তার পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন।
সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘কারাকর্তৃপক্ষ গত ৮ তারিখে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরিয়ে নিয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি উনার চিকিৎসা সম্পন্ন হয়নি। উনার চিকিৎসায় যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল সেই বোর্ডের প্রধানও দেশের বাইরে ছিলেন। বোর্ডের অন্যান্য সদস্য যারা ছিলেন তাদের মতামতকেও প্রাধান্য দেয়া হয়নি। যতটুকু জানতে পেরেছি খালেদা জিয়াকে যারা চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তাদের কারও ছাড়পত্র নেয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ছাড়পত্র দিয়েছেন হাসপাতালের একজন সহকারি পরিচালক।
‘আমরা রিট আবেদনে বলেছি, হাইকোর্টের নির্দেশে তার চিকিৎসা চলছিল। চিকিৎসা শেষ না করেই যেহেতু তাকে ফিরিয়ে
নেয়া হয়েছে, সেহেতু যে চিকিৎসা চলছিল সেই চিকিৎসা যেন অব্যাহত রাখা হয়। রিট আবেদনটির ওপর সোমবার শুনানি হতে পারে,’ যোগ করেন এ আইনজীবী।ৎ
এর আগে কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবিতে করা রিটটি গত ৪ অক্টোবর নিষ্পত্তি করে কিছু নির্দেশনা, পর্যবেণসহ আদেশ দে হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।
আদালত খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নতুন করে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে ও অবিলম্বে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি ও চিকিৎসাসেবা শুরুর নির্দেশ দেয়।
এরপর ৬ অক্টোবর তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। পরে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে হাজির করার জন্য গত ৮ নভেম্বর কারাকর্তৃপক্ষ তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার রায় ঘোষণার পর থেকেই নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে রাখা হয় খালেদা জিয়াকে। বর্তমানেও সেই কারাগারে একমাত্র বন্দী হিসেবে রয়েছেন তিনি।