আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই নথি পাঠাতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারকের প্রতি নিদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেন।
আদালতে হাজি সেলিমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম খান বলেন, গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের ফাইলটি সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে বেঞ্চে পৌঁছায়। কিন্তু ফাইলের ভেতরে নিম্ন আদালতের নথি ছিল না। এ কারণে আদালত নিম্ন আদালতের সব নথি তলব করেছেন।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর হাজী সেলিমের মামলাটি দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন জানায় দুদক।
অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় মামলা করেছিল দুদক। এই মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল বিচারিক আদালত রায়ে হাজি সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট হাজি সেলিমের সাজা বাতিল করেন। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করে।
দুদকের করা আপিলের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টে ওই আপিল (হাজি সেলিমের) পুনঃ শুনানি করতে বলা হয়। এরপর প্রায় পাঁচ বছর ওই আপিলের আর পুনঃ শুনানি হয়নি। এ মামলায় হাজি সেলিম জামিনে আছেন।