মৃতরা হলেন- চৈতি রানী (৩০) ও স্বরজনি বালা (৫০)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়।
চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল জানান, মঙ্গলবার বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান ওই এলাকার রাম কিশোরের স্ত্রী পঞ্চমী বেওয়া (৯০)। পরে তাকে দেখতে তার ছয় মেয়েসহ স্বজনরা বাসায় আসেন। বিকালে পঞ্চমীর লাশ বাড়ির পাশের শ্মশানে সৎকার করা হয়। সব অনুষ্ঠানে শেষে বাড়ি ফেরার সময় পঞ্চমীর ছোট মেয়ে হঠাৎ চৈতি বুকে ব্যথা অনুভব করেন এবং কিছুক্ষণ পরেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। মাইক্রোবাসে করে তাকে নিয়ে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে তার বড় বোন স্বরজনি বালাও বুকে ব্যাথা অনুভব করেন এবং একইভাবে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাদের দু’জনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক চৈতি ও স্বরজনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
চন্দনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাকারিয়া হাবিব জানান, পঞ্চমী বেওয়া মারা যাওয়ার পর তার মেয়েরা অত্যধিক কান্না-কাটি করেছিল। শোক সহ্য করতে না পেরে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
পঞ্চমী বেওয়ার নাতি কামিনী কুমার রায় বলেন, ‘ছোট পিসি (চৈতি) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মাইক্রোবাসযোগে ঠাকুরগাঁও নিয়ে যাচ্ছিলাম। বড় পিসিও (স্বরজনি) গাড়িতে ছিল। ছোট পিসিকে দেখে একসময় বড় পিসিও অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। দু’জনকে ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাকিবুল আলম বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছিল। তাদের হৃদরোগ থাকতে পারে। মায়ের মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরেও এমনটি হতে পারে।’
বুধবার সকালে পঞ্চমীর দুই মেয়ের স্বামীর বাড়ির এলাকায় তাদের সৎকার সম্পন্ন হয়েছে। মায়ের পর একইদিনে দুই মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসছে।