মোকাবিলা
আসন্ন জলবায়ু সংকট এড়াতে প্রধান অর্থনীতিগুলোকে অবশ্যই ন্যায্য অংশীদারিত্ব করতে হবে: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী
অভিযোজন ও প্রশমনের মধ্যে জলবায়ু অর্থায়নের সমান বণ্টনের জন্য ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বারবার আহ্বানে খুব কম সাড়া পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে 'ডেলিভারিং ক্লাইমেট জাস্টিস: অ্যাক্সিলারেটিং অ্যাম্বিশন অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন অন অ্যাডাপ্টেশন অ্যান্ড ওয়ার্নিংস ফর অল' শীর্ষক জলবায়ু উচ্চাকাঙ্ক্ষা বিষয়ল শীর্ষ সম্মেলনের উচ্চ পর্যায়ের থিমেটিক সেশনে তিনি বলেন, ‘অভিযোজন তহবিলকে প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশ এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেকোনো গঠনমূলক পদক্ষেপের সঙ্গে একাত্ম হতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতিগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সৎ থাকবে এবং আসন্ন সংকট এড়ানোর জন্য তাদের ন্যায্য অংশীদারিত্ব করবে।’
তিনি বলেন, জলবায়ু অভিযোজনে বাংলাদেশকে সাধারণত বিশ্বনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জাতিসংঘ স্বীকৃত কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে বেশ কয়েকটি প্রকৃতি-ভিত্তিক, কাঠামোগত এবং প্রযুক্তিগত সমাধান রয়েছে যা বিশ্বের অন্যান্য অংশে একইভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।’
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রত্যাশিত প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এর জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অ্যাডাপটেশন পাইপলাইন অ্যাকসেলারেটর অর্থায়ন ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় একটি কার্যকর মডেল দেখতে চাই।’
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থায় যথেষ্ট বিনিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে যে লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল তার তুলনায় সরকার প্রাণহানির সংখ্যা এক অঙ্কে নামিয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: বাইডেনের নৈশভোজে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘৬৫ হাজার উপকূলীয় মানুষের সমন্বয়ে আমাদের বিশ্বের বৃহত্তম কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচি রয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের সর্বশেষ জাতীয় পরিকল্পনা একটি সমন্বিত বহু-বিপজ্জনক আগাম সতর্কতা পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে নিয়মিত আপডেট দিতে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশব্যাপী ভূমিকম্প মডেলিং নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের উপস্থিতিতে মহড়া পরিচালনার জন্য জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।’
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে অভিযোজন ও আগাম সতর্কীকরণে বিনিয়োগ নিখুঁত অর্থবহ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি আমাদের উন্নয়ন অংশীদাররা জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রদানের জন্য এই সুযোগগুলো কাজে লাগাবে।’
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ এর মতো আরেকটি মহামারি প্রতিরোধে বিশ্বকে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে: জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
সাইবার হামলা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থায় ব্যাংকগুলো
সাইবার হামলা মোকাবিলায় সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১টি নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে সব বাণিজ্যিক ব্যাংক উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
সাইবার হামলা ঠেকাতে কী করা উচিত, তা জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওই চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকের সব কার্যক্রম সুরক্ষিত রাখতে কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা পাওয়ার পর এমটিবি হুমকি রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সমস্ত আমানত এবং অন্যান্য লেনদেন নিরাপদ ও সুরক্ষিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ১৫ অগাস্টকে লক্ষ্যবস্তু করে সাইবার হামলার আশঙ্কা
ব্র্যাক ব্যাংকের সিইও সেলিম আরএফ হুসাইনও সাইবার হামলা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একই ধরনের মতামত দেন। যে কোনো বিপর্যয় এড়াতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়, হ্যাকারদের একটি গ্রুপ বাংলাদেশে সাইবার হামলার হুমকি দিয়েছে এবং সম্ভাব্য হামলার তারিখ ১৫ আগস্ট।
এই হুমকির জবাবে সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিআইআরটি) সাইবার নিরাপত্তায় সতর্কতা জারি করে।
গত ৭ আগস্ট সিআইআরটি'র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইবার হামলায় স্টেট ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিআইআই), ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। ক্ষুদ্র বা মাঝারি সাইবার হামলা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে পূর্ব প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
সাইবার হামলা প্রতিরোধে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ২৪ ঘণ্টাই নেটওয়ার্ক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে, যাতে কেউ ডেটা অপসারণ করতে না পারে। সাইবার হামলা কমাতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার সতর্কতা জারি
এ ছাড়া নেটওয়ার্কে অনিরাপদ কার্যকলাপ শনাক্ত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে ওপেন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি প্রজেক্টের (ওডব্লিউএএসপি) সর্বশেষ গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে।
সাইবার হামলা এড়াতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে সিআইআরটি।
তারা এইচটিটিপি/এইচটিটিপিএস ইনকামিং ট্র্যাফিক বিশ্লেষণ করতে এবং ক্ষতিকর অনুরোধ ও ট্র্যাফিক প্যাটার্ন ফিল্টার করতে ফায়ারওয়্যাল স্থাপন করছে। ডিএনএস, এনটিপি ও নেটওয়ার্ক মিডলবক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো সুরক্ষিত এবং ব্যবহারকারীর ইনপুট যাচাই করা হচ্ছে।
এতে ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ রাখার জন্যও বলা হয়। পাশাপাশি এসএসএল ও টিএলএস এনক্রিপশনযুক্ত ওয়েবসাইটগুলোতে এইচটিটিপিএস বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে: আইজিপির প্রতি রাষ্ট্রপতি
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের দিকনির্দেশনা
সারাদেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার এবং তাদের চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার তথ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে ডেঙ্গুর আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
এর পাশাপাশি অধিদপ্তর বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু দিকনির্দেশনাও দিয়েছে।
ডেঙ্গুর লক্ষণ:
শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি হওয়ার পাশাপাশি দুটি লক্ষণ দেখা দিলে ডেঙ্গু সন্দেহে নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।সেগুলো হলো-
- তীব্র মাথা ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরের পেশি ও জয়েন্টসমূহে ব্যথা
- বার বার বমি করার প্রবণতা, নাসিয়া গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া ও শরীরে র্যাশ ওঠা
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন: জিএম কাদের
তীব্র ডেঙ্গুর লক্ষণ:
- ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ৩ থেকে ৭ দিন পর লক্ষণ দেখা যেতে পারে
- শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক কমে যাওয়া এবং তীব্র পেট ব্যথা হওয়া
- ক্রমাগত বমি করা, বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া এবং ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া
- শরীরে অবসাদ ও অস্থিরতা অনুভব করা
ব্যক্তিগত সতর্কতা:
- ঘর বা কর্মস্থলের জানালা সবসময় বন্ধ রাখতে হবে
- মশার কামড় থেকে বাঁচতে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে থাকে এমন পোশাক পরা
কমিউনিটির সচেতনতা বৃদ্ধি:
- পরিবার, প্রতিবেশি ও কমিউনিটির মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে হবে
- পরিচ্ছন্নতা অভিযানে সবাইকে সরাসরি যুক্ত হওয়ার জন্য সচেষ্ট হতে হবে
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৮৯
মশার প্রজনন রোধে যেসব কাজ করতে হবে:
- ঘর ও আশেপাশের যেকোনো জায়গায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না
- ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে
- ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেনার, মটকা, ব্যাটারি ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে, বিধায় এগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে
- পানি যাতে না জমে সেজন্য অব্যবহৃত পানির পাত্র নষ্ট করতে হবে অথবা উল্টে রাখতে হবে
- দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে
ডেঙ্গু হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভবিষ্যত মহামারি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর যে-কোনো ধরনের অংশীদারিত্বমূলক বোঝাপড়ায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
বুধবার চলমান বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের সাইড লাইনে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি, গ্লোবাল কোভ্যাক্স ব্যবস্থার আওতায় বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন প্রদানসহ ভ্যাক্সিন পরিবহন, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের হেল্থ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারি হ্যাভিয়ার বে’চারা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি ভবিষ্যতে কোভিড-১৯ এর মত মহামারি মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতামূলক ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ পোষণ করেন।
জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ন্যায্যতা ও সমঝোতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অধিকতর উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সকলের জন্য কল্যাণকর যে-কোনো ধরনের অংশীদারিত্বমূলক বোঝাপড়ায় ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, তারা স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি অবস্থা এবং মহামারি অতি দ্রুততার সঙ্গে মোকাবিলায় জেনেটিক ইনফরমেশন শেয়ারিং, ভ্যাক্সিন শেয়ারিং এবং মহামারি প্রতিরোধ ব্যবস্থা উদ্ভাবন করে তা সারাবিশ্বে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আওতায় এ ধরনের আন্তর্জাতিক চুক্তি/সমঝোতা ফলপ্রসূ হতে পারে মর্মে একমত পোষণ করেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী একইদিনে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাদা করে আরেকটি বৈঠকে মিলিত হন।
জানা গেছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে সেক্রেটারির পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, ইউএসএইড, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এর উচ্চ বিষয়ক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মন্ত্রী-এর পাশাপাশি জেনেভাস্থ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে: জাপানে সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানুষকে চিকিৎসা নিতে আর ঢাকায় আসতে হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, যে ভবিষ্যতের জন্য আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের তৈরি করছি, সেই ভবিষ্যতে মূল দক্ষতাই হবে শিখতে পারার দক্ষতা। সেখানে একজন শিক্ষার্থীর যোগাযোগের দক্ষতা, সূক্ষ্ম চিন্তার দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, অনেকের সঙ্গে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। আর যে শিক্ষার্থী যত বেশি সৃজনশীল ও মুক্তচিন্তা করবে সেই শিক্ষার্থী এসব বিষয়ে ততই দক্ষ হয়ে উঠবে। তাই মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবেনা।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
সোমবার (২২ মে) বিকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় দিবসসমূহে বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা রূপান্তর গঠানোর জন্য আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছি। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি নতুনভাবে করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শ্রেণীতে এই নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়া নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আমরা একজন শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
মাউশির পরিচালক (প্রশাসন) শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আমরা উচ্চশিক্ষাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগত মান অর্জন করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
লিখিত পরীক্ষার পরে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
পুলিশকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দৃঢ়ভাবে মোকাবিলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের নিরবচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাবাহিকতার স্বার্থে যে কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘(সতর্ক থাকুন) যাতে ভবিষ্যতে কেউ আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাধা দিতে না পারে এবং কেউ আর অগ্নিসংযোগের সহিংসতা চালানোর সাহস না করতে পারে এবং কেউ জনগণের জীবনের সামগ্রিক নিরাপত্তাকে ব্যাহত করতে না পারে।
বুধবার পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর দ্বিতীয় দিনে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ পেতে উৎপাদন খরচ পরিশোধ করুন: প্রধানমন্ত্রী
বিরোধী দল বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, হ্যাঁ, তারা আন্দোলন করতে পারে। ঠিক আছে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এটি করা যেতে পারে। সেখানে কোনও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হলে তার বিরুদ্ধে সবাইকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বৈশ্বিক সংকট, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগের মতো অগ্নিসংযোগ ও অন্যান্য ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কারণে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলেন, আইনশৃঙ্খলা একটি দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘সুতরাং, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আজকের অগ্রগতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসেনি। বরং তার সরকারকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল এবং অনেক পরিকল্পনা নিতে হয়েছিল। সুতরাং, সরকার মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে দেশে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কোভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করেছে, দৃঢ় নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে ইতিবাচক দিকে সচল রেখেছে এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে।
‘আমরা এই কঠিন কাজগুলো সফলভাবে করতে পেরেছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সারা বিশ্ব থেকে প্রশংসা পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে ধন্যবাদ জানান কারণ বাহিনীও এই সাফল্যে অবদান রেখেছে, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়।
কেউ যাতে এই অগ্রগতিতে বাধা না দিতে পারে সেজন্য তিনি আবারও পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু হতে পারে – যে কেউ যে কোনো দল, মত ও ধর্মেরই হোক, কিন্তু আপনাদেরকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে কেউ কোনও কাজকে ধ্বংস বা বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এবং দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণের স্বার্থে কোনো সেক্টরে আমাদের চলমান অগ্রগতিতে বাধা দিতে না পারে।’
আরও পড়ুন: জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সেবা অব্যাহত রাখুন: পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
প্রযুক্তিভিত্তিক পুলিশ সেবা সম্প্রসারণে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার বিকল্প নেই: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সংকট নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব রটানো হচ্ছে। তবে, যে ধরনের অপপ্রচারই চালানো হোক না কেন; তাতে কান না দিয়ে সজাগ থাকতে হবে।
এছাড়া দেশের যে কোন সংকট মোকাবিলার জন্য আগামিতেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার ভার তুলে দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৩শ’ স্কুলে কুমন শিক্ষাক্রম চালু করা হবে: পলক
শুক্রবার সকালে নাটোরের সিংড়া উপজেলার গোডাউনপাড়ায় সপ্তাহব্যাপী কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও দু-এক বছর অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী সবাইকে ধৈয্য ও সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মূলবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চায়না রেলওয়ে আন্তর্জাতিক কোম্পানির বাংলাদেশ প্রধান জাং জিয়াওলিয়াং।
এসময় জাং জিয়াওলিয়াং বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার হয়ে এদেশের মানুষের কল্যাণে পাশে থাকার কথা জানান।
চলমান শীতে সিংড়া উপজেলার অসহায় মানুষের জন্য প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কম্বল বিতরণ করেছে চীনের এ প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পলক
যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন: নৌবাহিনীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সততা, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের গুণাবলীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আপনাদেরকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ।’
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির (বিএনএ) মিডশিপম্যান-২০২০ আলফা ব্যাচ ও ডিরেক্ট এন্ট্রি অফিসার-২০২২ ব্রাভো ব্যাচের উত্তীর্ণ ক্যাডেটদের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সকল ধর্মীয় বিশ্বাস সমান অধিকার ভোগ করে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রাকৃতিক দুর্যোগে সর্বদা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং দক্ষতার সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি চাই আমাদের অফিসাররা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে।’
স্নাতক অফিসারদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় আপনারা আমাদের নৌবাহিনীর ভবিষ্যত কাণ্ডারি।’
তিনি তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং শৃঙ্খলা ও সততা বজায় রেখে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে বলেন।
আরও পড়ুন: মাগুরার ৩ মহাসড়ক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বৈশ্বিক সংকটে মানুষ যাতে কষ্ট না পায় তা নিশ্চিত করুন: স্থানীয় প্রতিনিধিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) বাস্তবায়নসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতিসংঘ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করবে।
মঙ্গলবার পরিবেশ,বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এর সঙ্গে পৃথক দুটি সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক জিন লুইস এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক(এডিবি)-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এডিমন গিন্টিং একথা বলেন।
বৈঠকে পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ,অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন,অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুল হক চৌধুরী,যুগ্মসচিব জাকিয়া আফরোজ, এডিবির কান্ট্রি স্পেশালিস্ট সুন চ্যাং হং,এডিবির এক্সটার্নাল এফেয়ার্সের টিম লিডার গোবিন্দ বর-সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ প্রণীত ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। ন্যাপ বাস্তবায়নে জাতিসংঘ ও এডিবির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
আরও পড়ুন: সরকার দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করছে: পরিবেশমন্ত্রী
কপ-২৭ সম্মেলনে বাংলাদেশের যোগদানের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত এবং গ্লাসগো-শার্ম আল শেখ ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন দ্যা গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছে।
মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতির জন্য একটি সুনির্দিষ্ট অর্থায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফাইন্যান্স এর হিসাব মতে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ৮.৮ থেকে ৯.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ধরিত্রীকে বাঁচাতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১. ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের হার ৪৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করতে হবে।
সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রশংসার দাবিদার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যুদ্ধ না চাইলেও বহিরাগত হুমকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্ট (এমপিএ-৮৩২২ ও এমপিএ-৮৩২৭) অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবিবার বক্তব্যকালে এই কথা বলেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নেভাল এভিয়েশন হ্যাঙ্গারে (বিমান রাখার স্থান) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর সমুদ্র ও আকাশ রক্ষায় নৌবাহিনীকে সত্যিকারের ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এই দুটি টহল বিমানের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিমান চালনার সক্ষমতা বহুগুণে শক্তিশালী করবে।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের কোনো স্থান নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১৭ সালে দুটি সাবমেরিন ‘বিএনএস নবযাত্রা’ ও ‘বিএনএস জয়যাত্রা’ অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, বন্দরে সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজকে নিরাপদ জেটি সুবিধা দিতে কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযানের পরিচালন ও যোগাযোগ সুবিধা বাড়াতে ‘শের-ই-বাংলা ঘাঁটি’ এর নির্মাণ কাজ উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহে কাজ করেছে এবং বিদ্যমান জাহাজের পরিচালনা ক্ষমতা জোরদার করছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনীর কর্মীরা প্রতিনিয়ত অনেক প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামুদ্রিক এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে, যা প্রশংসার দাবিদার।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মাছ ধরার ছবি নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে
তিনি আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সম্বলিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও সাবমেরিন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, হেলিকপ্টার ও এমপিএ পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আধুনিক সব সুবিধাসহ দ্বিতীয় হ্যাঙ্গার নির্মাণের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল। দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে করোনাভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আমাদের উন্নয়নের গতিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে। কিন্তু আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদ, ভূমি ও জনশক্তি দিয়ে এ দেশকে রক্ষা করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগানোর উপায় খুঁজে বের করতে হবে এবং সেদিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। অনুষ্ঠানে নেভাল এভিয়েশন সম্পর্কিত একটি ছোট ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: রিজার্ভের টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি: প্রধানমন্ত্রী