। মাঝেমধ্যে বাড়ি-ঘরেও হামলা করছে। এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানায় পৃথকভাবে অনেকে সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
আর পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে গারো অধিবাসী নিহত
নেয়াবাড়ির টিলা ও পার্শ্ববর্তী মালাকোচা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহুল আমীন, মজনু মিয়া, আলাল মিয়া, আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা পাহাড়ের বাসিন্দা। ধান আর সবজি চাষ করি। এসব ফসলের আয় দিয়েই আমাদের সংসার চলে। প্রতিবছরই ধান পাকলেই হাতি আসে। সবজি আর ধানক্ষেত খাইয়া যায়। অনেক ক্ষতি করতাছে। এইবারও অনেক ক্ষতি করছে। এখন বউ পোলাপান নিয়া ক্যামনে চলমু, চিন্তায় আছি।
শ্রীবরদী উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. কোহিনুর হোসেন বলেন, আমরা একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্য মতে, জানতে পেরেছি, এই পাহাড়ে ১৯৯৫ সাল থেকে বন্য হাতির আক্রমণ চলছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন মানুষ মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শত শত। ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমির ফসল। বন্যহাতির তান্ডব থেকে মানুষের জান-মাল রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ দরকার।
শ্রীবরদী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা বলেন, গারো পাহাড়ে বেশির ভাগ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজনের বসবাস। গ্রামবাসী হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচতে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে। তবে এখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ জন্য দিন দিন বন্য হাতির তান্ডবে ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণ গেল ২ কিশোরের
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, আমরা বন্য হাতির হামলায় নিহত, আহত ও ঘরবাড়িসহ ফসল ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছি। তাছাড়া বন্যহাতি তাড়াতে মশাল জ্বালানোর জন্য এলাকাবাসীর মাঝে কেরোসিন তেল ও জেনারেটর চালাতে ডিজেল সরবরাহ করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্থায়ীভাবে বন্য হাতির কবল থেকে রক্ষা পেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জোরালো হস্তক্ষেপের কথা জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বনবিভাগের শেরপুরের এসিএসফ (সহকারি বন সংরক্ষক) ড. প্রাণতোষ চন্দ্র রায় বলেন, পাহাড়ি অঞ্চলে হাতি-মানুষে দ্বন্দ্ব নিরসনে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকায় এলাকায় এলিফেন্ট রেসপন্স টিম গঠন করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। যাতে লোকালয়ে আসা বন্যহাতিকে উত্যক্ত না করে কিভাবে তাদেরকে ফের বনে ফেরত পাঠানো যায়। বন্যহাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণও দেয়া হচ্ছে। বনের ভেতর সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে হাতির খাবার উপযোগী বনবাগান সৃষ্টিরও চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে বন্যহাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে না আসে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হাতির আক্রমণে নিহত ৩ পরিবার পাবে একলাখ টাকা করে
নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু, স্বজনদের অভিযোগ হত্যা
নেত্রকোণার মদনে অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তবে তার স্বজনদের অভিযোগ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের রাজতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত অন্তর মিয়া (১৪) ময়মনসিংহ শেরপুরের বুটকান্দি গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে।
স্বজনদের অভিযোগ, গাবরতলা গ্রামের আনোয়ার আলী (৭০) ও মস্তু মিয়া (৬৫) পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে অন্তর মিয়াকে হত্যা করেছে।
জানা যায়, নিহত অন্তর ও অভিযুক্ত পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। দুই পরিবারের মাঝে একাধিক মামলা চলছে।
সোমবার সকালে দুই পরিবারের লোকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার জেরে অন্তরের খালা শিপা আক্তার অভিযুক্ত পরিবারের পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এসব কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন অন্তরকে হত্যা করতে পারে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের নিহত ৩
অন্তরের নানা বাবুল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, 'আমার নাতিকে আনোয়ার আলী ও মস্তু মিয়াসহ কয়েকজন ধাক্কা দিয়ে বিদ্যুৎ লাইনে ফেলে দেয়। পরে অন্তর অটোরিকশা চার্জের তারে জড়িয়ে মারা যায়। আমি এ ঘটনায় হত্যা মামলা করবো।’
অভিযুক্ত আনোয়ার আলী বলেন, 'অন্তর অটো চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছে বলে শুনেছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।'
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত কিশোরের লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দাদা-নাতির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চাচি-ভাতিজার মৃত্যু
নেত্রকোণায় স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
নেত্রকোণার মদনে নিজ বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আলমশ্রী গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে নান্দু মীর (৬০) এবং তাঁর স্ত্রী মেরাজু আক্তার (৪৫)। মেরাজু আক্তার বালালী গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের মেয়ে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে আলমশ্রী গ্রামের নান্দু মীরের সাথে বিয়ে হয় মেরাজু আক্তারের। দীর্ঘদিন আলমশ্রী গ্রামের বসবাস করার পর ১২ বছর আগে বালালী গ্রামে এসে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন।
তাদের সংসার জীবনে সাত বছর বয়সী একটি ছেলে ও পাঁচ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
প্রায় সময়েই স্বামী-স্ত্রী পারিবারিক কলহে লিপ্ত হতেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে সন্তানদের ঘুম পারিয়ে নিজ ঘরেই স্বামী স্ত্রী শুয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন দেখতে পায় নিজ বসতঘরে স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। পাশেই স্বামীর লাশ ঝুলছে। পরে তারা মদন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে নেত্রকোণার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ জানান, সকালে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা ডাকাডাকি করলে তাদের শিশু ছেলে দরজা খোলে। এ সময় স্থানীয়রা নান্দু মিয়ার ঝুলন্ত ও তাঁর স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিচে পড়ে থাকতে দেখতে পান।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মনিরুল হক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। ময়মনসিংহ থেকে সিআইডির তদন্ত দল এসেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার কোন কারণ জানতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বোয়ালখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া ভারতীয় চোরাকারবারীর লাশ হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার
শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: দুই আসামি কারাগারে
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. সুলতান মাহমুদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ দিন জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারিন ফারজানা ধর্ষণের শিকার কিশোরীর (১৬) জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। পরে বয়স নির্ধারণী পরীক্ষার জন্য তাকে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আদালত পরিদর্শক খন্দকার শহীদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে পাঠানো দুই আসামি হলেন- নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদ আলীর ছেলে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুস সাত্তার (৪২) এবং আব্দুস সোবহানের ছেলে সাদেক আলী (৩০)।
এদিকে সোমবার শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার মা ও মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবীর সুমন তাদের মেডিকেল পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নারী চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড নালিতাবাড়ীর ধর্ষণ মামলার ভুক্তভোগী মা ও মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,কয়েকদিন আগে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ তার কিশোরী কন্যাকে (১৬) নিয়ে নালিতাবাড়ীতে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। বেড়ানো শেষে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ইজিবাইকে করে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। কিন্তু স্থানীয় এক দালাল ও ওই গৃহবধূর পাড়া-প্রতিবেশী ভাই তাদের সাথে নিয়ে সারাদিন নালিতাবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরাফেরা করার পর রাতে পলাশীকুড় গ্রামে নিয়ে যায়। পরে তাদের কৌশলে একটি নির্মাণাধীন জনশুন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে স্থানীয় সাত ব্যক্তি মিলে মা এবং মেয়েকে বাড়ির পৃথকস্থানে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে ভুক্তভোগী মা-মেয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনা প্রকাশ করলে স্বজনরা ৯৯৯ কল করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জড়িত সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আব্দুস সাত্তার ও সাদেক আলী গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, রবিবার সকালে ৯৯৯ থেকে ম্যাসেজ আসার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই জনকে আটক করি। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর করা মামলায় ওই দুই জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
৯৯৯ এ কল: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো ভাই আটক
নেত্রকোণায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
নেত্রকোণায় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী একটি ট্রাকে ধাক্কা লেগে পিকআপ ভ্যানচালকসহ তিনজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সদর উপজেলার চল্লিশা এলাকার বাগড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার জিংলিগড়া গ্রামের বাসিন্দা সবুজ মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (২০), সবুজের আপন ভাতিজা ও শফিকুল ইসলামের ছেলে তোফাজ্জল মিয়া (১৪) এবং চালক নেত্রকোণার বারহাট্টার চন্দ্রপুর গ্রামের আবুচান মিয়া (২৮)।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় দাদা-নাতি নিহত
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সুনাগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার গাছতলা বাজার থেকে মাছ ভর্তি করে একটি পিকআপ ভ্যান গাজীপুরের কোনাবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। পথে রাত পৌনে ৩টার দিকে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ সড়কের চল্লিশা বাগড়া বাজার এলাকায় পিকাআপ ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দুই মাছ ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলেই মারা যান। চালকসহ আহত হয় আরও দুই মাছ ব্যবসায়ী। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভ্যানচালক আবুচানকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, নিহত দুই মাছ ব্যবসায়ীর লাশ হাইওয়ে থানায় এবং চালকের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এনিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত
নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ নারী নিহত
জামালপুরে নিখোঁজ ৩ মাদরাসা ছাত্রী ঢাকায় উদ্ধার
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচরে বাংলা বাজার সভুকড়া দারুত তাক্বওয়া মহিলা মাদরাসার আবাসিক হল থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন মাদরাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে জামালপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: অপহরণের পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, বাড়ি ফিরেই ‘আত্মহত্যা’
উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলো- ইসলামপুর উপজেলার পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার, সভুকুড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা ও সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্যবানু।
জামালপুরের ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া জানান, ১২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ভোরে মাদরাসা থেকে পালানোর পর ইসলামপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠে ঢাকায় যায় মাদরাসার এই তিন ছাত্রী। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে রিকশায় ওঠে তারা। স্টেশন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে রিকশাচালককে শনাক্তের পর মুগদা থানার মানডা এলাকার একটি বস্তিতে ইসলামপুর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় ওই তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মাগুরায় অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
জানা গেছে, ১২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ওই তিন ছাত্রীকে ডেকে উঠানো হয়। সবাই নামাজ পড়তে গেল ওই তিন ছাত্রী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় বুধবার রাতে নিখোঁজ মনিরার বাবা মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মানবপাচার বিরোধ আইনে মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আসাদুজ্জামান, সহকারি শিক্ষক রাবেয়া আক্তার, শুকরিয়া আক্তার ও ইলিয়াস হোসেন নামে একটি মামলা করেন। পরে চার শিক্ষককে মানবপাচার আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। সোমবার রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করে আদালত।
নেত্রকোণায় সভা চলাকালে আ.লীগের অফিসের মেঝে ধসে আহত ৭
নেত্রকোণায় খালিয়াজুরীতে সভা চলাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসের মেঝে ধসে দলটির ৭ জন নেতা আহত হয়েছেন। রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরের হাওর মালেক সিটি এলাকায় আওয়ামী লীগের অফিসে এই ঘটনার পর আহত সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ ও জেলা পরিষদের সদস্য গোলাম আবু ইছহাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেন্দিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হেকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুমন চক্রবর্তী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল হুদা জুয়েল, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিহারেন্দু দেব রায়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনের প্রার্থীতা বাছাইয়ের জন্যে দলীয় অফিসে বেলা ১১টার দিকে দলের বর্ধিত সভা শুরু হয়। সভায় উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের দলীয় নেতারা সভায় অংশ নেন। সভা চলার সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দলীয় অফিসের মেঝের একটি অংশ হঠাৎ প্রায় ৫ ফুট নিচের দিকে দেবে যায়। ঘটনার আকষ্মিকতায় কিছু বুঝে উঠার আগেই একজন অপরজনের উপর গিয়ে পড়েন। এসময় তিনিসহ ৭জন আহত হন। কেউ হাতে, কেউ পায়ে, কেউ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান।পরে দলের নেতাকর্মীরা উদ্ধার করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কেউই গুরুতর আহত হননি।
তিনি আরও জানান, পরে বেলা পৌনে ২টার দিকে স্থান পরিবর্তন করে খালিয়াজুরী কলেজে সভার কাজ আবারও শুরু করা হয়।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন খন্দকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দেয়াল ধসে ২ শ্রমিক নিহত
ওসি বলেন, সদরের প্রবেশদ্বার এলাকার হাওর মালেক সিটিতে মাটি ভরাট করে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসটি স্থাপন করা হয় কয়েকবছর আগে। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানির ঢলে অফিসের নিচ থেকে ভরাট করা বালিমাটি সরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গেছে। বিষয়টি কারও নজরে পড়েনি।
আজ সভা শুরুর ঘন্টাখানেকের মধ্যে মেঝে ধসে গিয়ে এই দুর্ঘটনা হয়। এতে কয়েকজন নেতা আহত হলেও কেউই গুরুতর আহত হননি।
ওসি আরও বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জব্বার মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আগামী ৭ অক্টোবর উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপনির্বাচনে প্রার্থীতা দিতেই দলটি তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্যে বর্ধিত সভা করছিলেন।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের দুই দিন পেরোতেই ধসে পড়ছে পানির পাম্প ভবন
নেত্রকোনায় আশ্রয়ণের ঘরে ২য় সপ্তাহেই ফাটল, তদন্ত কমিটি গঠন
ফসল কাটার প্রতিবাদে শেরপুরে বাগাছাসর বিবৃতি
শেরপুরে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় পাঁচ গারো আদিবাসীর ফসল কেটে ধ্বংস করার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে শনিবার বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বসবাসরত গারো আদিবাসীরা যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাহাড়ী অঞ্চলে বসবাস করে আসছে। গারো আদিবাসী যে অঞ্চলে বসবাস করে আসছে সে অঞ্চলকে তারা তাদের ভিটে মাটিসহ আশেপাশের বনাঞ্চলকে সংরক্ষণ করে আসছে। গারো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা বন ধ্বংস করে না, তারা বন সংরক্ষণ করে। এক কথায় বলা চলে তাদের বসবাসরত অঞ্চলের মাটিকে মা আর বনকে সন্তানের মত লালন-পালন করে আসছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, কতিপয় অসৎ বন কর্মকর্তা কর্মচারীর পাল্লায় পরে গারোদের বিভিন্ন সময় শত বছরের ভিটে মাটি ছাঁড়তে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ আগস্ট শ্রীবরদী উপজেলার বালিজুড়ি অঞ্চলের পাঁচ জন গারোর বাগান বনবিভাগের কতিপয় অসৎ বন কর্মকর্তা-কর্মচারী অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কেটে দিয়েছে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে, শ্রম দিয়ে পরম যত্নে যে বাগান তৈরি করা হয়েছিলো, তা কেটে তছনছ করে ধ্বংস করা হয়ছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের কাছে সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী
বিবৃতিতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ না দেয়া কিংবা জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় না আনা হলে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিভিন্ন সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও জানানো হয়েছে।
গত ১২ আগস্ট শ্রীবরদী উপজেলায় বন বিভাগের বালিজুরি রেঞ্জ (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বালিজুড়ি খ্রীস্টানপাড়া এলাকায় ভারতী মৃ, সভানী সিমসাং, সবিতা মৃ, কমলা রেমা, পয়মনি চিরানের কষ্টের আবাদকৃত সবজীর আবাদ ও সুপারি বাগানের গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুম ফসল কেটে ফেলায় রেঞ্জ কর্মকর্তার অপসারণ দাবি
বনবিভাগের তথ্যমতে, শেরপুরে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার প্রায় ২০ হাজার একর বনভূমির মধ্যে অন্তত আড়াই হাজার একর বনের জমি অবৈধ দখলদারের কবলে রয়েছে। বনাঞ্চলের এসব জমি উদ্ধারে সম্প্রতি দখলদারদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে বনবিভাগ। ওই তালিকায় প্রায় ৬ শতাধিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ দুই হাজার ব্যক্তির নাম রয়েছে।