%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন: বাকৃবি অধ্যাপক
দেশের খরাসহিঞ্চু অঞ্চলে ও কম উর্বরতা সম্পন্ন মাটিতে অন্য কোনো ফসল ভালোভাবে না জন্মালেও কাসাভা হেক্টরপ্রতি ফলন দেয় গড়ে ৩৫ থেকে ৫০ টন। যেখানে ধান ও অন্যান্য দানাদার ফসলের ফলন হেক্টরপ্রতি ২ থেকে ১০ টন।
এছাড়া পাহাড়ের ঢাল, উঁচু জমি, খেতের আইল এমনকি পতিত জমিতেও কাসাভার ভালো ফলন পাওয়া যায়।
শিমুল আলু বা কাসাভা চাষে ধানের মতো জলাবদ্ধতা পরিবেশের প্রয়োজন হয় না। তাই কাসাভা চাষে কৃষকের সেচের খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এছাড়া কাসাভা গাছে তেমন কোনো রোগবালাইও হয় না।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাকক্ষে বিকাল ৪টায় কৃষকদের মাঝে কাসাভার বীজ বিতরণ করার সময় এসব তথ্য জানান ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির।
আরও পড়ুন: মশার দেহে ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ বাকৃবি গবেষকের
এ সময় কৃষকদের মাঝে তিনি কাসাভার বিভিন্ন উপকার, খাবার পদ্ধতি, বাণিজ্যিক ব্যবহার, চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
কাসাভাকে আপদকালীন একটি ফসল উল্লেখ করে অধ্যাপক বলেন, কাসাভা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শর্করা উৎপাদনকারী ফসল এবং বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য। পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত একটি ফসল। পতিত জমিতে চাষাবাদ করা বলে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যাবে।
কাসাভার বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ছোলায়মান আলী ইউএনবিকে বলেন, গার্মেন্টস, কাগজ, ওষুধ, বেকারি, টেস্টিং সল্টসহ বিভিন্ন শিল্পে এর ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া কাসাভা থেকে আটা তৈরি করা যায়। এমনকি কাসাভা পশুখাদ্য ও জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহে বাকৃবিতে ক্লাস অনলাইনে, পরীক্ষা সশরীরে
কাসাভার বীজ পাওয়া ময়মনসিংহের চকছত্রপুর এলাকার এক কৃষক রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘আজকের এই প্রদর্শনী থেকে কাসাভা ও এর বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পেরেছি। কাসাভার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে না জানায় চাষাবাদে আগ্রহী ছিলাম না। এখন নিজেও চাষাবাদ করব এবং অন্য কৃষককেও জানাব।’
আরেক কৃষক মো. মিলন কাসাভার বীজ নিজ জমিতে আবাদ করবেন বলে জানান।
বীজ বিতরণের সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শাহানারা বেগম ও অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আজাদ-উদ-দৌলা প্রধানসহ ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক।
আরও পড়ুন: বাকৃবি: একজনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নেই ৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য
বোরো মৌসুমে ১৭ লাখ টন ধান-চাল সংগ্রহ করবে সরকার
আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এর মধ্যে ৫ লাখ টন ধান, ১১ লাখ টন সেদ্ধ চাল, ১ লাখ টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ৩২ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৫ টাকা এবং আতপ চাল ৪৪ টাকা।
আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। একই সঙ্গে ৩৪ টাকা দরে ৫০ হাজার টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, গত বছর ধানের সংগ্রহমূল্য ছিল ৩০ টাকা ও চালের সংগ্রহ মূল্য ছিল ৪৪ টাকা। ৭ মে থেকে ধান-চাল কেনা শুরু হবে, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
ধান কেনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ধান যদি ৫ লাখ টনের বেশি কেনা যায় তা করা হবে। কৃষকের সুবিধার্থে আরও ধান আমরা কিনব। এক্ষেত্রে ওপেন রাখা হয়েছে। কমিটিতে সেটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
হাওরসহ যেখানে যেখানে ধান কাটা শুরু হয়েছে, সেখানে ৭ মে থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
বোরো ধান ও চালের উৎপাদন খরচ গত বছরের থেকে বেশি হওয়ায় এবার সংগ্রহ মূল্য কিছুটা বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দামের কারণে কৃষক একটু উৎসাহিত হোক। না হয় কৃষক অন্য শস্যে চলে যাচ্ছে। কিন্তু, আমাদের চালের প্রয়োজন।’
বর্তমানে সরকারি গুদামে চাল ও গম মিলিয়ে মোট খাদ্যশস্যের মজুত ১২ লাখ টন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।
ইতোমধ্যে বন্দরে ১ লাখ ২০ হাজার টন গম এসে পৌঁছেছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আরও ৩ লাখ গম কেনা প্রক্রিয়াধীন।’
বার্ষিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৬ অর্থবছরে কৃষিতে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে কৃষি খাতের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তিন বছরে কৃষি উন্নয়নে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বাংলাদেশ সরকার।
'মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)' অনুসারে, এই বিনিয়োগ খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন এবং ন্যায়সঙ্গত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দেয়।
জিডিপিতে একটি হ্রাস প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও এটি বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে কৃষিনির্ভর সংখ্যাগরিষ্ঠদের জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য উৎপাদন ও প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের গৃহীত কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে- উচ্চফলনশীল ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন, যান্ত্রিকীকরণ-সেচ সম্প্রসারণ এবং বীজ ও সারের মতো সাশ্রয়ী মূল্যের উপকরণের প্রাপ্যতা বাড়ানো।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
নীতি নথিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির উপর সেচের জন্য ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো, নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সমাধানগুলো অন্তর্ভুক্ত করা এবং ফসল পরিচর্যার জন্য রিমোট সেন্সিং নিয়োগ করা।
সরকার একটি টেকসই ও স্বনির্ভর কৃষি কাঠামো গড়ে তুলতে ভর্তুকি, আর্থিক প্রণোদনা এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই খাতকে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উপখাত থেকেও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এটি কেবল জিডিপি যথাক্রমে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৯১ শতাংশই বৃদ্ধি করে না, বরং জনসংখ্যার ১২ শতাংশেরও বেশি মানুষের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের উৎস হিসেবে কাজ করে এবং জীবিকার সংস্থান করে। এই ক্ষেত্রগুলোর অর্জনসমূহের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস এবং ডিম ও দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের আশা করা হচ্ছে। তাছাড়া রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের জন্য এসব খাত অত্যাবশ্যক।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় জিরা চাষে সফলতা, জহুরুল ইসলামের দৃষ্টান্ত
ভবিষ্যতে এসব খাতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নত ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি গ্রহণ এবং সংরক্ষণ প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য বিশেষ করে ছোট ইলিশ মাছের ('জাটকা') জন্য উন্নয়ন প্রকল্প চালু করতে প্রস্তুত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
টেকসই কৃষির গুরুত্ব বিবেচনায় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা আরেকটি মৌলিক ক্ষেত্র। আন্তঃসীমান্ত নদী থেকে ন্যায়সঙ্গত পানির হিস্যা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জলাশয় খনন ও উপকূলীয় বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা উন্নয়নের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ক্ষতির হুমকির মধ্যে - ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সরকার এই প্রভাবগুলো হ্রাস করার বিস্তৃত কৌশলগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনাটি জলবায়ু সম্পর্কিত বাধাগুলোর বিরুদ্ধে সহনশীলতা এবং স্থিতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাত এবং সম্প্রদায়গুলোকে সরঞ্জাম দিয়ে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই বহুমুখী প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের কৃষি ঐতিহ্যকে কেবল সুরক্ষাই নয়, বরং এগিয়ে নিতেও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ১৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ১৪ কোটি টাকার প্রণোদনা
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে ২৪ জেলার ৩৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এতে একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ১ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনে কর্মসূচি গ্রহণ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
এসব বীজ সরবরাহ করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ বীজ চাষে বদলেছে ফরিদপুরের এক দম্পতির জীবন
নওগাঁয় জিরা চাষে সফলতা, জহুরুল ইসলামের দৃষ্টান্ত
জিরা দামি মসলাজাতীয় অর্থকরী ফসলগুলোর একটি। যদিও আমাদের দেশে জিরার চাহিদা মেটাতে নির্ভর করতে হয় আমদানিতে। তবে, এবার পরীক্ষামূলক চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার শিয়ালা গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বাদল।
বাম্পার ফলন পেয়ে তিনি বেশ খুশি। তাকে দেখে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে বাড়ছে আগ্রহ। তার চাষ করা জিরা দেখতে ভিড় করছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত দর্শনার্থীরা।
কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন দামি উচ্চ ফলনশীল সবজি চাষ করে আসছেন তিনি। বাজারে দাম বেশি হওয়ায় জিরা চাষে উদ্বুদ্ধ হন। এরপর অনলাইনে এর চাষাবাদ পদ্ধতি দেখে ভারত থেকে প্রায় ১ হাজার টাকা খরচ করে বেগুনি ফুলের জাতের ৫০০ গ্রাম জিরার বীজ সংগ্রহ করেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে সরিষা যেমনভাবে চাষ করা হয় একই উপায়ে ৫ শতক জমিতে এই জিরার বীজ বোপণ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, গাছে যতগুলো ফুল ছিল ততগুলোই জিরা ধরেছে। বর্তমানে জিরা পরিপক্ক হয়েছে। ৫ শতক জমি থেকে ১০ থেকে ১২ কেজি জিরা পাওয়ার আশা করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কেঁচো সারে ভাগ্য বদল, লাইসেন্স না পাওয়ায় হুমকি দেখছেন চুয়াডাঙ্গার আসাবুল হক
কেঁচো সারে ভাগ্য বদল, লাইসেন্স না পাওয়ায় হুমকি দেখছেন চুয়াডাঙ্গার আসাবুল হক
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের পীতম্বরপুর গ্রামের আসাবুল হকের ভাগ্যের বদল হয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার তৈরির প্রকল্পে। তবে জৈব সারের মান ভালো ও চাহিদা থাকলেও যোগ্য মূল্য না পাওয়ায় হুমকির মুখে তার এই প্রচেষ্টা।
আসাবুলের প্রতিষ্ঠানের (কৃষি খামার) লাইসেন্স না থাকায় প্যাকেট করে বাজারজাত করতে পারছেন না তিনি। কিন্তু দেশের অনেক স্বনামধন্য সার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আসাবুলের কাছ থেকে কম মূল্যে সার কিনে তা অধিক লাভে সারা দেশে বিক্রি করছে।
নেই প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা, পার হননি স্কুলের গন্ডি। হারিকেনের টিমটিমে আলোয় নিজের নামটুকু শুধু লেখা শিখেছেন মাত্র। দরিদ্রের কষাঘাতে বেড়ে ওঠা ব্যক্তিটি আজ নিজেই একজন উদ্যোক্তা।
চুয়াডাঙ্গায় ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারে ভাগ্য বদলে গেছে আসাবুল হক নামের ওই উদ্যোক্তার। অনেকটা শূন্য থেকে শুরু করে তার পুঁজি আজ কোটি টাকার বেশি। নিজের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় শতাধিক মানুষের। একই সঙ্গে কৃষি জমির স্বাস্থ্য সুরক্ষাও হচ্ছে তার মাধ্যমে। তিনি আগ্রহী বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য সার্বিক সহযোতিার আশ্বাস দিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে উৎসাহিত করছেন।
আরও পড়ুন: উৎপাদন বাড়াতে পাট চাষিদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার
বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ লাখ ৩ হাজার বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান।
বাগেরহাট থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকার মৎস্যজীবীসহ সারা দেশে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৮ লাখ ৩ হাজার ৪১৮ জন। ‘এর মধ্যে ১৪ লাখ আইডি কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
গাইবান্ধা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সরকারি দলের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির ১৫টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের ১৭ ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, এসব টিকা সরকার নির্ধারিত ভর্তুকি মূল্যে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
তিনি বলেন, , বিশেষত প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে ভ্যাকসিনগুলো সহজলভ্য করার লক্ষ্যে সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরে গবাদি পশু ও পোল্ট্রি ভ্যাকসিনের প্রায় ৩২ কোটি ৮৬ লাখ ডোজ উৎপাদন ও বিতরণ করেছে।
আরও পড়ুন: রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
