অন্যান্য
প্রথম আলো, ডেইলি স্টার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের তীব্র নিন্দা
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) যৌথ বিবৃতিতে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর ও নোয়াবের সভাপতি এ.কে. আজাদ এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি শুধু গণমাধ্যম নয়, আমাদের সমাজ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপরও আক্রমণ। হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সংবাদকর্মীদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মব ভায়োলেন্স প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এটি আরও একটি ভয়াবহ উদাহরণ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। তবে হামলার দায় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় সরকারকেই নিতে হবে।
সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। তারা পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
হাদির জানাজা কাল দুপুর ২ টায়
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজা শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের ব্যাগ বা কোনো ভারী বস্তু সঙ্গে না আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও জানাজা চলাকালে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও আশপাশে ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, হাদির পরিবারের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানিয়ে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
এর আগে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর পুরাতন পল্টনের কালভার্ট রোডে রিকশায় যাওয়ার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধের শিকার হন হাদি।
এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয় এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর ১৮) রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় পৌঁছেছে হাদির মরদেহ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-৫৮৫ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বিমানটি বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।
এদিকে, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, হাদির মরদেহ সংরক্ষণের জন্য জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) কোল্ড স্টোরেজে (হিমঘরে) নেওয়া হয়েছে।
হাদির নামাজে জানাজা শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
এরপর মরদেহটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে এবং পরিবারের দাবি অনুযায়ী সেখানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর পুরাতন পল্টনের কালভার্ট রোডে রিকশায় যাওয়ার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধের শিকার হন হাদি।
এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয় এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (ডিসেম্বর ১৮) রাতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-এর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিট (ক ইউনিট)-এর শনিবারের (২০ ডিসেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন ছাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোকের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে। সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদী এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহিদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠেয় ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, স্থগিতকৃত ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।
এর আগে ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা গত ৬ ডিসেম্বর (শনিবার) এবং ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট’-এর ভর্তি পরীক্ষা গত ১৩ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকদের ফোনালাপ
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে হামলার ঘটনার পর পত্রিকা দুইটির সম্পাদকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আলাদা আলাদা ফোনালাপে তিনি প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ও তাদের সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত এই আকস্মিক ও নিন্দনীয় হামলার ঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই কঠিন সময়ে সরকার দৃঢ়ভাবে দুই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের পাশে রয়েছে।
ঘটনাগুলোকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য মারাত্মক হুমকি এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বিপন্ন করে।
তিনি দুই সম্পাদককে পূর্ণ নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগিরই তাদের সঙ্গে তিনি সরাসরি সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
হাদির মৃত্যু দেশের অপূরণীয় ক্ষতি: রিজওয়ানা হাসান
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির অকুতোভয় যোদ্ধা ও ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অকালপ্রয়াণ দেশ ও জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি উল্লেখ করে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় উপদেষ্টা বলেন, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক নির্ভীক কণ্ঠস্বর ও সাহসী সংগঠক। অন্যায়, অবিচার ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে তার আপসহীন অবস্থান গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রেরণার উৎস ছিল।
তিনি যে দৃঢ়তা, স্পষ্টতা ও দায়বদ্ধতার সঙ্গে আন্দোলনের ভাষা জনগণের সামনে তুলে ধরেছেন, তা এ সময়ের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তরুণদের জাগ্রত করা, মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে জনমত গড়ে তোলায় তার অবদান অনস্বীকার্য বলে মন্তব্য করেছেন এই উপদেষ্টা।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, তার সংগ্রামী জীবন, আদর্শ ও সাহস ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে অনুপ্রাণিত করবে।
হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, সহযোদ্ধা, শুভানুধ্যায়ীদের ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এই উপদেষ্টা।
গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির মৃত্যু হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের তথ্য মতে, তার মরদেহ আজ (শুক্রবার) সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে আনা হবে। আজ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ০৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছাবে।
হাদির নামাজে জানাজা শনিবার জোহরের নামাজের পর রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে।
৯ ঘণ্টা আগে
গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন
গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজকের বৈঠকে গুম প্রতিরোধসহ মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন এবং সুইজারল্যান্ডের বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন।
গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বলা হয়েছে, এর ফলে গুম হওয়া ব্যক্তি অন্যূন ৫ বছর ধরে গুম থাকলে এবং জীবিত ফিরে না আসলে ট্রাইবুন্যাল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে।
অধ্যাদেশের ফলে সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইবুনাল’-এর জন্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে। ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারীও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রাইবুনাল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনো সদস্য কমিশনের পুর্বানুমতি ব্যাতিরেকে গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন।
হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ অনুমোদন
বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম বিশ্বে বিরল ও অনন্য। কিন্তু নদী ও নদীপথের বাধা সৃষ্টি করে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, বিষ ও কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাবের কারণে এই ইকোসিস্টেম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পড়ছে। আবার জলাশয় রক্ষায় আইনি কাঠামোরও অপ্রতুলতা রয়েছে।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও অধিক্ষেত্র সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। হাওর ও জলাভূমি এলাকার জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, হাওর ও জলাভূমি এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘সংরক্ষিত হাওর ও জলাভূমি এলাকা’ ঘোষণা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ ছাড়াও হাওর ও জলাভূমি এলাকায় নিষিদ্ধ কার্যক্রমের বিবরণ প্রদান, নিষিদ্ধ কার্যক্রম সংঘটিত হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং উক্ত অপরাধের জন্য আরোপনীয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।
হাওর ও জলাভূমি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্তৃপক্ষ, দপ্তর কিংবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা এবং সংরক্ষণ কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিধি, প্রবিধান ও নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
বার্নে হচ্ছে নতুন দূতাবাস
এদিন সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশের পার্মানেন্ট মিশন রয়েছে। তবে বার্নে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেরই দূতাবাস থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের দূতাবাস নেই। এর ফলে জেনেভার স্থায়ী মিশনেই এতদিন ধরে জাতিসংঘ ও দূতাবাসের কাজগুলো একসঙ্গে সম্পন্ন করা হচ্ছিল।
সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী ও কৌশলগত অংশীদার। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে বার্নে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে একজন রাষ্ট্রদূত, ফার্স্ট সেক্রেটারি, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৮২টি মিশন অফিস আছে।
আলোচনায় হাদির শারীরিক অবস্থা
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সামনের সারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়।
হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিয়মিতভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং খোঁজখবর জানাচ্ছেন।
এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল (বুধবার) েসিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন। তিনি সরাসরি হাদির চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
১ দিন আগে
হাদির সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
হত্যাচেষ্টার শিকার ওসমান হাদির সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে হাদির জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার সবার দোয়া।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা সবাই আমাদের ছোট ভাই ওসমান হাদির জন্য দোয়া করবেন, যেন সে সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারে। আগামীকাল জুম্মার নামাজের পরেও হাদির জন্য দোয়া করবেন। আপনারা খাস দিলে দোয়া করবেন।
‘অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও তার জন্য দোয়া করতে বলবেন। আমাদের দোয়াই এখন তার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার। আপনারা যদি খাস দিলে দোয়া করেন, সে অবশ্যই সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে।’
এদিকে, গত সোমবার ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ তিন দফা দাবি মানা না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
হাদিকে হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অগ্রগতি এবং পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
১ দিন আগে
নভেম্বরে সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে ১৩.২২ শতাংশ, প্রতিদিন গড়ে ১৬.১ মৃত্যু
গত নভেম্বর মাসে দেশে মোট ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৩ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩১৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ৬৪ জন, যা মোট নিহতের ১৩.২৫ শতাংশ এবং ৭১টি শিশু রয়েছে, যা ১৪.৬৯ শতাংশ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বর মাসে ২২৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৪ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৪০.১৬ শতাংশ। এ মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ছিল ৪২.৫০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ১০৬ জন, যা মোট নিহতের ২১.৯৪ শতাংশ। এ ছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৭ জন, যা ১১.৮০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, একই সময়ে ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত এবং ৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। পাশাপাশি ৪৭টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী নিহত হয়েছেন ১৯৪ জন (৪০.১৬ শতাংশ), বাসের যাত্রী ২৪ জন (৪.৯৬ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-মিকচার মেশিন গাড়ির আরোহী ২২ জন (৪.৫৫ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাসের আরোহী ১৪ জন (২.৮৯ শতাংশ), থ্রি-হুইলারের যাত্রী ৮৩ জন (১৭.১৮ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ৩১ জন (৬.৪১ শতাংশ) এবং রিকশা-বাইসাইকেলের আরোহী ৯ জন (১.৮৬ শতাংশ)।
দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, জাতীয় মহাসড়কে ঘটেছে ১৩১টি দুর্ঘটনা (২৪.৫৩ শতাংশ), আঞ্চলিক সড়কে ২৪৫টি (৪৫.৮৮ শতাংশ), গ্রামীণ সড়কে ৮২টি (১৫.৩৫ শতাংশ), শহরের সড়কে ৭১টি (১৩.২৯ শতাংশ) এবং ৫টি দুর্ঘটনা অন্যান্য স্থানে (০.৯৩ শতাংশ) ঘটেছে।
দুর্ঘটনার ধরন অনুযায়ী, ১২২টি (২২.৮৪ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষে, ২৩৭টি (৪৪.৩৮ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১০৯টি (২০.৪১ শতাংশ) পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়ার মাধ্যমে, ৫৯টি (১১.০৪ শতাংশ) পেছন থেকে আঘাতের কারণে এবং ৭টি (১.৩১ শতাংশ) অন্যান্য কারণে সংঘটিত হয়েছে।
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রাম ট্রাক-মিকচার মেশিন গাড়ি ২৫.৯১ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১২.৮৪ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ ৪.৫৮ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৭.৬৩ শতাংশ, থ্রি-হুইলার ১৭.৫৪ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪.৮১ শতাংশ, বাইসাইকেল-রিকশা ২.৯৮ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ৩.৬৬ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনায় মোট ৮৭২টি যানবাহন সম্পৃক্ত ছিল। এর মধ্যে বাস ১১২টি, ট্রাক ১২৭টি, কাভার্ডভ্যান ২৩টি, পিকআপ ২৯টি, ট্রাক্টর ৯টি, ট্রলি ১৭টি, ড্রাম ট্রাক ২০টি, মিকচার মেশিন গাড়ি ১টি, মাইক্রোবাস ১৪টি, প্রাইভেটকার ২১টি, অ্যাম্বুলেন্স ২টি, জীপ ৩টি, মোটরসাইকেল ২৪১টি, থ্রি-হুইলার ১৫৩টি, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৪২টি, বাইসাইকেল-রিকশা ২৬টি এবং অজ্ঞাত যানবাহন ৩২টি।
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনা ঘটেছে ভোরে ৪.৮৬ শতাংশ, সকালে ২০.৯৭ শতাংশ, দুপুরে ১৯.১০ শতাংশ, বিকালে ১৭.৭৯ শতাংশ, সন্ধ্যায় ১৯.৮৫ শতাংশ এবং রাতে ১৭.৪১ শতাংশ।
বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৬.৪০ শতাংশ ও প্রাণহানি ২৪.৬৩ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬.১০ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৪.০৭ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ২০.৯৭ শতাংশ ও প্রাণহানি ২২.৯৮ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১২.১৭ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৪.৪৯ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৩৬ শতাংশ ও প্রাণহানি ৬.২১ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.৬১ শতাংশ ও প্রাণহানি ৪.৯৬ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.১১ শতাংশ ও প্রাণহানি ৭.২৪ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.২৪ শতাংশ ও প্রাণহানি ৫.৩৮ শতাংশ।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৪১টি দুর্ঘটনায় ১১৯ জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩০টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম শেরপুর ও পঞ্চগড় জেলায়, জেলাদুটিতে ৯টি করে দুর্ঘটনায় ২ জন করে নিহত হয়েছেন।
নিহতদের পেশাগত পরিচয় অনুযায়ী, শিক্ষার্থী ৫৭ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ২৩ জন, ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ১৭ জন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ১৪ জন, শিক্ষক ১৩ জন, বিভিন্ন ব্যাংক–বীমা কর্মকর্তা ও কর্মচারী ৯ জন, এনজিও কর্মী ৭ জন, পোশাক শ্রমিক ৬ জন, চিকিৎসক ৫ জন, পুলিশ সদস্য ৪ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৪ জন, সাংবাদিক ৩ জন, প্রতিবন্ধী ৩ জন, আইনজীবী ২ জন, র্যাব সদস্য ১ জন, সেনা সদস্য ১ জন এবং স্বর্ণকার ১ জন নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও সড়ক, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা ও অদক্ষতা, নির্দিষ্ট বেতন ও কর্মঘণ্টা না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকেই দায়ী করা হয়েছে।
সুপারিশে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে সার্ভিস রোড নির্মাণ, পর্যায়ক্রমে রোড ডিভাইডার স্থাপন, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ, রেল ও নৌ-পথ সংস্কার, টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অক্টোবর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৪.২২ জন নিহত হলেও নভেম্বর মাসে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ১৬.১ জন। এই হিসেবে নভেম্বর মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ১৩.২২ শতাংশ।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটছে। গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। পাশাপাশি যানবাহনের বেপরোয়া গতি ও পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এজন্য সরকারি উদ্যোগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অধিকাংশ চালকের নিয়োগপত্র, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকায় তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন এবং বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালাচ্ছেন।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পরিবহন শ্রমিকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সড়ক পরিবহন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা ও কাঠামোগত সংস্কার করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
১ দিন আগে
ভাতার দাবিতে আন্দোলন: সচিবালয়ের ১৪ কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত
সচিবালয় ভাতার দাবিতে আন্দোলন করা ১৪ জন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করায় সরকারি চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে ওই কর্মচারীদের বরখাস্ত করা হয়।
বরখাস্ত হওয়া কর্মচারীদের মধ্যে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির, সহ-সভাপতি শাহীন গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম রয়েছেন।
এ ছাড়াও সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অন্য কর্মচারীরা হলেন—স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মো. তায়েফুল ইসলাম, বিকাশ চন্দ্র রায়, ইসলামুল হক, মো. মহসিন আলী, রোমান গাজী ও আবু বেলাল, তথ্য মন্ত্রণালয়ের মিজানুর রহমান সুমন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কামাল হোসেন ও মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিপুল রানা বিপ্লব এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নাসিরুল হক।
সচিবালয় ভাতার দাবিতে গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের নেতৃত্বে হওয়া ওই আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রায় ছয় ঘণ্টা সচিবালয়ের একটি দপ্তরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা।
পরের দিনও আন্দোলন অব্যাহত থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থান নেয়। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কয়েকজন কর্মচারীকে সচিবালয় এলাকা থেকেই আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আদালত তাদের রিমান্ডেও পাঠান।
সরকার দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়ার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আন্দোলনকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
২ দিন আগে