ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ছেলের কলমের আঘাতে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
ময়মনসিংহের ভালুকায় দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ছেলের কলমের আঘাতে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্ব ভালুকার কোনাপাড়া এলাকায় ছেলের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ হত্যার অভিযোগে ছেলে রাব্বিকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুনের অভিযোগ
নিহত মজিবুর রহমান ওরফে পান্না মাস্টার ভালুকার মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, পান্না মাস্টার তার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের না জানিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে এবং পরে তালাক হয়। এরপরও কেন যোগাযোগ অব্যাহত রাখে তা নিয়ে পরিবারে কলহ বাধে। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রীর ছেলে রাব্বি কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতে থাকা কলম দিয়ে বাবাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় পান্নাকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘পান্না মাস্টারের মৃত্যু ছেলের কলমের আঘাতে হয়েছে না কি অন্য কোনো কারণে হয়েছে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত না। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে, কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর ছেলেকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়ধীন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় ভ্যান অরোহী ৩ জন নিহত
ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪
ময়মনসিংহ সদরের আলালপুরে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ জন।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে আলালপুর সবজিপাড়া মিলার্স অটো রাইস মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আহত ৫
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার আলালপুর নামকস্থানে নালিতাবাড়িগামী একটি বাসের সঙ্গে ময়মনসিংহগামী অপর একটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন বলেন, বাসটি আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছেন। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়ধীন।
আরও পড়ুন: ৩ জেলায় বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ
বাগেরহাটে ট্রাকচাপায় ভ্যান অরোহী ৩ জন নিহত
শেরপুরে বন্যহাতি আক্রমণে কৃষক নিহত
শেরপুরে বন্যহাতির কবল থেকে খেতের ফসল রক্ষা করতে হাতির আক্রমণে এক কৃষক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদের বাতকুচি গ্রামের টিলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওমর আলী মিস্ত্রী (৫০) ওই গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে।
বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যহাতির আক্রমণে বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যু
স্থানীয় গ্রামবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে সীমান্ত জনপদে বোরো ধান পাকতে শুরু করায় খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতির দল পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসছে। এলাকার কৃষকরা তাদের খেতের ফসল রক্ষায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছিলেন এবং ধান খেতে নামা বন্যহাতির দলকে তাড়িয়ে পাহাড়ে পাঠাচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দিনভর চৌকিদার টিলা ও সমেশ্চুড়াসহ আশপাশের পাহাড়ে বন্যহাতির দল বিচরণ করছিল। অন্যান্য দিনের মতো ওমর মিস্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে তার উঠতি বোরো ধানখেত পাহারা দিতে যান। তবে অন্যান্য রাতে আশপাশে স্থানীয় অনেক কৃষক থাকলেও গতকাল রাতে তিনি একাই পাহাড়ের ভেতরে ধানখেতে অবস্থান করছিলেন।
এ অবস্থায় রাত প্রায় সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে একদল বন্যহাতি পাহাড় থেকে নেমে এসে হামলা চালায়। তার লাশ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছিল। কিছুক্ষণ পর এলাকাবাসী ওমর মিস্ত্রীকে দেখতে না পেরে ঘটনাস্থলে গেলে তার ছিন্নভিন্ন লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ফের বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার, পরিবেশবাদীদের উদ্বেগ
ময়মনসিংহে বিয়ের বাজার শেষে ট্রেনে কাটা পড়ে চাচা-ভাতিজির মৃত্যু
ময়মনসিংহ নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনে নতুন বাজার রেলপথ ক্রসিংয়ের আগে আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলে অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে একজন নগরীর উজান বাড়েরা গ্রামের আব্দুর রহমান (৬০) ও অন্যজন তার ভাতিজি শেফালী আক্তার (৪০)।
নিহত আব্দুর রহমান সিটি করপোরেশনের উজান বাড়েরা এলাকার নুর হোসেনের ছেলে। আর শেফালী একই বাড়ির রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছেন অটোরিকশার (মিশুক) চালক।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ-জামালপুর রুটে প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, আব্দুর রহমান ও তার ভাতিজি শেফালী আক্তার শহর থেকে তাদের এক আত্মীয় (ভাগিনার) বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন।
রাত সোয়া ১০টার দিকে দেওয়ানগঞ্জগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশন স্টেশন ছাড়ার পর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনের লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী অটোরিকশা পঁচাপুকুরপাড় সড়কে উঠে পড়ে। এ সময় ওই অটোরিকশার যাত্রীরা ট্রেনে কাটা পড়ে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
রিকশার দুই যাত্রী আব্দুর রহমান ও শেফালী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় বরের মুকুট, কাপড়, মিষ্টি, পান-সুপারিসহ বিয়ে বাড়ির অন্যান্য সামগ্রী।
খবর পেয়ে পুলিশ ও জিআরপি ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত আব্দুর রহমানের ছোট ভাই হাবিব বলেন, ‘তাদের ভাগিনা খোকার বিয়ে ঠিক হয় শহরতলীর আজমতপুর এলাকায়। আগামীকাল (২৪ এপ্রিল) তাদের বাড়িতে গায়ে হলুদ ও বিয়ে। এই বিয়ের বাজার করতেই তারা শহরে যায়। বাজার করে ফেরার পথেই তারা ট্রেনে কাটা পড়ে।’
জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ঘটনাটি ময়মনসিংহে হলেও এটা জামালপুর থানার অধীনে। আমরা লাশ দুটি উদ্ধার করেছি। পরে জামালপুর জিআরপির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’
ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ময়মনসিংহ-জামালপুর রুটে প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
ময়মনসিংহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
ময়মনসিংহের নান্দাইলে পূর্ব শত্রুতার জেরে রানা আহমেদ (৩৪) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
রবিবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের বনাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রানা ওই গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বনাটি গ্রামের আবুল হাসেমের সঙ্গে প্রতিবেশী বকুল গংদের বেশ কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছিল। রবিবার মধ্যরাতে রানা বাড়ির পাশে বসে মোবাইল চালাচ্ছিল। এ সময় প্রতিপক্ষরা পেছন দিক থেকে দা-বল্লম দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। রানার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। পরে রানাকে উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জমি নিয়ে বিরোধে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, ২০১৯ সাল থেকে হাসেম ও বকুল গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে সেই বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারপরেও হত্যার বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে আ. লীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় নিহত ১, মা-মেয়ে আটক
শেরপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মাজেদা বেগমের লাঠির আঘাতে মোরাদ হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নকলা উপজেলার টালকি ইউনিয়নের পূর্ব টালকি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মোরাদ হোসেন পূর্ব টালকি গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকার কল্যাণপুরে একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে নিহত ১
এ ঘটনায় নকলা থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা বেগম ও তার মেয়ে খুশী বেগমকে আটক করেছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানা যায়, বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে গ্রামের মোরাদ হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই জালাল উদ্দিনের বিরোধ চলছিল। এর জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী মাজেদার সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মাজেদা লাঠি দিয়ে মোরাদের মাথার পেছন দিকে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয় জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা বেগম ও তার মেয়ে খুশী বেগমকে আটক করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে জমি নিয়ে বিরোধে ছোট ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কিশোরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে ছুরিকাঘাতে একজন খুন
ময়মনসিংহে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু খুনের অভিযোগ
ময়মনসিংহে তুচ্ছ ঘটনার জেরে সামির নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে তারই এক বন্ধু খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরাফাত নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে জেলা শহরের সানকিপাড়া রেল ক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সামির নগরীর ইটাখলা রোড এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে। এবং আরাফাত নগরীর কাচিরঝুলি হামিদ উদ্দিন রোড এলাকার আরমানের ছেলে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, রাত ১০টার দিকে সামিরসহ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব সানকিপাড়া নতুন পল্লী রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। হঠাৎ তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সামিরকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত সামিরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ সময় ছুরিকাঘাতে বাঁধা দেওয়ায় অপর এক যুবক আহত হয়েছে।
তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওসি তদন্ত আরও জানান, পুলিশ এ ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে। তবে, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে সেটি জানার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংর্ঘষে নিহত ২, আহত ২০
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের তারাকান্দা উপজেলার কোদালধর বাজারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াজেদ আলী বলেন, ঢাকা থেকে শেরপুরগামী একটি বাস সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কোদালধর বাজারের কাছে পৌঁছালে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী আরেকটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত বাস ২টি সড়কের পাশে জমিতে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের ২ যাত্রী নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা যৌথভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করে। লাশ উদ্ধারের পর ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১৬ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ১৩
মেহেরপুরে পাখিভ্যান-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১
ময়মনসিংহে ঈদগাহ মাঠে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের ঈদগাহ মাঠে শাহজাহান মিয়া (১৯) নামে এক পোশাকশ্রমিককে গত্যা করা হয়েছে।
ঈদ উদযাপনের জন্য বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। শাহজাহান উপজেলাটির রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আবদুর রশিদ মাস্টার ও নূরুল ইসলামের বংশের লোকজনের মধ্যে বিরোধ বহু দিনের পুরোনো ছিল। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নুরুল ইসলামের বংশের লোকজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ফয়সালের পোস্টার টানায় এলাকায়। কিন্তু এলাকায় থাকলে ফয়সালের নির্বাচন করা যাবে না বলে হুমকি দেয় রশিদ মাস্টারের লোকজন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে বুধবার উচাখিলা বাজারের দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
বৃহস্পতিবার ঈদের দিন উজানচর উত্তরপাড়া ঈদগাহ মাঠে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ ও খুৎবা শেষে দোয়ার আগ মুগূর্তে নূরুল ইসলামের ছেলে শাহজাহান মিয়াকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রশিদ মাস্টারের ছেলে নাতি পিহান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান কবীর সাজু বলেন, দুই বংশের মধ্যে আগে থেকে বিরোধ ছিল। বুধবারও উচাখিলা বাজারে মারামারি হয়। এর জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে রশিদ মাস্টারের লোকজন। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে বিরোধ তৈরি হয়। ঈদের জামাত শেষে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনাটি ঘটে। তাৎক্ষণিক একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্তত ৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। হত্যাকাণ্ড ঘিরে বিশৃংখলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
শেরপুরে ১৫ বছর পালিয়ে থাকার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
শেরপুরে এক সেনা সদস্যকে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে উত্তরার পলওয়েল মার্কেটের সামনে থেকে জামালপুর র্যাব-১৪ ও ঢাকার উত্তরার র্যাবের সিপিসি -২ এর সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার(৬ এপ্রিল) দুপুরে তাকে শ্রীবরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার
র্যাবের জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায় ২০০৯ সালে সেনা সদস্য বটন কান্তি বড়ুয়াকে হত্যার দায়ে ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর আদালত বাবুল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। নিহত সেনা সদস্য চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার আনোয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকার মাটিকাটা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সস্ত্রীক বসবাস করতেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত বাবুলের মাধ্যমে শ্রীবরদীতে কবিরাজের কাছে স্ত্রীর চিকিৎসা নিতে গিয়ে ওষুধের টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে হত্যার শিকার হন বটন কান্তি। এমনকি ঘরের মেঝেতে লাশ পুতে গুম করতে সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই দেওয়া হয়। ঘটনার ৪ দিন পর লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
গ্রেপ্তার বাবুল মিয়া নিজের নাম পরিবর্তন করে রেখেছিলেন মোস্তফা কামাল নামে জাতীয় পরিচয়পত্রও সংগ্রহ করেছিলেন। তবে তিনি তার পুরোনো পেশা সবজির ব্যবসা করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার