বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, দেশে 'বাকশাল-২' কায়েম করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) সম্প্রতি কারাগার থেকে বের হওয়া ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম পলের বাসায় সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. আব্দুল মঈন এ কথা বলেন।
আব্দুল মঈন বলেন, ‘আপনারা জানেন, অতীতে গণতন্ত্রকে হত্যা করে সংসদে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। এখন বিরোধীদের কোনো জায়গা নেই। এখন এটাই আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করা অসম্ভব।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।’
তিনি বলেন, ‘তারা বলে বিএনপির জন্ম নাকি ক্যান্টনমেন্টে… আমি জানি না তারা কোথা থেকে এই তথ্য পেয়েছে, তবে আমি বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই। জিয়াউর রহমান সৈনিক ছিলেন, কিন্তু তিনি বাকশাল শাসন থেকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নিজেদের গণতন্ত্রপন্থী ও স্বাধীনতাকামী দল বলে দাবি করলেও গণতন্ত্র চুরি করে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করেছে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ: মেজর হাফিজ
তিনি আরও বলেন, ‘এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য।’
ড. মঈন প্রশ্ন করেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল, তাহলে তারা কেন দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে?’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল চেতনা গণতন্ত্র। ৫৩ বছর আগে আমরা বলেছিলাম, পাকিস্তান কাঠামোতে গণতন্ত্র সম্ভব নয় এবং তার জন্যই বাংলাদেশ গঠিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সহাবস্থানে, কিন্তু আওয়ামী লীগ তা বিশ্বাস করে না।’
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী