বঙ্গোপসাগর
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ২ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ড সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্থান্তর করে। ৫ জানুয়ারি ট্রলারটি ডুবে গেলে ওই দুই জেলে নিখোঁজ হন।
নিহত দুই জেলে হচ্ছেন- বরগুন জেলার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ইউসুফ (২৫) ও একই গ্রামের মো. আমিনের ছেলে বায়েজিদ (২০)।
কোস্ট গার্ড কচিখালী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কাজী শামিনুল বারি জানান, নিখোঁজ দুই জেলের সন্ধানে ৬ জানুয়ারি থেকে কোস্ট গার্ড সদস্যরা বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পারিচালনা করে।
উদ্ধার অভিযান চলাকালে বুধবার ভোরে সাগরের পদ্মা সুইচের ঘোপ এলাকায় ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত ইউসুফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পদ্মার চরের কাছ থেকে বায়েজিদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিখোঁজের ৪ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
দুই জেলের মৃতদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে। এর আগে ৬ জানুয়ারি ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করা হয়।
কাজী শামিনুল বারি আরও জানান, দুই জেলে ৫ জানুয়ারি রাতে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মাছ ধরার জন্য জাল পেতে ট্রলারে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে বাতাসের আঘাতে এ্যাংকরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে গেলে তারা নিখোঁজ হন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন জানান, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার দুইজন নিখোঁজ হয়। পরে কোস্ট গার্ড সদস্যরা ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। বিষয়টি কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে তাকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দায় নৌকাডুবিতে জেলের মৃত্যু
মোহনায় দুটি ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১ জেলে নিখোঁজ
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি শনিবার সকাল ৬টায় পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, পরে এটি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিম্নচাপ এলাকায় না যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে হালকা থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
‘মানদৌস’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও বাংলাদেশে আঘাত হানবে না: আবহাওয়া অধিদপ্তর
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মানদৌস’ পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘বাংলাদেশের উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। যা দুর্বল হয়ে আছড়ে পড়ার সময় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তের বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বেশ উত্তাল রয়েছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই (০২) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরের সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে চলাচল না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
বুধবার সকাল ৬টায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বুলেটিনে সতর্ক করা হয়, নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলেও জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সবধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে যেতে না করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে
ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, সোমবার সকালে ঢাকাসহ দেশের কিছু অংশে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
এতে বলা হয়, সকাল ৯টা ২ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ইউএসজিএস-এর মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বঙ্গোপসাগরে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার জাভায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
উত্তর-পশ্চিম তুরস্কে ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, ঘুমন্ত ৬ জনের মৃত্যু
২৮ কেজির ভোল মাছ বিক্রি হলো সাড়ে ৮ লাখ টাকায়!
বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে একটি ভোল মাছ ধরা পড়েছে। ২৮ কেজি ওজনের ওই ভোল মাছটি আট লাখ ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাছের প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৩১ হাজার ২৫০ টাকা।
বঙ্গোপসাগরে গভীরে ৪নং বয়া এলাকায় জাল ফেলতেই জেলে সবুর সিকদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। তার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামে।
সুন্দরবন বিভাগ জানান, ভোল মাছ গভীর সাগরে বিচারণ করে থাকে। চলতি বছরে জেলেদের জালে বিভিন্ন ওজনের ২৫টি ভোল মাছ ধরা পড়েছে। প্রতিটি ভোল মাছ দুই লাখ টাকা থেকে প্রায় নয় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দুবলারচরে রামপালের মাছ ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, দুবলারচর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার গভীরে ৪নং বয়া এলাকায় সাগরে জেলের জালে সামুদ্রিক একটি ভোল মাছ ধরা পড়েছে। সোমবার ওই মাছটি ধরার পরার পর জেলে মাছটি বিক্রি করার জন্য দুবলায় নিয়ে আসে। ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু
তিনি আরও জানান, খুলনার মাছ ব্যবসায়ী মাসুম আলী ওই ভোল মাছটি কিনেছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুবলা ফরেস্ট ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান, সামুদ্রিক ভোল মাছ অনেক মূল্যবান। মাঝে মধ্যে জেলেদের জালে ভোল মাছ ধরা পড়ে। পোয় প্রজাতির এই মাছটি কৈয়া ভোল নামে বেশি পরিচিত।
ক্রেতাদের কাছে এই মাছের অনেক চাহিদা রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. শেখ বদিউজ্জামান রাসেল জানান, সামুদ্রিক ভোল মাছের ফুসফুস দিয়ে অপারেশনের কাজে ব্যবহৃত সুতাসহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করা হয়।
তিনি আরও জানান, এছাড়া ওই মাছ ক্রয় করার পর নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন সঞ্জাম তৈরি করা হয়।একারণে ভোল মাছের মূল্য বেশি।
আরও পড়ুন: কাঙ্খিত মাছ পেয়ে খুশি সুন্দরবনের জেলে ও ব্যবসায়ীরা
এক ভোল মাছের দাম প্রায় লাখ টাকা!
কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ইউএনবিকে বলেছেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত এবং গ্লাসগো-শার্ম আল শেখ ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন দ্যা গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরও বলনে, বাংলাদেশ প্রণীত ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)বাস্তবায়নে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ‘তহবিল ও সমাধান’-এর মাধ্যমে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ও ন্যূনতম দায়ী দেশগুলোর জন্য কাজ ও সহায়তা করতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো কপ সম্মলেনে আলোচনায় অংশ নিবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতির জন্য একটি সুনির্দিষ্ট অর্থায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফাইন্যান্স এর হিসাবমতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় আট দশমিক ৮ থেকে ৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বহুবিষয়ে অগ্রগতি নেই, তবে কপ২৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের যোগদান আশাপ্রদ: তথ্যমন্ত্রী
দুবলারচরে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৩ দিনের রাস উৎসব
বঙ্গোপসাগরের মোহনায় নোনা জলে পূণ্যস্নানের মধ্যে দিয়ে দুবলারচরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী তিনদিনের রাস উৎসব শেষ হয়েছে।
বাগেরহাটের সুন্দরবনের দুবলারচরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস উৎসব উপলক্ষ্যে সোমবার রাতভর পূজা অর্চনা আর প্রার্থনা করা হয়। মঙ্গলবার সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণার্থীরা সাগরে নোনা জলে পূণ্যস্নানে অংশ নেন। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ পূর্ণার্থীরা শান্তি ও মঙ্গলকামনায় পূণ্যস্নান করেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস রাস উৎসবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা অর্চনা আর প্রার্থনা করার পর সাগরে পূণ্যস্নানে অংশ নিলে সব পাপ মোচন হবে। মিলবে সুখ-শান্তি আর সমৃদ্ধি।
এবছরও দুবলারচরে রাস উৎসবে ধর্মীয় রীতি মেনে পূজা অর্চনা আর পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলা বা কোন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল না। বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই অংশ নিয়েছে পূজায় আর পূণ্যস্নানে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে শেষ হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দানোৎসব
রবিবার বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে নৌযানে করে সনাতনধর্মাবলম্বীরা রাস উৎসবে অংশ নিতে যান সুন্দরবনের দুবলার চরে। সোমবার পূজা অর্চনা আর মঙ্গলবার পূণ্যস্নানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় তিনদিনের রাস উৎসব।
জানা গেছে, লোকালয় থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় আলোর কোলে প্রায় ২০০ বছর ধরে শ্রীকৃষ্ণের রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সেখানে শ্রীকৃষ্ণের পূজা অর্চনার পাশাপাশি দরবেশ গাজী ও দরবেশ কালুর স্মরণে মানত দেয়া হয়।
মেলার প্রবর্তক হিসেবে কারও কারও মতে মতুয়া গুরু সন্ন্যাসী হরিজন ও রাজা প্রতাপাদিত্যর নাম শোনা যায়।
২০১৯ বছর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে দুবলারচরে রাস উৎসব হয়নি। আর করোনার কারণে গত দুই বছর ২০২০-২০২১ সালে শুধু ধর্মীয় রীতি রক্ষার্থে পূজা অর্চনা আর পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। এবছরও শুধুমাত্র ধর্মীয় রীতি রক্ষায় পূজা অর্চনা ও পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, দুবলারচরে এবছরও রাস মেলা হয়নি। শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলবম্বীরা পূজা অর্চনা আর পূণ্যস্নান অংশ নিয়েছে। নির্ধারিত পাঁচটি পথ (রুট) দিয়েই শুধুমাত্র পূণ্যার্থীরা দুবলারচরে প্রবেশ করেছে। আবার একই পথে তাদেরকে ফিরতে হয়। অন্য ধর্মের মানুষদের রাস উৎসবে যাওয়ার অনুমতি ছিল না।
আরও পড়ুন: কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী লালন সাঁই’র তিরোধান উৎসব
কক্সবাজারে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদযাপিত
বঙ্গোপসাগরে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, কক্সবাজারের জেলেদের মুখে হাসি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। মাছ ধরার ট্রলারভর্তি ইলিশ নিয়ে কূলে ফিরছেন জেলেরা। ইলিশের পাশাপাশি ধরা পড়ছে রূপচাঁদাসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। দামও সহনীয় পর্যায়ে। সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ায় ব্যবসায়ী ও জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। আড়তগুলোতে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় উৎসবের আমেজ। টানা তিন-চার মাস কোলাহল না থাকায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে।
বৈরী আবহাওয়া ও ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগর থেকে টন-টন ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। ঘাট থেকে ডিঙি নৌকায় ঝুড়ি নিয়ে মোকামে (গুদাম ঘর) তোলা হচ্ছে ছোট-বড় ইলিশ। সেখানে কারও যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। কেউ বরফ ভাঙছে, কেউ ইলিশ সাজাতে ব্যস্ত। অনেক ব্যবসায়ী কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়ে ট্রাকে ট্রাকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন ইলিশের চালান।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আজ থেকে ইলিশ ধরা শুরু
বরিশালে বাড়বে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে বরিশালে রবিবার (২৩ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ৭১.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে বরিশাল আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সিত্রাং এর প্রভাবে বরিশালে বেলা তিনটার পর থেকেই উচ্চ গতিবেগে বাতাস শুরু হবে। সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতিবেগের বাতাস বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কর্মকর্তারা জানান, সোমবার(২৪ অক্টোবর) বিকাল পাঁচটার আগেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হবে। তবে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে সমুদ্রের পানির তীব্রতা সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উপকূলে। ফলে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে শক্তিশালী হওয়া আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। এসময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে নিম্নচাপের কারণে ওই স্থানের পানি সমতল থেকে উঁচু হয়ে যাচ্ছে। ওই স্থান থেকে সমুদ্রের পানি চট্টগ্রাম উপকূলে জমা হচ্ছে ও স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রাম উপকূলে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সোমবার থেকেই উপকূলীয় এলাকায় ছোট-ছোট ঢেউগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে যোগ হয়ে ঢেউগুলোর উচ্চতা বাড়াচ্ছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা রয়েছে।
এদিকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী-সকাল থেকেই বৃষ্টি বেড়ে গিয়েছে। ঘণ্টায় ২২ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইছে।
এটি আরও বাড়তে পারে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বরে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: খুলনায় প্রস্তুত ৪০৯ আশ্রয়কেন্দ্র