পরীক্ষা
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২৬ জুন, রুটিন প্রকাশ
উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুন থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার সই করা সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশাবলি
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
ব্যবহারিক বিষয়-সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।
পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ ও সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)।
আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টা বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
(২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট) প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাজ করা যাবে না।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে এইচএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ
পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
২৯ দিন আগে
৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ ও কারিগরি ক্যাডারের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়।
এতে বলা হয়, প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd] [www.bpsc.gov.bd] অথবা টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের [http://bpsc.teletalk.com.bd] পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তিসংগত কারণে কোনো সংশোধনের প্রয়োজন হলে কমিশন তা সংশোধনের অধিকার সংরক্ষণ করে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএস: সহকারী কমিশনার হলেন ২৬৭ কর্মকর্তা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের পদগুলোর প্রার্থীদের মধ্য থেকে ৯০০ জন রেজিস্ট্রেশন নম্বরধারী প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারি কর্ম কমিশনের প্রধান কার্যালয় আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।
৫২ দিন আগে
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৬০ হাজার ৯৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবারের পাশের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় এই ফল প্রকাশ করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর ৩৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত নীতিমালার শর্তানুসারে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থীকে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে।
এছাড়া, পার্বত্য অঞ্চলব্যতীত দেশের সমতল অঞ্চলের উপজাতীয় কোটার শিক্ষার্থীদের তালিকা কোটার স্বপক্ষে সনদ ও প্রমাণ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে যাচাই করে পরে প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ভর্তি পরীক্ষার পাসের নম্বর ছিল ৪০।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন (৪৫.৬২ শতাংশ) উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ছিলেন ২২ হাজার ১৫৯ জন যা মোট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। উত্তীর্ণ নারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন যা মোট উত্তীর্ণের ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯০ দশমিক ৭৫।
আগামী ২ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনলাইন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে।
৬০ দিন আগে
জাবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ৩ জানুয়ারি, পরীক্ষা হবে সাত ইউনিটে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের ১ জানুয়ারি থেকে পিছিয়ে ৩ জানুয়ারি করা হয়েছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ ইউনিটের পরিবর্তে সাত ইউনিটে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা।
তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ইউনিট রদবদল করার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের তারিখ পিছিয়ে ১ জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারি করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা ও ভিসি কোটা চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষা হবে সাত ইউনিটে। এরমধ্যে সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ (বি ইউনিট) ও জীববিজ্ঞান অনুষদ (ডি ইউনিট) এর পরীক্ষা অপরিবর্তিত থাকবে।
কলা ও মানবিকী অনুষদের (সি ইউনিট) সঙ্গে আইন অনুষদ এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটকে যুক্ত করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (এইচ ইউনিট) এবং গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদকে (এ ইউনিট) একসঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
চারুকলা ও নাট্য ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের জন্য সি১ ইউনিট, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবি-জেইউ) এবং বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা (ই ইউনিটেই) অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৫৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইহসান জিহাদ বলেন, ‘জাবি ভর্তি পরীক্ষায় শিফট কমানোয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ। এতে করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদনের জন্য বাড়তি টাকা গুনতে হবেনা। ভোগান্তিও কমবে আশা করি।’
৮১ দিন আগে
পরীক্ষা ছাড়া উপসচিব ও যুগ্ম-সচিব পদে পদোন্নতি নয়
পরীক্ষা ছাড়া সিভিল সার্ভিসের উপসচিব ও যুগ্মসচিব পর্যায়ে কেউ পদোন্নতি পাবেন না বলে সরকারকে সুপারিশ করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে জনপ্রশাসনের সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা ছাড়া আর কেউ পদোন্নতি পাবে না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষা নেবে এবং ৭০ মার্ক না পেলে কেউ পদোন্নতি পাবেন না। প্রতিটি পর্যায়ে (উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত) এটি হবে না, উপসচিব ও যুগ্মসচিব- এই দুই পর্যায়ে (পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি) হবে। এর পরের পর্যায়ে সরকার পদোন্নতি দিতে পারবে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে বিভাগ করার সুপারিশ দেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
কমিশন প্রধান বলেন, ‘পরীক্ষায় যদি একজন কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তা সবচেয়ে বেশি নম্বর পান, তিনি তালিকায় এক নম্বরে চলে আসবেন। উপসচিবের তালিকায় তিনি এক নম্বরে আসবেন।’
উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য ৫০ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কর্মকর্তাদের নেওয়ার সুপারিশ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
বর্তমানে এক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা ৭৫ এবং অন্য ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে থাকেন।
৯৩ দিন আগে
সর্বোচ্চ ৪ বার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে
একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর আগে সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত সংশোধন করে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানায় উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় নতুন বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
রাজধানীতে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতেই নতুন এই পদক্ষেপে এই সীমা নির্ধারণ করা হচ্ছে বিসিএস নিয়োগ বিধিমালায় (২০১৪)।
বিজ্ঞপ্তিতে একজন প্রার্থী যাতে সর্বোচ্চ চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন সেজন্য বিসিএস নিয়োগ (বয়স, যোগ্যতা, সরাসরি নিয়োগের পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এ একটি বিধান সংযোজন করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি
১৪০ দিন আগে
পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে পুলিশে সোপর্দ
রাজশাহী মহিলা কলেজে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রিয়া নামে এক ছাত্রলীগের নেত্রীকে পরীক্ষার হল থেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্রীরা।
রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
জান্নাতুল মহানগর ছাত্রলীগের পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। তার ইসলামিক স্টাডিজ তৃতীয় পত্র বিষয়ে পরীক্ষা ছিল বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ডিসি অফিস সহায়ক পরীক্ষায় প্রক্সি, ২২ জন আটক
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাজশাহী মহিলা কলেজে পরীক্ষা দিতে আসেন প্রিয়া নামের ওই ছাত্রলীগ নেত্রী। বিষয়টি টের পেয়ে মহিলা কলেজের ছাত্রীরা তাকে আটকে রাখে। পরে তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ছাত্রলীগের নেত্রী জান্নাতুল প্রিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, ছাত্রলীগের নেত্রী প্রিয়াকে থানায় নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে হলের সিট বাণিজ্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীর নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বিএনপি নেতা হারিছের লাশ তোলা হয়েছে
১৪৪ দিন আগে
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের যেসব কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় ২৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এরমধ্যে শতভাগ পাস করেছে মাত্র ১৩টি কলেজ। গতবারের চেয়ে এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে মাত্র একটি।
আর পাঁচটি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কেউ পাস করতে পারেননি।
গত বছর শূন্য পাস করা কলেজের সংখ্যা ছিল ৩টি। সেই হিসাবে এবার শূন্য পাস কলেজের সংখ্যা আরও ৩টি বেড়েছে।
শতভাগ পাসের তালিকায় নগরের নামদামি কোনো কলেজ নেই। এমনকি সরকারি কোনো কলেজেরও স্থান হয়নি।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮১.২৪ শতাংশ
পাসের হার শূন্য ৫ কলেজের মধ্যে ৩টি উপজেলার আর ২টি মহানগরের। উপজেলার মধ্যে একটি হলো হাটহাজারীর রহিমপুর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের ৫জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন।
এরপর রয়েছে রাউজানের মোহাম্মদপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের মাত্র ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন।
এরপরে রয়েছে চকরিয়া কর্মাস কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানের ৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন।
মহানগরের মধ্যে পাসের হার শূন্য এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি হলো হালিশহর সেন্ট্রাল কলেজ। এই কলেজের ১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন এবং অন্যটি পাঁচলাইশের চট্টগ্রাম জেলা কলেজ।
এ কলেজের ৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন।
অন্যদিকে, গতবারের চেয়ে এবার পাসের হার কম। তবে সেই তুলনায় এবার জিপিএ ৫ বেড়েছে। এ বছর পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৬৯ জন।
গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৩৯ জন।
শতভাগ পাস করে ১৩টি কলেজের মধ্যে প্রথম অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৩৮৭ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ। ৩৭১ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৪৬ জন শিক্ষার্থী।
চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২৫৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে কাপ্তাইয়ের বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৬৮ জন শিক্ষার্থী।
এবারও পার্বত্য অঞ্চলের ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের রেকর্ড করেছে।
তালিকার ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বান্দরবানের লামার কোয়ান্টাম কসমো কলেজ। তাদের ৬৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
এরপরে রয়েছে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুন্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের ৬০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
শতভাগ পাসের তালিকায় পরের অবস্থানে রয়েছে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ৫১ জন শিক্ষার্থী।
শতভাগ পাসের নবম তালিকায় রয়েছে রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার শলক কলেজ। তাদের ৫০ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
এরপরে দশম অবস্থানে রয়েছে আনোয়ারার কাফকো স্কুল অ্যান্ড কলেজ। তাদের ২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
এদিকে তালিকায় ১১তম ও ১২তম অবস্থানে রয়েছে মহানগরের দুটি প্রতিষ্ঠান। একটি হলো কোতোয়ালি থানার সেন্ট্রাল পাবলিক কলেজ। তাদের ১৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এরপরে রয়েছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ১০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
সর্বশেষে রয়েছে কক্সবাজারের বিআইএম ল্যাবরেটরি (ইংলিশ মিডিয়াম) স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ৯ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলাফলে এগিয়ে আছে মেয়েরা
১৫৬ দিন আগে
এইচএসসি-সমমানের বাকি সব পরীক্ষা বাতিল
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের বাকি সব পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে সচিবালয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীর জোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার মোবাইলে ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন করে পরীক্ষা না নিয়ে এইচএসসির ফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের ঢল
পরীক্ষার ফল কীভাবে প্রকাশ করা হবে সে বিষয়ে আগামী এক থেকে দুই দিনের মধ্যে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
গত ৩০ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। আট দিনের পরীক্ষা শেষে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আরও তিনবার পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
অবশেষে সব পরীক্ষা স্থগিত করে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়। সে অনুযায়ী আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল।
তবে শিক্ষার্থীদের গণআন্দোলন ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কারণে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বোর্ডগুলো।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের মুখে ববির ভিসি-প্রক্টরসহ ২০ জনের পদত্যাগ
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ঢাবির কলা ও চারুকলা অনুষদের ডিনদের পদত্যাগ
২১২ দিন আগে
নতুন করে পরীক্ষা না নিয়ে এইচএসসির ফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের ঢল
স্থগিত হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার বাকি বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ে অবস্থান নিয়েছে শত শত শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জিরো পয়েন্টের কাছে সচিবালয়ের গেটে পুলিশের বেষ্টনী ভেঙে সচিবালয়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
৬ ও ১১ নম্বর ভবনের মাঝে প্রতিবাদ মিছিল করতে থাকে তারা।
আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের গণঅভ্যুত্থানের পর মাঝপথে স্থগিত হয়ে যায় এইচএসসি পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু
স্থগিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
২১২ দিন আগে