পদ্মা সেতু দিয়ে যে গ্যাস আসছে তার সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদ।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা শ্রম সমস্যা প্রতিরোধ কমিটি এবং শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটির সভা দুটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ.কে. আজাদ শ্রম সংকট নিরসন ও শিশুশ্রম প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ পেশ করেন।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরে গ্যাস সংযোগ চালু হবে। কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে কলকারখানা গড়ে উঠলে গ্যাসের সঠিক ব্যবহার হবে না। তাই জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বেশ কিছু কলকারখানা গড়ে তোলা যায় এমন একটি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করার জন্য এখন থেকেই উদ্যোগী হতে হবে।
পদ্মা সেতুকে যুগান্তকারী আখ্যা দিয়ে এ. কে. আজাদ বলেন, এই সেতুর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণবঙ্গের জন্য উন্নয়নের দ্বার খুলে দিয়েছেন। সেই সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।
ফরিদপুরের শিল্প মালিকদের নিয়ে শিগগিরই সভা করে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন তিনি।
একই সঙ্গে বিভিন্ন শিল্পকারখানায় বিদ্যমান শ্রম আইন মেনে চলা হচ্ছে কি না, শ্রমিকরা ন্যায্য বেতন পাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হতে আহ্বান জানান এই সংসদ সদস্য।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান বলেন, শুধু শিশুশ্রম বন্ধ করে তাকে কর্মক্ষেত্র থেকে উঠিয়ে আনলেই চলবে না, তার পুনর্বাসন ও লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রে কর্মরতদের এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ জানান তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসউদা হোসেন, মালিকপক্ষের প্রতিনিধি শাহিনুর রহমান, ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা শ্রম কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম আহমেদ, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি মোহাম্মদ রুবেল শেখ, বিসিক ফরিদপুরের ডিজিএম হ.র.ম. রফিকুল্লাহ প্রমুখ।