শিল্প-সংস্কৃতি
অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে ১৭ ডিসেম্বর
অমর একুশে বইমেলা ২০২৬ এবার আয়োজন হতে যাচ্ছে ভিন্ন আঙ্গিকে। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকে অমর একুশে বইমেলা শুরু হলেও এবার ডিসেম্বরের মধ্যভাগে এই মেলা শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলা একাডেমি বলেছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা ২০২৬-এর তারিখ নির্ধারণসংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পবিত্র রমজানের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, একাডেমির সচিব ও পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এ মেলায় প্রকাশিত হয় বিপুলসংখ্যক নতুন বই। মাঝখানে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে একাধিকবার মেলা মার্চ-এপ্রিল মাসেও অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
৭৭ দিন আগে
জন্মাষ্টমীর ইতিহাস ও তাৎপর্য
শুভ জন্মাষ্টমী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ অষ্টমী তিথিতে মথুরায় কংসের কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই পুণ্য তিথির স্মরণে পালন হয় জন্মাষ্টমী।
সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, যখনই পৃথিবীতে অধর্ম বেড়ে গিয়ে ধার্মিক ও সাধারণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, তখনই দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে ধর্মের রক্ষার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অবতাররূপে ধরায় নেমে আসেন।
দিনটিতে শ্রীকৃষ্ণের পূজাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মকাহিনী সম্পর্কে জানা যায়, দ্বাপর যুগে অত্যাচারী রাজা কংসের নৃশংসতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল মথুরাবাসী (ভারতের)। কংসের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা শুরু করে তারা। ভক্তের ডাকে সাড়া দেন ভগবান।
একদিন আদরের ছোট বোন দেবকী ও তার স্বামী বসুদেবকে নিয়ে রথে চড়ে যাচ্ছিলেন রাজা কংস। এমন সময় দৈববাণী হলো, ‘বোন দেবকীর অষ্টম সন্তানই হবে তোর মৃত্যুর কারণ।’
দৈববাণী শুনে সঙ্গে সঙ্গে বোনকে হত্যা করতে উদ্যত হলেন রাজা কংস, তবে বসুদেব তাকে এই বলে নিবৃত্ত করলেন, ‘আমাদের দুজনকে কারাগারে আটকে রাখুন। আমাদের সন্তান হলে আপনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। জন্মের পরই আপনি তাদের হত্যা করে নিজের প্রাণ সংশয় কাটাবেন।’
বসুদেবের যুক্তি কংসের মনঃপুত হলো। তিনি তাদের কারাবন্দি করলেন। তারপর থেকে একে একে ছয়টি সন্তান কংসের হাতে তুলে দেন দেবকি ও বসুদেব, তবে সপ্তম সন্তান হাতে নেওয়ার পরই সে হাসতে হাসতে শূন্যে ভেসে যায়। যাওয়ার সময় সে কংসকে ‘তার মৃত্যু অবধারিত’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে যায়।
পরে ভাদ্র মাসের শুক্লা পক্ষের অষ্টমী তিথির রাতে অষ্টম সন্তানের জন্ম দেন দেবকি। সে রাত ছিল ঝড়-ঝঞ্চাপূর্ণ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে কারাগারের ফটকে কোনো রক্ষী সে সময় পাহারায় ছিল না।
এমন সময় এক দৈববাণীতে সদ্যোজাত ছেলেসন্তানকে নিরাপদে গোকুলে নন্দ-যশোদা দম্পতির কাছে রেখে আসতে বলা হয়। এ সময় কারাগারের দরজাও খুলে যায়। ফলে বসুদেব ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছেলেকে নিয়ে গোকুলে যশোদার পাশে রেখে আসেন। আর সঙ্গে নিয়ে আসেন যশোদার সদ্যোজাত মেয়েকে।
পরে গোকুলেই বড় হতে থাকেন শ্রীকৃষ্ণ। পরবর্তী সময়ে দ্বারকার রাজা হয়ে তিনি যুদ্ধে মথুরারাজ কংসকে পরাজিত ও হত্যা করেন।
সেই থেকে শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ভাদ্র মাসের শুক্লা অষ্টমীতে জন্মাষ্টমী পালন করে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তারা বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন সত্য, সুন্দর ও পবিত্রতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়, তখনই ধর্ম সংস্থাপনের জন্য ভক্তের প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে ঈশ্বর অবতার রূপে পৃথিবীতে আসেন। ষড়গুণ অর্থাৎ শৌর্য, বীর্য, তেজ, জ্ঞান, শ্রী ও বৈরাগ্যসম্পন্ন পূর্ণাবতাররূপে প্রকাশিত হন কৃষ্ণ।
অনন্ত সর্বশক্তিমান সত্তায় শাশ্বত সত্যরূপে শ্রীকৃষ্ণকে বিষ্ণুর সবচেয়ে অপরূপ অবতার বলে মনে করা হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের আরাধনায় জগতের সব সুখ লাভ হয়; মঙ্গল হয় পরিবার, দেশ ও সমাজের। তাই তো শুধু মথুরা নয়, শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র বৃন্দাবন থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই তিথিটি ভক্তিভরে পালন করে থাকেন।
তাদের বিশ্বাস, এই দিনটিতে ব্রত পালন করলে মনের ময়লা দূর হয়; সৎগুণের জয় হয় এবং এর ফলস্বরূপ মৃত্যুর পর জীবাত্মার মুক্তি হয়।
শ্রীমদ্ভগবতগীতায় বলা হয়, ‘যে যেভাবে আমায় আরাধনা করে, আমি সেইভাবে তাকে কৃপা করি।’ এ বিশ্বাসেই মহাকাল ও মহাজগৎ ব্যাপ্ত শ্রীকৃষ্ণের আরাধনায় মত্ত বিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। অভ্যুত্থানম ধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্। পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুস্কৃতাম্। ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।’
অর্থাৎ, ধর্মের গ্লানি ও অধর্মের বৃদ্ধির তাৎপর্য হলো ভগবতপ্রেমী, ধর্মাত্মা, সদাচারী, নিরপরাধ মানুষের ওপর নাস্তিক, পাপী, দুরাচার, বলবান ব্যক্তিদের অত্যাচার বৃদ্ধি পাওয়া। মানুষের মধ্যে সদগুণ, সদাচার অত্যন্ত কমে গিয়ে দুর্গুণ-দুরাচার অত্যধিক বৃদ্ধি পায়। আর যখনই এমন পাপাচার শুরু হয় পৃথিবীতে, তখনই শ্রীকৃষ্ণ দুষ্কৃতকারীদের বিনাশ, সাধুর রক্ষা, ধর্ম সংস্থাপনে অবতাররূপে পৃথিবীতে আসেন।
নিজের জন্ম নিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ‘আমার জন্ম-মৃত্যু সাধারণ মানুষের মতো নয়। মানুষ জন্মগ্রহণ করে এবং মারা যায়, কিন্তু আমি জন্মরহিত হয়েও আবির্ভূত হই এবং অবিনশ্বর হয়েও অন্তর্ধান করে থাকি। আবির্ভূত হওয়া এবং অন্তর্হিত হওয়া—দুটিই আমার অলৌকিক লীলা।’
গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন, ‘আমি জন্মহীন, অব্যয় আত্মা, ভূতগণের ঈশ্বর হয়েও নিজ প্রতীকে আশ্রয় করে আত্মমায়ায় জন্মগ্রহণ করি।’
যিনি সর্বাপেক্ষা বৃহৎ, তিনিই ভগবান। বেদে তার পরিচয় ব্রহ্ম। আমাদের ষড় ইন্দ্রীয়, আমাদের ক্ষুদ্র মন, আমাদের সংকীর্ণ বুদ্ধি এসবের বহু ঊর্ধ্বে তিনি। তাকে পাওয়া আমাদের সাধ্যের বাইরে, তবে তাকে পাওয়ার জন্য ভক্তের নিরন্তর আকুলতা সৃষ্টিকর্তার মনেও দোলা না দিয়ে পারে না। এ সমস্যার সমাধান করলেন তিনি নিজেই নিত্য ও অনুগ্রহ শক্তির প্রেরণায়।
গীতার ৭/১০ অধ্যায়ে অর্জুনকে শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ‘হে পার্থ, আমাকে সর্বভূতের সনাতন বীজ বলিয়া জানিও। আমি বুদ্ধিমানদিগের বুদ্ধি এবং তেজস্বীগণের তেজস্বরূপ।’
৪/১১ অধ্যায়ে শ্রীকৃষ্ণ বলেন, ‘যে যেভাবে আমায় আরাধনা করে, আমি সেইভাবে তাহাকে কৃপা করি।’
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ও ইসকনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাণী দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সরকারি ছুটি। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৮টায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ ও বিকেল ৩টায় ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী মিছিল ও রাতে শ্রীকৃষ্ণ পূজা।
বিকেল ৩টায় পলাশীর মোড়ে ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় জন্মাষ্টমী মিছিলের উদ্বোধন হবে। এই ঐতিহাসিক মিছিল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এছাড়াও নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. মঈন খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এই ঐতিহাসিক মিছিল প্রতি বছরের মতোই জগন্নাথ হল, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মোড়, বঙ্গবাজার, গোলাপশাহ মাজার হয়ে পুরনো ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে।
পবিত্র জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান ১৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আয়োজিত হবে আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন মজুমদার। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এ উপলক্ষে চার দিনব্যাপী (১৪ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত) ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ, ভজন কীর্তন, ভোগ আরতি, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় নাটক কীর্তন মেলা।
১১১ দিন আগে
কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী আজ
দেশে-বিদেশে খ্যাতি ছড়ানো কিংবদন্তি চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট তিনি নড়াইলের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর নানা আয়োজনে শিল্পীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, প্রদর্শনী, বই প্রকাশনা ও গবেষণা উদ্যোগ।
শনিবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব আয়োজনের কথা জানান এস এম সুলতান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘দ্য লেগেসি অব আর্টিস্ট সুলতান: ইমাজিনেশন, বিউটি অ্যান্ড দ্য পলিটিক্স অব আপলিফটিং দ্য কমন ম্যান’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত আলোকচিত্রী ও কমিটির সদস্যসচিব নাসির আলী মামুন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, গত বছর জুলাইয়ের উত্তাল পরিস্থিতির কারণে শিল্পীর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা যায়নি। তাই এ বছর দুই বছরের উদযাপন একসঙ্গে করা হচ্ছে।
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরেণ্য শিল্পীর জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। বৈচিত্র্যময় আয়োজনের মধ্যে রয়েছে— চিত্রকলা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা এবং এস এম সুলতান স্মারক বক্তৃতা। তাছাড়া শিল্পীর জীবন, কর্ম ও দর্শন নিয়ে বইও প্রকাশ করা হবে।
১১৬ দিন আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঢাবিতে কনসার্ট ও ড্রোন শো
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে স্মরণীয় করে রাখতে আগামী সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট ও ড্রোন শো প্রদর্শিত হবে।
ওই দিন রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু চত্বরের উপরে প্রদর্শিত হবে ড্রোন শো ‘জুলাই বিষাদসিন্ধু’।
শনিবার (১২ জুলাই) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দিনটি উপলক্ষে আয়োজিত উইমেন ডে কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করবেন শিল্পী সায়ান, এলিটা করিম, পারসা এবং ব্যান্ড এফ মাইনর ও ইলা লালা।
১৪৫ দিন আগে
বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের জন্মদিন আজ
অসংখ্য জনপ্রিয় বাউল গান ও গণসংগীতের রচয়িতা বাউল শাহ আব্দুল করিমের জন্মদিন আজ। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার ধল-আশ্রম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ইব্রাহিম আলী ও মা নাইওরজান।
দারিদ্র ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া বাউল শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু ছেলেবেলা থেকেই। শৈশব থেকেই একতারা ছিল তার নিত্যসঙ্গী। জীবন কেটেছে সাদাসিধে ভাবে। বাউল ও আধ্যাত্মিক গানের তালিম নেন— কমর উদ্দিন, সাধক রসিদ উদ্দিন, শাহ ইব্রাহিম মোস্তান বকসের কাছ থেকে। কিংবদন্তিতুল্য এই বাউল স্বশরীরে আমাদের মাঝে না থাকলেও তার গান ও সুরধারা কোটি কোটি তরুণসহ সকল স্তরের মানুষের মন ছুঁয়ে যায়।
কিংবদন্তিতুল্য এই শিল্পী ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে মারা যান। মৃত্যুর পর সর্বস্তরের বিশেষ করে সাধারণের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাউল শাহ আব্দুল করিম
শাহ আবদুল করিম বাংলার লোকজ সঙ্গীতের ধারাকে অশ্বস্থ করেছেন অনায়াসে। ভাটি অঞ্চলের সুখদুঃখ তুলে এনেছেন গানে। নারী-পুরুষের মনের কথা ছোট ছোট বাক্যে প্রকাশ করেছেন আকর্ষণীয় সুরে। ভাটি অঞ্চলের মানুষের জীবনের সুখ প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তার গান কথা বলে সকল অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে।
তিনি তার গানের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহের দর্শন থেকে। জীবিকা নির্বাহ করেছেন কৃষিকাজ করে। কিন্তু কোনো কিছু তাকে গান সৃষ্টি করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। অসংখ্য গণজাগরণের গানের রচয়িতা বাউল শাহ আব্দুল করিম অত্যন্ত সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন।
গানে-গানে অর্ধ শতাব্দীরও বেশী সময় লড়াই করেছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। এজন্য মৌলবাদীদের নানা লাঞ্চনারও শিকার হয়েছিলেন তিনি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, কাগমারী সম্মেলন, ভাষার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে মানুষকে প্রেরণা যোগায় শাহ আবদুল করিমের গান।
শাহ আবদুল করিম লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন ১৬শর বেশি গান। যেগুলো সাতটি বইয়ে গ্রন্থিত আছে। বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে তার ১০টি গান ইংরেজীতে অনূদিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণিল আয়োজনে ঢাবিতে বসন্ত বরণ
কিশোর বয়স থেকে গান লিখলেও কয়েক বছর আগেও এসব গান শুধুমাত্র ভাটি অঞ্চলের মানুষের কাছেই জনপ্রিয় ছিল। তার মৃত্যুর কয়েক বছর আগে বেশ কয়েকজন শিল্পী বাউল শাহ আব্দুল করিমের গানগুলো নতুন করে গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করলে তিনি দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন। পেয়েছেন একুশে পদক।
শাকুর মজিদ তাকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন ভাটির পুরুষ নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র। এখনও সুবচন নাট্য সংসদ করিমকে নিয়ে শাকুর মজিদের লেখা ‘মহাজনের নাও’ নাটকের প্রদর্শনী করে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এছাড়াও ২০১৭ শাহ আবদুল করিমের জীবনভিত্তিক প্রথম উপন্যাস লিখেন সাইমন জাকারিয়া। নাম কূলহারা কলঙ্কিনী।
বাউল সম্রাট আব্দুল করিমের গানের মধ্যে দিয়ে তাকে খুঁজতে প্রতিদিন ভক্ত ও স্বজনরা গানের আসর বসান। তার গান গেয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা আর গানের মধ্যে তাকে বাঁচিয়ে রাখতেই সবার মাঝে তার গান ছড়িয়ে দিতে চান ভক্ত আশেকানরা। একইসঙ্গে তার সুরধারাকে বিকৃতভাবে না গাওয়ার দাবিও তুলেছেন বাউলরা।
বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে/আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গাড়ি চলে না/আমি কূলহারা কলঙ্কিনী/কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া কোন মেস্তরি নাও বানাইছে/কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু/বসন্ত বাতাসে সইগো/আইলায় না আইলায় নারে বন্ধু/মহাজনে বানাইয়াছে ময়ুরপংখী নাও/আমি বাংলা মায়ের ছেলেসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা শাহ আব্দুল করিম না থাকলেও গানে আর সুরে তিনি আমাদের মাঝে রয়েছেন, অনন্তকাল থাকবেন।
একটি সাক্ষাৎকারে শাহ আবদুল করিম গাড়ি চলে না গানটি প্রসঙ্গে বলেছিলেন, বন্ধুর বাড়ি এ আত্মায়। গাড়িতে চড়ে আত্মশুদ্ধির সন্ধানে ছুটি। কিন্তু পাই না। রিপু থামিয়ে দেয়। একদিন হয়তো এই গাড়ি পুরোদমে থেমে যাবে। প্রকৃত মালিকের কাছে ধরা দেবে। এই করিমকে তখন মানুষ খুঁজে পাবে শুধুই গানে আর সুরে।
২৯২ দিন আগে
বর্ণিল আয়োজনে ঢাবিতে বসন্ত বরণ
অন্যান্য দিনের মতো সকাল হলেও আজকের সকালটি অনন্য। শীতের জড়তা শেষে আজ বসন্তের প্রথম দিন। তার ওপর পয়লা ফাল্গুনে ভালোবাসা দিবস হওয়ায় দিনটি নানাভাবে উদযাপন করছে দেশের মানুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’। ফাগুনের প্রথম দিন সকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চলে এই আয়োজন।
জুলাই অভ্যুত্থান আমার দ্রোহ-ভালোবাসার গানের ব্যানারে ঢাবির কলাভবনে সমগীত আয়োজিত ‘সমগীত বসন্ত উৎসব ১৪৩১’ দিয়ে শুরু হয় বসন্তের গান ও নৃত্য পরিবেশন। এ সময় লোকগীতির পাশাপাশি, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সংগীতও পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
শুরুতে পাঠশালার নৃত্যশিল্পীরা নাচ পরিবেশন করেন। একই সঙ্গে পাহাড়ি ও চা বাগানের থিমের সুর থেকে নেওয়া গানে অংশ নেন সমগীতের শিল্পীরা।
উপস্থিত দর্শনার্থীরা ইউএনবিকে বলেন, সকালে উঠেই এখানে চলে এসেছি বসন্ত উৎসব দেখতে। এরপর বইমেলায় যাব। বসন্তের প্রথম দিনটি সারা দিন উপভোগ করব।
উৎসবে আসা একজন বলেন, ‘বসন্ত আমাদের প্রাণের উৎসব। একই দিনে ফাগুনের প্রথম দিন ও ভালোবাসা দিবস হওয়ায় দিনটি আরও বেশি উপভোগ করছি।’
২৯৩ দিন আগে
নারী ফুটবল দলসহ একুশে পদক-২০২৫ পাচ্ছেন ১৪ বিশিষ্ট ব্যক্তি
খেলাধুলা ক্যাটাগরিতে নারী ফুটবল দলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এবার ১৪ বিশিষ্ট নাগরিককে ‘একুশে পদক-২০২৫’র জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এই তালিকায় রয়েছেন— শিল্পকলা(চলচ্চিত্র) ক্যাটাগরিতে আজিজুর রহমান (মরনোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) ফেরদৌস আরা, শিল্পকলায় (আলোকচিত্র) নাসির আলী মামুন, শিল্পকলায়(চিত্রকলা) রোকেয়া সুলতানা, সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লা(মরনোত্তর), সাংবাদিকতা ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহীদুল আলম, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহেদী হাসান খান, সমাজ সেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর), ভাষা ও সাহিত্যে হেলাল হাফিজ(মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির(মো.শহীদুল হক) (মরণোত্তর) এবং গবেষণায় মঈদুল হাসান।
এছাড়া খেলাধুলা ক্যাটাগরিতে নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে অসাধারণ সাফল্যের জন্য এবার পদকটির জন্য মনোনীত করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলকে।
আরও পড়ুন: একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী সুজেয় শ্যাম আর নেই
৩০১ দিন আগে
'পাওয়ার অব পেইন অ্যান্ড প্যাথোস ২': নেদারল্যান্ডস দূতাবাসে প্রীতি আলীর একক প্রদর্শনী চলছে
ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ড দূতাবাসে প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিল্পী প্রীতি আলীর ‘পাওয়ার অফ পেইন অ্যান্ড প্যাথোস ২’ শিরোনামে মাসব্যাপী একক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান-২ এর নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের গ্যালারিত রেসিডেন্সে এই প্রদর্শনীর চলছে।
১৭ জানুয়ারি উদ্বোধন করা এ প্রদর্শনীতে প্রীতি আলীর ৪০টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স, বাংলাদেশি-স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম এবং ওয়াইল্ডটিমের সিইও ড. আনোয়ারুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিনিধি।
১৯৮৬ সালে জন্ম নেওয়া প্রীতি আলী স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিমূর্ত অভিব্যক্তির শৈলীতে ছবি আঁকেন। তার শিল্পকর্মে মানুষের আবেগ ও অনুভূতির নানা প্রকাশ ফুটে উঠেছে, প্রকৃতির কাছে আত্মসমর্পণ করে ভালো-মন্দের মধ্যে জীবনের অর্থ অন্বেষণ করা হয়।
বিশুদ্ধ বিমূর্ত অভিব্যক্তিবাদের একনিষ্ঠ অনুসারী প্রীতি আলী উল্লেখ করেছেন, তার চিত্রকর্মগুলো মানুষের স্নেহ, পরমানন্দ, যন্ত্রণা এবং বিচ্ছিন্নতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একজন আবেগপ্রবণ চিত্রশিল্পী, তিনি তার আত্মার অন্তঃস্থল থেকে যা অনুভব করেন তা আঁকেন।
তাঁর চিত্রকলাকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, যেখানে রহস্যবাদের ছোঁয়া পাওয়া যায়; কেউ কেউ সম্প্রীতি, বিষণ্ণতা বা হতাশার স্বাদ পেতে পারেন। তাঁর চিত্রকর্মে নিঃসঙ্গ আত্মার বিলাপ, অন্তর্নিহিত দুঃখ বা নগ্নতার অনুভূতি অনুভব করা যায়।
প্রীতির ফর্মের কমবেশি, ছড়ানোর ধরন এবং কগনিজ্যান্ট ব্রাশ স্ট্রোক একই সঙ্গে প্রাকৃতিক এবং কল্পিত একটি ভাষা তৈরি করে। তার প্রাণবন্ত রঙ, ছন্দময় রেখা এবং বিমূর্ত ফর্মের ব্যবহার ক্যানভাসে একটি তীব্র সংবেদনশীল এবং নিমগ্ন স্থান তৈরি করে।
২০১৬ সালে ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে তার প্রথম একক প্রদর্শনী 'পাওয়ার অব পেইন অ্যান্ড প্যাথোস' অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন একক ও দলীয় প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন।
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের গ্যালারি রেসিডেন্স, বাড়ি ৮, ৭ম তলা, রোড ৮৭-এ প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলশান-২ এর গ্যালারি রেসিডেন্সে প্রদর্শনী চলবে।
প্রদর্শনীটি ঘুরে দেখতে দর্শনার্থীরা [email protected] মাধ্যমে শিল্পীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আরও তথ্য www.pritiali.art এ পাওয়া যায়।
৩২০ দিন আগে
প্রাচীন জৈন্তারাজ্যের প্রত্নতত্ত্বের নান্দনিক স্থাপনা
মোহাম্মদ মহসীন, সিলেট, ৭ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ২০০ বছরের পুরোনো জৈন্তা রাজ্যের স্থাপনার ধ্বংসাবশেষগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন স্থানে। মোঘল আমলে বৃহত্তর জৈন্তার জনপদ ছিল মোঘল শাসনামলের বাইরে। সেই সময়টায় জৈন্তাপুর ছিল স্বাধীন জৈন্তা রাজ্য, যার স্মৃতিগুলো এখনও পরিচয় বহন করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে।
জৈন্তা রাজ্যের শাসনামলের সমাপ্তির পরও এখনও কিছু স্মৃতি চিহ্ন রয়ে গেছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন পরতে পরতে। কালের বিবর্তনে অনেক স্থাপনা ধ্বংস কিংবা মানুষের দখলে চলে গেলেও যে কয়টা স্থাপনা বা পুরাকীর্তি রয়েছে তাও দীর্ঘ সময় ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল।
তার মধ্যে অন্যতম জৈন্তেশ্বরী ইরাদেবী রাজবাড়ীর একটা বিশাল অংশ গত বছর বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর সংরক্ষণের জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে স্থাপত্যশৈলীকে দৃশ্যমান করা হয়েছে। বর্তমানে ইরাদেবী রাজবাড়ীর বটতলার বিশাল অংশটি দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
৩৬২ দিন আগে
ঢাকায় লোকবাদ্যযন্ত্র প্রদর্শনী শুরু
‘নিরাময়ের ঐক্যতান’ শিরোনামে এ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ও উদ্ভাবনী বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
সোমবার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে ব্যতিক্রমী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী শফি মণ্ডল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার পরিচালক ফ্রাঁসোয়া গ্রোসজিয়ান।
জাকির হোসেন ১৯৯৪ সালে গাইবান্ধায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কলকাতায় সংগীত অধ্যয়ন করেছেন। ভারতীয় শাস্ত্রীয়, বাংলা লোক, রবীন্দ্রসংগীত, আধুনিকসহ সংগীতের বিভিন্ন ধরন নিয়ে পড়ালেখা করেছেন তিনি। বাংলাদেশে ফিরে এসে তিনি মানবতাবাদ ও নিরাময়ের উপর সংগীতের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন।
বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে শিল্প ও সংস্কৃতি লালনের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ও নিরীক্ষাধর্মী সংগীত সংরক্ষণ ও বিকাশের চেষ্টায় ২০১৮ সালে 'অবকল্প' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন জাকির।
এ আয়োজনে নিরীক্ষাধর্মী দেশীয় বাদ্যযন্ত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি থাকবে সেমিনার, কর্মশালা ও বাংলা লোকসংগীত পরিবেশনা। প্রদর্শনীটি পরিচালনা করছেন লুসি তৃপ্তি গোমেস।
সবার জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনী চলবে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর )পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
৩৭৩ দিন আগে