ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শুক্রবার বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং এর উত্থান ও সমৃদ্ধি বিশ্বের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প।
শুক্রবার বাংলাদেশি যুব প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাত করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন বন্ধু এবং অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। এবং বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়নের যাত্রা ভাগাভাগি করে চলেছে।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, তাদের জন্য এই চেতনা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ, যা দু'দেশ এবং জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বকে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা যেভাবে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে কঠোর পরিশ্রম করে, তাদেরও উচিত ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও বন্ধুত্বের সোনালী যুগের সূচনা করতে একই আবেগ ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করা।
দ্রৌপদী মুর্মু আরও বলেন, প্রত্যেক ভারতীয়ের হৃদয়ে বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
ভারতীয় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমাদের দেশগুলোর গভীর সভ্যতাগত সম্পর্ক রয়েছে। আমরা শিল্প, সঙ্গীত এবং সাহিত্যসহ নিজেদের মধ্যে অনেক কিছু শেয়ার করি’ ।
তিনি বলেন, ভারত সর্বদা বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয় এবং তারা এর পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
‘আমাদের গভীর সহযোগিতায় উভয় দেশ সম্পর্কের প্রতি গুরুত্ব দেয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দিল্লি এবং লন্ডনে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা স্মরণ করেন দ্রৌপদী।
এছাড়াও, রাষ্ট্রপতি বলেন ‘ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি যুবকদের নিয়ে গঠিত এবং বাংলাদেশের জনসংখ্যা আমাদের মতই, যেখানে একটি বিশাল যুব জনসংখ্যা রয়েছে।’