������������������������������
ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে আমরা একটি আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত পরিবেশ অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশনসহ সব পক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন।
এছাড়া বায়ুদূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা আগামী রবিবারের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন।
বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
৯ দফা নির্দেশনায় বলা হয়-
১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করতে হবে।
২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাক্টররা তা ঢেকে রাখবে।
৩. এছাড়া ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর যে নির্দেশ ছিল, সে নির্দেশ অনুযায়ী যেসব জায়গায় এখনো পানি ছিটানো হচ্ছে না, সেসব এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণকাজ এবং কার্পেটিং যেসব কাজ চলছে, যেসব কাজ যেন আইন-কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয়, সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ।
৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে বলা হয়েছে।
৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ।
৭. যেসব উটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনো বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।
৮. পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধের নির্দেশ।
৯. মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে এবং তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে সিটি করপোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করার নির্দেশ।
এই নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
আবেদনের পর তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েক দিন ধরে রিপোর্ট হচ্ছে-বিশ্বের সর্বোচ্চ বায়ুদূষণকারী শহর হচ্ছে ঢাকা। বায়ুদূষণে ঢাকার এই অবস্থান ধারাবাহিক হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। যেটা দিল্লিতেও করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের এখানে কারো কোনো খবর নেই। এখন পর্যন্ত ঢাকা শহর বায়ুদূষণে এক নম্বরে আছে, অথচ কেউ কোনো পাত্তা দিচ্ছে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত এ বিষয়ে বলে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ: নিহত ও আহত বাংলাদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
৪১ জমজ সহোদরাকে ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তি নিতে নির্দেশ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণিতে ৪১ সহোদরা/জমজকে ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অভিভাবকের করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ ওই ৪১ শিক্ষার্থীর পক্ষে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন ও আইনজীবী শফিকুর রহমান।
আরও পড়ুন: ভিকারুননিসায় নতুন অধ্যক্ষের যোগদানে ‘বাধা নেই’
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন জানান, বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজ (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা, ২০২২ অনুসারে কোনো প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সহোদর/সহোদরা বা জমজ ভাই/বোনকে যদি আগে থেকে অধ্যয়নরত থাকে সে সকল সহোদর/জমজকে সংশ্লিষ্ট ভর্তি কমিটি আবেদন যাচাই-বাছাই করে ভর্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এই বিধান মতে ৪১ জন সহোদর/জমজ প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে। কিন্তু ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র দেয়।
যেখানে বলা হয়, শুধু ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর/জমজ ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে ভর্তি করাতে পারবে।
এ বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ রিটটি করা হয়। কারণ তারা যখন আবেদন করে তখন পাঁচ শতাংশের বিধান ছিল না। এ কারণে আদালত এই ৪১ জনের ক্ষেত্রে ওই বিধান স্থগিত করে রুল জারি করেছেন।
পাশাপাশি তাদের ভর্তি করাতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন।
আরও পড়ুন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা
ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ স্থগিতের আবেদনে সাড়া দেয়নি চেম্বার বিচারপতি
একুশে বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, একুশে বইমেলাকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে কারও জন্য সুনির্দিষ্ট কোনও হুমকি নেই।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফারাবীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
তিনি আরও বলেন, ‘যদি কোন লেখক বা প্রকাশক নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন, আমরা তার ওপর কড়া নজর রাখব।’
মেলায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এছাড়া মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
আরও পড়ুন: সেনাবহরে যুক্ত হলো তুর্কিয়ের তৈরি টাইগার মিসাইল
সেনাবহরে যুক্ত হলো তুর্কিয়ের তৈরি টাইগার মিসাইল
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নের ধারায় এবার সেনাবহরে নতুন সংযোজিত হয়েছে তুর্কিয়ের তৈরি ‘টাইগার মিসাইল সিস্টেম’। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষমতাসম্পন্ন টাইগার এমএলআরএস ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শিলখালী টেকনাফ ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে এ ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন বেলা ১১টার কিছু পর বিকট শব্দে টিউব থেকে ছুটে যায় মিসাইল, যা ৪ মিনিটের মধ্যে ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জে গিয়ে আঘাত আনতে সক্ষম হয়। এর ঠিক ১০ মিনিট পর টিউব থেকে ছোড়া হয় দ্বিতীয় মিসাইল। এভাবে সেনাবহরে যুক্ত নতুন টাইগার মিসাইল সিস্টেমের সফল ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর সফল মিসাইল উৎক্ষেপণ
সফল মিসাইল ফায়ারিং শেষে সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতির পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় প্রণীত ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের মাটিতে ১২০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষমতাসম্পন্ন টাইগার এমএলআরএস-এর ফায়ারিং অনুষ্ঠিত হলো, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নতুন সংযোজিত তুরস্কের তৈরি টাইগার মিসাইল সিস্টেম আমাদের আভিযানিক সক্ষমতাকে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মো. ফখরুল আহসান, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করতে চায়: সেনাপ্রধান
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ২৪ দেশের সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করবে: আইএসপিআর
বাংলাদেশ বিশ্বের ১২তম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ: সিপিআই ২০২২ রিপোর্টে টিআইবি
‘দুর্নীতির ধারণা সূচক-২০২২’ বা ‘করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স (সিপিআই) ২০২২’- অনুসারে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১২তম স্থানে রয়েছে।
মঙ্গলবার সংস্থাটির ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রতিবেদনটি প্রকাশের সময় বলেন, ২০২১-এর অবস্থান থেকে এক ধাপ নেমে বাংলাদেশ এ বছর ১০০-এর মধ্যে ২৫ স্কোর করেছে।
১৮০টি দেশের মধ্যে ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম। ২০২১ সালেও বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম ছিল, যেখানে ২০২০ সালে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৬তম।
টিআইবি হলো বার্লিনভিত্তিক একটি দুর্নীতিবিরোধী নিবেদিত নাগরিক সমাজ সংস্থা। বিশ্বব্যাপী ১৮০টি দেশ এবং অঞ্চলের সরকারি ক্ষেত্রের দুর্নীতির প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সিপিআই রিপোর্ট তৈরি করে টিআইবি।
আরও পড়ুন: লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের আহ্বান টিআইবি’র
বিশ্বব্যাপী গড় স্কোর হল ৪৩। দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি দেশ ৫০-এর নিচে স্কোর করেছে, যেখানে ২৬টি দেশ তাদের সর্বনিম্ন স্কোরে নেমে এসেছে।
২০২২ সালের সিপিআই এ দেখা যায় যে বেশিরভাগ দেশ দুর্নীতি বন্ধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।
সূচক অনুযায়ী, এশিয়া প্যাসিফিকের ৩১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও মালদ্বীপ যৌথভাবে ৪০, শ্রীলঙ্কা ৩৬, নেপাল ৩৪, পাকিস্তান ২৭ এবং আফগানিস্তান ২৪ স্কোর করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে সিইসির বক্তব্য আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী: টিআইবি
নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতে আইনি সংস্কারের সুপারিশ টিআইবির
নিবন্ধন অবৈধের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ প্রস্তুতির ২ মাস সময় পেল জামায়াত
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেয়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করতে চূড়ান্তভাবে দুই মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। রিটকারী পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, ‘মামলাটি শুনানি করার জন্য আমরা অনেকবার উদ্যোগ নিয়েছি। আদালত তাদেরকে অনেকবার সময় দিয়েছেন। ওনারা গড়িমসি করে রেডি করছেন না। আজকে ফাইনাল আদেশ দিলো, যদি আট সপ্তাহের মধ্যে ফাইল (আপিলের সারসংক্ষেপ) শুনানির জন্য রেডি না করে তাহলে ডিফল্ট (খারিজ) হয়ে যাবে।’
আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ জানান, মামলাটি শুনানির জন্য আজকে আপিল বিভাগের কার্যতালিকা ছিল। আদালত আগামী দুই মাসের সময় দিয়েছেন। এই দুই মাসের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আর কোনো সময় দেবেন না বলেও উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে জামায়াতের ১২ নেতাকর্মী আটক
তিনি আরও বলেন, আদালতের আদেশ অনুসারে মামলার শুনানিতে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে। আশা করি জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাবে। আর দুই মাসের মধ্যে প্রস্তুত করতে পারবো। আমাদের প্রধান আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। এছাড়াও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও এহসান সিদ্দিক আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তারা এই মামলাটি পরিচালনা করবেন।
একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতকে দেয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন ২০১৩ সালের ১ আগস্ট অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।
সে সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একইসঙ্গে আদালত এ বিষয়ে সাংবিধানিক প্রশ্ন জড়িত থাকায় জামায়াতকে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমোদন দিয়ে দেন।
তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করেন।
২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জারি করা হাইকোর্টের রুলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১) (বি) (২) ও ৯০ (সি) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হলে যেকোনো দিন রায় দেবেন বলে জানিয়ে অপেক্ষমান রাখেন হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ। পরে ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ‘নাশকতা চেষ্টার’ অভিযোগে জামায়াত শিবিরের ৩১ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
সাভারে জামায়াত নেতা, কর্মী আটক
বিচারপ্রার্থীদের ডিজিটাল পাস চালু আপিল বিভাগের
নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বিচারপ্রার্থীদের জন্য ডিজিটাল পাস চালু করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে বলা হয়, এন্ট্রি পাস না দেখিয়ে কোনো বাদী আপিল বিভাগ ও বেঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে এই পাস সংগ্রহ করে আপিল বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন বিচারপ্রার্থীরা।
কিউআর কোড স্ক্যান করে অথবা ওয়েবসাইটের মেনুতে প্রবেশ করে তারিখ, মামলা নম্বর, বাদীর নাম ও মোবাইল ফোন নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর টাইপ করে ডিজিটাল পাস পাওয়া যাবে। পরে রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করে পাস প্রিন্ট করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই পাসের মুদ্রিত কপি বা স্ক্রিনশট বা ডাউনলোড করা কপি দেখিয়ে মামলাকারীরা আপিল বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
মানবতাবিরোধী অপরাধ: ঢাকায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই আসামিকে ঢাকার দক্ষিণখান ও সাভারের আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নকিব হোসেন আদিল সরকার ও মোখলেছুর রহমান মুকুল।
র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের এএসপি ইমরান খান জানান, সোমবার রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আজ দুপুরে বিস্তারিত জানানো হবে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাভারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ফারাবীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় শফিউর রহমান ফারাবীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে বলে জানান ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার আগে আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক ধর্মীয় কটূক্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই শফিউর রহমান ফারাবীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ২০ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় থাই যুবকের ২৮ বছরের কারাদণ্ড
অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শফিউর রহমান ফারাবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলা প্রমাণের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ ৬ জন সাক্ষীকে উপস্থাপন করেন।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগ আন্দোলনের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারের জানাজা পড়ানো ইমামকে হত্যার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন শফিউর রহমান ফারাবী। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করতেন। তবে পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ২০১০ সালে তিনি হিযবুত তাহরীরে সক্রিয় হয়ে পড়েন। বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সন্দেহজনক আসামি হিসেবে ২০১৫ সালের ২ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইবুনাল।
আরও পড়ুন: দোষ স্বীকার করায় কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড
ঢাবি শিক্ষার্থী খুনের মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ: নিহত ও আহত বাংলাদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষে কাতারে ২০১০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে হোটেল, স্টেডিয়াম ও আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের কাজ করতে গিয়ে নিহত ও আহত বাংলাদেশি শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণলায় এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে এই তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনকে কেন্দ্র করে মানবেতর পরিস্থিতে কাজ করতে গিয়ে যদি বাংলাদেশের সাড়ে চারশ’ শ্রমিকের মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে কেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যের ডিজিকে সেবা নিশ্চিত করতে বললেন হাইকোর্ট
পররাষ্ট্র সচিব, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাস, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন প্রধান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বাংলাদেশ অফিস, ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা), কাতারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (ইন্টেরিয়র), কাতারের শ্রমমন্ত্রীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ আর সোবহানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
পরে ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনকে কেন্দ্র করে মানবেতর পরিস্থিতিতে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের অন্তত ৪৫০ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ওই শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
বিবিসি, সিএনএন, গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাতার বিশ্বকাপে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন রিট আবেদনে সংযুক্ত করা হয়।
রিট করার পর এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান সাংবাদিকদের বলেন, ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে কাতারে মানবেতর জীবন কাটিয়েছেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকরা।
বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে বাধ্য করা হয় তাদের। শ্রম অধিকারের আন্তর্জাতিক কোনো রীতিনীতি তারা মানেনি।
এজন্য বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। এর প্রতিকার চেয়ে আমরা রিট দায়ের করেছি।
রিট আবেদনে সংযুক্ত করা বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১০ বছর আগে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাওয়ার পর এর প্রস্তুতিতে সেখানে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি দক্ষিণ এশিয়ান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিশ্বকাপ আয়োজনের গৌরব অর্জনের পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার ১২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: নীলফামারীর বার সভাপতিহ ৩ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব