প্রযুক্তির-খবর
টেলিকম খাত পুনর্গঠনে গেজেট প্রকাশ, মধ্যস্বত্বভোগী লাইসেন্স বাতিল
অকার্যকর, টেলিযোগাযোগ সেবাখাত বিকাশের অন্তরায়, আওয়ামী মাফিয়াতান্ত্রিক লাইসেন্স যুগকে বাতিল করতে নতুন টেলিকম লাইসেন্স বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে ‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক অ্যান্ড লাইসেন্সিং ২০২৫’ পলিসি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দেওয়া বৈধ ও অবৈধ তিন হাজারের বেশি লাইসেন্স রিভিউয়ের আওতায় আনা যাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিসের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন লাইসেন্সগুলোর ফি, রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের যে গাইডলাইনটি প্রকাশিত হয়েছে, সেটি খসড়া। এটি অংশীজন ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। নতুন লাইসেন্স পলিসিতে ইন্টারনেটের দাম বাড়ে—এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
পুরানো লাইসেন্স ব্যবস্থা অ্যাকসেস টু ইন্টারনেট, অ্যাক্সেস টু ডিভাইস এবং অ্যাক্সেস টু ফাইবার—এই তিন ক্ষেত্রের কোনোটিই নিশ্চিত করতে পারেনি। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে, ব্যাবসা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ফাইবার পৌঁছেনি, মোবাইল টাওয়ারে ফাইবার (২২ শতাংশ মাত্র) সেভাবে পৌঁছেনি। যেহেতু ফাইবার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ হয়নি, তাই ডেটা ব্যবহারের ভলিউম ভারতের তুলনায় মাথাপিছু হিসাবে ৫০ ভাগের ১ ভাগেই রয়ে গেছে।
পুরোনো লাইসেন্স নীতিতে টেলিযোগাযোগ শিল্প এখনো ‘কানেকশন-কেন্দ্রিক’ থেকে গেছে। অথচ বিশ্ব টেলিকম খাত ইতোমধ্যে ডিজিটাল সার্ভিস-ভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশের টেলিকম পণ্যের সিংহভাগ এখনো মোবাইল বান্ডেল ও আইএসপি প্যাকেজনির্ভর। কিন্তু দেশে এডটেক, হেলথটেক, এগ্রিটেক, ফিনটেক, লজিস্টিক্স টেকসহ স্টার্টআপভিত্তিক ডিজিটাল সেবা এখনও গড়ে ওঠেনি, যা নতুন নীতির মাধ্যমে উৎসাহিত করা হবে।
আইএসপি, মোবাইল ইন্টারনেট, এনটিটিএন কিংবা আইআইজি—কোনো খাতেই এখনো কোয়ালিটি অব সার্ভিস (QoS)-ভিত্তিক ইন্টারনেট ও ডিজিটাল সেবা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। নিরাপদ ইন্টারনেট (সিকিউর ইন্টারনেট) ধারণাও দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অধিকাংশ আইএসপি ও মোবাইল অপারেটরের সেবা অনিরাপদ; প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার সিকিউরিটি মডিউল, প্যাম, সাইবার নিরাপত্তা সফটওয়্যার, ফায়ারওয়াল ইত্যাদি সঠিকভাবে ব্যবহার হয়নি। ফলে ব্যবসা অনিরাপদ পদ্ধতিতে এগিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি সম্প্রসারণে ২৬ ধরনের লাইসেন্স ব্যবস্থা বাতিল করে সহজ ও সমন্বিত (কনভার্জড) লাইসেন্স চালুর বিকল্প নেই বলে জানায় মন্ত্রণালয়। তবে দেশীয় বাস্তবতা ও একচেটিয়া প্রবণতার ঝুঁকি বিবেচনায় ‘সবাই সবকিছু করতে পারবে’—এমন পূর্ণাঙ্গ একীভূতকরণে না গিয়ে ৪ স্তরের লাইসেন্স কাঠামো প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে একদিকে প্রতিযোগিতা বাড়বে, অন্যদিকে প্রতিটি স্তরের কার্যপরিধি আরও সম্প্রসারিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৭ স্তরের লাইসেন্স ব্যবস্থা রেখে তার ৬ স্তর একক কোনো প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার মতো দুর্বৃত্তায়ন থেকে টেলিকম খাতকে রক্ষা করতেই নতুন লাইসেন্স নীতি অপরিহার্য ছিল। নতুন নীতিতে লাইসেন্সিংয়ের স্তরায়ন কমিয়ে আনা হবে, যাতে মধ্যস্বত্বভোগী কমে এবং প্রতিযোগিতামূলক সেবা নিশ্চিত হয়। এতে সরকারের রাজস্ব কমানো ছাড়াই গ্রাহকদের কাছে সুলভ মূল্যে সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
আগের লাইসেন্স কাঠামোতে কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেই টোল সংগ্রহের সুযোগ ছিল। ফলে কিছু প্রতিষ্ঠান রেন্ট-সিকিং প্রবণতায় জড়িয়ে পড়ে—যেখানে ৯০ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ারিং দিলেও তাদের ক্ষতির আশঙ্কা ছিল না, কিন্তু ৪৫-৫০ শতাংশ রেভেনিউ শেয়ার করে শত শত কোটি টাকা মুনাফা তুলে নেওয়া হয়েছে। নতুন নীতিতে এ ধরনের মধ্যস্বত্বভোগী লাইসেন্স সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়েছে।
একদিকে শুল্ক কাঠামো সহনীয় রাখায় রাজস্ব সংগ্রহে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, অন্যদিকে অতিরিক্ত স্তরযুক্ত মধ্যস্বত্বভোগী কাঠামো অপসারণ করা না গেলে ইন্টারনেটের দাম প্রত্যাশিতভাবে কমানো সম্ভব নয়। তবে নতুন QoS প্রতিবেদনে ইন্টারনেটের গতি ও মান বৃদ্ধির প্রমাণ মিলেছে।
নতুন নীতিতে বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে, যাতে তারা নতুন বিনিয়োগসহ ব্যবসা অব্যাহত রাখতে পারেন। এ ছাড়া আইজিডব্লিউ ও আইসিএক্স লাইসেন্সগুলোর আবেদন কার্যত শেষ হয়ে এসেছে এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতির জীবনচক্রও প্রায় শেষ। তাই এসব ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ না করে উদীয়মান প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করাই যৌক্তিক বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
নতুন নীতিতে এনটিটিএনদের ৩৫ শতাংশ, আইসিএসপিদের ৫১ শতাংশ এবং এমএনওদের ১৫ শতাংশ শেয়ার—জয়েন্ট ভেঞ্চার, শেয়ার হস্তান্তর বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে—দেশীয় উদ্যোক্তাদের অনুকূলে ছাড়তে হবে। পাশাপাশি দেশীয় উদ্যোক্তারা চাইলে ১০০ শতাংশ মালিকানায় ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগও পাবেন।
এ ছাড়া প্রাইভেট ৫জি ও এমভিএনও ব্যবসা পুরোপুরি উন্মুক্ত করা হয়েছে, যেখানে দেশীয় উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।
সার্বিকভাবে, নতুন নীতিতে কোনো প্রযুক্তিগত বাধা রাখা হয়নি। ফলে অনুপযুক্ত খাতে অকার্যকর বিনিয়োগের পরিবর্তে নতুন ধারার টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি ও নতুন ডিজিটাল সেবা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
১২ দিন আগে
অনলাইন জুয়ায় জড়িতদের মোবাইল ইন্টারনেট সীমিত করার চিন্তায় সরকার
অনলাইন জুয়ায় জড়িত প্রায় ৫ হাজার এমএফএস (মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস) হিসাব ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে জানিয়ে সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, যারা অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত, তাদের ফোন নম্বরের ইন্টারনেট গতি সীমিত করার বিষয়টিও বিবেচনাধীন রয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভাকক্ষে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এ কথা জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, অনলাইন জুয়া বন্ধে বিটিআরসি থেকে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে মেইল প্রেরণ শুরু হয়েছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, মিডিয়া হাউজগুলো কীভাবে তাদের ওয়েব ব্রাউজার ও অ্যাডসেন্স সেটআপ করবে, সে বিষয়ে একটি নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে, যা বর্তমানে তথ্য মন্ত্রণালয়ে ভেটিং প্রক্রিয়ার অধীনে রয়েছে। ভেটিং শেষে তা সংশ্লিষ্ট সকল মিডিয়াকে সরবরাহ করা হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত গাইডলাইনও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে, যা অনুমোদনের পর সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।
এ সময় বিশেষ সহকারী জানান, অনলাইন জুয়ায় জড়িত প্রায় ৫ হাজার এমএফএস হিসাব ইতোমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে। সরকার এখন একটি কমন ডেটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, প্ল্যাটফর্ম ও অপারেটরদের সমন্বয়ে তথ্য সংরক্ষণ ও নজরদারি করা হবে।
তিনি বলেন, ‘যারা অনলাইন বেটিংয়ে (জুয়া) জড়িত, তাদের ফোন নম্বরের ইন্টারনেট গতি সীমিত করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। এ ছাড়া সিম ও এমএফএসের ইকেওয়াইসি সমন্বয়ে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’
৩০ দিন আগে
অনিবন্ধিত মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে ১৬ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে এনইআইআর
টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ করতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর চালু করা হচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম। এর ফলে দেশের নেটওয়ার্কে নিবন্ধনহীন বা আনঅফিশিয়াল মোবাইল সেটের ব্যবহার বন্ধ হবে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বিটিআরসি ভবনের বোর্ডরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
ফয়েজ আহমদ বলেন, এনইআইআর চালুর ফলে প্রতিটি মোবাইল ডিভাইস এমএফএস অনুযায়ী নিবন্ধিত থাকবে। কোনো অবৈধ মোবাইল সেট ব্যবহার করে একাধিক সিম চালানো সম্ভব হবে না। এতে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সংগঠিত সিম ক্লোনিং, ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও লেনদেনে জালিয়াতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
তিনি আরো বলেন, ইকেওয়াইসি যাচাই প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার জন্য প্রত্যেকটি আইএমইআই নির্দিষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ও সিমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে ফলে ইকেওয়াইসি সিস্টেমে ভুয়া বা একাধিক নিবন্ধন করা সম্ভব হবে না।
এটি আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করবে জানিয়ে তিনি বলেন, সিম প্রতারণা ও স্ক্যাম প্রতিরোধে জন্য চুরি বা হারানো ফোনের আইএমইআই ব্লক করে দিলে সেই ফোনে কোনো নতুন সিম ব্যবহার করা যাবে না। ফলে প্রতারকরা হারানো ফোন ব্যবহার করে আর স্ক্যাম বা ওটিপি জালিয়াতি করতে পারবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
টেলিকম সেক্টরে নিরাপত্তা ও রাজস্ব সুরক্ষা বিষয়ে বিশেষ সহকারী বলেন, এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হলে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বা নকল মোবাইল সেট ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে। এর ফলে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ রাজত্ব ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এবং দেশে মোবাইল উৎপাদন শিল্প আরো সুরক্ষিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের টেলিকম খাত একটি নতুন, নিরাপদ ও স্বচ্ছ যুগে প্রবেশ করবে। তিনি এই উদ্যোগ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে এবং বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহার করতে উৎসাহিত করার জন্য উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন অপারেটরের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
৩৬ দিন আগে
ফোরজির সর্বনিম্ন গতি হবে ১০ এমবিপিএস, সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ সেবার মান নিম্নমানের হওয়ায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে একটি নতুন কোয়ালিটি অব সার্ভিস বেঞ্চমার্ক তৈরি করা হয়েছে। গত সপ্তাহের বিটিআরসি কমিশন মিটিংয়ে মোবাইল অপারেটর, এনটিটিএন এবং আইএসপি সেবাদাতাদের জন্য এটি পাস হয়।
নতুন এই কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালায় ফোরজির সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস নির্ধারণ করা হয়েছে। তদারকি বাড়াতে বিটিআরসি প্রতি মাসে আগের মাসের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স এবং হেলথ চেক করবে, যা সেপ্টেম্বর থেকেই কার্যকর হবে।
রোববার (৩১ আগস্ট) ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তিনি লিখেছেন, বাংলাদেশে এই চর্চাটা নতুন। টেলিকম সেবার মান নিশ্চিত করতে কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) নীতিমালা একটা আন্তর্জাতিক চর্চা। এতে ড্রাইভ টেস্ট মানদণ্ডে অপারেটরদের ফোরজি সেবার সর্বনিম্ন গতি ১০ এমবিপিএস থাকতে হবে। কমানো হয়েছে কলড্রপের সর্বনিম্ন হার। এ ছাড়া বাড়ানো হয়েছে সেবার বিভিন্ন মানদণ্ড সূচক। এসব মানদণ্ডে অপারেটরদের বাধ্যতামূলকভাবে মাসিক প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
তার মতে, আগের কোয়ালিটি অব সার্ভিস বেঞ্চমার্ক খুব বাজে ছিল, যা সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত করা হয়েছে। শিগগির হালনাগাদ এ নির্দেশিকা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ফোরজিতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ করেনি। ফলে সেবার মান নিম্নমুখী। এর উত্তরণে নতুন লাইসেন্স পলিসিতেও ‘লাইসেন্স অব্লিগেশন’ এবং কোয়ালিটি অব সার্ভিসের কথা বলা হয়েছে। এই কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) বেঞ্চমার্ক টেলিযোগাযোগ খাতে নাগরিকদের মানসম্মত সেবা নিশ্চিতে সেবাদাতাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে সেবার মানোন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: স্টারলিংকের ইন্টারনেট নিয়ে আপনার যা জানা প্রয়োজন
সংশোধিত কিউওএসে কী আছে, তা উল্লেখ করে ফয়েজ আহমদ লিখেছেন, নেটওয়ার্ক পর্যায়ে কল সেটআপ সাকসেস রেটের হার অন্তত ৯৯ শতাংশ হতে হবে, আর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তা ৯৮ শতাংশ।
- কলড্রপের হার টুজি নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ এবং উপজেলা পর্যায়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ -এর মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।
- ডেটা সেবায় ফোরজি সংযোগ সফলতার হার ৯৯ শতাংশ এবং জেলা পর্যায়ে ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ থাকতে হবে।
- গড় ব্যবহারকারী ডাউনলোড গতি নেটওয়ার্ক পর্যায়ে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৫ এমবিপিএস এবং জেলা পর্যায়ে ২ দশমিক ৫ এমবিপিএস হতে হবে।
- ড্রাইভ টেস্টে ভয়েস সেবায় কল সেটআপ সাফল্যের হার ৯৮ শতাংশ বা তার বেশি, কলড্রপ (অটোমোড) ২ শতাংশের মধ্যে এবং ভোল্টির (ভয়েস ওভার এলটিই প্রযুক্তি) জন্য গড় ব্যবহারকারী মান সূচক ন্যূনতম ৩.৫ হতে হবে।
- ডেটা সেবায় ডাউনলোড স্পিড সর্বনিম্ন ১০ এমবিপিএস এবং আপলোড ২ এমবিপিএস নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেবার মান তদারকিতে মাসিক রিপোর্টিং
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী অপারেটরদের এখন থেকে প্রতি মাসে তাদের নেটওয়ার্কের মানসংক্রান্ত মূল সূচক (কেপিআই) জমা দিতে হবে। এসব সূচক মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে—অ্যাক্সেসিবিলিটি, রিটেইনেবিলিটি ও নেটওয়ার্ক ইনটিগ্রিটি।
১. অ্যাক্সেসিবিলিটি (নেটওয়ার্কে প্রবেশ ও কল সেটআপ)
এই সূচকগুলোর মাধ্যমে বোঝা যাবে গ্রাহকেরা কতটা সফলভাবে নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারছেন এবং কল সেটআপ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কল সেটআপ সাকসেস রেট (টুজি ও ফোরজি-ভোল্টি), পেজিং সাকসেস রেট, আর ইআরএবি সেটআপ সাকসেস রেট। এ ছাড়া, যেখানে এই হার ৯০ শতাংশ বা ৭০ শতাংশের নিচে নেমে আসে, সেই সব খারাপ সেল আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে।
২. রিটেইনেবিলিটি (সংযোগ ধরে রাখার সক্ষমতা)
এই সূচকগুলোতে দেখা হবে কল বা ডেটা সেশন শুরু হওয়ার পর তা কতটা স্থিতিশীল থাকে। এর মধ্যে রয়েছে কলড্রপ রেট (২জি ও ৪ জি), ভোল্টি অস্বাভাবিক বিচ্ছিন্নতার হার, এলটিই নন-রিটেইনেবিলিটি, এসআরভিসিসি সাকসেস রেট এবং হ্যান্ডওভার সাকসেস রেট।
৩. নেটওয়ার্ক ইনটিগ্রিটি (নেটওয়ার্কের সার্বিক দক্ষতা-ক্ষমতা)
এখানে নেটওয়ার্ক অবকাঠামো কতটা কার্যকরভাবে কাজ করছে, তা দেখা হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতি বেস স্টেশনে এলটিই পিআরবি (ফোরজি রেডিও নেটওয়ার্ক রিসোর্স) ব্যবহার হার, ব্যবহারকারীর আপলিঙ্ক থ্রুপুট (এমবিপিএস) এবং সিকিউআই/আরএসআরকিউ মান অনুযায়ী ‘খারাপ স্যাম্পল’-এর শতকরা হার।
বিটিআরসি সব সূচকের ফলাফল মাসভিত্তিক গড় করে নেটওয়ার্ক, জেলা ও উপজেলা স্তরে আলাদা আলাদাভাবে জমা নেবে। পাশাপাশি, সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম করা ৫০টি সেলের আলাদা তালিকা জমা দিতে হবে, যেখানে অ্যাক্সেসিবিলিটি ও রিটেইনেবিলিটি সূচক দুর্বল।
আরও পড়ুন: জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে
বিশেষ সহকারীর মতে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে অপারেটরদের সেবার মান নিয়ে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে দুর্বল এলাকাগুলো দ্রুত চিহ্নিত করে সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে। বাধ্যতামূলক মাসিক রিপোর্টিংয়ের ফলে অপারেটরদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হবে সেবার মান বজায় রাখতে, বিশেষ করে গ্রামীণ ও শহরতলির এলাকায় যেখানে এখনো দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ঘনঘন কল ড্রপ নিয়ে অভিযোগ বেশি।
সংশোধিত এই কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) ফিক্সড ইন্টারনেট ও টেলিফোনি এবং এনটিটিএনদের জন্য করা হয়েছে। ফিক্সড ইন্টারনেট ও টেলিফোনিতে ফিক্সড টেলিফোন সেবায় কলড্রপ ১ শতাংশের মধ্যে, কল সেটআপ সাফল্যের হার ৯৯ শতাংশের বেশি এবং কল সংযোগ সময়) ৬ সেকেন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।
এখানে ইন্টারনেট সেবায় লোকাল ট্র্যাফিকের সংযোগ সময় সর্বোচ্চ ২৫ এমএস, ডেটা হারানোর হার ১ শতাংশের মধ্যে এবং নেটওয়ার্কের প্রাপ্যতা ৯৯ শতাংশ বা তার বেশি হতে হবে। গ্রাহকের প্রান্তে ডাউনলোড-আপলোড স্পিড সাবস্ক্রাইব করা গতির অন্তত ৯৫ শতাংশ নিশ্চিত করতে হবে।
এনটিটিএন অপারেটরদের ক্ষেত্রে ডেটা হারানো সর্বোচ্চ ০.০১ শতাংশ, ল্যাটেন্সি ৫ এমএস এবং সংযোগের জিটার ৩ এমএসের মধ্যে রাখতে হবে। ফাইবার নেটওয়ার্কে সেবার সমস্যা মেট্রো (মহানগর) এলাকায় ৪ ঘণ্টা এবং গ্রামীণ এলাকায় ৬ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান করতে হবে।
ফয়েজ আহমদ জানান, কিইওএস অনুযায়ী গ্রাহক অভিযোগ সমাধানে কঠোর মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে বিটিআরসি। নেটওয়ার্ক-সম্পর্কিত নয় এমন অভিযোগ ২৮ দিনের মধ্যে শতভাগ সমাধান করতে হবে। এ ছাড়া গ্রাহকসেবা সেন্টারে আসা ৯০ শতাংশ কল ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে এবং সব কল ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে রিসিভ করতে হবে।
৯৫ দিন আগে
সেমিকন্ডাক্টর খাত দেশে কর্মসংস্থানের বড় উৎসে পরিণত হচ্ছে: বিএসআইএ সভাপতি
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে প্রতি বছর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যে বিপুলসংখ্যক স্নাতক বের হচ্ছেন, তাদের জন্য সেমিকন্ডাক্টর শিল্প ক্রমেই একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসংস্থানের উৎসে পরিণত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসআইএ) সভাপতি এমএ জব্বার।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেষ্ঠ সহ-সভাপতি এমই চৌধুরী শামীম, পরিচালক কামরুল আহসান দেওয়ানজি, মুনির আহমেদ ও আশিকুর রহমান তানিম এবং জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এনায়েতুর রহমান।
বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসআইএ জানিয়েছে, বৈঠকে সংগঠনটির সভাপতি সম্ভাবনাময় এ খাতের বর্তমান অবস্থা, নানা চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল স্টারলিংক
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর খাতের পরিধি দাঁড়াবে ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার এবং তখন বিশ্বজুড়ে ১০ লাখ দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন সংগঠনটির নেতাদের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং খাতটির দৃশ্যমান উন্নয়ন ও তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি বাস্তবসম্মত ও সার্বিক পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রতি উৎসাহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সরকারের পূর্ণাঙ্গ নীতিগত সহায়তার আশ্বাসও দেন।
৯৯ দিন আগে
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল স্টারলিংক
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব এ ঘোষণা দেন।
এ সময় স্টারলিংকের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল। তাদের নেতৃত্ব দেন কোম্পানির বিজনেস অপারেশনসের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার এবং আন্তর্জাতিক কৌশল ও সরকারি সম্পর্কবিষয়ক পরিচালক রিচার্ড গ্রিফিথস।
ফয়েজ আহমদ তৈয়ব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরাসরি দিকনির্দেশনা ও উদ্যোগে বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা শুরু হয়েছে। এটি শুধু প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নয়, বরং দেশের ডিজিটাল অবকাঠামো জোরদারে যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
পড়ুন: অনলাইন: ১৬০০ কোটি ব্যবহারকারীর লগইন তথ্য ফাঁস
তিন মাসের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে স্টারলিংকের সেবা শুরু হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে কোম্পানিটি ১০ বছরের জন্য ‘স্যাটেলাইট অপারেটর লাইসেন্স’ এবং ‘রেডিও কমিউনিকেশন অপারেটর লাইসেন্স’ পেয়েছে।
স্থাপন খরচ ও সেবা প্যাকেজ
স্টারলিংক সেবা গ্রহণে গ্রাহকদের ৪২ হাজার টাকা মূল্যের একটি সেটআপ যন্ত্রাংশ কিনতে হবে। এতে স্যাটেলাইট রিসিভার ডিশ, রাউটার, পাওয়ার সাপ্লাইসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ থাকবে।
প্রাথমিকভাবে দুটি প্যাকেজ চালু করেছে স্টারলিংক:
স্টারলিংক রেসিডেনশিয়াল: ৬ হাজার টাকা মাসিক ফিতে ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত আনলিমিটেড ইন্টারনেট।
স্টারলিংক লাইট: ৪ হাজার ২০০ টাকা মাসিক ফিতে তুলনামূলক কম খরচে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা।
১৩৯ দিন আগে
আজ যেভাবে পাবেন ‘ফ্রি ইন্টারনেট’
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) ‘ফ্রি ইন্টারনেট ডে’ পালন করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এ উপলক্ষে দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহককে ৫ দিন মেয়াদি ১ জিবি ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
তিনি জানান, ৩ জুলাই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা এবং ৮ জুলাই বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ৯ জুলাই মোবাইল অপারেটরদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশনায় বলা হয়, ১৮ জুলাই তারিখে দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহককে একবারের জন্য ৫ দিন মেয়াদি ১ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি দিতে হবে।
যেভাবে পাবেন ফ্রি ইন্টারনেট
বিটিআরসি জানিয়েছে, ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিতে গ্রাহকদের নিজ নিজ অপারেটরের নির্ধারিত কোড ডায়াল করতে হবে।
• গ্রামীণফোন: *121*1807#
• রবি: *4*1807#
• বাংলালিংক: *121*1807#
• টেলিটক: *111*1807#
এই কোড ডায়াল করলেই গ্রাহকরা নির্ধারিত ফ্রি ডেটা সংগ্রহ করতে পারবেন।
১৩৯ দিন আগে
১৮ জুলাই ফ্রি ইন্টারনেট ডে: কীভাবে পাবেন ৫ দিন মেয়াদি ১ জিবি ডেটা
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) ‘ফ্রি ইন্টারনেট ডে’ পালন করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এ উপলক্ষে দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহককে ৫ দিন মেয়াদি ১ জিবি ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
তিনি জানান, ৩ জুলাই ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা এবং ৮ জুলাই বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ৯ জুলাই মোবাইল অপারেটরদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন বাজেটে খরচ কমবে মোবাইল-ইন্টারনেটে
এই নির্দেশনায় বলা হয়, ১৮ জুলাই তারিখে দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহককে একবারের জন্য ৫ দিন মেয়াদি ১ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি দিতে হবে।
যেভাবে পাবেন ফ্রি ইন্টারনেট
বিটিআরসি জানিয়েছে, ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা নিতে গ্রাহকদের নিজ নিজ অপারেটরের নির্ধারিত কোড ডায়াল করতে হবে।
• গ্রামীণফোন: *121*1807#
• রবি: *4*1807#
• বাংলালিংক: *121*1807#
• টেলিটক: *111*1807#
এই কোড ডায়াল করলেই গ্রাহকরা নির্ধারিত ফ্রি ডেটা সংগ্রহ করতে পারবেন।
১৪০ দিন আগে
অনলাইন: ১৬০০ কোটি ব্যবহারকারীর লগইন তথ্য ফাঁস
অনলাইনে এক হাজার ৬০০ কোটি ব্যবহারকারীর লগইন তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছে সাইবারনিউজ নামের একটি গবেষণা সংস্থা।
সেগুলো বিভিন্ন ডেটাসেটে একত্রিত হয়েছে। এতে সাইবার অপরাধীরা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টে সহজেই প্রবেশ করতে পারছে।
চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সাইবারনিউজ জানায়, গবেষকরা ৩০টি আলাদা ডেটাসেট শনাক্ত করেছেন, যাতে মোট এক হাজার ৬০০ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হওয়া তথ্য রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গুগল, ফেসবুক, অ্যাপলসহ জনপ্রিয় অনেক প্ল্যাটফর্মের পাসওয়ার্ড।
এক হাজার ৬০০ কোটি ব্যবহারকারী সংখ্যাটি পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে যে, ব্যবহারকারীদের কয়েকটি অ্যাকাউন্টের তথ্য একাধিকবার ফাঁস হয়েছে।
সাইবারনিউজ বলছে, ‘এতে অনেক ডুপ্লিকেট ডেটা রয়েছে এবং তাই আসলে কতজন মানুষের তথ্য ফাঁস হয়েছে; তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়।’
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—এই ফাঁস কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপর হওয়া সাইবার আক্রমণের ফল নয়; বরং অনেক সময় ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি করা তথ্য একসাথে করে কিছু সময়ের জন্য অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। তখনই সেগুলো খুঁজে পান সাইবারনিউজের গবেষকরা।
আরও পড়ুন: মাথা-ঘাড়ের ক্যানসারে দ্বিগুণ কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার
সন্দেহের তীর ইনফোস্টিলার ম্যালওয়ারের দিকে
এই ধরনের ফাঁসের পেছনে সবচেয়ে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে গবেষকরা ‘ইনফোস্টিলার’ নামক ম্যালওয়্যারকে দায়ী করেছেন। এটি এমন এক ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার, যা ব্যবহারকারীর ডিভাইসে ঢুকে সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে।
তবে এই ফাঁস হওয়া তথ্য কারা ব্যবহার করছে বা কোথায় ব্যবহার হচ্ছে তা এখনো জানা যায়নি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান বিশ্বে সাইবার হামলা ক্রমেই বাড়ার কারণে ‘সাইবার হাইজিন’ বা সাইবার নিরাপত্তা চর্চা বজায় রাখাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন।
করণীয় কী?
তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে আশঙ্কা থাকলে যা যা পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে— পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ও একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন সাইটে ব্যবহার না করা; পাসওয়ার্ড ম্যানেজার বা পাসকি ব্যবহার করা, যাতে নিরাপদভাবে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করা যায়; দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা (টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন) চালু করা। এটি মোবাইলফোন, ইমেইল বা ইউএসবি-কী এর মাধ্যমে আরও একটি নিরাপত্তার স্তর যোগ করে।
১৬৬ দিন আগে
বিভিন্ন উৎসবে ড্রোন শোয়ের জনপ্রিয়তা বাড়ছে যে কারণে
২০২৪ সালের নববর্ষের রাতে নিউইয়র্কে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আন্ডারউড দম্পতি। তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার শেষে ছিল একটি চমক। এক-দেড় শ ড্রোন রাতের আকাশে উড়িয়ে বিভিন্ন রঙের আলোকচ্ছটায় বর-কনের ছবি ফুটে ওঠে।
মিস্টার আন্ডারউড বেসবলের ভক্ত হওয়ায় ড্রোন দিয়ে একজন বেসবল খেলোয়াড়ের বল মারার দৃশ্যও চিত্রণ করা হয়। তাছাড়া, একটি হীরার আংটি একটি আঙুলে পরানো হচ্ছে, এমন দৃশ্যও দেখানো হয় ড্রোনে।
বিবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেদের বিয়ের রাতের ড্রোন প্রদর্শনীর দৃশ্য এভাবে বর্ণনা করছিলেন আন্ডারউড-পত্নী।
তবে এরকম প্রদর্শনী এখন আর নতুন নয়। বিয়েসহ বিভিন্ন উৎসবে হরহামেশাই দেখা যায় ড্রোনের কীর্তি।
প্রযুক্তির উন্নতির ধারায় সবশেষ সংযোজনগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ড্রোন প্রদর্শনী। একসময় যা ছিল বিরল, এখন তা জন্মদিন, বিয়ে থেকে শুরু করে বড় বড় ক্রীড়া অনুষ্ঠানে পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। এমনকি কিছু থিম পার্কে নিয়মিতভাবে প্রতিদিন ড্রোন প্রদর্শনী হয়।
ইউরোপ-আমেরিকা জয় করে ভারতীয় উপমহাদেশেও তা ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই তো সেদিন, পয়লা বৈশাখের সন্ধ্যায় ঢাকাতেও দেখা মিলল অভিনব এক ড্রোন প্রদর্শনীর। সেদিন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার আকাশে জুলাই অভ্যুত্থানের থিমে ফুটিয়ে তোলা হয় নানা দৃশ্য। সেই সঙ্গে ছিল আরও কত কী!
আরও পড়ুন: মাথা-ঘাড়ের ক্যানসারে দ্বিগুণ কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার
২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যের গ্লাস্টনবারি মিউজিক ফেস্টিভ্যালে প্রথম ড্রোন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত অক্টোবরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ড্রোন প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় চীনে। এতে অংশ নেয় মোট ১০ হাজার ২০০টি ড্রোন, যা আগের মাসেই গড়া একটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল।
‘দ্য ড্রোন গার্ল’ নামে পরিচিত ড্রোন পাইলট ও সাংবাদিক স্যালি ফ্রেঞ্চ বলেন, ‘ড্রোন প্রদর্শনী অসাধারণ শিল্পকর্ম। বর্তমানে বেসবল খেলা, করপোরেট সম্মেলন এমনকি সমুদ্রবন্দরে নতুন ক্রুজ লঞ্চ উদ্বোধনের মতো অনুষ্ঠানেও ড্রোন প্রদর্শনী হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে এটি আরও উন্নত হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছু প্রদর্শনীতে হাজার হাজার ড্রোন থাকে যা দিয়ে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে চিত্র বা অ্যানিমেশন তৈরি করা সম্ভব। আমি একবার একটি স্টার ওয়ার্স থিমের ড্রোন শো দেখেছিলাম, যেখানে পুরো একটি যুদ্ধ দেখানো হয়েছিল।’
স্যালির মতে, ড্রোন প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা হতে পারে খরচ। যুক্তরাজ্যে প্রতিটি ড্রোনের জন্য প্রায় ৩০০ ডলার (প্রায় ২২০ পাউন্ড), বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৬ হাজার টাকার বেশি খরচ হয় বলে জানান তিনি।
লাটভিয়াভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসপিএইচ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ৫০০টি ড্রোনের একটি প্রদর্শনীর খরচ দাঁড়ায় ১ লাখ ৫০ হাজার ডলারের বেশি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দুই কোটি টাকা।
১৭৭ দিন আগে