তিনি বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ এপ্রিল থেকে বিদেশি চ্যানেলে ডাউনলোড করে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন দেখানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনো কিছু কিছু চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা দুটি পরিবেশককে নোটিস দিয়েছি। আমরা কোনা চ্যানেল বন্ধ করিনি। যে দুটি চ্যানেল এখনও বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে তাদেরকে নোটিশ দিয়েছে আগামী সাত দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য।’
তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনেমা হল মালিকদের সাথে আলোচনা সভার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে ডাউনলিংক করে বিদেশি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। সরকার এ সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, কেবল, টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ এর উপ ধারা ১৯ (১৩) এর বিধান লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে ডাউনলিংকৃত বিদেশি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে পরিবেশক সংস্থা ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেড এবং জাদু ভিশন লিমিটেডকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
‘বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো যে পরিমাণ বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন পাওয়ার কথা ছিল বর্তমানে তা পাচ্ছে না। প্রতিবছর বাংলাদেশের ৫০০-১০০০ কোটি টাকা অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। বিদেশি কোনো চ্যানেলে ডাউনলোড করে বিজ্ঞাপন না দেয়ার আইন ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আছে। আমাদের দেশে আইনটা ছিল, কিন্তু এতদিন কার্যকর ছিল না। আমি এখন এই আইনটি কার্যকর করছি,’ যোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, রবিবার রাত থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের সর্বত্র জি বাংলা, জি সিনেমা ও জি টিভিসহ ভারতীয় জি নেটওয়ার্কের সব চ্যানেল দেখা যাচ্ছে না।