সুপারফুড 'বিটরুট' এর ফলন বৃদ্ধি বিষয়ে গবেষণা করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ফাতেমাতুল বুশরা। গবেষণাটির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন একই বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মো. হারুন অর রশিদ।
বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (এনএসটি) ফেলোশিপের অর্থায়নে গবেষণাটি করা হচ্ছে বলে জানান বুশরা।
বুশরা বলেন, ‘বিটরুটের দেশীয় ২টি হাইব্রিড জাত হার্ট বিট ও রেড বেবি এবং যুক্তরাজ্যের জাত বোল্টার্ডি নিয়ে গবেষণা করছি। ৩টি জাতেই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিরাপদ মাত্রার মধ্যে বিভিন্ন ডোজে জিব্বেরেলিন নামক গ্রোথ প্রোমোটার বা উদ্ভিদের বৃদ্ধিকারক হরমোন ও সুষম মাত্রায় জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে।’
গ্রোথ প্রোমোটার ব্যবহার করায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর রঙিন ফুলকপি: বাকৃবি অধ্যাপক
উৎপাদন বাড়াতে পাট চাষিদের সাড়ে ৭ কোটি টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার
সারাদেশে পাট চাষ বাড়াতে কৃষকদের প্রায় ৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার।
বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এবার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ জন ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও মাঝারি কৃষক বিনামূল্যে বীজ পাবেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পাট চাষের আওতায় এক বিঘা জমির জন্য প্রত্যেক কৃষক এক কেজি বিজেআরআই তোষা পাট-৮ (রবি-১) বীজ পাবেন।
শিগগিরই মাঠ পর্যায়ে এই প্রণোদনাটি বিতরণ শুরু হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বোরো হাইব্রিড ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৯০ কোটি টাকার প্রণোদনার ঘোষণা কৃষি মন্ত্রণালয়ের
জিনোম সেন্টারকে কাজে লাগিয়ে পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, সরকারের পাটবান্ধব নীতির কল্যাণে বিগত ১০ বছরে পাটের উৎপাদন বেড়েছে ৩৩ লাখ বেল।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে যেখানে ৫১ লাখ বেল পাট উৎপাদন হতো, সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে পাট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৮৪ লাখ বেল। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ লাখ বেল পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে।
আরও পড়ুন: মজুতের অভিযোগ পেলে গ্রেপ্তার করা হবে: কৃষিমন্ত্রী
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাট গবেষণায় জিনোম সেন্টারের সাফল্য ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য ২০০৯ সালে পাটের জিনোম সিকুয়েন্সিং এর কার্যক্রম শুরু করেন এবং জিনোম সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। এর ফলে ২০১০ সালে বিশ্বে সর্বপ্রথম পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন হয়।
তিনি বলেন, জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে দেশে চাষ উপযোগী উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের ব্যাপক সুযোগ তৈরি হয়েছে। আর দেশের মাটিও পাট চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কাজেই পাটের উৎপাদন বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, পাটের উৎপাদন আরও বাড়াতে উচ্চ ফলনশীল জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। এলক্ষ্যে গবেষণায় আরও মনোযোগী হতে হবে এবং জিনোম সিকুয়েন্সিং ল্যাবের পুরোপুরি ব্যবহারে আপনাদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: আমাদের এখন লক্ষ্য ডালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া: কৃষিমন্ত্রী
পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখনো পাটবীজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি। চাহিদার সিংহভাগ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, পলিথিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। পাটের আঁশের বহুমুখী ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে জিওটেক্সটাইলের অভ্যন্তরীণ বাজার প্রায় ৭০০ কোটি টাকার। শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বজুড়ে নানা কাজে ‘মেটাল নেটিং’ বা পলিমার থেকে তৈরি সিনথেটিক জিওটেক্সটাইলের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ও উৎকৃষ্ট জুট জিওটেক্সটাইলের কদর বাড়ছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে পাটকাঠির কালো ছাই বর্তমানে চীন, তাইওয়ান, জাপান, হংকং ও ব্রাজিলে রপ্তানি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক