বাংলাদেশ
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে দায়িত্বহীনতা নয়: বিজয় দিবসের আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মুশফিক
মেক্সিকোতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস, মেক্সিকো সিটি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিপুলসংখ্যক প্রবাসী অংশগ্রহণ করেন।
দিবসব্যাপী কর্মসূচির সূচনা সকালেই দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে হয়। এরপর দূতাবাসের মিলনায়তনে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় রাষ্ট্রদূত জনাব মুশফিকুল ফজল আনসারী মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল বীর, স্বাধীনতার অগ্রণায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ সকল বীর সেনানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মহান বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত মুশফিক তার বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭১ সালের এই গৌরবময় দিনে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। তাদের আত্মত্যাগ, বীরত্ব ও অসীম সাহস জাতির ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। স্বাধীনতা কেউ কোনো সোনার থালায় এনে দেয়নি, এটি ছিনিয়ে নিতে হয়েছে রক্তস্নাত যুদ্ধ, ত্যাগ ও আত্মবিসর্জনের বিনিময়ে। সেই অদম্য সাহস ও প্রতিবাদের উত্তরাধিকার আমরা দেখেছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে, যেখানে নির্ভীক তরুণরা নিপীড়ন, অন্যায় ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
রাষ্ট্রদূত মুশফিক সতর্ক করে বলেন, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই অবারিত থাকবে। তবে এর নামে গণতন্ত্র হত্যাকারী, খুনী ও লুটেরা চক্রকে পুনর্বাসনের চক্রান্ত মেনে নেওয়া যায় না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে দায়িত্বহীনতা নয়। আমাদের বক্তব্য, বিবৃতি বা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত কোনো কন্টেন্ট যেনো সামাজিক অস্থিরতা বা সহিংসতাকে উসকে না দেয়।’ তিনি ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরুত্থান রোধে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির একজন তরুণ বিজয় দিবস উপলক্ষে তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশিত হয়। কর্মসূচির সমাপনীতে দূতাবাসের গার্ডেনে অতিথিদের জন্য বিশেষ আপ্যায়নের আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত মুশফিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং ব্যবসা-বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আসন্ন ১২ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে এবং এর মাধ্যমে দেশে নতুন গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার সূচনা হবে।’
৫ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন: প্রেস উইং
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান আজ বুধবার দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখযোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯:৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টার থেকে বুধবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেলে করে আসা দুই আততায়ীর একজন চলন্ত রিকশায় থাকা ওসমান হাদির মাথায় গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
কিন্তু সেখানে অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন না হওয়ায় সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
ভাতার দাবিতে আন্দোলন: সচিবালয়ের ১৪ কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
সচিবালয় ভাতার দাবিতে আন্দোলন করা ১৪ জন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করায় সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই কর্মচারীদের বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির, সহ-সভাপতি শাহীন গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম রয়েছেন।
এ ছাড়াও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অন্য কর্মচারীরা হলেন—স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মো. তায়েফুল ইসলাম, বিকাশ চন্দ্র রায়, ইসলামুল হক, মো. মহসিন আলী, রোমান গাজী ও আবু বেলাল, তথ্য মন্ত্রণালয়ের মিজানুর রহমান সুমন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কামাল হোসেন ও মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিপুল রানা বিপ্লব এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নাসিরুল হক।
সচিবালয় ভাতার দাবিতে গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের নেতৃত্বে হওয়া ওই আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রায় ছয় ঘণ্টা সচিবালয়ের একটি দপ্তরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
পরের দিনও আন্দোলন অব্যাহত থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থান নেয়। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন কর্মচারীকে সচিবালয় এলাকা থেকেই আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আদালত তাদের রিমান্ডেও পাঠান।
সরকার দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়ার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আন্দোলনকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
১৩ ঘণ্টা আগে
আড়াই ঘণ্টা পর ইসলামবাগের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ফায়ার সার্ভিসের আড়াই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় পুরান ঢাকার ইসলামবাগের বহুতল ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের চেষ্টায় বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ইসলামবাগের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ১টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে তাদের ছয়টি ইউনিট।
তখন আনোয়ারুল ইসলাম বলেছিলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে লালবাগ, হাজারীবাগ ও পলাশী থেকে দুটি করে মোট ৬টি ইউনিট কাজ করছে। সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট সেখানে যাচ্ছে।
তবে আগুনের ভয়বহতা বিবেচনায় ওই তিন ইউনিটের পর আরও দুটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
ভয়াবহ আকার নিয়েছে ইসলামবাগের আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট
পুরান ঢাকার ইসলামবাগ চেয়ারম্যান ঘাট এলাকার একটি বহুতল ভবনে লাগা আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ১টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে তাদের ছয়টি ইউনিট।
তখন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের ওয়্যারহাউস পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে লালবাগ, হাজারীবাগ ও পলাশী থেকে দুটি করে মোট ৬টি ইউনিট কাজ করছে। সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট সেখানে যাচ্ছে।
তবে আগুনের ভয়বহতা বিবেচনায় ওই তিন ইউনিটের পর আরও দুটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
বাংলাদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি, বিশেষ করে ভারতীয় হাইকমিশন ও দপ্তরগুলোর আশপাশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ জানাতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
এ সময় ঢাকায় ভারতীয় মিশন ঘিরে সৃষ্ট সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বিশেষভাবে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
একই সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাকে ঘিরে উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে যে মিথ্যা বয়ান তৈরি করার চেষ্টা চলছে, তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে ভারত।
‘অন্তর্বর্তী সরকার ঘটনাগুলোর বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করেছে না, এমনকি ভারতের সঙ্গে অর্থবহ কোনো প্রমাণও ভাগ করছে না। এটি দুঃখজনক।’
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যার শেকড় মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে যৌথ সংগ্রামে প্রোথিত। পরবর্তীতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক উদ্যোগ ও দুদেশের জনগণের যোগাযোগের মাধ্যমে তা আরও দৃঢ় হয়েছে।
বাংলাদেশের শান্তি ও সুষ্ঠু নির্বাচনে নিজেদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে ভারত আরও বলেছে, ‘আমরা বাংলাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে আসছি।’
একই সঙ্গে কূটনৈতিক দায়িত্বের আলোকে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় মিশন ও পোস্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।
১৫ ঘণ্টা আগে
দুপুর ২টার পর ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
চলমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উদ্ভূত নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে বুধবার দুপুর ২টার পর আর কোনো কার্যক্রম চলবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব আবেদনকারীর আজকের (বুধবার) স্লট বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত ছিল, তাদের জন্য পরবর্তী সময়ে নতুন একটি তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব খুনিদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া ও ভারতীয় প্রক্সি রাজনৈতিক দল, মিডিয়ালীগ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আজ ‘মার্চ টু হাইকমিশন’ কর্মসূচি পালন করবে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করা ঐক্যবদ্ধ মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ইইউ’র
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এ উপলক্ষে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ইভার্স ইজাবসকে প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ইইউ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০২৬ সালে এটি হবে বিশ্বের যেকোনো স্থানের মধ্যে সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলন।
বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ জানিয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের উচ্চ প্রতিনিধি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজা কালাস বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইভার্স ইজাবস বলেন, বাংলাদেশে ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের নেতৃত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। এই মিশন নির্বাচনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ মূল্যায়ন তুলে ধরবে।
তিনি আরও বলেন, এই মিশন বাংলাদেশের জনগণ এবং তাদের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সুরক্ষার আকাঙ্ক্ষার প্রতি ইইউর সমর্থনের বাস্তব উদাহরণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী পুরো নির্বাচনি প্রক্রিয়া মূল্যায়ন করবে। একই সঙ্গে প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও মতবিনিময় করবে।
১৭ ঘণ্টা আগে
চার দিবস সামনে রেখে সেজে উঠেছে ‘ফুলের রাজধানী’ গদখালি
নববর্ষসহ চার দিবসকে সামনে রেখে উৎসবের আমেজে সেজে উঠেছে ‘ফুলের রাজধানী’ খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি। আসন্ন নতুন বছরকে কেন্দ্র করে গদখালিতে বিপুল অঙ্কের ফুল বিকিকিনি হবে বলে আশা করছেন ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর গদখালিতে ৬৩৮ হেক্টর জমিতে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা ধরনের ফুলের চাষ করেছেন চাষিরা। শীতকালের এই সময়টাকে ফুলের ভরা মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই মৌসুমেই খ্রিস্টীয় নববর্ষ, বসন্ত উৎসব, ভ্যালেন্টাইন্স ডে ও শহীদ দিবস লক্ষ্য করে চাষিরা ফুলখেতের নিবিড় পরিচর্যা করে থাকেন।
গদখালির পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যেই ফুল তুলতে শুরু করেছেন চাষিরা। ভোর থেকেই রঙিন ফুলের ঝুড়ি নিয়ে বাজারে ভিড় করছেন তারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে উঠেছে মোকাম। তাই গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বেশি লাভবান হওয়ার আশা করছেন চাষিরা।
বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর রজনীগন্ধার গুচ্ছ ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাঁদা হাজার প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা এবং গোলাপ প্রকারভেদে প্রতিটি ৪ থেকে ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
১৯ ঘণ্টা আগে
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রের শক্ত ভিত্তি তৈরি করবে: রিজওয়ানা হাসান
আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দেশে গণতন্ত্রের একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, এই ভিত্তি গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করবে এবং সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহির আওতায় আনবে। বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার যে স্বপ্ন এখনও পূর্ণতা পায়নি, সেই লক্ষ্য অর্জনের যাত্রা এখান থেকেই শুরু করা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, শুধু নির্বাচন নয়, এবার গণভোটের মাধ্যমেও সংস্কার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণ তাদের মতামত জানাতে পারবে। এর ওপর ভিত্তি করে গণতন্ত্রের যাত্রা নতুন রূপে শুরু হতে পারে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষকে দমন করতে যুক্তি ও তর্কের বদলে হত্যাচেষ্টার মতো সহিংস পন্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটিকে নিন্দনীয় ও কাপুরুষোচিত বলে আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, এতে কোনো বীরত্ব নেই। শক্তি থাকলে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সামনে যাওয়ার পথ সবারই জানা আছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, নতুন বাংলাদেশে তার কোনো স্থান নেই। এই সরকার তখনই সফল হবে, যখন সুষ্ঠু নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারের যে লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা যাবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকারের লক্ষ্য একটি শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচন নিশ্চিত করা। মানুষ যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য একটি শক্তি সক্রিয় রয়েছে। সেই শক্তিকে প্রতিহত করার পাশাপাশি সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলাও প্রয়োজন। জনগণের সুরক্ষায় সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
১ দিন আগে