মঙ্গলবার দুপুরে নিজ সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
গ্রেপ্তার আলমগীর হোসেন (৩০) লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোস্তফী এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে। তিনি নিহত চালক বেলাল হোসেনের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী লাবনী বেগমের দুলাভাই।
নিহত মাইক্রোবাস চালক বেলাল হোসেন (২৯) লালমনিরহাট সদর উপজেলার হাড়িভাঙ্গা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, শ্যালিকা লাবনী বেগমের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল দুলাভাই আলমগীর হোসেনের।
গত ২৪ জুন হঠাৎ করে পারিবারিকভাবে লাবনী বেগমের সাথে বিয়ে হয় মাইক্রোচালক বেলালের। এ বিয়ে মেনে নিতে পারেননি নববধূ লাবনীর পরকীয়া প্রেমিক দুলাভাই আলমগীর হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেলাল হোসনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি।
গত ২৫ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে আলমগীর হোসেন বেলালকে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ান। এরপর তাকে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের যুগিটারী গ্রামে নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে পাটক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ২৭ জুলাই স্থানীয়দের দেয়া খবরে বেলালের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় পরদিন নিহত বেলালের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যা মামলাটি আদিতমারী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আনিচুর রহমান আনিচ তদন্ত করে সন্দেহজনকভাবে বেলালের নববধূ লাবনী বেগমকে (২১) আটক করে।
পরে তার দেয়া তথ্যমতে গত সোমবার সদর উপজেলার বড়বাড়ি থেকে আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আলমগীর হোসেনের দেয়া তথ্যমতে হত্যার অস্ত্র ও ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাতক আলমগীর হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) আনিচুর রহমান আনিচ উপস্থিত ছিলেন।