অন্যান্য
হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে
হজ প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমে ২০২৬ সালের হজের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধনকারীদের এ অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারিকৃত পত্রে বলা হয়েছে-, হজ-২০২৬-এর সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জমার মাধ্যমে প্রাথমিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬ অনুযায়ী প্রত্যেক হজযাত্রীকে প্যাকেজ মূল্যের সমুদয় অর্থ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবশ্যিকভাবে জমা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। তাই যেসব হজযাত্রী নির্বাচিত প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ এখনও জমা দেননি, তাদের উক্ত সময়ের মধ্যে জমা দিতে অনুরোধ করা হলো।
এ সময়ের মধ্যে কোনো নিবন্ধিত হজযাত্রী প্যাকেজের অবশিষ্ট টাকা জমা না দিলে তার হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলেও জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৩ ঘণ্টা আগে
১৬ জানুয়ারি পবিত্র শবে মেরাজ
বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৭ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাতে সারা দেশে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপিত হবে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
১৪৪৭ হিজরি সনের রজব মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে দেশের সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামাল উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব মো. ফজলুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, ওয়াকফ প্রশাসক মো. শাহীন হোসেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল অধ্যাপক মোহাম্মদ ওবায়দুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি এবং অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ইয়াকুব আলী।
এ ছাড়াও সভায় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ওয়ারেছ আনসারী, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম মিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মমিনুল ইসলাম এবং স্পারসোর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাওয়া ও ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল্লাহ ফারুক, আদমপুরা ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবু সালেহ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার উপাধ্যক্ষ আবদুল গাফফারসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগকারী কয়েকজনের ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে অগ্নিসংযোগকারী কয়েকজনের ছবি ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি, তাদের কিছু ছবি ও পরিচয় আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা ব্যবস্থা করেছি।
ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ময়মনসিংহে হিন্দু তরুণ দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়, গর্হিত কাজ। আমরা কোনো ক্রমে আইন হাতে নিতে দেব না। আইন হাতে নেওয়াটা একটা রাষ্ট্রের সুষ্ঠু পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় বাধা।’
মব জাস্টিসকে যাতে প্রশ্রয় দেওয়া না হয়, সে জন্য আজ সকালেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টাদের গ্রুপে বার্তা পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।
আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, যে বা যারা এই মানুষটাকে পিটিয়ে মেরেছে এবং আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা এখন সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে। কিছু ঘটনা যে ঘটছে না—এমন নয়, তবে আমরা যতটুকু এই পর্যন্ত এসেছি, আমরা আশাবাদী যে নির্বাচন যথাসময়ে হবে। সুষ্ঠু, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক এবং স্বতঃস্ফূর্ততার মাধ্যমে আমরা নির্বাচন করতে পারব। এই পরিবেশ এখনো বহাল আছে।
ছায়ানটেও হামলা হয়েছে। শিবিরের কেউ কেউ বলেছে যে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকা উচিত নয়—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, কে কী বলল, সেটা তো আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। তবে কথা হচ্ছে যে আমরা যেহেতু সরকারে আছি, সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠানে কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে অথবা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করবে, এটা কোনভাবে কাম্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি। এদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
১ দিন আগে
তালা দিয়ে বিএনপি নেতার ঘরে আগুন: দগ্ধ দুই মেয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের ঘরের বাইরে থেকে তালা মেরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তার দগ্ধ দুই মেয়ে বিথী আক্তার (১৩) ও স্মৃতি আক্তারকে (১৮) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বেলাল হোসেনের সাত বছর বয়সী মেয়ে আয়েশা আক্তার ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যায়।
শুক্রবার গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতারগোপ্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বেলাল হোসেন একই ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সুতারগোপ্তা বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী।
আজ (রবিবার) সকালে ওই মেয়ে দুটির ভর্তি হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ও সহকারী অধ্যাপক ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, লক্ষ্মীপুর থেকে গতকাল (শনিবার) বিথী আক্তারের শরীরে ২ শতাংশ দগ্ধ এবং স্মৃতি আক্তারের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় এখানে আনা হয়। তাদের মধ্যে স্মৃতি আক্তারের দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে বীথির শরীরে দগ্ধের পরিমাণ কম থাকায় তাকে জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, রাতে নিজের ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন বেলাল হোসেন। গভীর রাতে তার ঘরের দরজায় অজ্ঞাত কেউ তালা মেরে চারদিকে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহুর্তেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরে থাকা তার ৩ মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে ঘটনাস্থলেই আয়েশা নিহত হয়।
১ দিন আগে
তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সিইসির বৈঠক
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সামনে রেখে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। পরে তারা বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এটাই প্রথম সাক্ষাৎ। তারা নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে ইসি সচিব আলাদাভাবে তাদের অভ্যর্থনা জানান। ১২ ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট সামনে রেখে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে বৈঠকে।
এরপর দুপুর আড়াইটায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সে সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনী প্রধান বা তাদের উপযুক্ত প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে।
১ দিন আগে
সুদানে নিহত ৬ শান্তিরক্ষীর জানাজা সম্পন্ন
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ড্রোন হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সকাল সোয়া ৯টায় অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
জানাজা শেষে মরদেহে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর একে একে তিনবাহিনীর পক্ষ থেকে নিহতদের কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, জানাজার আগে নিহত সেনাসদস্যদের জীবন বৃত্তান্ত পড়ে শোনানো হয়। পাশাপাশি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে তাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হয়। এরপর সেনাসদস্যদের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার নিজ নিজ জেলায় উদ্দেশে রওনা দেয়।
নিহত শান্তিরক্ষীরা হলেন: কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা, এএসসি (নাটোর); সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম, বীর (কুড়িগ্রাম); সৈনিক শামীম রেজা, বীর (রাজবাড়ি); সৈনিক শান্ত মন্ডল, বীর (কুড়িগ্রাম); মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ), লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
শনিবার বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে নিহত শান্তিরক্ষীদের কফিন বহনকারী বিমান শাহাজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
গত ১৩ ডিসেম্বর আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী পরিচালিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জন দায়িত্বরত শান্তিরক্ষী নিহত হন। ওই হামলায় আরও নয় শান্তিরক্ষী আহত হন।
আহতদের বিষয়ে এর আগে আইএসপিআর জানিয়েছিল, আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুততম সময়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমানে তারা কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অবস্থিত আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ত্যাগও করেছেন। বর্তমানে আহতদের সবাই আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
১ দিন আগে
যাত্রাবাড়ীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আশিষ জোয়াদ্দার (৩২) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আশিষ মাগুরা সদরের পাতুরিয়া গ্রামের অমল জোয়াদ্দারের ছেলে। তিনি কাপড়ের ব্যবসায়ী ছিলেন।
তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পথচারী আল-আমিন জানান, গত রাত ১টার দিকে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের নিচে আড়তের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ব্যবসায়ী। এ সময় ২ থেকে ৩ জন ছিনতাইকারী তার পথ রোধ করে দাঁড়ায় এবং ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সে সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে কোনো কিছু নিতে না পেরে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
প্রিয় হাদি, তুমি হারিয়ে যাবে না, তুমি থাকবে বাংলাদেশের হৃদয়ে: প্রধান উপদেষ্টা
যতদিন বাংলাদেশ আছে, ততদিন শরিফ ওসমান হাদি সকল বাংলাদেশির ‘বুকের মধ্যে থাকবে থাকবেন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজ (শনিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বড়ভাই আবু বকর সিদ্দিক হাদির জানাজা পড়ান।
জানাজার বক্তব্য দিতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘লাখ লাখ লোক আজকে এখানে হাজির হয়েছে। পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে। সারা বাংলাদেশজুড়ে কোটি কোটি মানুষ আজকে এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। তারা তাকিয়ে আছে হাদির কথা শোনার জন্য আজকে। বিদেশে যারা আছে, বাংলাদেশি এই মুহূর্তে তারাও হাদির কথা জানতে চায়।
‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসি নাই এখানে। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো এবং চিরদিন, বাংলাদেশ যতদিন আছে, তুমি সকল বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে। এটা কেউ সরাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে তোমাকে বিদায় দিতে আসিনি। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি। তুমি যা বলে গেছ, সেটা যেন আমরা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা করার জন্য আমরা একত্র হয়েছি।
‘সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। সেই ওয়াদা করার জন্যই আমরা তোমার কাছে আজকে এসেছি। সবাই মিলে, যে যেখানেই আছি, আমরা তোমার যে মানব প্রেম, তোমার যে ভঙ্গি মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা, তোমার যে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, সবাই প্রশংসা করছে, সেটা আমরা মনে প্রাণে গ্রহণ করছি। যেটা যেন আমাদের মনে সবসময় জাগ্রত থাকে, আমরা সেটা অনুসরণ করতে পারি।’
২ দিন আগে
সহিংসতার উসকানিমূলক পোস্ট নিয়ে রিপোর্ট করার আহ্বান
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাস ও সহিংসতার আহ্বানসম্বলিত পোস্টের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)। হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইলে এ ধরনের পোস্ট নিয়ে সরাসরি রিপোর্ট করার অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে এনসিএসএ।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এ ধরনের পোস্ট ০১৩০৮৩৩২৫৯২ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং [email protected] ইমেইল ঠিকানায় সরাসরি রিপোর্ট করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে এনসিএসএ জানায়, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমেইলের মাধ্যমে পাওয়া অভিযোগগুলো প্রথমে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করা হবে। যাচাই শেষে সেগুলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করা হবে।
একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াকে সহিংসতা বা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি। দেশ ও নাগরিকের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণের ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেছে সংস্থাটি।
জাতীয় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ–২০২৫ অনুযায়ী, যেসব ‘বিদ্বেষমূলক বক্তব্য’ সরাসরি সহিংসতা ঘটায় বা সহিংসতার আহ্বান জানায়, তা দণ্ডনীয় অপরাধ বলেও জানিয়েছে এনসিএসএ।
সংস্থাটি বলছে, সরকার সরাসরি কোনো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ডাউন করতে পারে না। তবে যৌক্তিক কারণ উপস্থাপন করে সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পোস্টগুলো সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্মের কাছে রিপোর্ট করার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
২ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধের উপ-সেনাপতি এ কে খন্দকার মারা গেছেন
মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম মারা গেছেন।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বার্ধক্যজনিত কারণে সকালে মহান মুক্তিযুদ্ধের এই উপ-অধিনায়ক মৃত্যুবরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর—আইএসপিআর।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তার কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামনে ব্যপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিলো পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তার অপরাধ। এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তার কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে দেশ একজন বীর সন্তানকে হারাল উল্লেখ করে শোকবার্তায় তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ কে খন্দকারের (আবদুল করিম খন্দকার) জন্ম ১৯৩০ সালে তার বাবার কর্মস্থল রংপুরে। আদি নিবাস পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা গ্রামে। তার বাবা খন্দকার আব্দুল লতিফ ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন এবং মাতা আরেফা খাতুন ছিলেন গৃহিণী। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে এ কে খন্দকার ছিলেন তৃতীয়।বাবার চাকুরির সুবাদে তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় বগুড়া শহরে। তিনি বগুড়া করোনেশন স্কুলে কিছুদিন পড়াশোনা করেন। তারপর বাবার বদলির কারণে তাদেরকে নওগাঁ চলে যেতে হয়। নওগাঁ করোনেশন স্কুল (নওগাঁ জিলা স্কুল) থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এবং মালদা জেলা স্কুলে। ভারত বিভাগের সময় এ. কে. খন্দকার ১৯৪৭ সালে মালদা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন। এর পর ১৯৪৯ সালে আইএ পাস করেন।
১৯৫২ সালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন এবং ডেপুটি চিফ অব স্টাফ নিযুক্ত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম প্রধান ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলে এর প্রতিবাদে তিনি বিমানবাহিনীর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮২ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
১৯৯৮ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ এবং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখার জন্য এ কে খন্দকার ১৯৭৩ সালে বীর উত্তম খেতাব এবং ২০১১ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
২ দিন আগে