তিনি বলেন, ‘ধর্মের অপব্যবহার করে একতা নষ্ট করা অসাংবিধানিক। আমাদের স্বাধীনতার মূল অর্জন হলো সবার জন্য সমতা নিশ্চিত করা। ধর্মের ভিত্তিতে জনগণের মধ্যে বিভাজন ও বৈষম্য সৃষ্টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বৈষম্য হলো নীতি, ঐতিহ্য ও ধর্মের পরিপন্থী।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি শোক ও সংহতি শীর্ষক আলোচনায় ড. কামাল বলেন, ‘একটি জাতি হিসাবে, আমরা অ-সাম্প্রদায়িক এবং আমরা আন্তরিকভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি কারণ আমরা এখানে সমস্ত ধর্মের মানুষ একসথে বসবাস করি।’
ঐক্যফ্রন্ট প্রধান নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
ধর্মের অপব্যবহার করা যায় না এমন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সকল ধর্মের সাথে ঐক্য গড়ে তোলার দায়িত্ব সবার।
গণফোরামের প্রেসিডেন্ট ড. কামাল বলেন, স্বাধীনতার অর্জন বজায় রাখার জন্য দেশের সকলের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতির ঐক্য অবশ্যই ছড়িয়ে পড়তে হবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে ধর্মের অপব্যবহার করা হয়েছিল। ‘পাকিস্তানি শাসকরা ধর্মের ভিত্তিতে জনগণকে বিভক্ত করার জন্য সাম্প্রদায়িকতা গড়ে তুলেছিল।’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারমান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ড. সুকমল বড়ুয়া প্রমুখ।