খুলনা
কুষ্টিয়ায় নির্বাচন অফিসে আগুন
কুষ্টিয়া জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অফিস ভবনের পেছনের জানালা দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে জানিয়েছেন অফিসের কর্মকর্তারা।
নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা জানান, খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নির্বাচন অফিসে আসেন জেলা প্রশাসক ইকবাল হোসেন। এরপর এ ঘটনায় সকাল ১০টার দিকে সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন তিনি।
নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তারক্ষী রাজ্জাক বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আমি তখন দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। ধোঁয়া ও আগুনের গন্ধ পেয়ে নিচে নেমে আগুন দেখতে পাই।
জেলা নির্বাচন অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যে কক্ষে আগুন দেওয়া হয়েছে, সেটি সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসের স্টোর রুম। এখানে ভোটারদের সমস্ত তথ্য জমা রাখা হয়। আগুন লাগায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসকও দেখতে গিয়েছেন। এখানে স্টোর রুমে একটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে কিংবা কারা দিয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
চুয়াডাঙ্গায় রোটা ভাইরাসের তাণ্ডব, ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ১৩৬৬
চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত ১৬ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেই শিশুসহ ১ হাজার ৩৬৬ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোরে গড়ে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন।
শীতের শুরুতে আবহাওয়া পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করাকেই রোগ বিস্তারের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন চিকিৎসকেরা। তবে আতঙ্কিত না হয়ে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
রোগীর চাপ এতটাই বেড়েছে যে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ধারণক্ষমতার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি রোগী ভর্তি হতে দেখা যাচ্ছে। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় অনেক শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক রোগীকে ঠান্ডা মেঝেতেই শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপি সরকারে গেলে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ করা হবে: অমিত
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে দেশ থেকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন যশোর-৩ (সদর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে যশোর প্রেসক্লাব আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে তরিকুল ইসলামের সন্তান হিসেবে, আপনাদের ভাই হিসেবে, আমি এমন কোনো কাজ করবো না যাতে মাথা হেট হয়ে যায়। সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানই ছিল যশোরের রাজনীতির ঐতিহ্য। বিগত দেড় দশকে সেই ঐহিত্যকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। বিজয়ী হতে পারলে সেই ঐহিত্য পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও উন্নত যশোর উপহার দেওয়া হবে আমার প্রাথমিক দায়িত্ব।
নির্বাচনে প্রার্থীদের ঝুঁকির বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি স্রষ্টায় বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি, তিনি যা কপালে লিখবেন, তা-ই হবে। আর রাজনীতি মানেই হলো ঝুঁকি। বিগত ১৬ বছর আমিসহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম ঝুঁকি নিয়েই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। এখন নির্বাচনের সময় এসে সেই বিষয় নিয়ে ভাবলে হবে না। আপনারা শুধু দোয়া করবেন।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান ও সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মো. ইসহক, অ্যাডভোকেট জাফর সাদিক, গোলাম রেজা দুলু, লোকসমাজের প্রকাশক শান্তনু ইসলাম সুমিত, যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, নগর সভাপতি চৌধুরী রফিকুল ইসলাম মুল্লুক চাঁদ, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন।
সাংবাদিকদের মধ্যে সভায় আলোচনা করেন যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ দিনু আহমেদ, লোকসমাজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আনোয়ারুল কবির নান্টু, প্রেসক্লাব যশোরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহসান কবীর প্রমুখ।
২ দিন আগে
খুলনায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
খুলনা নগরীর দোলখোলা ইসলামপুর মোড়ের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তানভীর কবির তপু (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে হোটল বিলাসী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হোটেল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানান, হোটেল বিলাসীর দুই তলার একটি কক্ষে দুইজন ভাড়া থাকতেন। দুই দিন আগে ওই কক্ষের অপরজন বাড়িতে চলে যান। রাতে তানভীর কক্ষের ভেতর থেকে আটকিয়ে দিয়ে সেখানে অবস্থান করেন। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে খবার দিতে গিয়ে দরজায় আঘাত করে ভেতর থেকে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের ডাকে হোটেল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে স্থানীয়রা খবর পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ওই যুবকের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তার মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত করছে।
৩ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় একটি কাভার্ড ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে লালন শাহ সেতুর আগে কুষ্টিয়ামুখী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— পরিদর্শক মোজাহারুল ইসলাম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কয়েদ উদ্দিন। তারা পাবনা জেলার ঈশ্বরদী ডিএসবি’তে কর্মরত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান, ঈশ্বরদী থেকে কুষ্টিয়ার দিকে আসছিলেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। লালন শাহ সেতু পার হয়ে এসে কুষ্টিয়ামুখী সড়কে অজ্ঞাত একটি কাভার্ডভ্যান পেছন থেকে তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারা।
নিহতদের মরদেহ ২৫০ সংখ্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আবু ওবায়েদ।
৪ দিন আগে
আগামীকাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামীকাল (মঙ্গলবার) যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে বন্ধ থাকবে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরের কার্যক্রম। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত চালু থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। বন্দর ও কাস্টমসের সকল কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে আগামী বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিজয় দিবসের ছুটিতে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বেনাপোল দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
৫ দিন আগে
বেনাপোলে হুন্ডির ১৭ লাখ টাকাসহ দুই ভারতীয় নারী আটক
যশোরের বেনাপোল চেকপোস্টে হুন্ডির ১৭ লাখ টাকাসহ দুই ভারতীয় নারীকে আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৫ (ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চেকপোস্ট কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন।
এর আগে গতকাল (রবিবার) রাত ৮টার দিকে টাকাসহ তারা আটক হন।
আটক দুই নারী হলেন— ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার বনগাঁ থানার রায়পুর গ্রামের আনন্দ বৈদ্যর স্ত্রী রীনা বৈদ্য (৩৭) ও একই এলাকার মৃত সানোয়ার শাহাজীর স্ত্রী মুক্তি শাহাজি (৫৪)।
রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রবিবার ভারতের পাসপোর্টধারী দুই নারী বাংলাদেশে প্রবেশের পর ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাস্টমস স্ক্যানিং তল্লাশি কেন্দ্রে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে ১৭ লাখ টাকা জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, তারা এক হাজার টাকার বিনিময়ে ওই টাকা বাংলাদেশে নিয়ে আসছিলেন।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, জব্দ করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।
৫ দিন আগে
আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজসহ সাত দাবিতে কুষ্টিয়ায় রেলপথ অবরোধ
কুষ্টিয়ার মিরপুরে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের স্টপেজ চালু, স্টেশন মাস্টার নিয়োগ, প্ল্যাটফর্ম উঁচুকরণ ও আধুনিকায়নসহ সাত দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশনে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়ে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।
কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অবরোধের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি মিরপুর স্টেশনে আটকে পড়ে। এতে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচলে সাময়িক অনিশ্চয়তা ও শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দেয়।
অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল গফুর, বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল করীম, উপজেলা জামায়াতের আমির রেজাউল হক, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান, মিরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান রিমনসহ আরও অনেকে।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন অবহেলিত। আন্তঃনগর ট্রেনের নিয়মিত স্টপেজ না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ নানা ক্ষেত্রে এলাকাবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তাই সকল বাধা দূর করে মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়নের সাত দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তারা।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক বলেন, রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা জেলা প্রশাসক শেষে জানিয়েছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে এলাকাবাসী বলেন, আজকেই সকল দাবি পূরণের সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসলে অবরোধ কর্মসূচি চলতে থাকবে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।
৫ দিন আগে
খুলনায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবক নিহত
খুলনার রূপসায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে সাগর শেখ (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে রূপসা সেতুর পূর্বপাশে জাপুসা এলাকার চৌরাস্তার পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে।
সাগর শেখ গ্রীন বাংলা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফয়েক শেখের ছেলে। তিনি পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাগর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে কয়েকজন তার গতিরোধ করে তাকে গুলি করতে থাকে। একটি গুলি তার মাথায় ও অপরটি হাঁটুতে লাগে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন।
রূপসা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গৌতম জানান, গোলাগুলির শব্দ শুনে স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান রাত ১১টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ দাশ বলেন, রাতে জাপুসা এলাকায় ডিউটিতে ছিলাম। থানা থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি ওই এলাকায় জমি কিনে নতুন বাড়ি করেছেন। তবে কারা এবং কী কারণে তাকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মীর বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু হয়েছে।
৫ দিন আগে
খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, ৩ জন আটক
খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্রের যন্ত্রাংশ জব্দের পাশাপাশি ৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহানগরীর জোড়াগেট এলাকার এইচআরসি ভবনের পাশের গলিতে অবস্থিত ওই কারখানার অভিযান চালায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল।
পুলিশের দাবি, কারখানা থেকে অস্ত্র তৈরির ছাঁচ, সিসা, ট্রিগার, ট্রিগার গার্ডসহ প্রায় ৩০-৩৫ টি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন— দোহা আয়রন ফাউন্ডার কারখানার মালিক নজরুল ইসলাম, কর্মচারী শহিদুল ও আকবর আলী।
কেএমপির ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ডিবির কাছে তথ্য ছিল, এখানে একটি অস্ত্রের কারখানা রয়েছে, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যাবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তাদের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেছে এবং তথ্যের সত্যতাও পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ওই কারখানাটি থেকে অস্ত্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র যে ছাঁচের মধ্যে তৈরি করা হয়, সেগুলোও আমরা উদ্ধার করেছি। এই কারখানায় অন্যান্য কাজের পাশাপাশি অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, এসব অস্ত্র যেখানে ফিনিশিং দেওয়া হয়, সেখানেও অভিযান চলছে। এ লক্ষ্যে ডিবির টিম কাজ করছে।
ডিবির এই টিম ভালো কাজ করেছে উল্লেখ করে ডেপুটি কমিশনার বলেন, কেএমপি এলাকায় অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। আমাদের এত কাছে অস্ত্রের কারখানা রয়েছে, এটি উদ্বেগজনক। মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে এ ধরনের কারখানা থাকবে, আর আমরা কেউ জানব না, এটা হতে পারে না। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম বলেন, আমরা আপাতত এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছি। এই অস্ত্র তৈরির মূল কারিগরকে ঈশ্বরদী থেকে আনা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এখানে অস্ত্রের বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয়। ট্রিগার, ট্রিগার গার্ডসহ ঢালাই করে যেসব জিনিস বানাতে হয়, সেগুলো এখানে তৈরি হচ্ছিল। এখানে ৩০-৩৫টি অস্ত্রের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। তবে বাটের কাঠের অংশ, স্প্রিং অন্যস্থানে সংযোজন করা হয়। সেখানেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরবর্তীতে জানানো হবে।
তিনি বলেন, অনেক আগে থেকে এখানে অস্ত্র তৈরি করা হয় বলে জানতে পেরেছি। এর আগেও এখান থেকে বেশ কয়েকবার খুলনা ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।
৬ দিন আগে