নড়াইল সদরের পইলডাঙ্গা গ্রামে স্বামীকে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় গৃহবধূকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে অভিযুক্ত স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এছাড়া আহত গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী কাজী সুমাইয়া ইসলাম নড়াইল সদরের পইলডাঙ্গা গ্রামের মনসুর খানের স্ত্রী এবং লোহাগড়া উপজেলার শামুকখোলা গ্রামের নজরুল ইসলাম বাদশার মেয়ে।
অভিযুক্ত আশিক খান একই এলাকার মনসুর খানের ছেলে, পেশায় একজন দোভাষী।
আরও পড়ুন: যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন: স্ত্রীর মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১১ মাস আগে পারিবারিকভাবে আশিক খান ও কাজী সুমাইয়া ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুমাইয়া জানতে পারেন তার স্বামী মাদকাসক্ত। স্বামীকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন সুমাইয়া। এ কারণে প্রায়ই সুমাইয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হতো। এরই জের ধরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিকালে আশিক তার স্ত্রীকে বেদম মারধর করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন, চট্টগ্রামে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
গৃহবধূ সুমাইয়া বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য নজরুল ইসলাম বাদশা বলেন, বিয়ের দুই মাস পর থেকেই আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু হয়। সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর আমার মেয়েকে রড দিয়ে বেদম মারধর করে আশিক। এতে তার তিনটি দাঁত ভেঙে গেছে। ঠোঁটে ১০টি সেলাই দিতে হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
সুমাইয়ার বড় ভাই কাজী রমজান বলেন, আমার বোনকে নির্যাতনের ঘটনায় আশিকসহ তার বাবা-মা ও বোনের নামে মামলা হয়েছে। এরপর আসামিরা রবিবার আদালতে হাজির হলে আশিকের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অন্যদের জামিন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চুরির অভিযোগে কুষ্টিয়ায় শিশু নির্যাতন
নড়াইল সদর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে চার জনের নামে গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মামলা করেছেন। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।