মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এর সাথে পরকীয়ার কোনো ঘটনাও থাকতে পারে।
‘পিবিআই ও সিআইডিসহ পুলিশ সদস্যরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উদঘাটনে নিবিড়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। খুব শিগগিরই হত্যাকারীকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে,’ বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর কাউন্নারা এলাকা থেকে সৌদি প্রবাসী মজনু মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম (২৬) ও তার ছেলে নূর মোহাম্মদের (৬) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, রাতের কোনো একসময় মা-ছেলে খুন হন। পারভীনকে গলাকেটে ও ছেলে নূর হোসেনকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। দুর্বৃত্তরা কীভাবে ঘরে প্রবেশ করেছে, তা এখনও বলা যাচ্ছে না। কক্ষের দরজা ভাঙা হয়নি, খোলা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে চুরির কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি।
নিহত পারভীনের শ্বশুর আবদুর রহমান জানান, বাড়িটি তাদের নিজের। দোতলা বাড়ির একটি ইউনিটে পারভীনের সাথে তিনি ও তার স্ত্রী থাকেন। আরেকটি ইউনিটে তার অন্য দুই ছেলে পরিবার নিয়ে থাকেন।
বুধবার খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ১০টার দিকে সবাই ঘুমাতে যান। পারভীন ছেলে নূর হোসেনকে নিয়ে তাদের ফ্ল্যাটে ঘুমিয়ে পড়েন।