স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে ১৭৯, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতা
পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে বাংলাদেশের ডেঙ্গু। মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমশই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন।’
তিনি জানান, সর্বাধিক মৃত্যু ঘটছে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী রোগীদের মধ্যে। তাদের অনেকেই জ্বর শুরু হওয়ার ছয় থেকে সাত দিন পর চিকিৎসা নিতে আসেন, যা অনেক সময় জটিলতা এড়ানোর জন্য দেরি হয়ে যায়। শিশুদের মধ্যেও মৃত্যুঝুঁকি বেড়েছে বলে জানান তিনি।
যদিও এ বছর সংক্রমণের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি, তবে সামগ্রিক মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে বলে জানান আবু জাফর। তবু ক্রমবর্ধমান সংখ্যক রোগী গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে যাচ্ছে, যা মৃত্যুহার বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কারো জ্বর হলে অবিলম্বে ডেঙ্গু পরীক্ষার করানো উচিত। দেরিতে শনাক্ত হলে জটিলতা দেখা দেয় এবং মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। ডেঙ্গুতে মৃত্যুঝুঁকি মোকাবিলায় সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
শুধু সরকারি উদ্যোগে এই প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, জনসচেতনতা এবং সতর্কতাও অপরিহার্য।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মইনুল হাসান জানান, প্রতিটি ডেঙ্গু রোগীকে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখতে একটি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুতি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৭৩ দিন আগে
ডেঙ্গুতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৭৪০
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা চলতি ডেঙ্গু মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। এই সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৭৪০ জন রোগী।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড করা হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগ ৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ২ জন, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন করে মারা গেছেন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬ নারী ও ৬ পুরুষ রয়েছেন। বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মৃত ৪ জনের বয়স ২৬–৩০ বছর, ৩ জনের ৩১–৩৫, ২ জনের ৩৬–৪০ বছরের মধ্যে।
ঢামেকের তৃতীয় তলার ছাদের পলেস্তারা খুলে রোগী আহত
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪০ জন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১২২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৫ জন, খুলনা বিভাগে ৫২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৮ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন এবং সিলেট বিভোগে ৯ জন ভর্তি হয়েছেন।
সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৫৬ জনসহ সারাদেশে মোট ২ হাজার ২১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৯ হাজার ৬৩১ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪২০ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মোট ৪১ হাজার ৮৩১ জন। এর মধ্যে ৬০ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ নারী।
৭৪ দিন আগে
তরুণেরা সক্রিয় থাকলে দেশের কোনো সমস্যা অমীমাংসিত থাকবে না: প্রধান উপদেষ্টা
তরুণদের মেধা, শক্তি ও সৃজনশীলতাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তরুণেরা সক্রিয় থাকলে দেশের কোনো সমস্যাই আর অমীমাংসিত থাকতে পারে না।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত ‘ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ ও তরুণ প্রজন্মের অনুপ্রেরণামূলক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ১২ তরুণের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
তরুণদের উদ্দেশে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি যুবসমাজের প্রত্যেক সদস্যকে আহ্বান জানাই, তোমাদের মেধা, শক্তি ও সৃজনশীলতা দিয়ে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখো। তোমাদের সাফল্য কেবল ব্যক্তিগত অর্জনে সীমাবদ্ধ না রেখে অন্যদের জন্যও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হোক। আমি বিশ্বাস করি, তরুণেরা সক্রিয় থাকলে দেশের কোনো সমস্যাই আর অমীমাংসিত থাকতে পারবে না।’
তিনি বলেন, তিনি বলেন, ‘আমরা তোমাদের নতুন নীতি, যুগান্তকারী ধারণা ও সামাজিক পরিবর্তনের অগ্রদূত হিসেবে দেখতে চাই। তোমাদের সম্মিলিত প্রয়াসেই বাংলাদেশ একটি উন্নত, মানবিক ও উদ্ভাবনী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।’
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন আন্তর্জাতিক গণিত-জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে পদকজয়ী ৬ শিক্ষার্থী
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ আমরা তারুণ্যের শক্তিকে উদ্যাপন করছি। এটিই আমাদের জাতির চালিকা শক্তি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যখন একটি দেশের যুবসমাজ সক্রিয় থাকে, উদ্যমী ও উদ্ভাবনী শক্তিতে বলীয়ান হয়, তখন কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে রাখতে পারে না।’
স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা, দারিদ্র্য নিরসন ও সামাজিক ন্যায়বিচারে তরুণদের অবদান তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং জাতি গঠনে তাদের নেতৃত্বের ভূমিকাও স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চলার পথে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। কখনো তা জনস্বাস্থ্যের সংকট, কখনো শিক্ষার অপর্যাপ্ত সুযোগ, আবার কখনো পরিবেশগত বিপর্যয়। কিন্তু এই চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে হতাশ না হয়ে বরং আমাদের নিজস্ব শক্তি দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। আমি আশা করি, এ কাজেও আমাদের তরুণেরা নেতৃত্ব দেবে।’
স্বেচ্ছাসেবাকে আত্ম-উন্নয়ন এবং নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের আদর্শ মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তরুণেরা কেবল স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেই থেমে থাকবে না, বরং সমাজের নীতিনির্ধারক, উদ্ভাবক এবং পরিবর্তনের স্থপতি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরবে।
৮০ দিন আগে
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) এবং সম্মিলিত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক পরিষদের উদ্যোগে রাজধানীর আইডিইবি ভবনে এক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল: ‘বয়স্ক মানুষের শারীরিক সুস্থতা ও বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলের সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে ষাটোর্ধ মানুষ মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ। ২০৫০ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ বার্ধক্যে উপনীত হবে। বয়স্ক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য রক্ষায় ফিজিওথেরাপি কার্যকর সমাধান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এ খাতে নীতি সহায়তা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে।’
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, ‘ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন খাতে অপচিকিৎসা প্রতিরোধে ও সেবার মানোন্নয়নে রিহ্যাবিলিটেশন প্র্যাকটিশনার (ফিজিওথেরাপি) লাইসেন্স প্রদান এবং পেশাজীবীদের নিবন্ধন দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী মাজহারুল ইসলাম দোলন। তিনি বলেন, ‘ফিজিওথেরাপি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। সরকারি ও বেসরকারি সমন্বয় বৃদ্ধি পেলে এ খাত আরও শক্তিশালী হবে।’
বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. নেছার উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ; ডা. মো. রিজওয়ানুর রহমান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; এবং সিআরপি’র নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিপিএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. এম শাহাদাৎ হোসেন। সমাপনী বক্তব্য দেন বিপিএ’র সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
বক্তারা দ্রুত সময়ে বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের লাইসেন্স ও নিবন্ধন প্রদানের পাশাপাশি প্রাইমারি থেকে টারশিয়ারি লেভেল পর্যন্ত চিকিৎসকদের নবম গ্রেডে নিয়োগের দাবি সরকারের কাছে জানান।
এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ, নীতিনির্ধারক এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে দেশে ফিজিওথেরাপি সেবা আরও বিস্তৃত ও গ্রহণযোগ্য হবে।
৮৭ দিন আগে
ডেঙ্গু: আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭৩
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৭৩ জন রোগী।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন মারা গেছেন।
সবচেয়ে বেশি ১৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে ১০৪ জন।
পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩
নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪২০ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মোট ৩৪ হাজার ৯৮৪ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ ও ৪০ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
৮৭ দিন আগে
ঢামেকের তৃতীয় তলার ছাদের পলেস্তারা খুলে রোগী আহত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নাক, কান, গলা (ইএনটি) বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাদের একাংশের পলেস্তারা খসে পড়ে এক রোগীর আহত হয়েছেন।
আহত ওই রোগীর নাম সালমা বেগম (৩৮)। তিনি নাক কান গলা বিভাগের ৩০৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আহত নারী সালমা বেগম জানান, আমার কানের পর্দা ফেটে গেলে গত মঙ্গলবার দুই সেপ্টেম্বর নাক কান গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হই। ওই ওয়ার্ডের সিট না থাকায় আমি বারান্দায় পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছিলাম। আজ সকালে হঠাৎ আমার উপরে উপরে ছাদের কলেজ তারা খুলে পড়ে। এতে আমার ডান পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পাই। আমাদের বাসা চকবাজার থানার নাজিম উদ্দিন রোড এলাকায়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, সকালে আমি ডিউটিতে এসে দেখি হঠাৎ করে উপর থেকে ছাদের পলেস্তারা ভেঙে রোগীর উপর পড়েছে। ওই রোগীর পায়ে অনেক ব্যথা পেয়েছে। এই ভবনটি ১৯৪৬ সালের তৈরি করা অনেক পুরাতন হয়ে গেছে এর আগেও এই ওয়ার্ডে রোগীর উপরে পলেস্তারা ভেঙে পড়ে রোগী আহতের ঘটনা ঘটেছিল।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কেবিন ব্লকের ওয়ার্ড মাস্টার আব্দুল গফুর বলেন, ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাক কান গলা বিভাগের ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ে গেছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই। কোন রোগী আহত হয়েছে কিনা সে বিষয়টিও আমার জানা নাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিকবার মুঠো ফোনে ফোন দিলেও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান ফোন ধরেননি। পরে তাকে মেসেজ দেয়া হলেও তিনি কোন উত্তর দেননি।
৮৮ দিন আগে
বরিশালে ডেঙ্গু নিয়ে আরও ১০ রোগী হাসপাতালে
বরিশালে নতুন করে আরও ১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় এই রোগীরা হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে এখানে ৫০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন ১০ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া ১০ জন নিয়ে বর্তমানে এই হাসপাতালে ৫০ জন ডেঙ্গু রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছি আমরা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩
হাসপাতালের জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলছি বছরে হাসপাতালটিতে মোট ১ হাজার ২০৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ১৩৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মারা গেছেন ১১ জন। তবে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন কমছে।
উপপরিচালক শাহিন বলেন, ‘আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সিংহভাগ বরগুনা জেলার বাসিন্দা। ওই জেলাতেই আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।’
৮৯ দিন আগে
ডেঙ্গু: আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৬৩ জন রোগী।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দুইজন ও চট্টগ্রাম বিভাগে একজন মারা গেছেন।
সবচেয়ে বেশি ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ঢাকা বিভাগে ৭০ জন।
নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১২ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৫১ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মোট ৩৩ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪০ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
৯১ দিন আগে
ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৪৫
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৪৫ জন রোগী।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু হয়েছে বলে আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পড়ুন: ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৭৩
নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৬ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৯৯জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৪ দশমিক ৯ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩২ হাজার ৯৪৬ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
৯২ দিন আগে
নাটোর হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ, আক্রান্ত দেড় শতাধিক
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নাটোর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন মহল্লার দেড় শতাধিক বাসিন্দা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে নাটোর সদর হাসপাতালে এখনো ভর্তি রয়েছেন শতাধিক রোগী।
পানিবাহিত কারণে এসব এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে কিনা- তা তদন্ত করতে পৌরসভার বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা এলাকাগুলো পরিদর্শন করে পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
আক্রান্তরা জানান, গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত থেকে হঠাৎ করে পৌর এলাকার ঝাউতলা, কাঠালবাড়িয়া, চৌকিরপাড়, ডোমপাড়া, উলুপুর মহল্লার বাসিন্দাদের মধ্যে পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত রাত থেকে একের পর এক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী সদর হাসপতালে আসতে থাকে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সুমি খাতুন।
তিনি বলেন, সব রোগীই ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছে।
নাটোর পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উদয় কুমার সরকার জানান, আমরা পানির নমুনা সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিকভাবে এটি পানিবাহিত বলে মনে হচ্ছে না। তবে নমুনা পরীক্ষার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে পাঠানো হবে।
নাটোর পৌরসভার ওয়াটার সুপারভাইজার রবিউল ইসলাম জানান, আমরা সরেজমিনে আক্রান্ত এলাকাগুলো ঘুরে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, পানি পরীক্ষা করেছি। প্রাথমিকভাবে পানিতে জীবানুর অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
পড়ুন: যৌথ ব্যবস্থাপনায় চলবে ঢাকা, রাজশাহী ও সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতাল
তিনি বলেন নাটোর পৌরসভার ১২টি পাম্পের সাহায্যে একযোগে পানি উত্তোলন করে ইন্টার কানেকশনের মাধ্যমে পুরো পৌর এলাকায় সরবরাহ করা হয়। পানি খেয়ে এমন হলে পুরো নাটোর পৌর এলাকার মানুষ— যারা সাপ্লাই পানি পান করেন সবার আক্রান্ত হওয়ার কথা।
অতি গরমের কারণে খাবার থেকেও হতে পারে বলে ধারণা তার।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা. মুক্তাদির আরেফিন হাসপাতাল পরিদর্শন করে জানান, বিষয়টি অনুসন্ধানে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাই করে কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে।
৯২ দিন আগে