তবে অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট দাবি করেছেন তিনি কারও চুল কাটেন নি, স্থানীয়রা ওই যুবকের মাথার চুল কেটেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনার পর থেকে ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক ও সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের উপস্থিতিতে যুবকের চুল কেটে নেয়ার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা গুলিয়াখালী সী-বিচে বেশ কিছু দিন যাবত স্থানীয় কিছু অসাধু লোক তাবু টাঙিয়ে বেড়াতে যাওয়া যুবক যুবতীদের ভাড়া দিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল।
অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সীতাকুণ্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মাহবুবুল হক গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে অভিযান চালান। এসময় তিনি সাতটি তাবু জব্দ করেন এবং এক কলেজছাত্রের চুল কাটার নির্দেশ দেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার সাথে থাকা ব্যক্তি কাচি দিয়ে যুবকটির চুল কেটে দেয়। এমন ঘটনার পক্ষে ও বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সদরুল চৌধুরী নামে এক সমালোচক লিখেছেন, ‘চুলকাটা কোনোভাবে আইনসিদ্ধ নয়। এটা অবশ্যই ক্ষমতার অপব্যবহার। ঘটনাটি ইন্টারনেটে ছাড়া কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
যোগাযোগ করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল গুলিয়াখালী সৈকতে তাবু টাঙিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। সে অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে সাতটি তাবু জব্দ করা হয়।
‘সেখানে একটি ছেলে উল্টোপাল্টা আচরণ করেছিল। স্থানীয় কেউ তার চুল ছোট করে দিয়েছে,’ তিনি যোগ করেন।