শিক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি
করোনায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ধীরে ধীরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দ্বার উন্মুক্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ শিক্ষকদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক খোলার উপযুক্ত রাখতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে শতভাগ বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে হবে। ওয়ার্কশিট বিতরণ শতভাগ নিশ্চিতকরণ ও যাচাই করতে হবে। শিখন ঘাটতির অবস্থা ও ফিডব্যাক নিতে হবে। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের টিকার আবেদনের সময় বাড়ল
শিক্ষকদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। হোম ভিজিট যাচাই করা। শিক্ষার্থী প্রোফাইল শতভাগ হয়েছে কিনা তা দেখা। দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য করণীয় নির্ধারণ করা। স্যাম্পল হিসেবে শিক্ষার্থীর বাড়ি যাওয়া এবং শিক্ষার্থী যোগাযোগ রেজিস্ট্রার যাচাই করা।
এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক ঠিক করার জন্য দ্রুত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে মাউশি। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারের আদেশ যথাযথ পালন করতে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সূত্র বলছে,শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা দেয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আওতায় এসেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী থেকে নেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সেজন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যাপারে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসা পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। শেষ হবে স্কুলে ছুটি আরেক দফা বাড়ছে।
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সহকারী উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোন কর্মকর্তারা যদি নির্দিষ্ট এলাকার সমস্ত বিদ্যালয় পরিদর্শন না করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে সিলেটে সমাবেশ
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও কলেজ) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন,‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং বিদ্যালয় খোলার সার্বিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশ দিয়েছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খোলা যাবে। তাছাড়া আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলাই রয়েছে। নিয়মিত অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া এবং তা নেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।’
দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন শাবিপ্রবির উপাচার্য
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে আগামী চার বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
চলতি বছরের জুন মাসে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
শনিবার সাকল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়
এর আগে ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
প্রথম মেয়াদে দায়িত্বকালে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বৃদ্ধি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মানুবর্তিতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার উপর গুরুত্বারোপ, সেশনজট নিয়ন্ত্রণ, একযুগ পর তৃতীয় সমাবর্তন আয়োজন, অবকাঠামো উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্প অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাকে সিলেট সিটি করপোরেশনে আওতাভুক্তকরণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আইসিটি গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ এবং ডিজিটাল ক্যাম্পাস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ অর্জন, করোনা পরীক্ষায় নিজস্ব অর্থায়নে পিসিআর ল্যাব চালু, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পরিবহন খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ বেশকিছু উল্লেখযোগ্য মেগা ইস্যুর সমাধান ও অর্জন করতে সক্ষম হয় শাবিপ্রবি।
এছাড়াও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় প্লেজারিজম মুক্ত রাখতে টার্ন-ইট-ইন সফটওয়্যার চালু, গবেষণায় বরাদ্দ সাতগুণ বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম চালু, চা শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য কোটা চালু ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থা চালু, ক্যাম্পাসকে র্যা গিংমুক্তকরণ, সার্টিফিকেট যাচাইয়ের জন্য ব্লক চেইন পদ্ধতি চালু, করোনায় অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা, অনলাইন ক্লাসের জন্য শিক্ষকদের প্রণোদনা ও ঋণ প্রদান, শিক্ষার্থীদের ডাটা প্যাকেজ প্রদান, ক্যাফেটেরিয়া খাবারের মান বৃদ্ধি, লাইব্রেরি ও মেডিকেল সেন্টারের আধুনিকায়ন, খেলাধুলায় বাজেট বৃদ্ধি, প্রশাসনিক ভবনসমূহে বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিকরণ, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ ও গৃহ নির্মাণের জন্য ঋণ সুবিধা দেয়া প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অবদান ছিল প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ১১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস স্কলারশিপ
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যারা কাজ করেছেন তাদের স্মৃতির রক্ষার্থে কাজ করতে চাই। সিলেট অঞ্চলের সর্বোচ্চ এই বিদাপীঠের শিক্ষার্থীরা একসময় এই বাংলাদেশের সর্বস্তরে নেতৃত্ব দেবে। সামনের দিনগুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি এগিয়ে যাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সংস্কৃতি চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করে যাব।
অনলাইনে পরীক্ষা নেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বিকালে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষদীয় ডিনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে পরামর্শ আসায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভিসি শেখ আবদুস সালাম।
পরীক্ষার ব্যাপারে স্ব-স্ব বিভাগে চূড়ান্ত নীতিমালা পাঠানো হয়েছে। যেসব বিভাগ প্রস্তুত রয়েছেন তারা চাইলে যে কোনো সময় পরীক্ষা শুরু করতে পারেন।
এসময় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে আজাদ লাভলু ও অনুষদীয় ডিনরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ শুরু
স্থাপত্যশৈলীর অনন্য নিদর্শন ইবির কেন্দ্রীয় মসজিদ
করোনায় সিকৃবি কর্মকর্তার মৃত্যু
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সহকারী রেজিস্ট্রার রথীন্দ্র মল্লিক রতন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।রবিবার রাত সোয়া দশটায় সিলেট নগরীর নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ২৪ হাজার ছাড়াল
রথীন্দ্র মল্লিক রতনের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর।
আরও পড়ুন: সিলেটে সার্ভার হ্যাক করে মোবাইলে টিকার বার্তা!
উল্লেখ্য, এর আগে গত এক মাসের মধ্যে করোনায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক মারা গেছেন।
শাবিপ্রবিতেই সিলেট বিভাগের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মিত হয়
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েই নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিটি (ম্যুরাল) ই সিলেট বিভাগের বঙ্গবন্ধুর প্রথম ম্যুরাল।
২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট ম্যুরাল উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান ও শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক ভূইয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবিতে এই ম্যুরাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে ‘কিলোরোড’ পেরিয়ে গোলচত্বর। গোলচত্বর ও প্রশাসনিক ভবন-২ এর মাঝে ম্যুরালটির অবস্থান। ফলে আনমনে ক্যাম্পাসে চলাচলরত যে কারও নজরে পড়ে ম্যুরালটি। মনে হয় শির উঁচু করে এখানে দাঁড়িয়ে আছেন ‘বঙ্গবন্ধু’।
আরও পড়ুন: করোনা : শাবির ল্যাবে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ
রড-সিমেন্ট ও সিরামিক টাইলস দিয়ে তৈরি ম্যুরালটির উচ্চতা ৬ ফুট বাই ১০ ফুট আর মূল বেদী ৪০ ফুট বাই ২৫ ফুট। প্রায় ১২ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রতিকৃতির ডিজাইনার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থাপত্য শিল্পী শেখ নাঈম উদ্দিন টিপু।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ সমারোহে নান্দনিক স্থাপত্যে নির্মিত এ ম্যুরালটির চারদিক ঘিরে রেখেছে অসংখ্য কদম, কৃষ্ণচূড়া, কড়ইসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ম্যুরালের পাদদেশে এসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোক দিবস ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মাধ্যমেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন স্বরূপ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ক্যাম্পাসে প্রবেশ এবং বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের প্রতিদিনই চোখের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রতিভাত হয়। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক সময়ে অগণিত দর্শনার্থী বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দেখতে আসেন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুর: শাবিপ্রবিকে সিসিকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার নিদর্শন স্বরুপ এ ম্যুরালটি
নির্মাণ করা হয়েছে। এ ম্যুরালটির মাধ্যমে শাবিপ্রবি পরিবারের সকল সদস্য প্রতিনিয়ত বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে এ প্রত্যাশা করি।’
নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী নভেম্বরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। সেজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর অ্যাসাইমেন্ট কার্যক্রম চলছে। আশা করি করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে ওই সময়ে দুটি পরীক্ষা নিতে পারবো।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মহিলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও হুইল চেয়ার বিতরণ শেষে সংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে নভেম্বর এসএসসি, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে পরিস্থিতি যদি অনূকূলে না আসে গত বছর যেভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল দেয়া হয়েছে সেভাবে দেয়া হবে। তবে আমরা এখনও পরীক্ষা নিয়েই ফল দিতে চাই।
আরও পড়ুন: সরকার আর শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতে প্রস্তুতির কোন ঘাটতি না হয়, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ওইভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। আশা করি শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে কোন সমস্যা হবে না। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম চলছে। এটা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে সরকার। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খুলছে না।
আরও পড়ুন: বছরের শেষ ২ মাসে হতে পারে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
শাবিপ্রবির ১১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস স্কলারশিপ
ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও জনপ্রিয় ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ পেয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ শাবিপ্রবিকে সিসিকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত
এ স্কলারশিপের আওতায় তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১৩৯ জন এ স্কলারশিপ পেয়েছেন।
স্কলারশিপপ্রাপ্তরা হলেন- ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, মোঃ ইয়াসিন, প্রভাষক মাহাবুব আলম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন, আহনাফ মুজিব সামিন, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগের কামরুল হাসান, পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের সুহেদা বেগম, সমাজকর্ম বিভাগের সিদরাতুল মুনতাহা চৌধুরী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবিহা তাসনিম, মেহবুবা জান্নাহ ও জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুনঃ শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা গ্রহণ শুরু
স্কলারশিপ পাওয়ায় সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ওপরের দিকে থাকা ইউরোপের চারটি দেশের চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা নি:সন্দেহে আমার জ্ঞান ভান্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করবে, যা পরবর্তীতে আমার শিক্ষকতার কাজে সহায়তা করবে।'
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ‘অকৃতকার্য’ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। দুপুরের পর তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ছেড়ে চলে যায়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ২০ জুলাই ফলাফল প্রকাশিত হয়। ফলাফলে ৭২ শতাংশ কৃতকার্য হয় এবং বাকি ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখানো হয়। এতে ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে এক বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। অকৃতকার্য ফলাফল নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, স্বশরীরে পরীক্ষা দিলেও অনেক শিক্ষার্থীকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থীর চতুর্থ বর্ষের দশটি কোর্সের মধ্যে নয়টিতে প্রথম শ্রেণি পেলেও তুলনামূলক সহজ বিষয়ে যেমন সাংগঠনিক আচরণ, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিতে গণহারে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। যেটি খুবই হতাশাজনক। কোনভাবেই উক্ত ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারছেন না তারা।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মশিউর রহমান জানান, যেহেতু শিক্ষকদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে সুতরাং এটার আর পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তাদের আন্দোলন না করে বাসায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন চবির সাবেক ডিন গাজী সালাহ উদ্দীন
করোনা: মারা গেলেন সিকৃবির ড. আজমুল হুদা
করোনায় মারা গেলেন চবির সাবেক ডিন গাজী সালাহ উদ্দীন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের সাবেক ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. গাজী সালাহ উদ্দিন ইন্তেকাল করেছেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর সিকদার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।অধ্যাপক ডা. সালাহ উদ্দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ২৪৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১২,৬০৬
তাঁর ছেলে তানভীর সালেহীন গাজী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২১ জুলাই থেকে তিনি করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাওয়ায় তাঁকে গত ৩১ জুলাই থেকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছিল। এর আগে গত ৩০ জুলাই ঢাকার গুলশান শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রামের প্রগতিশীল বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ক্ষেত্রে তার লেখা বইয়ের তথ্যকে দালিলিক সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল
আরও পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় ৩৬ মৃত্যু
ড. গাজী সালাহ উদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে। শহীদ পরিবারের সন্তান ও মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. গাজী সালাহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলীর পাঞ্জাবী লেন এলাকায়।
ড. গাজী সালেহ উদ্দিনের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে।
করোনা: মারা গেলেন সিকৃবির ড. আজমুল হুদা
করোনা আক্রান্ত হয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আজমুল হুদা মারা গেছেন।
বুধবার সিলেট নগরীর পার্ক ভিউ মেডিকেল সেন্টারের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুনঃ করোনায় মারা গেলেন সাবেক এমপি খুররাম খান
ড. আজমুল হুদা সিলেট কৃষি বিশ্বব্যিালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকেই কৃষি অনুষদে শিক্ষকতা শুরু করেন। তার দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বিভাগীয় প্রধান, সহকারী হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। কৃষি জমি ও ফসলি মাটি নিয়ে তার বেশকিছু গবেষণাও রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ করোনায় মারা গেলেন আ’ লীগের সংসদ সদস্য সামাদ
এদিকে অধ্যাপক আজমুল হুদার মৃত্যুতে সিকৃবি ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এ ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। পাশাপাশি শোক প্রকাশ করেছে শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ।
মরহুমের মরদেহ তার নিজ বাড়ি জামালপুরে সমাহিত হবার কথা রয়েছে।