আজকের খবর - 10-10-2024
শারদীয় শুভেচ্ছা জানাল আওয়ামী লীগ
দেশবাসীকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দলের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বার্তায় এই শুভেচ্ছা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান আওয়ামী লীগের
ফেসবুকের পোস্টটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।
অন্ধকার ভেদ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ হবে, এটাই আমাদের বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: সাবের হোসেনের জামিন পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর
১ ঘণ্টা আগে
আমরা কীভাবে জিনিসগুলো উৎপাদন করি তা গুরুত্বপূর্ণ: বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামে লুৎফে সিদ্দিকী
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি সত্যিকারের ঝুঁকি যা সম্পর্কে আমাদের মনে রাখা দরকার।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত 'বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম ২০২৪'-এ তিনি এ কথা বলেন।
লুৎফে সিদ্দিকী বলেন: ‘উদ্যোক্তা হিসেবে এবং ব্যবসা হিসাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, আমরা কিভাবে পণ্য উৎপাদন করি। সবচেয়ে কম খরচে উৎপাদন করাটাই কেবল বিবেচ্য বিষয় নয়। জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তব ঝুঁকি যা আমাদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার। আমাদের এটিকে কেবল কমপ্লায়েন্স ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয় বরং সঠিক ব্যবসায়িক কৌশলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে ১০ অক্টোবর
এ ফোরামে বাংলাদেশের সাসটেইনিবিলিটি বা টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংলাপ, সহযোগিতা এবং কার্যকরী কৌশলসমূহ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত এবং ত্বরান্বিত করতে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় সাড়ে ৪০০ জন সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ ফোরামের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ। শিল্পের নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, জলবায়ু বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী, উদ্ভাবক, ব্র্যান্ড, উন্নয়ন সংস্থা, নীতিনির্ধারক এবং শিক্ষাবিদদের একত্রিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দিনব্যাপী এবারের ফোরামের কর্মসূচির মধ্যে ছিল মূল বক্তব্য উপস্থাপনা, প্যানেল আলোচনা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞগণের উপস্থাপনা এবং কর্মশালা। এখানে প্রায় ৪০ জন দেশি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
তারা সহযোগিতা এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক এবং কার্বন-নিরপেক্ষ ভবিষ্যত গড়ে তোলার বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। তাছাড়া এ ফোরামে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম ২০২৪ আয়োজনে সহযোগী হিসেবে ছিল অ্যাপারেল ইমপ্যাক্ট ইনস্টিটিউট, ক্যাসকেল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জিআইজেড, এইচএন্ডএম, বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডসের দূতাবাস, পিডিএস লিমিটেড এবং টার্গেট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম. ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমাদের নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনের পরিমাণ কম, যা প্রায় ২ শতাংশ। আমরা এটিকে আরও বৃদ্ধি করতে চাই। আমরা সাসটেইনিবিলিটিতে আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বৃহত্তর সিস্টেমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমি আশা করি আপনারা সাসটেইনিবিলিটির দিকে অগ্রযাত্রায় আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন এবং দেশকে এগিয়ে নেবেন।’
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং রাষ্ট্রদূত এইচই মাইকেল মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রতিটি ভগ্নাংশ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সকলের একটি সামষ্টিক দায়িত্ব রয়েছে। অনুদান এবং ছাড়যোগ্য ঋণ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ইউরো পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ একত্রিত করার গ্লোবাল গেটওয়ের লক্ষ্য রয়েছে।’
জার্মানির রাষ্ট্রদূত অচিম ট্রস্টার বলেন, ‘জ্বালানি নিরাপত্তা বাংলাদেশ এবং জার্মানি উভয়ের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশ একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই, নিরাপদ এবং স্থিতিস্থাপক উপায়ে তার জ্বালানি চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক।’
আরও পড়ুন: চার দিনব্যাপী জাতিসংঘ ক্লাইমেট অ্যাডাপশন এক্সপোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
নেদারল্যান্ডস কিংডমের দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স থিজ ওয়াউডস্ট্রা বলেন, ‘আমি সত্যিই আনন্দিত যে, পোশাক শিল্প ডিকার্বনাইজেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এবং জাতীয় ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট বিবেচনা করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে টেকসই এবং সার্কুলার টেক্সটাইলকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে জ্ঞান ভাগাভাগির কাজটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি বাংলাদেশের পোশাক খাত এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী।’
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আপনি পৃথিবীর প্রতি যত্নবান, আপনি দেশের প্রতি যত্নবান। এবং এই কারণেই আপনি আজ এখানে আছেন। আপনারা সবাই আমার অনুপ্রেরণা। ক্লাইমেট অ্যাকশন কোন বোঝা নয়, বরং উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি ব্যবসায়িক সুযোগ।’
তিনি বলেন, আপনারা সবাই বাংলাদেশকে ভালোবাসেন এবং এ দেশ থেকে দারিদ্র্য ও দুর্যোগ দূর করতে চান। সস্তা শ্রম বাংলাদেশের জন্য এখন আর প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা নয়। উদ্যোক্তা হিসেবে আমরা যদি আমাদের ক্রেতাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাসমূহ অর্জন না করি, তাহলে আমরা সফল হতে পারব না। লক্ষ্য অর্জনের জন্য, উৎপাদনকারীদের আরও সামষ্ঠিক দায়িত্ব নিতে হবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সমর্থন প্রয়োজন।’
গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাসমূহ যেমন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (বিপিএমআই), বাংলাদেশে ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ও সুইডেন দূতাবাস, আইএলও, লডস ফাউন্ডেশন, অক্সফাম বাংলাদেশ, এবং ইউএসএআইডি বাংলাদেশ ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামে’ একত্রিত হয়।
তাছাড়া বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আর্মস্ট্রং ফ্লুইড টেকনোলজি, ফোর্বস মার্শাল, গ্রান্ট থর্নটন ভারত এলএলপি, ইলুকুম্বুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন (প্রাইভেট) লিমিটেড এবং জিনকো সোলারের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় আয়োজন করা হয় ’ইন্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ’।
পোশাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে তিন শতাধিক প্রকৌশলী এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাসটেইনেবিলিটি এবং ডিকার্বনাইজেশন বাস্তবায়নে ব্যবহারিক জ্ঞান ও কৌশলসমূহ আয়ত্ত করার সুযোগ লাভ করেন।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সংক্রান্ত উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন, নেতৃত্ব, সহযোগিতা এবং সকলের জন্য একটি টেকসই, কম কার্বন ভবিষ্যতের জন্য ভিত্তি স্থাপন করা বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরামের অন্যতম লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শেখ হাসিনা
২ ঘণ্টা আগে
নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান আওয়ামী লীগের
নিরপরাধ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করতে দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দলের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই আহ্বান জানায় দলটি।
সেনাবাহিনী, নৌ- বিমান বাহিনী এবং র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাদের জনগণের বন্ধু হয়ে ওঠার আহ্বান জানানো হয় ফেসবুক পোস্টটিতে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইমন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
এতে বলা হয়, নিরপরাধ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করুন। যে সন্ত্রাসীরা আন্দোলনের নামে পুলিশ সদস্যদের থানার ভিতরে পুড়িয়ে মেরেছে, থানা লুট করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করুন।
দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে যেসব জঙ্গি সংগঠন আপনাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
কোনো দল বা কারো নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হয়রানি করবেন না। জনগণের বন্ধু হয়ে উঠুন, কোন দলের না।
এতে আরও বলা হয়, থানা থেকে লুট হওয়া বেশিরভাগ অস্ত্র কিন্তু এখনো উদ্ধার হয়নি। যারা এই অস্ত্র লুট করেছে তাদের এখনি রুখে দিতে না পারলে সেই অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধে নামবে আপনাদেরই বিরুদ্ধে। দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদেরই।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের বিরুদ্ধে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ ববি হাজ্জাজের
২ ঘণ্টা আগে
সাবের হোসেনের জামিন পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুম ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থাকার পরও কীভাবে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আমার খুব কাছের। তিনি (আসিফ) আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো একজন খুনি কীভাবে জামিন পেতে পারেন?’
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে এক সমাবেশে রিজভী বলেন, সাবেরের নির্বাচনি এলাকার মানুষ চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে, অনেকে পঙ্গু হয়েছে।
রিজভী বলেন, ছাত্রদলের খিলগাঁও শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ১৬ বার গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘সাবের হোসেন চৌধুরী কি এর জন্য দায়ী নন? তার নির্দেশে ওই এলাকার ১১ জনকে গুম ও হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই দায় এড়াতে পারেন না।’
সাবের হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে গুম ও হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারগুলো এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এর আগে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে সাবেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
খিলগাঁও থানার চারটি ও পল্টন থানার দুটি মামলাসহ ছয়টি মামলায় ঢাকার আদালত তাকে জামিন দিলে পরদিন তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া অনেক রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্যদের মধ্যে সাবের চৌধুরীই প্রথম আওয়ামী লীগ নেতা।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনে খিলগাঁও এলাকায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণহত্যা করেছে এবং সাবের হোসেন চৌধুরী তার সহযোগী ছিল। তিনি শেখ হাসিনার আদর্শে লালিত হয়েছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে কেউ গণতন্ত্র, বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের পক্ষে কথা বলার সাহস পায়নি। এ কারণেই তিনি (সাবের) সফলভাবে গুম ও হত্যার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন।’
আরও পড়ুন: হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
বিএনপির এই নেতা আক্ষেপ করে বলেন, ছেলে হারানো বাবাদের চোখের পানি এখনো শুকায়নি, তারপরও গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যা মামলায়ও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবের হোসেন।
রিজভী বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হত্যা, দখলসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকলেও হাসিনার শাসনামলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে গঠিত একটি সরকার। তারা যদি শেখ হাসিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করে, তাহলে এর অর্থ কী? আসিফ নজরুলের মতো একজন ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারে থাকতে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাবের হোসেন চৌধুরীর জামিনে মুক্তি পাওয়া কীভাবে সম্ভব? তাহলে এই সরকার কাকে রক্ষা করছে?'
রিজভী অভিযোগ করেন, সাবের হোসেন চৌধুরী বছরের পর বছর জনগণের ভোট ছাড়াই সংসদ সদস্য ছিলেন। ‘তার নির্দেশে অনেক হত্যাকাণ্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যদি তাকে জামিন দেওয়া হয়, তাহলে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত এবং ক্রসফায়ারে জড়িত পুলিশ - যারা মানুষকে গুম করেছে, নির্যাতন করেছে এবং মাথায় গুলি করেছে - সম্ভবত কয়েক দিনের মধ্যেই তারাও মুক্তি পাবে। এর জবাব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে দেবে?
পরে সাবের হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
২ ঘণ্টা আগে
যশোরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় স্কুলছাত্র নিহত, আহত ৪
যশোরের বাঘারপাড়ায় ভ্যানে করে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় আরিফুজ্জামান (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ভ্যানচালকসহ আহত হয়েছেন আরও চারজন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে বাঘারপাড়ার আয়াপুর গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘাটে।
আরিফুজ্জামান বলরামপুরের পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান মনিরের ছেলে এবং চাড়াভিটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণপিটুনিতে যুবক নিহত
আহতরা হলেন- বলরামপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে সিনফা (১৩), নড়াইল সদর উপজেলার আফরা গ্রামের আজাদ বিশ্বাসের ছেলে ফয়সাল (২৪) ও একই গ্রামের আলমাস মোল্লার ছেলে গালিব হোসেন (২২)।
এদের মধ্যে সিনফার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। সে মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন।
এসআই মনির ও এলাকাবাসী জানান, প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় আরিফুজ্জামানের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভ্যানচালকসহ আহত হন চারজন। তাদের মধ্যে তিনজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল এবং চালককে ভর্তি করা হয়েছে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
হাসপাতালের চিকিৎসক জুবায়ের বলেন, আরিফুজ্জামানকে সকালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। আহত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ নিহত ৮
জয়পুরহাটে অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কলেজছাত্র নিহত
২ ঘণ্টা আগে
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক মাদরাসার ভেতরে, ১২ শিক্ষার্থী আহত
লালমনিরহাটে চলন্ত ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাদরাসার দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ায় ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাদেরকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু, আহত ৫
বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার হাড়িভাঙা তালিমুল ইনসান হাফেজিয়া ও কওমি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে একটি ট্রাক লালমনিরহাট যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো পথে গিয়ে মাদরাসার ওয়ালে ধাক্কা দেয়।
এতে মাদরাসার দেয়াল ভেঙে ঘুমন্ত ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়। এদের মধ্যে মোরসালিন (১২), নোমানসহ (১১) ৩ থেকে ৪ অবস্থা আশঙ্কাজনক।
লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের বলেন, ট্রাকটি আটক করা হলেও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৩৯২ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৬, আহত ৮১৩
২ ঘণ্টা আগে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১০টি চালানে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৪৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত ৭টি ট্রাকে ২২ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০টি ট্রাকে ৫৪ মেট্রিক টন, শনিবার ১৫টি ট্রাকে ৪৫ মেট্রিক টন, রবিবার ৬টি ট্রাকে ১৯ মেট্রিক টন, সোমবার ৩০টি ট্রাকে ৮৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৯টি চালানে ভারতে ৪৫৯ টন ইলিশ রপ্তানি
এছাড়া মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ২৩টি ট্রাকে ৬৯ মেট্রিক টন, বৃহস্পতিবার ৩০টি ট্রাকে ৯২ মেট্রিক টন, শনিবার ১৩টি ট্রাকে ৪২ মেট্রিক টন, সোমবার ৮টি ট্রাকে ২৩ মেট্রিক টন, মঙ্গলবার ৮টি ট্রাকে ২৪ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণার ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশের মধ্যে ভারতে গেল ৪৭৯ টন ইলিশ। ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫৭টি ট্রাকে করে ইলিশের এই চালানগুলো রপ্তানি করেছে। প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ১০ মার্কিন ডলারে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ১৮০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেনাপোল মাছ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক কেজির নিচে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ টাকা।
এক কেজির ওপরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। অথচ একই ইলিশ প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কমে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আসওয়াদুল বলেন, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় হতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, সর্বশেষ বুধবার রাতে ৭টি ট্রাকে করে ২২ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১০ চালানে ভারতে গেছে ৪৭৯ টন ইলিশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে ৭ চালানে ভারতে গেল ৪১০ মেট্রিকটন ইলিশ
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
২ ঘণ্টা আগে
৩ পার্বত্য জেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, পর্যটন খাতে ধস
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভ্রমণে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে পর্যটন খাতে। পর্যটক ভ্রমণ না করায় প্রশাসনের দেওয়া সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ এবং হতাশা ব্যক্ত করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাঙ্গামাটিতে ছুটে আসেন পর্যটকরা। আর দুর্গাপূজাকে ঘিরে ৩ পার্বত্য জেলায় হোটেল মোটেলগুলোতে অনেক বুকিং পেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে বুকিং বাতিল হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের বোট ঘাট ইজারাদার রমজান বলেন, ঝুলন্ত সেতুটি তলিয়ে যাওয়ায় পর্যটক আসছে না। এরপর প্রায় এক মাসের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা। এতে করে আমরা কীভাবে সংসার চালাব বুঝতে পারছি না।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল জেলা প্রশাসন
হোটেল স্কয়ার পার্কের ব্যবস্থাপক মো. সুলতান বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে রাঙ্গামাটির সকল হোটেল মোটেল পর্যটকশূন্য।
তিনি আরও বলেন, যেসব বুকিং ছিল তাও বাতিল হয়ে গেছে। আমরা সরকারের কাছে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সুনজর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও বিভিন্ন কারণে পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে।
তিনি আরও বলেন, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে কোনো পর্যটক আসছে না। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় পর্যটন ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন।
আশাকরি প্রশাসন থেকে যদি নিশেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়, তাহলে আবারও এই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব বলে জানান আলোক বিকাশ চাকমা।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, রাঙ্গামাটির সার্বিক পরিস্থিতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণ না করার জন্য আমরা আহ্বান করেছি। এই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে এবং পর্যটকরা জেলাগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
৩ পার্বত্য জেলায় ভ্রমণে বিরত থাকার ব্যাপারে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের ভ্রমণে বিরত থাকার যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তা দ্রুত তুলে নেওয়া হবে। এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে ৩ পার্বত্য জেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার উদ্বেগ প্রকাশ এবং অবিলম্বে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও ৪ দফা দাবি জানিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ১০টি সংগঠন রাঙ্গামাটি রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, হাউজ বোর্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, আবাসিক হোটেল মালিক সমিতি, পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড টোয়ার, পর্যটন ঘাট টুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, রিজার্ভ বাজার ঘাট টুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, সমতা ঘাট টুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি ও রাঙ্গামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করছি। শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে পর্যটকরা যখন দেশব্যাপী ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তখন এই ধরনের ঘোষণা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের কাছে পার্বত্য জেলাগুলো ভ্রমণের বিষয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক বার্তা বহন করছে। ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের গড়ে ওঠা পর্যটন খাতকে আবারও খাদের কিনারায় নিয়ে যাবে। এ কারণে আমরা পেশা ও বিনিয়োগ বিষয়ে গভীর অনিশ্চয়তায় ভুগছি।
তাই দ্রুত পর্যটকদের ভ্রমণ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা ও স্থানীয় পর্যটন উদ্যোক্তা এবং এই খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বার্থ সুরক্ষার কথা বিবেচনায় আনা অত্যন্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীর পুঠিয়া মন্দির কমপ্লেক্স ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তজীর মন্দির ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৩ ঘণ্টা আগে
দুর্গাপূজা: নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়
দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে তা জানানোর জন্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাইল জীবন বীমা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
পূজয় কোনো প্রকার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটলে ০১৭৬৬৮৪৩৮০৯ মোবাইল নম্বরে কল করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অবহিত করা যাবে।রবে। এছাড়া সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ১৪ তলায় ১৪২৪ নম্বর কক্ষেও সরাসরি তথ্য পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ১ সিনিয়র সচিবসহ ২ সচিব ওএসডি, ২ মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব
৩ ঘণ্টা আগে
মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষক দল চলে যাওয়ার পরপরই বনানীর বাজারে বাড়ল পণ্যের দাম!
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পর্যবেক্ষক দল পর্যক্ষেণ শেষে চলে যাওয়ার পরই বনানী কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে সবজি, মুরগি, গরুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন কাঁচা পণ্যের দাম ১৫ থেকে ৫০ টাকা কমে যায়, কিন্তু পর্যবেক্ষক দল বাজার ছাড়ার পর আবারও আগের বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তারের নেতৃত্বে বাজার পরিদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কাচাঁবাজারে অভিযান, দোকানিকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা
বাজার পর্যবেক্ষণের সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাজার পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১৬০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বাজার ছাড়ার পরপরই গরুর মাংসের দাম বেড়ে ৭৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এক ব্যবসায়ী বলেন, জরিমানা এড়াতে পরিদর্শনের সময় তারা মন্ত্রণালয়ের মূল্য তালিকা মেনে চলতে বাধ্য হন।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত দাম মেনে চলার জন্য আমাদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু এই দামে বিক্রি করা মানে আমরা কেবল আমাদের খরচ মেটাতে পারি।’
জয়নাল আরও বলেন, ‘পাইকারি মূল্য বাধ্যতামূলকতার চেয়ে বেশি এবং এখানে আমাদের কোনও দোষ নেই। পাইকারি সিন্ডিকেট আগে ভাঙতে হবে। তা না হলে এ ধরনের পরিদর্শনে আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের অসুবিধায় পড়তে হবে।’
জয়নাল আবেদীন বলেন, বনানী কাঁচাবাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী পর্যবেক্ষক দলের পরিদর্শনের বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন, পরিদর্শনকালে 'উপযুক্ত' মূল্য প্রস্তুত ও প্রদর্শনের সুযোগ করে দেন তারা।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৬ দিন বন্ধ কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দর
বাজার স্থিতিশীল করতে সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার
৩ ঘণ্টা আগে