রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকায় একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার গাড়ি থেকে ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাকা ও নেত্রকোনা জেলা থেকে মূলহোতাসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি গোয়েন্দা দল।
তাদের কাছ থেকে ৫৮ লাখ ৭০ হাজার লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফপ্তার হওয়া ডাকাতরা হলেন- মোহাম্মদ হৃদয় (২১), মোহাম্মদ মিলন মিয়া (২৯) ও ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া ও জনসংযোগ) ফারুক হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপির একটি গোয়েন্দা দল রাজধানীর বনানী এলাকার কড়াইল বস্তিতে এবং নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার ও ৭ কোটি ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাতদের মধ্যে আকাশ ও সোহেল রানা ডাকাতির ছক কষে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে।
বর্তমানে পলাতক সোহেল রানা একটি প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সি মানি প্ল্যান্ট লিংক লিমিটেডের চালক ছিলেন এবং গাড়ির গতিবিধি সম্পর্কে তিনি ভালোভাবে জানতেন।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে পাওয়ার প্লান্টের চীনা কর্মীদের আবাসস্থলে হামলা ও ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৫
ডাকাত দল ওই দিন কোনো বাধা ছাড়াই গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় বলেও জানানো হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, সুনামগঞ্জ, সিলেট, নেত্রকোনা, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল থেকে এই চক্রের সদস্যরা সংগ্রহ করেছে। ডাকাতির পর তারা তাদের অংশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আকাশ ও সোহেল টাকার সিংহভাগ নেন।
রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকায় সাভারে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএমে টাকা ভরতে গিয়ে মানি প্ল্যান্ট লিমিটেডের গাড়ি থেকে ১১ কোটি টাকার নগদ টাকা লুট করেছে ডাকাতরা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা দলগুলো ঢাকা, এর আশপাশের এলাকা ও সুনামগঞ্জ থেকে আড়াই কোটি ৫৩ লাখ টাকার বেশি উদ্ধার করে এবং আটজনকে গ্রেপ্তার করে।
ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার উত্তরায় গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতি