সম্পর্ক
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) স্বল্পমূল্যের এয়ারলাইন হিসেবে আবুধাবি ও ঢাকা/চট্টগ্রামের মধ্যে আবুধাবিভিত্তিক উইজ এয়ার ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ইউএই’র সম্পর্ক দিন দিন দৃঢ় হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪ সমঝোতা স্মারক সই
তিনি রাষ্ট্রদূতের কথা শুনে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মোমেন বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা, জ্বালানি নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর জোর দেন।
ইউএই’র রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধিতে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান ও শিপিং সংযোগ, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, ভাসমান সৌরশক্তি, ফার্মাসিউটিক্যালস, আইটি, বনায়ন ও ম্যানগ্রোভ বনের জন্য জোট ইত্যাদি বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত ২০২৩ সালে দুবাইতে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৮-এ বাংলাদেশের সমর্থনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে তার নতুন দায়িত্বের জন্য অভিনন্দন জানান এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
মোমেন বলেন, রাষ্ট্রদূত থাকাকালে পারস্পরিক সুবিধার জন্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রোল মডেল হিসেবে রূপান্তরের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এক্সপো ২০২০ দুবাইয়ের দর্শনীয় আয়োজনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষভাবে নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা সমাচার: গোল্ডেন ভিসা ও গ্রিন ভিসা
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সম্মত বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগের সহায়ক হতে চায় বাংলাদেশ
সিঙ্গাপুরকে পরিষেবা বিতরণের পাশাপাশি বাণিজ্যের জন্য একটি ‘সংযোগের কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক সংযোগের সুবিধা প্রদানকারী দেশ হওয়ার বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরসহ অবকাঠামো উন্নয়নে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি আঞ্চলিক সংযোগ ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নকে সহজতর করতে আরও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ কামনা করেন।
পরিবহন মন্ত্রী এবং সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী এস ইসওয়ারান পরিশ্রমী বাংলাদেশী শ্রমিকদের এবং তাদের নির্মাণ ও অন্যান্য খাতে তাদের অবদানের প্রশংসা করেন।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী আলম বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
কিভাবে উন্নত প্রযুক্তি এবং ডিজিটাইজেশন ব্যবহার করে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ কাটা যায়, সে বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেছেন।
আলম বাংলাদেশের উচ্চ কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং দেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাবনারও গুরুত্ব তুলে ধরেন। মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য ক্রমবর্ধমান উচ্চ ক্রয় ক্ষমতা উপভোগের ওপর বিশেষ জোর দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর ও বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও উন্নতির জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি খাত, ডেটা মাইনিং এবং বিভিন্ন উচ্চ দক্ষ ক্ষেত্র যেমন- ডিজিটাল সংযোগ এবং পরিষেবা, প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কাজ করার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যমান অনেক সম্ভাবনায় আগ্রহী। এটিকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রশংসায় ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের মেয়র
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ককে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় কর্মকাণ্ডের গতি ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে উভয় দেশ।
উভয় পক্ষ দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য কাজে লাগানো হয়নি এমন সম্ভাবনাগুলো খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড এই বছর জুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
এই উদযাপনের অংশ হিসেবে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন এবং একটি ই-বুক উন্মোচনের অনুষ্ঠান হয়।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং সফররত থাইল্যান্ডের স্থায়ী সচিব-মনোনীত সারুন চারোয়েনসুওয়ান যৌথভাবে স্মারক ডাকটিকিট এবং ই-বুক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩০
পররাষ্ট্র সচিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভূমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পররাষ্ট্র সচিব এবং স্থায়ী সচিব উভয়েই বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য আনন্দ প্রকাশ করেন। যা গত পাঁচ দশক ধরে বিকাশ লাভ করেছে এবং শক্তিশালী থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে যে কয়েকটি দেশ স্বাধীনতার খুব প্রথম দিকে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। ১৯৭২ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় থাইল্যান্ড।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গভীর করতে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখতে পারে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর করে এমন কর্মকাণ্ড প্রচারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সহযোগিতা করে ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের সাংবাদিকদের ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভূমিকা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে স্পিকার এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বাংলাদেশ ও ভারতের সিনিয়র সাংবাদিকরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নারী স্পিকারদের সম্মেলনে যোগ দিতে তাসখন্দের উদ্দেশে শিরীন
স্পিকার বলেন, দুই দেশ বিগত বছরগুলোতে স্থল ও সামুদ্রিক সীমানা নির্ধারণসহ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে।
তিনি বলেন, দুই দেশ সামাজিক, অর্থনৈতিক, সামুদ্রিক ও পরিবেশগত সহযোগিতার বিষয়ে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে।
ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস ইউনিয়নের সভাপতি গীতার্থ পাঠক বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের অভিন্ন ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে।
যদিও দুই দেশ অনেক সমস্যার সমাধান করেছে, তবুও পানি বণ্টনের মতো কিছু সমস্যার সমাধান করা দরকার।
তিনি বলেন, নিম্ন নদী প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভিন্ন নদীগুলোর সমান পানিবণ্টনের অধিকার রয়েছে। কিন্তু তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বন্যার কারণে বাংলাদেশ এমন বড় সমস্যার সম্মুখীন হয় যা ভারত, নেপাল বা ভুটান হয় না।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ভারত ও বাংলাদেশের সাংবাদিকরা এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে পারবেন। ‘
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: তামাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও বাঙালি জাতি খালি হাতে ফিরবেনা: ডেপুটি স্পিকার
সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের শোক
‘কিছু ভুল বোঝাবুঝি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে’
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের দ্রুত ও সুষ্ঠু উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন: ‘আমার স্বীকার করা উচিত যে চীন-সম্পর্কিত ইস্যুতে এখনও কিছু ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, যা সাংস্কৃতিক পার্থক্য, জ্ঞানভিত্তিক পক্ষপাতিত্ব বা ভুয়া খবর থেকে উদ্ভূত।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, এগুলো অনিবার্যভাবে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের বন্ধুত্বপূর্ণ ভিত্তিকে ক্ষুন্ন করবে এবং দুই দেশের পারস্পরিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতাকে আরও বাধাগ্রস্ত করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, তথাকথিত কোনো ‘চীনা ঋণের ফাঁদ’ নেই এবং বাংলাদেশ সরকার এটা ভালো করেই জানে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত দেশের ঋণের সঙ্গে জিডিপি অনুপাতের পরিমাণ ৩৮ শতাংশ এবং সামগ্রিক ঋণের পোর্টফোলিওর ৩৭ শতাংশ বৈদেশিক ঋণ।
আরও পড়ুন: চীন তিস্তা খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে যাবে: রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, ‘অন্যদের মধ্যে, চীনের ঋণ বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের মাত্র ৭ শতাংশ, সামগ্রিক ঋণের ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, পরিসংখ্যান বলছে যে বাংলাদেশে চীনের ঋণ যেকোনো আর্থিক প্রান্তিকের চেয়ে অনেক কমে গেছে।
দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কথা উল্লেখ করেন। যিনি বহুবার বলেছেন যে ‘বাংলাদেশ চীনের ঋণের ফাঁদে পড়ার কোন সুযোগ নেই। আমরা আমাদের আয় বুঝে ব্যয় করি।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ে চালকবিহীন বৈদ্যুতিক উড়ুক্কু গাড়ি চালাল চীনা প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের স্থান: তুর্কি বাণিজ্যমন্ত্রী
তুরস্কে সফররত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আঙ্কারায় দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মেহমুত মুস এর সঙ্গে তার মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে করেছেন। এসময় দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
মঙ্গলবারের ওই বৈঠকে তুরস্কে ব্যবসায়ী দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রহমান।
বৈঠকে রিজওয়ান রহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা মোটেও সন্তোষজনক নয়। আরও বাণিজ্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ-তুরস্ক ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যত’ গড়বে: রাষ্ট্রদূত তুরান
তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি এবং বিটুবি অংশীদারিত্বের অগ্রগতি কম। তুর্কি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ককে তাদের পছন্দের বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারে।
রিজওয়ান আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ইস্যুতে কার্যকর যৌথ প্রদর্শনী ও সেমিনারের ব্যবস্থা করতে এবং বাণিজ্য সমস্যা সমাধানের জন্য যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা নিয়মিত হওয়া উচিত। তদুপরি, বাংলাদেশ এবং তুরস্ক একটি কার্যকর ডি-৮ অর্থনৈতিক ব্লক গঠনের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে এবং সমর্থন করতে পারে।
আরও পড়ুন: তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের আলোচনা সভা
দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রত্যাশিত পর্যায়ে না থাকার বিষয়ে একমত হয়েছেন তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী।
এসময় তিনি বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবেও অভিহিত করেন। এই বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে উভয় দেশেরই একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
মেহমুত বলেন, কয়েকটি তুর্কি কোম্পানি ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা করছে এবং তারা খুব ভালো করছে। আর এই সাফল্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।
বৈঠকে আঙ্কারায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নানও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া: রাষ্ট্রদূত
ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে দেশটির ঢাকাস্থ ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস। বৃহস্পতিবার(২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একটি বর্ধিত অংশীদারিত্ব প্রদর্শন করে দিবসটি উদযাপন করে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক বিভাগ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামরিক কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষাবিদদের পাশাপাশি সাংবাদিক অতিথিদের স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রদূত হেরু তুলে ধরেন, এ বছর ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও আরও বেশ কিছু খাতে সহযোগিতা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আশিয়ান-এ ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকা এবং জি ২০-তে ইন্দোনেশিয়ার সভাপতিত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
মন্ত্রী এসময় জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন বহুপক্ষীয় সংস্থার অংশীদার থেকে শুরু বিভিন্ন শক্তিশালী সম্পর্ক ও অংশীদারিত্বের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশসমূহের চারটি সংস্থার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এগুলো হলো- জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম উল্লেখযোগ্য।
হাছান মাহমুদ রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে ইন্দোনেশিয়ার আরও বেশি ভূমিকার প্রত্যাশাও করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ইন্দোনেশিয়ার আগ্রহের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের কথার প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী এও কামনা করেন যে বর্তমান সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উন্নত করার একটি উপায় হিসেবে কাজ করবে।
এসময সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলার পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথিদের আকৃষ্ট করতে ‘ইন্দোনেশিয়ান পণ্য প্রদর্শনী’- শিরোনামের বেশ কয়েকটি রপ্তানিমুখী পণ্যের প্রচার করা হয়।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হৃদয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশে বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে ‘ট্রেন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হৃদয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত।
গত দশকে দুই দেশ একসঙ্গে অনেক মহৎ কাজ করেছে যা উদযাপন করার মতো কিছু। কথাটি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় হাইকমিশনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে দোরাইস্বামী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণ আত্মা ও হৃদয়ে সম্পর্কযুক এবং তা রক্তের সম্পর্কের চেয়েও বেশি কিছু। আমরা সব সময় সে সম্পর্ক বিশ্বাস করি।’
দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। তবে এটি এমন একটি সম্পর্ক যা সবচেয়ে মৌলিক নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত যা হৃদয়ের সংযোগ।
ভারতীয় এই কূটনীতিক বলেন, তারা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে অনেক কথাই বলেন কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ‘আমরা তোমাদের আত্মীয় এবং তোমরা আমাদের আত্মীয়।’
তিনি বলেন, একে অপরের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক সময় অবাস্তব হতে পারে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশে তার বন্ধুদের আর্জি জানান, তারা যেন সব সময় গ্লাসের দিকে তাকিয়ে তা ‘অর্ধেক পূর্ণ’ হিসেবে দেখে ইতিবাচকভাবে নেয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই কিছু জিনিস আছে যা আমাদের একসঙ্গে করতে হবে, আরও অনেক কিছু আমরা করতে চাই এবং তা একসঙ্গে করা উচিত।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের অবদানের কথা স্বীকার করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘দুই দেশ একসঙ্গে যা করেছে তা উদযাপন করা এবং বাংলাদেশ-ভারত অংশীদারিত্বের সাফল্য উদযাপন করা আমাদের কাজ। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে অবদান রেখেছি।’
দোরাইস্বামী বলেন, একজনের জীবনে অনেক ধরনের সম্মান থাকে। তবে বাংলাদেশের মতো একটি দেশে সেবা করা, যে দেশটি ভারতের কাছে তাৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ণ দেশ, সে সম্মান দ্বিগুণ করেছে।
বাংলাদেশি বন্ধুদের বিদায় জানাতে হাইকমিশনার আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, ব্যবসায়ী নেতা, কূটনীতিক, সুশীল সমাজের সদস্য, শিল্পী ও জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বাংলাদেশে তার ‘চিত্তাকর্ষক’ মেয়াদ শেষ করে ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন। তিনি যুক্তরাজ্যে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এবং শিগগিরই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আগামী ৫০ বছরে দু’দেশকে অনেক কিছু করতে হবে: দোরাইস্বামী
শিগগিরই ঢাকায় আসছেন প্রণয় কুমার
বর্তমানে ভিয়েতনামে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা বাংলাদেশে ভারতের পরবর্তী হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
প্রণয় কুমার ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র জমা দেয়ার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ।
প্রণয় ১৯৯৪ সালে ভারতীয় ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন এবং হংকং, সান ফ্রান্সিসকো, বেইজিং, কাঠমান্ডু এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ২০১৭ সালের জুন থেকে নয়াদিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্ব এশিয়া বিভাগের যুগ্ম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি কূটনৈতিক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে ভারতের পরমাণু শক্তি বিভাগে পরমাণু কূটনীতিক হিসেবেও কাজ করেন।
প্রণয় কুমারের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে। ভারতীয় ফরেন সার্ভিসে যোগদানের আগে তিনি ভারতের ইস্পাত উৎপাদনকারী কোম্পানি টাটা স্টিলে তার পেশা জীবন শুরু করেছিলেন। এছাড়াও তার যুক্তরাষ্ট্রের মিডলবেরি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে চীনা ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভারতের ইমিগ্রেশন খুলে দেয়া হবে: দোরাইস্বামী
চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল অপারেশন এবং লজিস্টিকস সাপোর্টে ইউএই’র আগ্রহ প্রকাশ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ডিপি (দুবাই পোর্ট) ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দর ও এর বে-টার্মিনাল অপারেশন এবং সমন্বিত লজিস্টিকস সাপোর্টের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) এবং মেরিটাইম সেক্টরেও বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে ডিপি ওয়ার্ল্ডের উপমহাদেশের প্রধান নির্বাহী রিজওয়ান সুমারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাত করতে এসে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সম্মত বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত
বৈঠকে দুদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, ডিপি ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের উপমহাদেশের পরিচালক (বাণিজ্যিক ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) কেভিন ডি’সুজা, ডিপি ওয়ার্ল্ডের বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি ডিরেক্টর শামীমুল হক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪ সমঝোতা স্মারক সই
ওয়াং ইয়ের সফর ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন স্তরে ‘উন্নীত’ করবে: বেইজিং
চীনা স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন স্তরে উন্নীত করবে বলে জানিয়েছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যায়ন করি। এই সফর সম্পর্ককে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করবে।’
ওয়াং ইয়ের সফরকে সামনে রেখে এসব কথা বলেন চুনয়িং।
বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে শনিবার বিকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।
মুখপাত্র বলেন, তারা আশা করেন এই সফর দুই দেশের নেতাদের মধ্যে ‘অভিন্ন সমঝোতা’ বাস্তবায়ন ও পারস্পরিক সুবিধাজনক সহযোগিতাকে ‘গভীর’ করার সুযোগ দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং একই দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর: ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে একাধিক সহযোগিতা চুক্তির সম্ভাবনা
চুনয়িং বলেন, ‘তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও শেয়ার্ড স্বার্থ বিষয়ক আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে মতবিনিময় করবেন।’
শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, দুই দিনের সফরে শনিবার বিকাল ৫টায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।