মোকাবিলা
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা, তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর আলোকির দ্যা নেইবারহুড আর্ট স্পেস শালা গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত জলবায়ু পরিবর্তন ও নারীবিষয়ক একক প্রদর্শনী চলমানের সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সবুজ ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও নর্ডিক দেশগুলো: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সবাইকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে শিল্পীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন প্রকার প্রদর্শনী মানুষকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে ভাবতে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে সরকার।
এছাড়া দেশে ব্যাপকভাবে বনায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধি এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জনগণের জন্য অভিযোজন ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।।
তিনি আরও বলেন, সমাজের সব শ্রেণির মানুষকেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আলোকির দ্যা নেইবারহুড আর্ট স্পেসের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক রুক্সমিনি রিকভানা কিউ চৌধুরী, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নুরজাহান, শিল্পী, শিল্পকলা সমালোচক, এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
শিক্ষার্থীদের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতন করতে অলিম্পিয়াডের আয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট নয়: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
তিনি বলেন, এই টাকা পর্যাপ্ত নয়, আরও অর্থায়ন প্রয়োজন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে জলবায়ুর ক্ষয়ক্ষতি তহবিলের টাকা কীভাবে আনা যায় তা নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পরীবাগে তার বাসভবনে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় জাতীয় বন জরিপের উদ্বোধন করলেন পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতিসংঘ বাংলাদেশকে পর্যাপ্ত অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ কীভাবে আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তা পাবে তা নিয়ে পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলার উপায়, অভিযোজন ও প্রশমনে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে জাতিসংঘ।
লুইস বলেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, অ্যাডভোকেসি, বন্যা মোকাবিলা, কমিউনিটি অ্যাডাপটেশন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতিসংঘের উন্নয়ন সমন্বয়ক কর্মকর্তা ও কৌশলগত পরিকল্পনাকারী লুইস।
বৈঠকে জীববৈচিত্র্য হ্রাস এবং প্লাস্টিক দূষণের মতো গুরুতর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা নিয়েও আলোচনা হয়।
পরিবেশ সংরক্ষণে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন লুইস ও সাবের হোসেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া যাচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ ও জলবায়ু মোকাবিলার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে: পরিবেশমন্ত্রী
নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতে ভারত আমাদের পাশে ছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনবিরোধী দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে ভারত আমাদের পাশে ছিল, পাশে আছে।
তিনি বলেন, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। একে আরও এগিয়ে নিতে দুই দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভারতের নয়াদিল্লিতে বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক দশক’ শীর্ষক একক বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. অরবিন্দ গুপ্তের পরিচালনায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশে ভারতের পূর্বতন হাইকমিশনার ভিনা সিক্রি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কটি রক্তের বন্ধনের। অন্য যেকোনো দেশের সম্পর্কের সঙ্গে কখনোই বাংলাদেশের সম্পর্ককে এক করা যায় না। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের অবদান বাংলাদেশ সব সময় কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় ১৭ লাখ বাংলাদেশি ভারতীয় ভিসার আবেদন করে। দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। এটি দুই দেশের পারস্পরিক সুসম্পর্কের পরিচয়ই বহন করে।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য বুধবার(১৭ জানুয়ারি) সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অগ্রাধিকার হচ্ছে যেকোনো মূল্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি রোধে আরেকটি পদক্ষেপের জন্য আমরা ব্যাংকের বাইরে মুদ্রা প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের নীতি নির্ধারণ করেছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
আর্থিক খাতে চলমান চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস প্রাথমিক ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ করেছে।
মুদ্রানীতির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভোক্তা মূল্য ক্রমাগত উচ্চমাত্রায় থাকায় কর্তৃপক্ষ মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করেছে।
গভর্নর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক জুনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায়। এ জন্য নতুন মুদ্রানীতিতে সুদের হার ২৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুক্র-শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক: বিবি
তিনি বলেন, অর্থ সরবরাহ রোধে আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে জুন মাসে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সুদের হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৮ শতাংশ করা হচ্ছে।
এর ফলে অন্য ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে পরিমাণ অর্থ ঋণ নেবে, তার সুদের হার বাড়বে।
এছাড়া রিভার্স রেপো রেট (বর্তমানে স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি বা এসডিএফ নামে পরিচিত) ন্যূনতম সুদের হার ৭৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ করার ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজারে উদ্বৃত্ত টাকা থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিভার্স রেপোর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে।
আরও পড়ুন: চিংড়ি-মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিতে বিবি’র নতুন নীতিমালা জারি
পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরে স্পেশাল রেপো বা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদের হারের সীমা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকটের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার খরচ কমবে।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (ডিসেম্বর পর্যন্ত) ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির মতো ঋণ প্রবৃদ্ধির এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। আর গত নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ শতাংশ কম।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
এশিয়ায় তাপচাপ মোকাবিলায় নারীদের সহনশীলতা বাড়াতে নতুন উদ্যোগ এডিবি'র
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে নারী ও মেয়েদের উপর তাপচাপের প্রভাব আরও ভালভাবে বুঝতে এবং অভিযোজনে বিনিয়োগের জন্য একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এই নতুন উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়।
নতুন কারিগরি সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এডিবি নারীদের ওপর তাপচাপের ক্রমবর্ধমান হুমকি কীভাবে প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে গবেষণা করবে এবং সুনির্দিষ্ট নীতি, পদক্ষেপ ও বিনিয়োগ নির্ধারণ করবে যা নারী ও মেয়েদের ওপর তাপের প্রভাব কমাতে সরকারকে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্ক ও তাজিকিস্তানে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
কপ-২৮ সম্মেলনের উদ্বোধনীতে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, 'এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে উষ্ণতম বছরের জন্য অবশ্যই রয়েছি। এটি নারীদের অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা, খাদ্য নিরাপত্তায় তাদের ভূমিকা এবং নারীদের ব্যবহৃত অবকাঠামোর ওপর নজিরবিহীন চাপ সৃষ্টি করছে।’
তিনি বলেন, ‘চরম তাপের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের পরিণতি মোকাবিলা না করে উন্নয়ন আর সম্ভব নয়। আমাদের অবশ্যই নারীদের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
প্রচণ্ড গরমে বিশ্বব্যাপী ৬৫০ বিলিয়ন ঘণ্টারও বেশি বার্ষিক শ্রম ক্ষতি হয়। যা প্রায় ১৪৮ মিলিয়ন পূর্ণ-সময়ের চাকরির সমতুল্য- য একটি পরিমাপে ব্যাঘাতের দিক থেকে কোভিড-১৯ মহামারির সঙ্গে তুলনীয়।
নারীরা এই ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা দ্বারা অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত হয়, প্রাণঘাতী পরিস্থিতি এবং উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
এডিবি এবং আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেজিলিয়েন্স সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরশট-রক গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন বলেন, 'ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের নারীরা প্রায়শই আমাদের উষ্ণায়নের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ ‘এসব ভারসাম্যহীনতা দূরীকরণে এডিবির উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মেক্সিকোর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিলিপে ক্যালডেরন বলেন, 'পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ প্রচণ্ড গরমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।’
‘নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে, বিশেষত শহরগুলোতে যেখানে শহুরে তাপ দ্বীপের প্রভাবের কারণে সমস্যাটি আরও গুরুতর। তাপপ্রবাহের নামকরণ এবং শ্রেণিবদ্ধকরণ থেকে শুরু করে শহুরে সবুজায়নের উদ্যোগগুলো, শহরগুলো তাদের নাগরিকদের জীবন ও জীবিকা সুরক্ষিত করার সমাধানগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অগ্রভাবে রয়েছে।’
ফিজির নারী, শিশু ও দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়ক মন্ত্রী লিন্ডা তাবুইয়া বলেন, ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন একটি জীবন্ত বাস্তবতা, আমরা সেখানে প্রত্যক্ষভাবে দেখতে পাচ্ছি যে প্রচণ্ড তাপ কীভাবে বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ‘আমাদের সম্মিলিত জলবায়ু প্রতিক্রিয়ার জন্য লক্ষ্যযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-উত্তরপশ্চিমাঞ্চল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোর উন্নয়ন: বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
ইউএন-হ্যাবিট্যাট অ্যান্ড আরস্ট-রক গ্লোবালের চিফ হিট অফিসার এলেনি মাইরিভিলি বলেন, ‘নারীদের ওপর তাপচাপের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রভাবের জন্য একটি উপযুক্ত পদ্ধতি প্রয়োজন। ‘আমাদের জলবায়ু কৌশলগুলোতে লিঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গি একীভূত করা কেবল অপরিহার্য নয়; এটি জরুরি এবং সমতার বিষয়।’
মেলবোর্ন সিটির মেয়র স্যালি ক্যাপ বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শহরগুলো সর্বাগ্রে রয়েছে।‘নেতা হিসাবে, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের জলবায়ু সহনশীলতার প্রচেষ্টা, বিশেষত তাপচাপের বিষয়ে, অন্তর্ভুক্তিমূলক,নারীদের অনন্য দুর্বলতা এবং শক্তিকে স্বীকৃতি দেয়।
এই উদ্যোগটি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে সমস্ত নতুন কার্যক্রমে হিট অ্যাকশন-প্ল্যানিংকে একীভূত করার,নারীদের জলবায়ু সহনশীলতা বাড়ানোর দিকে মনোনিবেশ করা এবং লিঙ্গ-প্রতিক্রিয়াশীল পদক্ষেপের পক্ষে পরামর্শ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিকে চিহ্নিত করে।
এডিবির মতে, ২০১৯ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অভিযোজনের জন্য ৩৪ বিলিয়ন ডলারসহ নিজস্ব সম্পদ থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়ন প্রদানের ব্যাংকের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সঙ্গে এই কর্মসূচিটি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
২০২২ সালে এডিবি ৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরমধ্যে প্রশমনের জন্য ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার এবং অভিযোজনের জন্য ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার রয়েছে।
ব্যাংকটি গত বছর বেসরকারি খাত থেকে জলবায়ু অর্থায়নে অতিরিক্ত ৫৪৮ মিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করতে ঋণের পরিবর্তে অনুদান দিতে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে চাওয়া এক বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে ৫৩৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৪৬৫ মিলিয়ন অনুদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশের বাধ্য হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত: টিআইবি জরিপ
একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের মতো বৈশ্বিক মানবিক সংকট মোকাবিলার জন্য অনুদান হিসেবে দিতে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে আলোচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
পাশাপাশি, এই নীপিড়নমূলক মানবিক সংকট মোকাবিলায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে ন্যায্য ও যথাযথভাবে এগিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকটের মতো এমন একটি মানবিক সংকট মোকাবিলার সব ভার শুধু বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া পুরোপুরি অন্যায্য এবং তা মোটেই কার্যকর ও টেকসই সমাধান নয়।
এই সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত পদক্ষেপ ও বৈশ্বিক সংহতি। মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় প্রদান ও বছরের পর বছর ভরণপোষণের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ করেছে বাংলাদেশ।
এই বাড়তি অর্থনৈতিক বোঝা সম্মিলিতভাবেই বহন করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। নির্যাতনে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বলে, এই অর্থনৈতিক বোঝার পুরোটাই অনন্তকাল ধরে বাংলাদেশের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
বিশেষত, যখন বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সেই মুহূর্তে এই ঋণ চাওয়ার সিদ্ধান্ত দ্বিগুণ উদ্বেগজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং রোহিঙ্গা সংকটসংশ্লিষ্ট সব খরচের সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত বণ্টন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংলাপের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ নয় অনুদান হিসেবে সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংক ও এডিবির প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।’
বাস্তুহীন রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক অনুদান হ্রাসের প্রবণতায় টিআইবি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
এর মাধ্যমেই প্রমাণ হয়- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে কাপুরুষের মতো তাদের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে এবং এই বোঝা বহনের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনুদান কমে যাওয়ার কারণে মাথাপিছু খাদ্য সহযোগিতায় বরাদ্দ প্রতি মাসে ১২ ডলার থেকে ৮ ডলারে নেমে এসেছে।
ড. জামান বলেন, ‘বৈশ্বিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে মিয়ানমারের বহুমাত্রিক অংশীদারত্ব, স্বার্থসংশ্লিষ্ট দেশসমূহের দায়িত্ব হলো রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের টেকসই সমাধান এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য মায়ানমারকে জবাবদিহির মুখোমুখি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানো।’
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের আন্তর্জাতিক উদ্যোগ সমন্বয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য জাতিসংঘ এবং তার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়, তা নিশ্চিত করা জাতিসংঘের নৈতিক দায়িত্ব। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগণের উপর চলমান নিপীড়নসহ এই সংকটের মূল কারণসমূহ মোকাবিলায় জাতিসংঘকেও কাজ করতে হবে।’
পরিচালক আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যথেষ্ট ভোগান্তির শিকার হয়েছে এবং মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনের অধিকার তাদের আছে। রোহিঙ্গা নিপীড়ন-গণহত্যা থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ বইতে গিয়ে বাংলাদেশ অনেক বেশি চাপে রয়েছে। এখন সেই চাপ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকে ঋণ নিতে বাধ্য করার মতো নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য কাজ আর কী হতে পারে!’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যামনেস্টি,আরএসএফ ও টিআইবি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাত নিয়ে টিআইবি মিথ্যাচার করেছে: মন্ত্রী
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় ক্রমবর্ধমান ব্যয়বৃদ্ধি মেটাতে সমন্বিত সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে ‘রাইজিং উইথ দ্য টাইড: ট্র্যাকিং রিফর্মস ইন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার ফর এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট-পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্যভাবে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে আমন্ত্রণ প্রমাণ করে বিশ্বনেতারা শেখ হাসিনার পাশে আছেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সিভিএফ-ভি ২০ ফোরামে দুই মেয়াদে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর সহনশীলতা ও সক্ষমতা বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেই সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ প্রণীত হয়েছে।
জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের অধীনেই প্রতি বছর দেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি।
একইসঙ্গে মন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং এর শিকার। তবুও প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনামাফিক ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।
পরে কপ-২৮ প্রেসিডেন্সি গোলটেবিল বৈঠকে 'অ্যাক্সিলারেটিং ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন' বৈঠকেও অংশ নেন মন্ত্রী।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ভালনারেবল ২০ দেশের জোটের (সিভিএফ-ভি ২০) বর্তমান চেয়ারম্যান ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো-আডোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ফোরামের পরবর্তী চেয়ারম্যান বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ ও প্রথম মহাসচিব মোহাম্মদ নাশিদ।
ঘানার রাষ্ট্রপতি এই ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের মোকাবিলা করবে যুবসমাজ: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। তাই সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই নির্বাচনকে যারা ভণ্ডুল ও বানচাল করতে চায়, তাদের মোকাবিলা করতে হবে। এছাড়া আওয়ামী যুবলীগসহ দেশের যুবসমাজ তাদের মোকাবিলা করবে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রগতিশীল ও সংগ্রামী দল হিসেবে, স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সংবিধানের বাইরে আওয়ামী লীগের যাওয়ার সুযোগ নেই।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ সারা পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল। সারা পৃথিবী বাংলাদেশকে স্যালুট জানায়। এই উন্নয়নের ধারাকে আমরা সামনে আরও এগিয়ে নিতে চাই।
তিনি বলেন, আমরা যে উন্নয়ন করেছি, আগামী নির্বাচনে জনগণ তার মূল্যায়ন করবে তা দেখেই আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনবে।
স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, তোমরা আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড, দেশের সম্পদ। তোমরা দেশকে সমৃদ্ধ করবে। দেশকে আরও এগিয়ে নিতে যুবলীগকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত দেশকে উন্নত করার কারিগর তোমাদেরই হতে হবে। নীতি আদর্শে আর নৈতিক শক্তিতে যুবলীগকে গড়ে উঠতে হবে।
দেশের সব সংগ্রাম-আন্দোলন ও ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী যুবলীগ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা-প্রগতি-মানবতাবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে যুবলীগকে সচেতন থাকতে হবে।
যুবলীগকে নিজ দলের সুবিধাবাদী নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, দলের অভ্যন্তরে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা সুযোগসুবিধা নিয়ে রাতারাতি অর্থবিত্তের মালিক হয়েছে, তারা নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তিনি আরও বলেন, তারা নিজের স্বার্থের জন্য, নিজের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য অনেকসময় সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন। তাদের সম্পর্কেও সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে মধুপুর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সাইদ খানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মামুনুর রশিদ, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বাপ্পু সিদ্দিকী, সদস্য মো. ইয়াকুব আলী, আব্দুল গফুর মন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর ফরহাদুল আলম, সাদিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: কৃষিমন্ত্রী
আলু আমদানি হলে দাম কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে: কৃষিমন্ত্রী
জলবায়ু সমস্যা, নিরসনের পদক্ষেপ নিয়ে জাতিসংঘের কর্মশালায় সাংবাদিকরা
জাতিসংঘ ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ: পুনরুদ্ধার থেকে সমৃদ্ধির যাত্রা’- শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করেছে। রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এ কর্মশালায় ২০ জনের বেশি সাংবাদিক অংশ নেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক অফিস এ তথ্য জানায়।
কর্মশালাটির আয়োজন করেছে জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। এসব সংস্থার মধ্যে রয়েছে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা সংস্থা ইউএন উইমেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), জাতিসংঘ শিল্পোন্নয়ন সংস্থা ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
এই কর্মশালা জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাংবাদিকদের সরাসরি আলাপ-আলোচনার একটি সুযোগ করে দিয়েছিল। এর মাধ্যমে উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপের বিষয়ে নিজ নিজ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে পেরেছেন, নীতি ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে পেরেছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপ ও উদ্যোগগুলোর বিষয়ে প্রত্যক্ষভাবে জানতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু অর্থায়ন দ্বিগুণ চায় বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো
এসব বিষয়ের মধ্যে- জলবায়ু সহনশীলতা ও সবুজ উন্নয়ন, প্রাতিষ্ঠানিক ও জলবায়ু অর্থায়ন সংস্কার, লিঙ্গপরিচয় সহনশীল পদক্ষেপ, রোহিঙ্গাদের জন্য জলবায়ু পদক্ষেপ এবং সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অন্যতম।
জলবায়ু মোকাবিলায় পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘বাংলাদেশ হলো জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা অন্যতম একটি দেশ। এখানে যথাযথ সংবাদ পরিবেশন ও জলবায়ু নিয়ে জনমানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে আমরা সাংবাদিকদের সম্ভাব্য সব ধরনের তথ্য দিতে চাই, যাতে করে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন সম্ভব হয় এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সমাজের সর্বস্তরের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু সংকট দিনে দিনে বাড়ছে। কাজেই এখন নির্ভুল ও যথাযথ সংবাদ পরিবেশন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি জরুরি। আমি কৃতজ্ঞ যে বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে সংবাদ পরিবেশন করছেন। জলবায়ু পরিবর্তন টেকসই উন্নয়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
কর্মশালায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রিন্ট, সম্প্রচার ও ডিজিটাল মাধ্যমের ২০ জনের বেশি সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালাটির আয়োজন করেছে- জাতিসংঘ আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা।
এসব সংস্থার মধ্যে আছে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম), লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা সংস্থা ইউএন উইমেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ), জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), জাতিসংঘ শিল্পোন্নয়ন সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে জলবায়ু ঝুঁকি তীব্রতর হচ্ছে: জাতিসংঘ
কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় ঋণের সুদের হার বাড়াল বিবি
মুদ্রাস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে ঋণের সুদের হার ৫০ পয়েন্ট বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
ব্যাংকগুলোর ঋণের হার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ দশমিক ২০ শতাংশ থেকে ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যে পদ্ধতির ভিত্তিতে এখন ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হচ্ছে, তা 'স্মার্ট' বা ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের চলমান গড় হার নামে পরিচিত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: এমএফএস’র ২১৭২৫ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বিএফআইইউ
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকগুলো এখন রেফারেন্স লেন্ডিং রেটের সঙ্গে সাড়ে ৩ শতাংশ যোগ করতে পারবে, যা ৭ দশমিক ২০ শতাংশের স্মার্ট রেট নামেও পরিচিত।
প্রি-শিপমেন্ট রফতানি ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো স্মার্টের সঙ্গে আড়াই শতাংশ যোগ করতে পারে, যা আগে ছিল ২ শতাংশ।
মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় পলিসি রেট (রেপো রেট) ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর পর ঋণের হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার পরিসংখ্যান মিলছে না: অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সেপ্টেম্বরের 'স্মার্ট' রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে অক্টোবর মাসে ঋণ দিতে পারবে।
চলতি মাসে বড় ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ সুদ নেওয়া যাবে। প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণের সুদের হার হবে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। কৃষি ও পল্লী ঋণের ক্ষেত্রে আগের মতোই সর্বোচ্চ সুদ নেওয়া যাবে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