আন্তর্জাতিক আরকাইভস সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তথ্য জানান।
এবার ‘এম্পাওয়ারিং নলেজ সোসাইটিস’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৮ থেকে ১৪ জুন পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক আরকাইভস সপ্তাহ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে আরকাইভস ও তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জনগণের চাহিদা ও প্রত্যাশা যুক্তিসঙ্গত কারণেই বদলে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য ধারণ, সংরক্ষণ ও সংরক্ষিত তথ্যের ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সঙ্গত কারণেই পাঠক, গবেষকসহ আপামর জনসাধারণ জানতে আগ্রহী যে কী পদ্ধতিতে মানবজাতির সৃষ্টিশীল কাজকর্ম আরকাইভসে সংরক্ষিত হবে বা হচ্ছে এবং এগুলো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কতটা নিরাপদে ও অবিকৃতভাবে পৌঁছানো হবে।’
‘এরূপ চ্যালেঞ্জ, প্রত্যাশা ও চাহিদা মোকাবিলায় আরকাইভস ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে আধুনিক ও যুগোপযোগী করা গড়ে তোলা হচ্ছে এবং একই সাথে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরকে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দায়িত্ব পালনের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
তিনি জানান, সংবিধানের ২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য, ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পরিপোষণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যে সাংবিধানিক ম্যান্ডেট রয়েছে, সেটিকে লক্ষ্য রেখেই এ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্থ আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের কার্যক্রমকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস আইন, ২০২০ এর খসড়া মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। লেজিসলেটিভ বিভাগের ভেটিং পেলে খুব শিগগরিই আইনটি পাসের জন্য জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হবে।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ আরকাইভস অ্যান্ড রেকর্ড ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির (বারমস) সভাপতি প্রফেসর ড. শরীফ উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক সাবেক অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মিসবাহ কামাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।